ঢাবি
ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
আর কোনো পরীক্ষা না নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এর ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিলন জানান, গত এক বছর ধরে মহামারির কারণে তারা কোনো সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের মোসাদ্দেকও দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণের দাবি জানান।
অবশেষে দুপুর ১টার দিকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে: মন্ত্রণালয়
গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আবু তালিব। তিনি ক্রিমিনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালিব জানান, রাত ১টায় তাকে হাত দিয়ে না ধরে ও ধোঁয়া না ছেড়ে সিগারেট খেতে বলা হয়। তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা তাকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করে এবং জোর করে তার মুখে সিগারেট রেখে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, এসবি সদস্য বরখাস্ত
অভিযুক্ত সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শেখ শান্ত আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমদাদুল হক বাঁধন, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাহাবুদ্দিন ইসলাম বিজয় ও আইন বিভাগের নাহিদুল ইসলাম ফাগুনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, এরা গেস্টরুমে ছাত্রদের অত্যাচার ও গালিগালাজ করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা প্রায়ই এই ধরনের সমস্যায় পড়ি। কিন্তু হল থেকে বের করে দেয়া এবং নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।’
এই গেস্টরুম সংস্কৃতির ভয়ে হল ত্যাগ ছাড়তে চেয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র আহত
তিনি বলেন, ‘আজ সকালে শান্ত ও বাধন আমাকে ফোন করে বোঝান যে আমার সঙ্গে কিছুই হয়নি। এবং গতকাল সেখানে কোন গেস্ট রুম ছিল না।’ তিনি বলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আকরাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। বুধবার বিকালে রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিক্ষার্থী হলেন মাহবুব হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সুযোগের দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ
জোবায়ের আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমন্ত বাস থেকে এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে মাহবুব ও কয়েকজন যাত্রী ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করেন। এরপর ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করলে মাহবুব আহত হন।’
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ও তার এক সহযোগীকে পুলিশ আটক করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: মাদক পাচারের অভিযোগে ঢাবিতে নারী আটক
মাদক পাচারের অভিযোগে ঢাবিতে নারী আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা থেকে মাদক পাচারের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
আটক নারী হলেন- সেলিনা বেগম।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের গেটের সামনে থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজা নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তাকে হাতেনাতে আটক করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘পরবর্তীতে ওই নারীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।’
আরও পড়ুন: ডেমরায় গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ বিদেশি পিস্তল জব্দ, আটক ১
নারায়ণগঞ্জে ৪২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাবিতে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঐতিহ্যবাহী ‘প্রভাত ফেরি’র আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
সোমবার সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে প্রভাত ফেরির মিছিল শুরু হয়।
পরবর্তীতে মিছিলটি নীলক্ষেত হয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যায়। সেখানে শফিউর রহমান, আবুল বরকত ও আবদুল জব্বারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাবি উপাচার্য। পরে কবরস্থানে সকলের জন্য দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
মোনাজাত শেষে তারা আজিমপুর মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের রাস্তার মাঝ দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাবি উপাচার্যের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
ঢাবিতে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া এ দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসও খোলা থাকবে।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুধু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে একই হলের অন্য এক ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ এফ রহমান হলের ২০২০-২১ সেশনের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ছাত্র মোল্লা তৈমুর রহমান হল প্রভোস্টের কাছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রোকন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
লিখিত অভিযোগে মোল্লা তৈমুর অভিযোগ করেছেন, তাকে এত জোরে চড় মারা হয়েছিল যে, এরপর কয়েক ঘণ্টা তিনি কানে শুনতে পাননি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাজী মুহম্মদ মহসিন খেলার মাঠে একজন সিনিয়রের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রোকনের সঙ্গে তার বিতণ্ডা হয়।
আরও পড়ুন: বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
পরে রোকন আমাকে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও হল প্রশাসনকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
মোল্লা জানান, তিনি ভয় পেয়ে হল থেকে বেরিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল খান বলেন, ‘আমরা আজ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা জানতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
ঢাবি শিক্ষক ফারুক শাহ ও ড. মুমিত আল রশিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের এ এফ রহমান হল কমিটি তদন্তে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
বিষপানে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই বছর ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের তাদের বিভাগ পরিবর্তনের একটা সুযোগ দেয়।
ভবিষ্যতে এই ইউনিট বাদ দেয়া হতে পারে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমাদের আজকের সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের বিষয়টি ছিল।”
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পূর্বের সূচি অনুযায়ী ওই দিন থেকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া আগের সূচি অনুযায়ীই সশরীরে (পূর্ব ঘোষিত) পরীক্ষা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। একইভাবে পূর্ব ঘোষিত পরীক্ষাও সূচি অনুযায়ী নেয়া হবে।’
অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর আগে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের ক্ষোভ: আদালতে যাওয়ার হুমকি
ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও
ঢাবির 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের ক্ষোভ: আদালতে যাওয়ার হুমকি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করার প্রস্তাবিত পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।
অনুষদের অধ্যাপক সাদেকা হালিমের মতে, ২০২০ সালে ডিন কমিটির এক সভায় উপাচার্য ও অন্যান্য অনুষদের প্রধানরা এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও
তিনি বলেন, আমি জানি না আলোচনা কখন সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। আমি এটাও জানি না কখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তৎকালীন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম ২০২০ সালে অনুষদের ১৬ টি বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন এবং পরীক্ষা বাতিল করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বৈঠকের পর হঠাৎ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যার অর্থ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে 'ডি' ইউনিট থাকবে না।
তবে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ দাবি অস্বীকার করে বলেন, ‘ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেয়া হয়েছিল।
ইউএনবি দ্বারা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি থেকে জানা যায় যে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর ডিন কমিটির বৈঠকের পরে ভর্তি কমিটি পরবর্তীতে 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
পরবর্তীতে, ওই বছরের ১৬ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষাগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তবে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলছেন, 'একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমাদের অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘এর আগে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিভাগগুলোর প্রধানদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, 'ডি' ইউনিট রাখতে তিনি ‘প্রয়োজনে’ আদালতে যাবেন।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রধান তৌহিদা জাহান বলেন, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা হলে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কমে যাবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বিক্ষোভে নেমেছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, যদি 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা হয়, তবে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।