প্রধানমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
বহুল প্রতীক্ষিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটির চূড়ান্ত সংস্করণ এ বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রদর্শিত হবে। ভারতীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমি মনে করি শ্যাম বেনেগাল এবং তার দল ছবিটির শুটিং, সম্পাদনা এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে।’
গত রাতে নয়াদিল্লিতে বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বছরের শেষের দিকে একটি তারিখ দেখছি। এটি ঠিক করার পর আমরা আপনাদের জানাব।’
আরও পড়ুন:অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
প্রবীণ ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমাটির ট্রেলার ১৯ মে কান ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এর ট্রেলারটি এনএফডিসি ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে।
উভয় দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অডিও ভিজ্যুয়াল সহ-প্রযোজনা চুক্তির আওতায় ছবিটি নির্মিত হচ্ছে।
সিনেমাটির যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন:খুলনা রেল স্টেশনে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর, দর্শনার্থীদের ভিড়
বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু সবকিছু করেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন, এমন কোনো কথা নেই। নরেন্দ্র মোদি যখন এসেছেন, তখন কি (তাদের) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তো মানুষ, একজন মানুষ অসুস্থও হতে পারেন। তার বাসা থেকে শুনেছি তিনি কিছুটা অসুস্থ। এটা হতেই পারে। এখন এজন্য তার কোনো পরিবর্তন, কিছু দিন আগে তার হয়তো একটা স্লিপ হয়েছে, কথাবার্তা বলা, সেটার জন্য তার মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, এ এখতিয়ার তো আমার নেই। এ এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।’
এ বিষয়ে অন্য কারও কিছু বলার নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বললে সেটা হবে অতি কথন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে তার সঙ্গে যাননি।
পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল
ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেন, বৃহত্তর অর্জনের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা বাণিজ্যের বাইরেও যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এতে বিনিয়োগ, অর্থ, পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে স্থাপন করা উচিত।’
নয়াদিল্লির আইটিসি মৌরিয়াতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামো প্রকল্প, উৎপাদন, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে যা সময়, খরচ এবং সম্পদ হ্রাস করে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ছিল এক হাজার ৩৭০ দশমিক ৩৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১৫ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার ভারত থেকে এসেছে, যা এক দশমিক ১৫ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং স্পষ্টতই, দ্বিমুখী বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুবিধা অর্জনের উপায় খুঁজে বের করার জন্য ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোকে সম্পর্কিত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কার রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। যার লক্ষ্য শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মোংলা এবং মিরসরাইয়ে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের তাদের পণ্যগুলো শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতে নয়, নেপাল, ভুটান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও রপ্তানি করতে সক্ষম করার জন্য বাংলাদেশ অনন্যভাবে অবস্থিত।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য একটি চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারসাম্য অনেকটাই ভারতের পক্ষে ছিল।
বর্তমানে উন্নত উৎপাদন ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
জনসমর্থনহীন সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জনসমর্থন না থাকায় ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন না থাকার কারণে আমাদের সঙ্গে ভারতের অমীমাংসিত অভিন্ন নদীর পানিবন্টন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যাসহ অতি সাধারণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে পারছে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, জনগণ সরকারের সঙ্গে না থাকায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে কঠোর দরকষাকষিও করতে পারছে না।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত আংশিক কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত রবিবার বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে ফখরুল বলেন, প্রতিবার তিনি জনগণকে তিস্তা চুক্তি সাক্ষরের আশা দিয়ে ভারত সফর করলেও তা আজও সাক্ষরিত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে আট বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার কথা থাকলেও দেশটি এই ঋণের আংশিক পেয়েছে মাত্র। ‘এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই। জনগণের ক্ষমতার ওপর এসব বিষয় নির্ভর করে। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন করত, তাহলে সব কাজ আগেই হয়ে যেত।’
শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিএনপির প্রত্যাশা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, তাকে ফিরে আসতে দেন এবং দেখেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য কি নিয়ে আসে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
এর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির আমন্ত্রণে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সফরে নয়াদিল্লি যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি হায়দরাবাদ ভবনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হন এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন চুক্তিসহ সাতটি সহযোগিতামূলক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট ১-এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারতের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াট যুক্ত করবে।
এর আগে, শেখ হাসিনা ও মোদি ভারতের রাজধানী শহরের হায়দরাবাদ হাউজে এক বৈঠকের পর সাতটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। এটি বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি বড় অগ্রগতি।
১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে ইউএনবিকে বলেছেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত; এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে ১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে।
বিপিডিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের (বিএইচইএল) জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এটি নির্মাণ করছে। বিআইএফপিসিএল হলো ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যকার একটি ৫০:৫০ উদ্যোগ।
প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
পান্ডে বলেন, ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আন-লোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রী সহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রকল্পের পরিচালক বলেন, গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, ভারত ও এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এটি শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৫৪টি নদীর দ্বারা সংযুক্ত এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়া, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্মিলিত সমৃদ্ধি সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশি কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত।
তিনি বলেন, গত এক দশকে উভয় দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধান করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর সহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে।
তিনি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী উদযাপন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সফল সমাপ্তির জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে আরেকটি ফলপ্রসূ আলোচনা হিসেবে অভিহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই বৈঠকের ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও ঋণ সহ কয়েকটি বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরপর থেকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতার পথে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।’
এসময় শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করে চলেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভারতকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান ও অব্যাহত থাকবে।’রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে এক আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সব সময় ভারতের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পায়।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশ সর্বদা বজায় রেখেছে।
তিনি স্মরণ করেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য আমরা তাদের (ভারত) কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
মোমেন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না: গণমাধ্যমে ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দীপু মনির
হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে হাসিনা-মোদি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের যোগাযোগের ‘উষ্ণতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি’ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী অংশীদারিত্বের প্রমাণ।
পড়ুন: দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা
ভারত জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে উদ্বৃত্ত জ্বালানি কেনার বিষয়ে আজ (৬ সেপ্টেম্বর) আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাসুদ বলেন, ‘আমরা অনুকূল শর্তে ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি পেতে পারি। আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করব।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দেশটিতে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজঘাটে ভারতের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধির বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
পরে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন শেখ হাসিনা।
রাজঘাট হল যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ, যা মহাত্মা গান্ধীকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আজ পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে গোড্ডা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদানির
ভারতীয় শিল্পপতি এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি সোমবার সন্ধ্যায় (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
বৈঠকের পর আদানি তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা একটি সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুপ্রেরণামূলক এবং অত্যন্ত সাহসী।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মধ্যেই আমাদের ১৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ট্রান্সমিশন লাইন চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্প একটি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বিপিডিবিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের বেশিরভাগ সরবরাহ করার জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
পড়ুন: ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ