প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে যাচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অসুস্থতা বোধ করায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে যাচ্ছেন না।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে (৫-৮ সেপ্টেম্বর) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বছর পর শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। এর আগে করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছিলেন তিনি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার বলছে, এবারের সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া সহ বহুমাত্রিক সম্পর্ককে গভীর করবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কানাডায় ছুরি হামলায় নিহত ১০, আহত ১৫
কানাডায় সিরিজ ছুরি হামলায় আদিবাসীসহ ১০ জন নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার কানাডা প্রদেশের কাছে সাস্কাচেওয়ানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, জেমস স্মিথ ক্রি নেশন এবং সাস্কাচেওয়ানের উত্তর-পূর্বে ওয়েলডন গ্রামে একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। দু’জন সন্দেহভাজনকে তারা খুঁজছেন।
সাস্কাচেওয়ানের আরসিএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার রোন্ডা ব্লাকমোর বলেন, আহতদের কেউ কেউ বলছেন, নিহতদেরকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে হামলা করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের এলোপাতাড়িভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।
ব্লাকমোর বলেন, ‘আমাদের প্রদেশে আজ যা ঘটেছে তা ভয়ানক’ সেখানে ১৩টি অপরাধের দৃশ্য আছে যেখানে আহত মানুষদের পাওয়া গেছে। কানাডার ইতিহাসে এটি ভয়াবহ হত্যার ঘটনা।
পড়ুন: কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর ওপর জোর বাংলাদেশের
রেজিনা পুলিশ সার্ভিস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাউন্টিজের সহায়তায় সন্দেহভাজনদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য এটি বিভিন্ন ফ্রন্টে কাজ করছে এবং মোজাইক স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাসহ শহর জুড়ে জননিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘সাস্কাচেওয়ানে আজকের হামলা ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক। হামলায় যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন আমি তাদের কথা ভাবছি।’
জেমস স্মিথ কেরি ন্যাশন রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কানাডার রয়্যাল মিলিটারি কলেজের ৪ ক্যাডেট দুর্ঘটনায় নিহত
এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘পরাণ’
৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি সফরটি অত্যন্ত সফল হবে। এটি আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: দেশকে শক্তিশালী ভিত্তি দিতে জাতির পিতা সবকিছুই করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বাংলাদেশ মনে করে এই সফর দুই দেশের মধ্যে নতুন ‘সহযোগিতার দ্বার’ খুলে দেবে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশি চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে শেষবার সফর করার পর তিন বছর পর শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফর বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই সফরটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন। শেখ হাসিনার কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ারও কথা রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকরের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেখ হাসিনার আজমীর সফরেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেবেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু সবকিছু করেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের দৃষ্টি এড়াতে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে দিল্লির পান্ডারা রোডে একটি ভিন্ন পরিচয়ে বসবাস করতেন।
এই ঘটনার প্রায় পাঁচ দশক পরে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী তার এ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৫ সালে খুব অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী বর্ণনা করেন হাসিনা। যখন তিনি তার পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে জার্মানিতে যান।
১৯৭৫ সালের ৩০শে জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে বিদায় দিতে তার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে এসেছিলেন। এটা একটা সুখকর বিদায় ছিল এবং শেখ হাসিনার কোনো ধারণা ছিল না যে এটাই বাবা-মায়ের সঙ্গে তার শেষ দেখা হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি একই বাড়িতে (আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে) থাকতাম। সেদিন সবাই সেখানে ছিল: আমার বাবা, মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাইয়ের স্ত্রী। তারা আমাদের বিদায় দিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন... সেটাই ছিল শেষ দিন, আপনারা জানেন।’
পনেরো দিন পরে ১৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা এমন খবর পান, যা তার জন্য বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার পিতার মৃত্যুর খবরেই ভয়াবহতা থামেনি, এরপর একে একে তিনি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।
শেখ হাসিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। অবিশ্বাস্য যে কোনো বাঙালি এটা করতে পারে। কিন্তু তখনও আমরা জানতে পারিনি কিভাবে, আসলে কি ঘটেছে। আমরা শুধুমাত্র জানতে পারি যে একটি অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং তারপরে আমরা শুনেছিলাম যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম না যে পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমদিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত একটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিসেস ইন্দিরা গান্ধী অবিলম্বে খবর পাঠিয়েছিলেন যে তিনি আমাদের, মানে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে চান। আমরা আশ্রয়ের প্রস্তাব পেয়েছি... বিশেষ করে যুগোস্লাভিয়া থেকে মার্শাল টিটো ও মিসেস গান্ধীর কাছ থেকে। আমরা সেখানে (দিল্লি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা যদি দিল্লি যাই, সেখান থেকে আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে পারব। এবং তারপরে আমরা জানতে পারব পরিবারের কতজন সদস্য এখনও বেঁচে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি খুব কঠিন সময় ছিল।’
তিনি আরও বলেন, জার্মানিতে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীই প্রথম ব্যক্তি যিনি তার পরিবারের গণহত্যার বিবরণ দেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কয়েক মুহুর্তের জন্য, আমি জানতাম না আমি কোথায় আছি। কিন্তু আমি আমার বোনের কথা ভেবেছিলাম... সে আমার থেকে ১০ বছরের ছোট। তাই, আমি ভাবলাম সে এটা কিভাবে নেবে। এটা তার জন্য খুব কঠিন ছিল... দিল্লিতে, প্রথমে, তারা আমাদেরকে সমস্ত নিরাপত্তাসহ একটি বাড়িতে রেখেছিল, কারণ তারাও আমাদের নিয়ে চিন্তিত ছিল।’
তিনিও সম্ভাব্য (হত্যার) টার্গেট বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে, তারা অন্য আত্মীয়দের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে এবং তার আত্মীয়দের কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিহত ১৮ জন সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই আমার আত্মীয়, কিছু গৃহকর্মী ও তাদের সন্তান এবং কিছু অতিথি নিহত হন।
ষড়যন্ত্রকারীদের স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল- বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ যেন আর ক্ষমতায় না আসে।
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর...তারা তাকেও রেহাই দেয়নি। আমরা যখন দিল্লিতে ফিরে আসি, তখন সম্ভবত ২৪শে আগস্ট… তখন আমি প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের ডাকলেন... সেখানে আমরা জানতে পারলাম কেউ বেঁচে নেই। তিনি আমার স্বামীর জন্য একটি চাকরি এবং এই পান্ডার রোডের বাড়ির জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। আমরা সেখানেই থাকলাম।
‘প্রথম ২-৩ বছর এটা মেনে নেয়া খুব কঠিন ছিল। আমার বাচ্চারা, আমার ছেলের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমার মেয়ে, সে ছোট ছিল… দুজনেই কাঁদত। তারা আমার মা, আমার বাবার কাছে ফিরে যেতে চাইতো এবং তারা এখনও আমার ছোট ভাইকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছে’, আর যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এত কিছু হারিয়ে গেলেও, হাসিনাও বুঝতে পেরেছিলেন যে তাকে আগামীর কথা ভাবতে হবে।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই অপরাধ, তারা শুধু আমার বাবাকে হত্যা করেনি, পরো জাতিকে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সব কিছু, শুধু এক রাতে, সবকিছু বদলে গেল। এবং সেই খুনিরা... তারা এখনও আমাদের তাড়া করছে। আমরা কোথায় ছিলাম তারা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল, তাই আমরা যখন পান্ডারা রোডে থাকতাম, তখন আমাদের নাম পরিবর্তন করতে হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবং আপনি নিজের নাম, নিজের পরিচয় ব্যবহার করতে পারছেন না এটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় দলের দায়িত্ব নেয়ার কথা আমি কখনও ভাবিনি।’
সেসময় শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং এমনকি ১৯৮০ সালের ১৬ই আগস্ট লন্ডনে একটি জনসভায় দেয়া ভাষণে তিনি তার বাবার খুনিদের শাস্তির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের বিচারের আওতায় আনা বা তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য, যাতে তারা বিচারের আওতায় আসে, কারণ তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছিল। একটি অধ্যাদেশ ছিল... খুনিরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং দায়মুক্তি পেয়েছে... তারা দাবি করেছিল যে হ্যাঁ, তারা এই অপরাধ করেছে এবং তারা খুব সোচ্চার ছিল। কারণ তারা ভেবেছিল তারা খুব শক্তিশালী।’
সে সময় তিনি অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘একদিকে আমরা সবাইকে হারিয়েছি, অন্যদিকে আমি বিচার চাইতে পারি না। ন্যায়বিচার করা হচ্ছিল না। তাই এমন অবস্থা হয়েছিল। তারপর আবার, ১৯৮০ বা ৮১’র দিকে আমি দিল্লিতে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছিল। ‘আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন হয়েছিল, এবং সে সময় তারা আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে দলের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিল।’
আরও পড়ুন:নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি জানান, অবশেষে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে আবার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি বেঁচে গিয়েছি। দিবালোকে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আমি জানি না কিভাবে বেঁচে গেলাম। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আমাকে ঢেকে দিয়েছে, মানব ঢাল বানিয়েছে, তাই তাদের গাঁয়ে সব স্প্লিন্টার ঢুকেছে কিন্তু আমি... আমি বেঁচে গেছি... তারা আমার মিটিংয়ে একটা বিশাল বোমা রেখেছিল... কোনোরকমে এটা আবিষ্কৃত হলো... তাই, আমি আবার বেঁচে গেলাম। আমি জানি না... আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন, হয়তো আল্লাহ আমাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন পালনের জন্য।’
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই পাঁচটি দেশের সঙ্গে খাদ্য আমদানি চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধু এর ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে শেষ মূহুর্তে কোনো জটিলতা না হয়।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এছাড়াও, রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই, আমরা চেক করেছি। প্রয়োজনে অনান্য দেশ থেকে আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই মুহুর্তে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ আছে। নভেম্বরে বিশ্বে যে খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা আছে, তাতে অনেক কমফোর্টেবল অবস্থায় আমরা আছি।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন, তবে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত তার (জয়ের) এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছেলে সম্পর্কে এসব কথা বলেন। বর্তমানে জয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন... সে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ। এটা তার ব্যাপার, তবে সে দেশের জন্য কাজ করছে… আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ (উদ্যোগ) বাস্তবায়ন করেছি, এসব স্যাটেলাইট বা সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ-এই সবই তার আইডিয়া এবং সে আমাকে সহায়তা করছে…কিন্তু দলে বা মন্ত্রিসভায় কখনই সে কোনো পদ নেয়ার কথা ভাবেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দলীয় একটি অনুষ্ঠানে জয়ের পদ নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জোরালো দাবি ছিল।
তিনি বলেন, ‘এমনকি আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তাকে একটি পদ দেয়ার জোরালো দাবি উঠেছিল। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি চাও মাইক্রোফোনে তা বলো, এবং সে তা করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সেসময় জয় বলল, ‘আমি এই মুহূর্তে দলে কোনো পদ চাই না। বরং যারা এখানে কাজ করছেন, তারা যেন এই পদটি পান। আমি কেন একটি পদ দখল করে থাকবো? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি, আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং আমি তাকে সহায়তা করছি... আমি এটি করে যাব।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তার জাতির পররাষ্ট্রনীতি গঠনে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- যা আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে তার ভাষণে বলেছিলেন। এবং আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করি। আমার বক্তব্য হল আমাদের জনগণের ওপর ফোকাস করা উচিত... কিভাবে তাদের একটি ভালো জীবন দেয়া যায়... আমাদের একটি শত্রু আছে। সেটা হলো দারিদ্র্য। সুতরাং, আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় মনে করেন নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর উচিত আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ ও মতভেদ দূর করা। ‘...চীন ও ভারতের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়, আমি তাতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং ভারত যেহেতু আমাদের পাশের প্রতিবেশি, তাই আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় সমস্যা ছিল, এটা সত্য, কিন্তু আমরা অনেক সমস্যার সমাধানও করেছি।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এর সঙ্গে তার সাক্ষাত্কারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল উন্নয়ন এবং তার জনগণের জন্য উন্নতি করতে পারে এমন যে কোনও দেশের সাহায্য নিতে তারা ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও সংখ্যালঘুরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনকারী পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর এক হাজার ৪৯৩ মিটার দীর্ঘ ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আধুনিক এক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছি।’
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশের মোট মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটার এবং ৭১৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার বা তার অধিক লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এদিকে ৬০০ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের মহাসড়ককে চার বা তার অধিক লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এখন ঢাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার র্যাপিড বাস ট্রানজিট প্রকল্প, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং ১০ লেনের টঙ্গী সেতু নির্মাণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।’
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮৯৪ দশমিক আট কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
চীন সরকার সেতু প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকার বাকি ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।
সেতুটির কারণে পিরোজপুর ও ঢাকার মধ্যে সড়ক সংযোগ হয়েছে। এটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা তার সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাত্রায় অনেক দূর এগিয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমি মনে করি আমরা আরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল। এ অঞ্চলের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কয়েকটি খরস্রোতা নদী পাড়ি দিয়ে জীবিকার জন্য ঢাকায় আসত।
শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু এখন তার সরকার পদ্মা বহুমুখী সেতু, শিকারপুর-দোয়ারিকা সেতু ও গাবখান সেতুসহ অনেক সেতু নির্মাণ করায় ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজতর হয়েছে।
আরও পড়ুন: কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ অঞ্চলে আরও অনেক সেতু নির্মাণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর অবহেলিত হবে না।
নতুন উদ্বোধন করা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি পিরোজপুরের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে সহায়ক হবে। পিরোজপুর ও ঢাকার মধ্যে যোগাযোগ এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সবার প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি এক ইঞ্চি পরিমাণ জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী আবারও এই কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও বক্তব্য দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সেতুর দুই পাশের সেতুর সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সেতুর পশ্চিম পাড়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এস এম রেজাউল করিম। পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পূর্ব পাড়ে অন্য এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী নবনির্মিত সেতুর একটি ডিজিটাল উপস্থাপনা পেশ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরের সুবিধা নিতে পারে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা উচিত, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভারত ঠিক সেটাই করছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশকে ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত প্রয়োজনের সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, প্রথমে ১৯৭১ সালে এবং তারপরে পরবর্তী সময়েও।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান আমরা সবসময় স্মরণ করি। ১৯৭৫ সালে যখন আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছিলাম, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন... আমরা প্রতিবেশী, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং আমি সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার দেই।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় পূর্ব ইউরোপে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের প্রশংসা করেন হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এএনআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ এর অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের মোদি সরকারের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে (মোদি) ধন্যবাদ জানাতে চাই… রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই যুদ্ধের সময় আমাদের অনেক ছাত্র আটকা পড়েছিল এবং তারা আশ্রয়ের জন্য পোল্যান্ডে গিয়েছিল। যখন তারা ভারতীয় ছাত্রদের সরিয়ে নিয়েছিল, তখন তারা আমাদের ছাত্রদেরও দেশে ফিরিয়ে আনে... আপনি স্পষ্টভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। এই উদ্যোগের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
হাসিনা তার দেশের টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান। বাংলাদেশ তার জনসংখ্যার ৯০ শতাংশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের দেশের লোকেরা, বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে, এমনকি কিছু শহরেও, আমি অনেক লোককে ভ্যাকসিন নিতে খুব অনিচ্ছুক দেখেছি। তারা নিতে চায় না... আপনি জানেন... সুচের ছিদ্র, তাই... আমাদের বুঝাতে দিতে হবে। আমরা তাদের বলেছিলাম যে এটি কিছুই নয়, এটি আপনার জীবন বাঁচাবে… এই ভ্যাকসিন মৈত্রী... খুব ভালো উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তাদের নাগরিকদের উন্নতির জন্য হওয়া উচিত।
হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়কালেও ভারতীয় নেতৃত্ব তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়েই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় বাংলাদেশ সফর করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আপনার রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে তারা দুজনই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা