বাংলাদেশে করোনা
করোনার ভারতীয় ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা শিগগিরই জানা যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাসের শক্তিশালী ভারতীয় ধরনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা তা চলমান অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত নিশ্চিত করতে পারবে বলে সোমবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরনটি প্রবেশ করেছে কিনা সে ব্যাপারটি আমরা কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর যাদের করোনা পজেটিভ এসেছে তাদের নমুনা গ্রহণ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট আসলেই বিষয়টি জানানো হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল বলেন, যারা ইতোমধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা অন্য যে কোনো কোম্পানির ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন এবং এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ভ্যাকসির উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কোনো নির্দেশনা নেই।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের জন্য ১২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে এবং আশা করছি এই সময়ের মধ্যে অক্সফোডের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
ডিজিএইচএস এর মুখপাত্র আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এক ধরনের কূটনৈতিক দৌরাত্ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও এটি আসলে মানবতার জয়গান। আমরা দেখে আসছি বাংলাদেশ এ ব্যাপারে বরাবরই সফল হয়ে আসছে। এবং এ কারণে আমরা আশা করতে পারি আমরা অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজও পেয়ে যাব।
যত দ্রুত সম্ভব চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন উৎস হতে ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে এ মাসে চীন থেকে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারই সর্বোত্তম পন্থা উল্লেখ করে নাজমুল হাসান বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার এবং যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে মৃত্যু।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ১৫০ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩০৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০১ জন মারা গেছেন। ২ হাজার ৯২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.৮২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৪১ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৮২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৮৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭২ হাজার ২০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৭ জনের।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৭ জন।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে বলে শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৩ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৯৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৮৮ জন মারা গেছে এবং ৩ হাজার ৬২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩.১১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৭ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৫ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৫০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৬ জনের।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৫০৪ জন।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে মৃত্যু বেড়েছে। এক দিনে আরও ৯৮ জন এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৭৮১ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জন মারা গেছেন। গত ১৯ এপ্রিল, দেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় ১১২ জনের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৪ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ছাড়াল ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৬ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
লকডাউন
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
পরবর্তীতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সরকার চলমান লকডাউনটি ২২ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ায়।
২০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে এবং অন্যান্য বিধি-নিষেধ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
১৯ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নতুন লকডাউনে আগের সপ্তাহের সকল বিধি-নিষেধ বহাল রেখে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এটি আরও কঠোর হবে।'
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় সরকার এর বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপের হিসেবে ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী একটি লকডাউন আরোপ করে। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও একটি কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু ঘটে।
কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিনই ভয়াবহভাবে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৪ জন।
এছাড়া সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫৯ জন।
করোনার আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৫২১ জন মানুষ।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: করোনার থাবায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
দেশটি বিশ্বে করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৫ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৭ জনের।
অপরদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনায় আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৭১৭ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৩ জন যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮২২ জনে।
বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৭ হাজার ২০১ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৬৮টি।
আরও পড়ুন: উপসর্গ ছাড়াই খালেদার করোনা শনাক্ত: বিএনপি
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৫৯ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৭৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৩.৯৮ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
কোভিড-১৯: দেশে একদিনে রেকর্ড ৭৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৮১৯
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে শনিবার দেশে একদিনে ৭৭ জন জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৮১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জনে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৮টি পরীক্ষাগারে ২৯ হাজার ২৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৯ হাজার ৩৭৬টি নমুনা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৮১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ২১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ২০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ১৯ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৪ জনের।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন অধিকাংশ ক্রিকেটার
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৯ হাজার ২১২ জন।
খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান ইউএনবিকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বেগম জিয়া কোভিড পরীক্ষা করেছেন এবং আজ (রবিবার) পজিটিভ ফল এসেছে।
তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে খালেদার করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন যে তাদের কাছে এ জাতীয় কোনো তথ্য নেই।
গত সপ্তাহে খালেদার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা হওয়ার পর তার করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়। ‘এই কারণেই ম্যাডামের (খালেদার) পরিবার তার কোভিড পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়, যদিও তার কোনো বড় কোনো জটিলতা নেই।’
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
একইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি এবং তখন থেকেই গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
গত বছরের ২৭ আগস্ট আরও ছয় মাস এবং এরপর গত ১৫ মার্চ আরও ছয় মাসের জন্য তার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার শুনানি ১৮ মার্চ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করে। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
করোনায় একদিনে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড চুরমার, শনাক্ত কমেছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৭৭টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার: কাদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৩০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৫ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৮ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৭ হাজার ২০ জন।
ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
জনগণ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে।
‘১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অত্যন্ত কঠোর লকডাউন আসছে,’ শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশ শপিংমল, গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে ১১ দফার নির্দেশনায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার কথা বলা হয়েছিল।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করলেও কর্মজীবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের সকল সিটিতে বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
এরপর কয়েকদিন ধরে শপিংমল ও দোকান খোলার দাবিতে দেশব্যাপী
দোকান মালিক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার লকডাউনের মধ্যেই ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শপিং ও দোকান পাট খোলা রাখার অনুমতি দেয়।
গত সপ্তাহে দেশে রেকর্ড পরিমান করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। কোভিড নির্দেশনা না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ফরহাদ বলেন, লকডাউনের সময় মানুষ যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।
‘কেউ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে না। অতি জরুরি সেবা ছাড়া কোনোভাবেই মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। সে ব্যবস্থা করা হবে,’ বলেন তিনি।
কবে প্রজ্ঞাপন জারি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী রবিবার বা ১৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
শুক্রবার কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এবং মন্ত্রিসভার নির্দেশনা জনগণ মানছে না।
দুই সপ্তাহের পরিপূর্ণ লকডাউন ছাড়া পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না বলে জানায় কমিটি।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে করোনায় আরও ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৫৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৮৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৬৫৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৫৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার: কাদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫১১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৪০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৩ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ জন। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯২ লাখ ১ হাজার ৯৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৭ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৫৯৮ জন।
দেশে করোনায় রেকর্ড শনাক্ত
দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে ৭ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৫৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।