জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের জাতিসংঘ কার্যালয়।
বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়,‘আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন এবং শরীফ হোসেনের পরিবারের প্রতি যারা দায়িত্বপালনকালে প্রাণ হারিয়েছেন।
একইসঙ্গে আহত ও চিকিৎসাধীন মেজর আশরাফুল হকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় বলেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে থাকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘আজ এবং প্রতিদিন আমরা সেই নারী ও পুরুষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি যারা শান্তির সেবায় তাদের সর্বোচ্চ জীবনকে বাজি রাখে এবং তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান করে।’
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা মিয়ানমারের উসকানিতে পা দেব না: মোমেন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যা ঘটছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তারা মিয়ানমারের কোনো উসকানিতে পা দেবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কখনই কোনো উসকানিতে পা দিই না। আমরা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি।’
বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করবে কিনা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, সম্ভাবনা আছে।
তবে জাতিসংঘ এখন অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের যা করা দরকার আমরা তা করছি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে আগস্ট থেকে বেশ কয়েকবার তলব করেছে এবং তিনি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি ‘স্বীকার করেছেন’।
তবে দূত জানিয়েছে, যুদ্ধে নিয়োজিত বিদ্রোহীরা ভারি কামান ও মর্টার নিক্ষেপ করেছিল। যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে এসে পড়েছিল বলে অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করেছিল দূত।
বাংলাদেশ মিয়ানমারকে জনগণের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান পরিস্থিতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জনগণের মধ্যে ‘ভীতিকর’ পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
মিয়ানমার থেকে গোলা বর্ষণে মানুষের প্রাণহানি ঘটে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে দুই গ্রুপে অবহিত করেছে এবং সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন সহিংসতা বন্ধে তাদের সহযোগিতা চেয়েছে।
মিয়ানমারের পক্ষকে আরও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে চলমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের নাগরিক যারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে, সেসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু ব্যাহত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ড ও আকাশ সীমান্ত সম্মান জানানোর দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে তার জিরো টলারেন্স নীতি এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি বিরূপ কোনো গোষ্ঠীকে আশ্রয় না দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সবাই একমত যে এটি একটি ‘গুরুতর সমস্যা’ এবং এর সমাধান কেবল প্রত্যাবাসনের মধ্যেই রয়েছে।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ক্যাম্প এবং ভাসান চর দ্বীপে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার পর থেকে তাদের একজনকেও প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
জাতিসংঘে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের আলোচনার কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা শান্তির বার্তা দিয়েছি। আমরা বলেছি আমরা শান্তি চাই। অস্থিতিশীলতা থাকলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের কল্যাণ ব্যাহত হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে চীন সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা একটি সমাধান খুঁজে পেতে আগ্রহী এবং তাদের আন্তরিকতা আছে।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়া চলছে এবং তিন পক্ষই এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরোসির সঙ্গে বৈঠকের সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা অর্থাৎ এর প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মোমেন বলেন, প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা যত শিগগিরই সম্ভব বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।
এসময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি এ বিষয়ে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং রোহিঙ্গা শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জবাবে সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের তথ্যমতে, এ সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।
সাবা কোরেসি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মোমেন দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এগুলো হলো- ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এর আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা’।
বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (এসএসসি) এর আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের উক্ত ফোরাম এসএসসি’র বিষয়ভিত্তিক আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে একটি চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাধারণ পরিষদের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-এর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়া তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে না’
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পিস অপারেশনে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স (কিউআরএফ), বেজ্ ডিফেন্স কন্টিনজেন্ট, পদাতিক কন্টিনজেন্ট এবং পুলিশ কন্টিনজেন্ট পদায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান আব্দুল মোমেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; বিশেষ করে ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের জন্যও আহ্বান জানান এবং নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি: গুয়েন লুইস
সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহে টেকসই শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও উত্তম অনুশীলন কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন-এর ২৬তম বার্ষিক কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণের জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়াকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত দক্ষতার ভূয়সী প্রসংশা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হতে সুদানের আবেইতে পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রেরণ, মালিতে আমর্ড্ হেলিকপ্টার এবং কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স কন্টিনজেন্ট মোতায়েন, মধ্য আফ্রিকায় হাতপাতাল ইউনিট প্রেরণ এবং কঙ্গোতে এক্সপ্লোসিভ অর্ডিনেন্স ডিস্পোজাল (ইওডি) কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভবিষ্যতে আরও অধিক নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনসহ জাতিসংঘের সার্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে অবদান রেখে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করতে জাতিসংঘ (ইউএন) তার সদস্য দেশগুলোকে পলিসি ও আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষ ফোকাস পেয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ইউএনজিএ স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনায় কয়েকটি সেশন ছিল, সেখানে আমি অংশগ্রহণ করেছি এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বিষয়টা অর্থাৎ পৃথিবী জুড়ে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে প্রেসক্রিপশন না করে। এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অর্থাৎ দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো আছে সেখানে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এত ব্যাপক হওয়ার একটি কারণ হল প্রচুর ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, যে কেউ কোনো প্রেসক্রিপশন না দেখিয়ে সরাসরি ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতে পারেন। এই ধরনের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে লোকেরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশ করছে, যার অর্থ অ্যান্টিবায়োটিকগুলো যে অসুস্থতার জন্য এটি সেবন করা হয় তা নিরাময় করতে পারে না। এর ফলে সারা বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে অসুস্থতায় নয়, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসিত হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় আমাদের সাফল্য সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া আমরা যেসব ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি করি সেগুলোও প্রশংসিত হয়েছে। আমরা একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেছি যাতে আমরা স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরেছি, যা ভালোভাবে সমাদৃত হয়েছেল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিক্রিয়া বেশিরভাগই ইতিবাচক ছিল।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে ভয়ঙ্কর ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছে যা বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকর।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোকে যথাযথ উপায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেউ যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ না পায় তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে দুই দেশ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজারতোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিস্তারিত না জানিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। উক্ত সফরে সমস্ত অমীমাংসিত চুক্তি সই হবে।’
পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ জানিয়েছে, হাঙ্গেরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে হাঙ্গেরি।
এ বছরের জুনে ড. মোমেন হাঙ্গেরির পুনরায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ বার্তা হস্তান্তর করেন।
এ বছর প্রধানমন্ত্রী অরবানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করছেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন ইউএনবিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও রাজা চার্লস তৃতীয় কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথমে তিনি যুক্তরাজ্য পৌঁছান। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেন। তিনি ইউএনজিএ’র পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন।
৪ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকালে (নিউইয়র্ক সময়ানুযায়ী) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব নিয়ে তার ভাষণ দেবেন।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। আমরা বলব যে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবে। তিনি এর সাথে যোগ করেন, বাংলাদেশ আশা করে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বহুপাক্ষিকতা প্রচারেরও আহ্বান জানাবেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে শীর্ষ সফল দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে। আমরা মানুষকে একটি বাড়ি ও একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান যারা নিউইয়র্কে ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছেন তাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
হোটেল লোটেতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিস্টার ও মিসেস বাইডেন তাকে (শেখ হাসিনা) অনুষ্ঠানস্থলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে তিনি দুই নেতার আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘পরে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আমরা আলোচনা করেছি...আমি তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
মোমেন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চেয়েছেন এটি কি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার প্রথম অংশগ্রহণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন যে এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার ১৮তম অংশগ্রহণ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের
মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের আলোচনার টেবিলে রাখার অধিকার রাখে বলে উল্লেখ করেছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপ এবং এশিয়ার আইন প্রণেতারা।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ, ইউরোপ ও এশিয়ার সংসদ সদস্য এবং মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সদস্যরা গত বছরের অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আবদুল্লাহ ১৯ সেপ্টেম্বর (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের বাইরে জাতিসংঘের মালয়েশিয়ার স্থায়ী মিশন মিয়ানমারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এনইউজি এবং এনইউসিসিসহ মিয়ানমারের সমস্ত অংশীজনদের সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্য পরামর্শ হওয়া উচিত। তারপরে একটি পরিষ্কার পরিসমাপ্তিসহ একটি কাঠামো থাকা উচিত, যার মধ্যে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আবদুল্লাহ হলেন একমাত্র আসিয়ান মন্ত্রী যিনি মিয়ানমারের বৈধ সরকার এনইউজি-এর সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাত করেছেন, যা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সভায় মানবাধিকার বিষয়ক এনইউজি মন্ত্রী অং মিও মিন, এনইউজি’র যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, সেইসঙ্গে এর মুখপাত্র হতিন লিন অং, জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মো তুন ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
হতিন লিন অং বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের সেই টেবিলে থাকার যোগ্য যেখানে আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বৈঠকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মিয়ানমারের সংকটের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইনকোয়ারি (আইপিআই)-এর সভাপতি হেইডি হাউতালা, চার্লস সান্তিয়াগো, মালয়েশিয়ার এমপি এবং মানবাধিকার বিষয়ক আসিয়ান সংসদ সদস্যদের চেয়ারম্যান, মার্সি ক্রিস্টি ব্যারেন্ডস, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য, টম ভিলারিন, ফিলিপাইনের প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার একটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়েছে। কারণ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বে সামরিক জান্তা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তার জনসংখ্যার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মিয়ায়নমারের বিষয়টি কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। তবে প্রয়োজন হলে সীমান্তে মর্টারশেলিং বিষয়ে জাতিসংঘে একটি অভিযোগ জানানো হবে।
শনিবার রাজধানীতে আহছানিয়া মিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে বার বার সতর্ক করছে। তবুও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।
‘তামব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলিংয়ে হতাহতের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি,’ তিনি যোগ করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যেই রাখতে হবে। কিন্তু তাদের বাহিনী বার বার বাংলাদেশিদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে যাতে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তমব্রু’র আন্তর্জাতিক জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে মিয়ানমার বাহিনী একটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করলে মোহাম্মদ ইকবাল(১৭) নামে এক কিশোর নিহত হন। এসময় আহত হন আরও পাঁচজন।
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তরা সকলে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বা নো ম্যান’স ল্যান্ডে অবস্থিত।
শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে চারটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা নামের এক আদিবাসী তরুণ মারাত্মক আহত হন।
কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে ১২টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন:সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী