দুর্গাপূজা
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
শরৎমানেই শারদীয় দুর্গোৎসবের বার্তা। শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। আশ্বিনে আসছেন দেবী দুর্গা।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। ০৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মাগুরায় বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
সরেজমিনে দেখা গেছে , কেউ মাটি আনছেন, কেউবা মূল কাঠামো তৈরি করছেন, কেই আবার তুলি দিয়ে নকশা করতে ব্যস্ত। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিল্পীরা বলেন, বাপ দাদার পেশার এখন তিনিই উত্তরসূরী। দুর্গাপূজার দুই মাস আগ থেকেই নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার প্রতিমার অর্ডার অনেক বেশি। কাজের চাপও বেশি। অন্যবার করোনার কারণে কম মন্দিরে পূজা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রত্যেকটা মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে যার ফলে কাজের চাপও বেড়েছে।
পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
মাগুরা জেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাশুদেব কুন্ডু জানান, এবার জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে ১৬২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজা মণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী; এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেই ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে। এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার ১৬৮টি। আমি অনুরোধ করেছি, এটা যেন আর না বাড়ে। যদি কমে আমাদের জন্য সুবিধা। তবে তারা (পূজা উদযাপন কমিটি)জানিয়েছেন দুই-চারটা কমাতে-বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে যেন তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকেন। স্বেচ্ছ্বাসেবক নিশ্চিত চেনার জন্য তাদের বাহুতে যাতে আর্ম ব্যান্ড থাকে। পুলিশ যাতে দেখে নিশ্চিত হতে পারে যে তারা (স্বেচ্ছাসেবক) সেখানে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কোভিডের জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ পুলিশ রেখেছিলাম। এবার আমরা বলছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে আনসার বাহিনী স্থায়ীভাবে থাকবে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পূজা উদযাপনকারীরা সমস্ত মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন। তাদের আর্ম ব্যান্ড থাকবে, যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি কারা স্বেচ্ছাসেবক। সে জন্য আর্ম ব্যান্ড পরার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতে এ বছর পূজা উপলক্ষে বিশেষ কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মনে করি কোন পূজামণ্ডপে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় পূজা মণ্ডপে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকবে। পূজা মণ্ডপে আসা নারী ও শিশু দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্তকরণ, ইভটিজিং, মাদক সেবন রোধে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যে কোনো ইমারজেন্সিতে ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মণ্ডপকে কেন্দ্র করে; বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার নবাবপুরসহ সারাদেশে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার ও গুজব রোধে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। এই ধরনের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেন, প্রতি মণ্ডপে পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রাখতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিভাগীয় জেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নাম্বার পূজা উদযাপন কমিটি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে থাকবে। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনের সময় যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুয়া ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপকসহ যে কোন দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব চলাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ডুবুরি থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পূজা মণ্ডপে কোস্টগার্ড নিরাপত্তা প্রদান করবে, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের সঙ্গে থাকবে। দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
সম্প্রতি দুর্গাপূজা চলাকালে ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বিচারিক হাকিমকে (সিএমএম/সিজেএম) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই ছয়টি জেলা হচ্ছে-কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর। তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে এসব হামলায় হিন্দুদের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল, মন্দির, বাড়ী, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন,উপাসনালয় এবং সম্পতি রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার ডিসি ও এসপিসহ ২১ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। আমরা আবেদন থেকে এই শব্দগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাই। কারণ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র বসে নেই। কুমিল্লা, রংপুরে অনেক দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
অন্যদিকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছেন, এসব হামলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পায়নি ভুক্তভোগীরা। সংবিধানে দেশের সকল নাগরিকের জীবন সম্পত্তি, চলাফেরা ও নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশানের ব্যর্থতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসেংযোগ, মন্দিরে ভাংচুর চালানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাশ গত ২১ অক্টোবর এ রিট করেন।
কুমিল্লার ঘটনাটি পরিকল্পিত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, তারাই অপশক্তি। কুমিল্লার এ ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত। এ অপশক্তিকে কোন অবস্থাতেই আর ছোবল দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমার দলেরও যদি কেউ করে থাকে সেও ওই অপশক্তির আন্ডারে এবং তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীরপাড় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ফরিদুল হক বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য অপশক্তি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এ ঘটনার সাথে যুক্ত তারা কোন ধর্মের বা দলের হতে পারে না। অপরাধ যেই করুক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৭ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী শারদীয় দুর্গাপূজায় ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কয়েকটি মন্দির ও পূজামণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক হামলা: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট
দুর্গাপূজা চলাকালে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিচারিক হাকিম দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহাসহ দুইজন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আগামী বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন ধরনের পোস্ট, ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ফোনে আড়িপাতা রোধে করা রিট খারিজ
পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘এ দুর্গাপূজা সবার উৎসব, ঠিক যেমন পহেলা বৈশাখ।’
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে এক ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে হিন্দুদের বড় ধর্মীয় উৎসবে মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে। এ সব ঘটনা ঘটিয়েছে যারা, তারা ৭১, ৭৫, ২০০১, ২০০৪, ২০১৩ ও ১৪ সালের ঘাতক। তারা সবাই এক ও অবিচ্ছেদ্য। তারাই এসব ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের মাথার ঠিক নেই। এদের শত্রু হলো আমাদের দেশ, আমাদের স্বাধীনতা ও আমাদের মানুষ। সেই পাকিস্তানি আদলে ধর্মের দোহাই দিয়ে আবার তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সমাজে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।’
এ সময় তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং সমন্বিতভাবে মন্দিরে হামলাকারীদের রুখে দেয়ার আহ্বান জানান।
সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ডা. দীপু মনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন,‘যদি গণতন্ত্রই না থাকে তাহলে তারা কীভাবে প্রতিদিন গণমাধ্যমে কথা বলেন, সভা করেন? যারা কারফিউ দিয়েছিল দিনের পর দিন,মাসের পর মাস; যারা অসংখ্য মানুষকে বিনা কারণে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল, তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কীভাবে?’
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ,সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু,সাধারণ সম্পাদক আবু নইম পাটোয়ারি দুলাল,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটোয়ারি, পৌর চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জুয়েল,মতলব দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান বি. এইচ. এম. কবির আহাম্মদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুর্গাপূজা চলাকালে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উলিপুরের থেতরাই এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের মোট চারটি মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন মন্দির, নেফরা শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, পশ্চিম কালুডাঙা সার্বজনীন দেবী মন্দির এবং থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা ভারতপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা), উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, কুড়িগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চক্রবর্তী, উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির।
পরিদর্শনকালে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার হামলার শিকার মন্দিরগুলোর কমিটির সদস্য এবং ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তবে তিনি সংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা) জানান, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ঘটনাস্থলের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দেখার জন্য উলিপুরে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টেবর রাতে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা ব্রাহ্মণপাড়া দুর্গা মন্দির, পশ্চিম কালুডাঙ্গা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, পশ্চিম কালুডাঙ্গা গোবিন্দ মন্দির,নেফড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ও থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা ভারতপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ভাংচুর এবং পরের দিন রাতে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের একটি দুর্গা মন্দিরসহ ৮টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা মন্দির সংলগ্ন বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং লুটপাটও করে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উলিপুর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলায় ২৬ জনকে আটক করেছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিষপানে কুড়িগ্রামে স্কুলশিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের চরে টিকাদান শুরু
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছি।’
রবিবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে এ ঘটনাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো যারা করছেন এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কারো ইন্ধনেই করছেন।’
কারা এ ঘটনার পেছনে আছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অনুমান করে নেন কারা করতে পারে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ এলে আমরা প্রকাশ করবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এই ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা আরও পরিষ্কার করে বলতে পারবো। কুমিল্লার ঘটনায় আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছে। আমরা একটি নির্ভুল তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা আপনাদের শিগগিরই জানাবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই ঘটনানো হয়েছে। এটা যেই করেছেন বা কার ইন্ধনে করেছেন তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।’
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনায় তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, রামুতে, নাসিমনগরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছিল। তাছাড়া এ ঘটনায় আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি। এখন শুধু প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারে ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানির ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
দেশের বাইরের কারো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেরই তো অভাব নেই। দেশের বাইরে থেকে কলকাঠি কেউ নাড়ছে কি না সেগুলোও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর মধ্যে ফেসবুকে অনেক কিছু শুনেছেন, আমরা সবগুলো আমলে নিয়ে বিশ্লেষণ করে আপনাদের শিগগিরই জানাব।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার তাদের এজেন্সি দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কিছু বলেন যেগুলো তথ্যভিত্তিক নয়, উদ্দেশ্যমূলক, এগুলো বলার জন্য বলেন।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ছুটি শেষে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন।
শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৮৭ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে এবং রপ্তানি হয়েছে ৫৫ ট্রাক মালামাল।
বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মামুন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য। দু’দেশের মধ্যে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান,দুর্গাপূজার ছুটিতে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য চার দিন বন্ধ ছিল। এ সময় কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার ছুটি শেষে আবারও দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন সবাই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা যেন বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশের অর্থনীতি সচল ও পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে করোনাকালীন আমদানি-রপ্তানি পণ্য ছাড় করাতে কাস্টমস হাউস যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
প্যান্ডেল ভাঙচুর: চট্টগ্রামে ৬ ঘণ্টার হরতাল শুরু
দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যবদ্ধ পরিষদের ডাকা ছয় ঘণ্টার হরতাল শনিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলার আন্দরকিল্লা এলাকা জেএম সেন হল পূজা প্যান্ডেলে হামলার প্রতিবাদে সংগঠনটি বন্দর শহরে অর্ধদিবস হরতাল ডাকে।
একদল দুর্বৃত্তের আক্রমণের প্রতিবাদে সংগঠনটি চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ ঘণ্টা পর প্রতিমা বিসর্জন শুরু
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য ইউএনবিকে বলেন, তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাসে প্রতিমা বিসর্জন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা আন্দরকিল্লা মন্দিরে প্রবেশ করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ভাঙচুর করে বলে আশীষ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা: ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা চলছে
তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যার ফলে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।