জাতিসংঘ
জাতিসংঘে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১৭ মার্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব শুরু হয়। এতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত; রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ ছিল নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত শিশু আনন্দমেলা। এতে মিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপ‘ এবং ‘নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে পত্রলিখন‘ -প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা এবং তাদের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া শিশুদের অংশগ্রহণে আরও অনুষ্ঠিত হয় ‘শতবর্ষের নতুন প্রভাত’ শীর্ষক আলেখ্য অনুষ্ঠান, সমবেত সঙ্গীত ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে’ ও নৃত্যানুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র। ভার্চুয়াল এই আয়োজনে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, আমাদের দেশের শিশুদের সমান অধিকার রক্ষা, সাবলিল বিকাশ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য জাতির পিতা তার সাড়ে চার বছরের সরকারে অনেক কাজ করে গেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। এর ফলে শিশু বিকাশের পথ সুগম হয়। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার শিশু বিকাশ ও শিশু উন্নয়নে যেসকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।=
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এবং জাতিসংঘ শিশু সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। চালু রয়েছে বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা। বছরের শুরুতেই শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে রঙ্গিন পাঠ্যপুস্তক। আজ দেশের প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
শিশুদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমাদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িয়ে আছে। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নানাদিক শিশুদের সামনে তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন সমন্ধে অবহিত করা এবং শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধু করার জন্য অভিভাবকসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
রাশিয়ার অনুরোধে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইউক্রেন রাসয়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের গবেষণাগার পরিচালনা করছে রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
পরিষদের কূটনীতিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সকাল ১০টায় এ বৈঠক হবে।
জাতিসংঘে রুশ প্রথম ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বৃহস্পতিবার বিকালে এক টুইট বার্তায় এই বৈঠকের জন্য অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার এমন দাবি প্রত্যাখ্যানের পরপরই এই বৈঠকের আহ্বান জানানো হলো।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি রাশিয়ার দাবিকে ‘ভ্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন রাশিয়া তার প্রতিবেশী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
তবে বুধবার আরেক রুশ ডেপুটি ইউএন অ্যাম্বাসেডর দিমিত্রি চুমাকভ এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে পশ্চিমা গণমাধ্যমকে ‘ইউক্রেনের গোপন জীবাণু (অস্ত্রের) গবেষণাগারের’ খবর প্রচারের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের হাসপাতালে বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৩
২০ লাখ শরণার্থী ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের তথ্যমতে, রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় গণঅভিবাসন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইটে বলেছেন, ‘আজ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে।’
এদিন বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার নতুন প্রচেষ্টা হিসেবে নিরাপদ করিডোর বরাবর ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথটি ছিল রুশদের অনুমোদিত পাঁচটি পথের মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ করিডোর দিয়ে ইউক্রেন ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকেরা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট ইউক্রেনে যুদ্ধে আটকে পড়া সব বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদে চলে যাওয়ার ব্যাপারে জোর দেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ব্যাশেলেট জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলকে আরও বলেছেন, তার অফিস ইউক্রেনপন্থী কর্মীদের পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চলে নির্বিচারে আটক করার খবর পেয়েছে, যে অঞ্চলটি সম্প্রতি ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে’ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রুশপন্থী বলে বিবেচিত লোকদের মারধরের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আদালতে শুনানি শুরু
নিরাপদ করিডোর দিয়ে ইউক্রেন ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকেরা
ইউক্রেনে নিরাপদ করিডোর বরাবর বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে নাগরিকবাহী বাসগুলো নিরাপদ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথটি ছিল রুশ সেনাদের দেয়া প্রতিশ্রুত পাঁচটির মধ্যে একটি, বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পথটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে এ সুযোগ কতোদিন থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ সংস্থার পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় শহর সুমিকে একটি নিরাপদ করিডোর দেয়া হয়েছে। সুমি রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার সকালের জন্য সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন, কিয়েভ এবং অন্যান্য শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকেরা মানবিক করিডোর ব্যবহার করে তারা যেখানে যেতে চায়, সেখানে যেতে পারবে। এর আগে যদিও তারা বলেছিল এই করিডোর গুলো দিয়ে ইউক্রেনীয় নাগরিকরা শুধুমাত্র বেলারুশে স্থানান্তরিত হতে পারবে। বর্তমানে এ বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়ার পূর্ববর্তী প্রচেষ্টাগুলো ভেস্তে যাওয়ায়, মানবিক করিডোর কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেন সন্দেহ পোষণ করছে।
আগ্রাসনের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুশ সেনারা দক্ষিণ ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে শত শত চেকপয়েন্ট ও ব্যারিকেড দিয়ে শহরটি দখলের রুশ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
মঙ্গলবার কিয়েভের মেয়র আনাতোল ফেডোরুক বলেছেন, আমরা লাশগুলোও উদ্ধার করতে পারছি না। কারণ ভারী অস্ত্রের গোলা ছোঁড়া দিনে ও রাতে কখনও থামছে না। শহরের রাস্তায় কুকুরগুলো লাশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এগুলো দুঃস্বপ্ন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণের শহর মারিউপোল। এই শহরে চার লাখ ৩০ হাজার নাগরিকের মধ্যে আনুমানিক দুই লাখ মানুষই ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে পালিয়েছে।
জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট না দেয়ায় বাংলাদেশকে টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া। সোমবার দেশটির ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন (এলআরটি) এ তথ্য জানিয়েছে।
লিথুয়ানিয়ান প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র রাসা জাকিলাইটিয়েনের বরাতে এলআরটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বাংলাদেশ বিরত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ লিথুয়ানিয়ান সরকার ঘোষণা করেছিল, তারা বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা’ হিসাবে চার লাখ ৪ হাজার ৬০০ ফাইজার ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।
ইতোমধ্যে ইউক্রেন, লাটভিয়া, মলদোভা, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামকে ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে লিথুয়ানিয়া।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘শান্তি রক্ষার স্বার্থে’ ইউক্রেন সংকট নিয়ে একটি প্রস্তাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটদানে বাংলাদেশ বিরত ছিল।
এর আগে বুধবার ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং অবিলম্বে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানসহ জাতিসংঘের ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ শিরোনামের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া এই চারটি দেশ রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
পড়ুন: পাঁচ বছর বয়সীদের করোনার টিকা শিগগিরই
ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পিবিআই পুলিশ সুপার মোকতার
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেন।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মোকতার হোসেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ জানান, উভয় পক্ষ আদালতকে লিখিতভাবে জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তাঁরা (বাদী-বিবাদী) আপস করে বিয়ে করেছেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ মামলা। মামলার বাদী এজলাসে হাজির থেকে জামিনে আপত্তি নেই বলে জানালে বিচারক আসামির আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জাপা নেতা রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
এদিন এ মামলায় চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত ৩০ জানুয়ারি মোকতার হোসেনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন।
গত বছরের ১২ আগস্ট ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন পুলিশের এক নারী পরিদর্শক। পরে ট্রাইব্যুনাল রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সুদানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। সে সময় তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন মোকতার। ২২ ডিসেম্বর আবারও ধর্ষণ করেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ‘মৌখিকভাবে বিয়ে’ করে বাদীকে পুনরায় ধর্ষণ করেন। এরপর আরও কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন মোকতার হোসেন। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রেশন করার তাগিদ দিলে মোকতার হোসেন বাদীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।
এর অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর রাজারবাগে মোকতার হোসেনের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা করার তাগিদ দেন বাদী। এতে মোকতার হোসেন অস্বীকৃতি জানান। তখন মোকতার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বাদীকে মারধর করেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাদী।
মোকতার হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী পরিদর্শক।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আদালতে শুনানি শুরু
কিয়েভ ও মস্কোর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা দুই দেশের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে আইনি লড়াইয়ের জন্য সোমবার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে মুখোমুখি হয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের সদর দপ্তর পিস প্যালেসে ইউক্রেনের অনুরোধে রাশিয়াকে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানাতে দুই দিনের শুনানি শুরু করছে।
ইউক্রেন সোমবার সকালে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবে এবং মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত, যদিও রাশিয়া আদালতের কোনও আদেশ মেনে চলবে কিনা সে ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক আইনের অধ্যাপক টেরি গিল বলেছেন,যদি আদালত যুদ্ধ বন্ধের আদেশ দেয়,আমি মনে করি এটা ঘটার সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, বেসামরিক লোকদের কিছু এলাকা থেকে সরে যেতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও রুশ বাহিনী ইউক্রেনের শহরগুলোতে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ কৌশলগত কারণে জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল, ভারতও বিরত ছিল। এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন,বিএনপির মহাসচিব কি জাতিসংঘে ভারতের ভোটদানে বিরত থাকার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেবেন?
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রেক্ষাগৃহে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য-‘জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সংবিধান লঙ্ঘন’ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশসহ সকল দেশই বিভিন্ন সময়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থাকে। এবার যখন জাতিসংঘে এই প্রস্তাব আনা হয়, তখন ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন-ভারত কেনো ভোটদানে বিরত ছিল সেটিরও একটি ব্যাখ্যা যদি তিনি দেন।’
বিএনপি নেতারা আসলে সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে কোনটাতে কি বলবেন খেই হারিয়ে ফেলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং আমরা অবশ্যই যে কোনো সংঘাতের বিরোধী। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, শান্তি বিরাজ করুক সেটিই আমরা চাই। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিলো। ভারতও বিরত ছিলো।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘চল্লিশের দশকে যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়, তখন এক আনা অর্থাৎ ১৬ পয়সায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেতো। অর্থাৎ দেখতে হবে, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। গত ১৩ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ, আর নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ, মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিও এমনই। তাছাড়া ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় দেশে ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হার অনেক কম।’
এর আগে চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দিতে বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে প্রয়োজন আত্মিক ও মানবিক তথা জাতিগত উন্নয়ন। আর শিশুতোষ চলচ্চিত্র শিশু-কিশোরদের মেধা-মনন-দেশপ্রেম-মমতার বিকাশ ঘটিয়ে জাতিগত উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ধারাবাহিকভাবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ড. হাছান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আজকের শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতাই হতে পারে আগামীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে, তার প্রস্তুতির জন্য এমন আয়োজন অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
'চিল্ড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ' সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে উৎসব উপদেষ্টা চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, উৎসব পরিচালক তরুণ চলচ্চিত্রকার শাহরিয়ার আল মামুন অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্যে উৎসবের নানা দিক তুলে ধরেন।
ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে শিশু-কিশোরদের নির্মিত ও শিশু-কিশোরদের জন্য নির্মিত ৩৮ টি দেশের ১১৭ টি চলচ্চিত্র সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্তভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করবেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়। শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় সেটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর এমন ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জনসন শুক্রবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটেন অবিলম্বে রাশিয়া ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
জনসনের কার্যালয় বলছে, তিনি ও জেলেনস্কি একমত যে রাশিয়াকে অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবার নিরবচ্ছিন্ন প্রবশের অনুমতি দিতে হবে। এ সময় তারা যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য বলেও সম্মত হন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আরও এক ভারতীয় শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ এখন সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তিনি বলেছেন (যুক্তরাজ্য) পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করবে।’
এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধের দাবি জনাই। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু বিপদের সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।’
দমকলকর্মীদের গুলি করা হচ্ছে বলে তারা আগুন নেভাতে এর কাছে যেতে পারেছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায়, ইউক্রেনীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে রুশ সেনাদের হামলার শিকার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকিরণের মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের মহাপরিচালক মারিয়ানো গ্রসি ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল ও দেশটির নিয়ন্ত্রক ও অপারেটরের সঙ্গে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে যোগাযোগ করছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চুল্লিগুলো এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং অবিলম্বে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানসহ জাতিসংঘের ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
বুধবার ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ শিরোনামের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া এই চারটি দেশ রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও ভারতের ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা প্রত্যাশিত ছিল, তবে রাশিয়ান মিত্র কিউবা ও নিকারাগুয়ার ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকাটা কিছুটা বিস্ময়কর। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস