প্রধানমন্ত্রী
রমজানে অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
পবিত্র রমজানে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রমজানে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, যোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন রমজানে ব্যাংকের অফিসের সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সুপ্রিম কোর্ট তাদের নিয়ম অনুসরণ করে এবং জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে রমজানের জন্য তাদের নিজস্ব অফিসের সময় পুনর্নির্ধারণ করবেন।
এ বছর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ২ এপ্রিল থেকে।
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষ্যে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব
‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’: আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব ‘সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু’
অনুষ্ঠানে মমতাজ বেগম এবং মিউজিক্যাল গ্রুপ মাইলসসহ বাংলাদেশি তারকাদের সঙ্গে পারফর্ম করবেন ভারতীয় একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ.আর.রহমান। তিনি ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আগামী ২৯ মার্চ মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতানুষ্ঠান। আসন বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানের টিকিটের দাম পড়বে এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
২৮ এবং ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেলিং পয়েন্টে টিকিট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ৫০ ব্যান্ডের এক গান
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার র্যাব ও এর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা একটি জঘন্য পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, জঙ্গি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি এই সমস্ত সাফল্যের পর র্যাব এবং এর কিছু কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্সের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হলে শাস্তির বিধান রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু এটা দুঃখের বিষয় যে তারা কোনো দোষ বা কারণ ছাড়াই কিছু র্যাব সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের দেশে তারা তাদের বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয় না।’
এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র পকেটে হাত দেয়ার জন্য এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এবং অন্য একটি ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য রাস্তায় একজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, এই কারণে তারা শাস্তি পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র যেখানে যে কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতা দেখছেন চীনা নেতারা
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটছে এবং সেটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার করছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদকে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জন চীনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী,বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার।
সমালোচকদের চোখের দৃষ্টি পরীক্ষার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দেখতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচকদের কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি ও সরকারের সমালোচকদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা উন্নয়ন দেখে না তাদের চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা করা দরকার।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শতভাগ এলাকাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে সরকারের সাফল্য সমালোচকরা দেখছেন না।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতারা প্রায়শই অভিযোগ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সেনানিবাসের ভেতরে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান যে দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে দল থেকে এখন গণতন্ত্র শিখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? তারা এখন গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে যেটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
এসএসএফের সদরপ্তরে মুজিব কর্নার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশপ্রেমের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের ইতিহাস ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদরদপ্তরে মুজিব কর্নার উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস এখনও জানে না নতুন প্রজন্মের অনেকেই। কেননা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরা ২১ বছর তা মুছে ফেলার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কিন্তু সত্যকে মুছে ফেলা যায় না এবং আজ তা আবার প্রমাণিত হয়েছে. . .। সেই দিন আবার ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকারের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্নারে (মুজিব কর্নার) অনেক ঐতিহাসিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এবং তাই যারা দায়িত্ব পালনে আসবেন তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে চান।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু আমাদের ওপর হামলা নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির ওপর হামলা ছিল।
তিনি বলেন, মানুষের মুক্তি এবং তাদের একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার সরকার ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছে যখন দেশ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এখন আর কেউ ফাউল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে পারবে না... বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চার দিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি, আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি, আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি, আমরা শত শত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি, বিজ্ঞানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র নয় মাসের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান দিয়েছিলেন, বর্তমান সরকার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আমরা এই ব-দ্বীপের জনগণকে উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে এর কিছু অংশ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
এসময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের থিম সং এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের কাছে এসব দ্রব্য হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
এদিকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে- তা জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ বা পহেলা বৈশাখ যাই হোক- তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার নেতৃত্বে দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন দেশের জনগণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করছে আওয়ামী লীগ সরকার যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতা ও বাসস্থান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সলিমপুর ওয়্যারলেস স্টেশনের ওপর একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন। স্টেশনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার গ্রহণ ও প্রচারকারী স্টেশন।
শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটের পাশাপাশি ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকার ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন