ঢাবি
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কি হবে অতীতে আমাদেরকে কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কোনো সমর্থন নেই এবং দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। চারিদিকে তাদের পথ অবরুদ্ধ হওয়ায় এখন তাদের কোন উপায় নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, জনসমর্থন ও পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে গেলে কোনো দলই গুণ্ডামি ও সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
খন্দকার মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্বজিৎ ও আবরার ফাহাদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল ঢাবিতে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা বলতে চাই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের জনগণের সন্তান। তাদের অভিভাবকরাও আপনাদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত। যারা বিএনপি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই ভাই বা অভিভাবক। সুতরাং, এই অভিভাবকদের কেউ অলস বসে থাকবে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও দেশপ্রেমিক ঐক্যবদ্ধ হবে।
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরিণতি এড়াতে তিনি অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। দেশের জনগণ নিজেদের হাতে (ব্যালট পেপারের মাধ্যমে) ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সংঘর্ষে ছাত্রদলের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদলের নেতাদের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ৩০ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বাঁশের লাঠি, কাঠ, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ও হেলমেটে সজ্জিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
সালাম না দেয়ায় ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে সালাম না দেয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদুল হক সাঈদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিকুর রহমান মানিক। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী।
ভুক্তভোগী সাঈদী মানিকুর রহমানের বিরুদ্ধে হল প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
তিনি তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি অনলাইন ক্লাস করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার কক্ষে প্রবেশ করে। আমি ক্লাসে ব্যস্ত থাকায় তাদের সালাম দিতে পারিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মানিকুর রহমান আমাকে চড় ও লাথি মারেন।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মানিকুর আমাকে এবং আমার রুমমেটদের তাদের প্রোগ্রামে না আসার জন্য বকাঝকা করেছিল এবং তাদের সালাম না দেয়ায় আমাকে হুমকি দিয়েছিল। জুম লিঙ্ক কাটার পর যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন সে আমাকে চড় মেরে ও বুকে লাথি মেরে দূরে ফেলে দেয়।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত মানিকুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আজ বিকালে তাদের সঙ্গে বিষয়টি মিমাংসা করব।
সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী আজীবন বহিষ্কার
ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
৫৫ বছর বয়সে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বেলায়েত
বয়সের বাঁধা পেরিয়ে আর মানুষের টীকাটিপ্পনী এড়িয়ে শিক্ষা জীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য বেলায়েত হোসেন। এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ৫৫ বছর বয়সে তিনি এখন ভর্তি হতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করে স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকতা থেকে নিজেকে আরও মেলে ধরতে চান।
চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।
আগামী ২৯ জুন ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অংশ নিতে তিনি রীতিমতো ভর্তির কোচিং ক্লাস করছেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার বেলায়েত হোসেন এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রথমবার প্রস্তুতি নেন ১৯৮৩ সালে। অর্থাভাবে সেবার প্রস্তুতি নিয়েও ফরম ফিলাপ করতে পারেননি। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি আবারও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু সে বছর সারাদেশে বন্যার কারণে তার পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনি। এরপর তিনি ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সংবাদপত্রের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
দুই ছেলে এক মেয়ের জনক বেলায়েত কর্মজীবন শুরু করেও লেখাপড়ায় হাল ছাড়েননি। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় তেমন একটা এগিয়ে যেতে আগ্রহী নন। ছেলেমেয়েরা তার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হলে নিজেকে নিয়েই আবার শিক্ষা জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে নিজেই আবার লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর ২০১৯ সালে একটি মাদরাসা থেকে এসএসসি এবং ২০২১ সালে কারিগরি বোর্ড থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
যে বছরে তিনি এইচএসসি পাশ করেছেন একই বছর তার ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার ইচ্ছে শিক্ষাজীবনে আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়া। লেখাপড়া করে এই দুটি ধাপ পেরোনোর পথ তার কাছে খুব একটা মসৃণ ছিল না।
পড়ুন: বন্যায় দুর্ভোগ কমাতে ক্লাস-পরীক্ষায় সহনশীল শাবিপ্রবি প্রশাসন
ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রকে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন ও তার অনুসারীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম রাকিবুল হাসান সজিব। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের বাসিন্দা।
রাকিবুল হাসান সজীব জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি হলের দিকে ফিরছিলেন। এসময় উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলে থাকা অতনু বর্মণ ও তার অনুসারীরা তার মোটরসাইকেলের সামনে আসে। এসময় আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘তর্কের এক পর্যায়ে অতনু বর্মনের ২০ থেকে ২৫ জন অনুসারী আমাকে মারধর শুরু করে। যদিও আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পরিচয় দিই।’
পরে সজিবের দুই বন্ধু এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চবির চলন্ত শাটল ট্রেনে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অতনু বর্মন বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন,‘তবে আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চত্বরের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ ভুল দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন আমি আরোহীকে রাস্তার ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞেস করি।’
অতনু আরও বলেন, ‘সে তার ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় তখনই বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। আমরা তাকে মারধর করিনি বা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি।’
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ইউএনবিকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে যথাযথ তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য।’
এদিকে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ওই ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া তার হলের বাইরে হওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংবাদে ছাত্রলীগ সভাপতির নাম 'উল্লেখ না করায়' সাংবাদিককে 'মারধর'
যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর পূর্ণ উদ্যমে ঐতিহ্যবাহী 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' বের করে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘রমজান মাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকেও যথাযথভাবে ধারণ করতে হবে। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এই বিষয়টিকে মূল প্রতিপাদ্য করে আমাদের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।
একইসঙ্গে তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান।
বুধবার বিকেলে চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে উপাচার্য এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
এ সময় তিনি আরও বলেন, চারুকলা তার বিশেষ ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পরে বেশ প্রাণচাঞ্চল্যরূপে নিজ অবয়বে ফিরে আসছে। মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদযাপন করা হবে।
রমজান মাসে নববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকেও সসম্মানে মনে রাখতে হবে এবং হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নির্ভর নববর্ষ উদযাপন করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে না
এর আগে উপাচার্য চারুকলা অনুষদের করিডোরে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য দু'দিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। চারুকলার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান 'মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র'-এর উদ্যোগে ২৬জন শিল্পীর অংশগ্রহণে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ভিসির পরিদর্শনকালে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী আজীবন বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল প্রাঙ্গণে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষের মাসফি-উর-রহমান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সফিউল্লাহ সুমন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের নাঈমুর রশিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের সাব্বির আল হাসান কাইয়ুম, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২য় বর্ষের মোহাম্মদ ফিরোজ আলম অপি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২য় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মারুফ।
আরও পড়ুন: ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
সোমবার বিকালে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বহিষ্কৃতরা সবাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে ২৬ মার্চ তাদের হামলায় হলের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, এসবি সদস্য বরখাস্ত
ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক দুই ছাত্রকে ১০-১২ জন মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার সকালে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থী আখলাকুজ্জামান অনিক ইউএনবিকে বলেন, হামলাকারীরা সবাই বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজিবের অনুসারী। তারা সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের ঘরে ঢুকে প্রচণ্ড মারধর করে।
পরে আহত অবস্থায় অনিককে অন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, এসবি সদস্য বরখাস্ত
অনিক আরও বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা আজ সন্ধ্যায় হওয়ার কথা।’
হামলার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, হামলাকারীদের একজন তিন দিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার একজন বান্ধবীর সঙ্গে এসেছিল। ওই ছেলের অভিযোগ, আমি তাদের অপদস্থ করেছি।
এ বিষয়ে সজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করব।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, ‘আমি হামলার কথা শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভুক্ভোগীদের কোনো্ লিখিত অভিযোগ পাইনি।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র আহত
ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে ১৭ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেক কাটার মাধ্যমে এই জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এসময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ও ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এ সময় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আকরাম হোসেন, ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান শান্ত, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
কেক কাটা শেষে ঢাবি ভিসি একটি রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাসিবুল হাসান হাসিব প্রথম, একই বিভাগের নুরুল হুদা এবং অর্থনীতি বিভাগের নাফিস সাদিক যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাবি ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতাদের একজন। তাঁর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা আজ তার ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি।’
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
আর কোনো পরীক্ষা না নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এর ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিলন জানান, গত এক বছর ধরে মহামারির কারণে তারা কোনো সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের মোসাদ্দেকও দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণের দাবি জানান।
অবশেষে দুপুর ১টার দিকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে: মন্ত্রণালয়