স্বাস্থ্য
দেশে একদিনে আরও ৫ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন ঢাকায় এবং বাকি চার জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ছয় জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন। ঢাকার বিইরে ভর্তি আছে চার জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৩২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ২ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আবারও শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
ডেঙ্গু: আরও ১ জন হাসপাতালে
বাগেরহাটে ঠান্ডার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে শিশু রোগীর ভিড়
বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে সর্দি,কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। নবজাতক থেকে শুরু করে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের বর্হি বিভাগে প্রতিদিন শতাধিক রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধান রোপনের সময় বজ্রপাতে নিহত ১
শিশুদের স্বজনরা বলছে, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি আর সেই সঙ্গে জ্বরে ভুগছে শিশুরা।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খান শিহান মাহমুদ জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে প্রতিদিন হাসপাতালের বর্হি বিভাগে শতাধিক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে। সর্দি-কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুরা বেশি আসছে। শিশুদের ঠান্ডা-কাশি দেখা দিলে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫৯.৮১ শতাংশ
অপরদিকে, বাগেরহাটে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরেছে। এতে অসহায় দরিদ্র আর ছিন্নমূল মানুষ কষ্টে বেড়েছে। শীতের কারণে দিনমজুর মানুষ ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেনা।
কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
কান পেতে রই হচ্ছে দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন। মানসিক দুর্দশায় জর্জরিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এই ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি কাজ করে। উদ্যোগটা অভিনব হলেও এই কাজটি নিতান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশে নজির রয়েছে। বরং বাংলাদেশে আরও আগেই এরকম কার্যক্রম শুরু হওয়াটা জরুরি ছিল। এবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রতিষ্ঠানটির শুরুর গল্প
একবার যুক্তরাজ্যের এক ধর্মযাজকের খুব প্রিয় একজন মানুষ আত্মহত্যা করল। এতে প্রচণ্ড মনোকষ্টে ভুগলেও ধর্মযাজক শোককে শক্তিতে পরিণত করলেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, মানসিকভাবে পর্যুদস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে শক্তি-সাহস যোগাবেন এবং বেঁচে থাকার প্রেরণা দেবেন।
১৯৫২ সাল থেকে শুরু করলেন টেলিফোনের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত লোকদের মানসিক সেবা দেয়া। সেখানে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মকর্তা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের কথা শুনত। নিজেদের দুঃখের কথা বলতে যেয়ে তারা খেয়াল করত যে তাদের বুকের বোঝাটা কমে আসছে। সে সময়ের জন্য এটি ছিল এক অভিনব উদ্যোগ এবং এটি ব্যাপকভাবে বেশ সফলতাও পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
এই কাহিনীটি থেকে শিক্ষা নিয়েই মূলত কান পেতে রই সংগঠনের অভিযাত্রা শুরু।
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা নেবার সময় বাংলাদেশের ইয়েশিম ইকবালের কাজ করার সুযোগ হয়েছিল বোস্টন শহরের টেলিফোনের মাধ্যমে মানসিক সেবা দেয়া একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সেখানে প্রায় তিন বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন।
সেখান থেকেই ইয়েশিমের পরিকল্পনায় কান পেতে রই’র গোড়াপত্তন হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রতিদিনি বাড়তে থাকা আত্মহত্যার সংখ্যাকে কমাতে আত্মহত্যাপ্রবণ লোকদের মানসিক সমর্থন দিতে ২০১২ সালে তিনি শুরু করলেন কান পেতে রই’র প্রাথমিক কার্যক্রম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ এর ২৮ এপ্রিল।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমসমূহ
কান পেতে রই (http://shuni.org/) এ আছে কিছু নির্দিষ্ট হেল্পলাইন, যেগুলোর মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত মানুষের কল গ্রহণ করে তাদের কথা শুনে তাদের মাঝে থাকা নিঃস্বঙ্গতা, এবং আত্মহত্যার প্রবণতা দূর করতে সহায়তা করা হয়। এই কাউন্সেলিংয়ের প্রতিক্রিয়া বেশ ফলপ্রসূ আর এই সেবার জন্য কোন ধরনের চার্জ নেয়া হয় না।
করোনা মহামারির আগে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হতো। শুধু বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা কথা বলার সুযোগ ছিল।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেবা দাতা সাজিদা ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগে করোনা মহামারির ভেতর নাগরিকদের জন্য কান পেতে রই’র সেবা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়।
কাউন্সিলিংয়ের সময় বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন, পরীক্ষায় খারাপ করা, পারস্পরিক অভিমান প্রভৃতির কারণে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই পদ্ধতির নাম ‘বিফ্রেন্ডিং’ যেটি মূলত কাউন্সিলিংয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মডেল।
কান পেতে রই গ্রাহকদের কোন তথ্য নিজেদের প্রচারের স্বার্থে ব্যবহার করে না। কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া থাকে কলকারীদের পরিচয় সম্পর্কিত কোনো তথ্য জিজ্ঞাসা না করার। এমনকি স্বেচ্ছাসেবীদের অত্যন্ত কঠোর গোপনীয়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়।
অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কলকারী ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ফেললে তা নোট না করার জন্যও প্রশিক্ষকরা স্পষ্টভাবে বলে দেন। সর্বপরি এখানে মূল ফোকাস ব্যক্তিগত পরিচয় নয়; কলকারীর মানসিক সমস্যা সমাধান।
এতে করে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে কোন অস্বস্তি ছাড়াই কান পেতে রই’তে ফোন দিতে পারেন। একই সঙ্গে গ্রাহকদের এক রকম নির্ভরতার জায়গা তৈরি হয়, যেটা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এখন পর্যন্ত কান পেতে রই আট বছর ধরে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ২০ ভাগরেই প্রধান সমস্যা আত্মহত্যার প্রবণতা।
কান পেতে রই দলের সদস্যর
কান পেতে রই’র প্রতিষ্ঠাতা ইয়েশিম ইকবাল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের স্নাতক। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন।
তিনি ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন হেল্পলাইন সমন্বয়কারী রোজি হোসেন, জনসংযোগ ও যোগাযোগ সমন্বয়কারী সওগাত মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী অরুণ দাস, আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুবিনা জাহান রুমি ও আউটরিচ এক্সিকিউটিভ আশিক আব্দুল্লাহ শুভ। সঙ্গে রয়েছে প্রশিক্ষিত পরিশ্রমী এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী, যারা যে কোন কল অবিলম্বে গ্রহণ করে তার জরুরি কাউন্সিলিং নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে মনযোগ দিয়ে কথা শোনার পদ্ধতি, বিপদের মাত্রা উপলব্ধি করার উপায় ও বন্ধুর মত আচরণ। মানসিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত বিশেষত আত্মহত্যা প্রবণ ব্যাক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে প্রত্যেককে প্রস্তুত করা হয়
এখানের কাজের পদ্ধতি হলো শিফটিং বা পর্যায়ক্রমে। একজন স্বেচ্ছাসেবক চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে তিন ঘণ্টা করে কাজ করতে পারে। প্রতিটি কল গ্রহণের সময় হেল্পলাইনের তত্ত্বাবধায়করা পুরো কথোপোকথোনটি মনিটরিং করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
কান পেতে রই’র সময়োপযোগিতা
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আত্মহত্যার কারণে মৃতের সংখ্যা শতকরা ২.০৬ ভাগ বাংলাদেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের আত্মহত্যার হার ছিল ৩.৭০, যা ২০১৮ থেকে শতকরা ২.৭৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনসংখ্যা সংক্রান্ত জটিলতার পাশাপাশি পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে জীবন ধারণে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্টের ফলে ভাঙন ধরছে সম্পর্কগুলোতে। ইতোমধ্যেই রীতিমত প্রসার লাভ করা পরস্পর থেকে দূরত্বে থাকার বিষয়টিকে যেন আরও গতিময় করেছে করোনা মহামারি। এই নেতিবাচক উত্তেজক পরিস্থিতিগুলোর কারণে অতিরিক্ত আবেগের তাড়নায় চরম অবস্থায় মানুষ ধাবিত হচ্ছে আত্মঘাতী ঘটনার দিকে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘটে গেল ২০২২ সালের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। একই সঙ্গে দেশব্যাপী ১২টি আত্মহত্যা।
এমতাবস্থায় মন খারাপের লাগাম টেনে ধরার জন্য কিছু শক্ত হাতের প্রয়োজন। প্রয়োজন নিঃস্বার্থভাবে আলো জ্বালানো মানুষের অন্তরের গহীনে অন্ধকূপের মত জেঁকে বসা অন্ধকারে। হোক সেটা কোন বন্ধুর অন্তরঙ্গ আলাপে বা কোন টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট কোন নাম্বারে ফোন করার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডালিমের খোসার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
সবশেষে বলা যায়, কান পেতে রই বাংলাদেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন হিসেবে একটি যুগান্তকারি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের চলমান প্রতিকূল প্রেক্ষাপটে তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়াটি খুব ধীর গতির হলেও মানুষের মনে আশা জাগাচ্ছে। নিদেনপক্ষে যে মানুষগুলো তাদের থেকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তারা সেই অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে আরও কিছু হতাশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে। অর্থাৎ আলোকের দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়া থেমে নেই। আসলে এরকম প্রেরণা ও সাহস যোগানোর চর্চা শুধু কান পেতে রই’রই দায়িত্ব নয়; প্রতিটি মানুষেরই হওয়া উচিত।
ইউনাইটেড হসপিটালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত
ইউনাইটেড হসপিটালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়েছে। ‘ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য দূর করি’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড হসপিটালের ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকরা হসপিটালের অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সেশনের আয়ে়াজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড হসপিটালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. শান্তি বানসাল।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউনাইটেড হসপিটালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ বাংলাদেশে প্রথম নিজস্ব সাইক্লোট্রনে উৎপাদিত আইসোটপের মাধ্যমে পেট-সিটি স্ক্যান চালু করে।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিএমএসের পদে ডা. শান্তি বানসালের যোগদান
ডা. শান্তি বানসাল বলেন, ইউনাইটেড হসপিটালের ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার চালুর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে ক্যান্সার রোগীদের বিশ্বমানের চিকিৎসার পাশাপাশি কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি সেবাও প্রদান করে আসছে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনাইটেড হসপিটালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিকেয়ার ধানমন্ডিতেও এই সেবা চালু করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার জনাব মাসুদ আহমেদের পরিচালনায়
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসক ডা. রশিদ উন নবী, ডা. অসীম কুমার সেনগুপ্ত, ডা. শরীফ আহমেদ ও নিউক্লিায়ার মেডিসিন ও মলিকুলার ইমেজিং বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ ওয়াহাবসহ অন্যান্য অফিসিয়ালসরা।
মাগুরায় অনুমোদনহীন ৭টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা
অনুমোদনহীন ও অব্যবস্থাপনার দায়ে মাগুরায় অবৈধ সাত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ড. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেছেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ অমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
জানা গেছে, মাগুরা শহরের অলিগলিতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার গড়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোনো সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের সালেহা, শান্তি, পপুলার, একতা, ইবনে সিনা, আল্ট্রাল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এসব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না।
বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নার্স-আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যেসব রোগী রয়েছে তা আগে ভর্তি হয়েছে। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগী ভর্তি করেননি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা
জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম জানিয়েছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, তারা জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলায় মোট প্রাইভেট ক্লিনিকের সংখ্যা ১২৪টি। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনুমোদনবিহীন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
মধু কি সত্যি অমৃত?
মৌমাছিরা তাদের এনজাইম ঘটিত ক্রিয়াকলাপ ও তরলের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে উদ্ভিদের চিনিজাত নিঃসরণ থেকে মধু তৈরি করে। বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা মোম ও রজন দিয়ে মৌচাক তৈরি করে তাতে মুধ সঞ্চয় করে। মৌয়ালরা সেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকে। এই আঠালো ও মিষ্টি স্বাদের খাবারটি রান্নাবান্নায় ও বাণিজ্যিক পানীয় তৈরিতে মিষ্টিবর্ধক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া অসামান্য পুষ্টিগুণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিভিন্ন ধরনের মধু
বাংলাদেশে হরেক রকমের মধু পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুন্দরবন মধুর জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা। এখানকার মধুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হানিপ্ল্যান্ট গাছের খলিসা ফুলের মধু বা পদ্ম মধু। খলিসা ফুল হয় সাদা আর এর মধুর রং বেশ গাঢ় এবং খুব কড়া ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফাল্গুমাস অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিলে এই মধু পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এরপরেই চৈত্র মাসে আসে হালকা লালচে রঙের ও মিষ্টি পশুর ফুলের মধু। আষাঢ় মাসের বাইন মধু আবার খলিসা কিংবা পশুর মধুর মতো এতটা কড়া স্বাদের নয়।
সাদা রঙের কেওড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে একটু টক থাকে। এই মধু জ্যৈষ্ঠ মাসে পাওয়া যায়। শীতের সময় বেশি মেলে সরিষা ফুলের মধু। এই সাদাটে ও খুব ঘন মধুটি খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়।
আরও ২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুইজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনই ঢাকা বিভাগের।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ছয়জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে চারজন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন দুইজন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১১৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে আবারও শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
দেশে আবারও শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ছয় জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে চারজন জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি দুইজনকে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১১২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ১ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গু: আরও ২ রোগী হাসপাতালে
শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
করোনায় একদিনে শনাক্ত সাড়ে ১৫ হাজার, মৃত্যু ১৭
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৫২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ছয়জন। এছাড়া, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ১১ হাজার
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৩৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯৪ হাজার ৮৮০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৩ হাজার ৯০১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৬ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৮২ হাজার ৭৪২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯১ হাজার ১৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। সাত শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে সাত শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আমরা যদি নিজের মতো করে চলতে থাকি তাহলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, সেটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এই অতিমারিকে যদি আমরা পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
হাসপালে রোগী বাড়ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশে বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ