স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু: আরও ২ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় এক জন ও ঢাকার বাইরে এক জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৫ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে সাত জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বিইরে ভর্তি আছে আট জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১০৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
আরও ১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন এক জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত এই রোগী ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৭ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বিইরে ভর্তি আছে আট জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৭ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: আরও ৭ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন সাত জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় পাঁচ জন ও ঢাকার বাইরে দুই জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৮ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বিইরে ভর্তি আছে ৯জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুই জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩৪ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ২৩ জন ও ঢাকার বাইরে ১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ১০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ১ জনের
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৩৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ!
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে মারা গেছেন আট হাজারের বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় ৩৪ লাখ চার হাজার ৭০৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৫ জনে ছাড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে আট হাজার ৭৬১ মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৪৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৪৯ হাজার ১৭২ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ১৩ হাজার ৪৫৮ জনে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৫ হাজার ৩৫০ জনে।
আরও পড়ুন: দর্শনা চেকপোস্টে নমুনা না নিয়েই মিলছে করোনার নেগেটিভ সনদ
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় শনাক্ত
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩৫ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ২৪ জন ও ঢাকার বাইরে ১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: আরও ২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় শনাক্ত
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও চার হাজার ৩৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৯ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৫১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়াল।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৭১ হাজার ১৮ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৫ লাখ ২০ হাজার ২৮২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি চার লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৪৬ হাজার ৩৭১ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ১২ হাজার ৭৩৩ জন পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৪২৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৫ হাজার ৪৩ জনে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
করোনায় এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত
ডেঙ্গু: নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
সারাদেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম নিয়মিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্ত তিন জনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে এসময়ে নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
বর্তমানে ৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ২৪ জন ঢাকায় ও ১১ জন দেশের অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: আরও ৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের স্বাস্থ্য খাতকে কৃষি ও অন্যান্য খাতের মতো সমৃদ্ধ করতে স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাটা আমাদের দেশে আসলে খুব কম হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেক চিকিৎসক আছেন, যারা রোগী সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, কিন্তু গবেষণার ক্ষেত্রে হাতেগোনা কয়েকজনই গবেষণা করেন। এক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাটা একান্তভাবে দরকার।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, দেশে স্বাস্থ্য গবেষণা করা খুবই জরুরি। তবে আমরা অন্যান্য খাতে গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছি। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।
তার সরকার কৃষি গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং এ খাতে যথেষ্ট সাফল্যও পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এ বিষয়ে গবেষণা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
এসময় বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির এই যুগে দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গবেষণার সাথে সাথে এই গবেষণা লব্ধ জ্ঞান আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণার ওপরও জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে যারা গবেষক তারা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কাজ করবেন।’
তার আগের কোনো সরকার গবেষণায় কোনো বরাদ্দ রাখেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখি প্রকৃতপক্ষে গবেষণায় কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। তখনই প্রথম আমি একটা থোক বরাদ্দ দিই। এরপর থেকে আমরা প্রতি বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখি শুধু গবেষণার জন্য।
তিনি স্বাস্থ্য, খাদ্য উৎপাদন, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রকৌশল খাতসহ প্রতিটি খাতে গবেষণায় মনোযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ভারতে একদিনে আড়াই লাখ করোনা রোগী শনাক্ত
ভারতে টানা আট মাস পর প্রথমবার গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৯২৭ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া, বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৮৫ হাজার ৩৫ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩১ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
গত ২৪ ঘন্টায় ৮৪ হাজার রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ নিয়ে মোট তিন কোটি ৪৭ লাক ১৫ হাজার ৩৬১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটিতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি ৪৬ হাজার ৭২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ২২ হাজার ১৫৫ জন। কর্নাটকে ২১ হাজার ৩৯০জন এবং তামিলনাড়ুতেও ১৭ হাজার ৯৩৪ জন।
অন্যদিকে কেরালায় ১২ হাজার এবং উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট এবং ওড়িশায় দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এছাড়া বিহার, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, ছত্তীসগড় এবং গোয়াতেও আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, আসাম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলেও আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
ভারতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯১ হাজার, মৃত্যু ৩ শতাধিক