জাতিসংঘ
সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের মতো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে না এবং সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া তারা খুব কমই তা করে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক ২৯ নভেম্বর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘ এসব নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করছে না। আমরা করি না... আমরা খুব কমই, খুব কমই একটি নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া তা করি।’
তিনি বলেন, তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘জনগণ যাতে অবাধে, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং কোনো ধরনের হয়রানি মুক্ত হতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকল দলের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন 'ন্যাচারাল প্ল্যান্ট ফাইবারস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' গ্রহণ করেছে।
পাট, তুলা ও সিসাল জাতীয় প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রমাণ এই বিপুল সমর্থন।
বুধবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন বলেছে, যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসেবে দেখা রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহারকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহার ও ব্যবহারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
রেজুলেশনে প্রাকৃতিক তন্তুকে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের একটি প্রশংসনীয় বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।
২১ নভেম্বর রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি এটি শক্তিশালীকরণ ও ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয় সম্পৃক্ততা, নমনীয়তা ও অবদানের জন্য সকল প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেজুলেশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রথম এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করে এবং তারপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দ্বিবার্ষিকভাবে এই রেজুলেশনটি গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
বাংলাদেশে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন আয়োজনে অংশীজনদের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
বাংলাদেশে একটি 'শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা সব অংশীজন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে।
বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মনে হচ্ছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে 'মিথ্যা ও বানোয়াট' তথ্য দিয়ে সরকারকে ‘কলঙ্কিত করার ইচ্ছায় তারা প্রভাবিত’ হয়েছেন।
ওএইচসিএইচআর-এর ১৪ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের একতরফা পর্যবেক্ষণ বিশেষ করে তাদের সঙ্গে সরকারের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রেক্ষাপটে অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জাতিসংঘের তিন বিশেষ দূতের (এসআর) পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সরকারকে বাধ্য করেছে।’
বিশেষ দূত তিনজন হলেন- মতামত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় বিশেষ দূত আইরিন খান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংঘের স্বাধীনতার অধিকার সম্পর্কিত বিশেষ দূত ক্লিমেন্ট ন্যালেটসোসিভোল এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ দূত মেরি ললর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দূতদের মন্তব্য এবং তাদের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্বলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সময়টি কৌতূহলপূর্ণ।
বাংলাদেশের জবাবে বলা হয়, বাংলাদেশের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) আগের দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাদের সুপারিশ করার সময় মানবাধিকার উপভোগের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আইনি, নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বিশেষ দূতদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে মূলত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে বর্তমান শ্রমিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, আদিলুর রহমান খান ও রোজিনা ইসলামের মতো অন্যান্য ব্যক্তিগত মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ যেখানে আইনের শাসন বিদ্যমান। সে অনুযায়ী, তিনটি মামলা স্বাধীন বিচার বিভাগের আইন আদালতে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
বিশেষ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, তার বিরুদ্ধে মামলাটি তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানির শ্রমিকদের তাদের মুনাফার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সুতরাং এটি বিস্ময়কর যে বিশেষ দূতরা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছে যখন সরকার প্রকৃতপক্ষে শ্রম ও মানবাধিকার রক্ষা করছে।’
তা ছাড়া, ইউপিআর অধিবেশনে, দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সময়, বিশেষ দূতদের উত্থাপিত বেশিরভাগ বিষয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল স্পষ্ট করেছে।
মানবাধিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আশ্বস্ত করে বলেছে, বিভিন্ন দেশের সুপারিশ বাস্তবায়নে তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সরকার বুঝতে পারছে না ইউপিআরের সময় দেওয়া সুপারিশগুলো তুলে ধরতে সরকারকে কোনো সময় না দিয়ে এত তাড়াহুড়ো করে বিশেষ দূতদের এই জাতীয় মন্তব্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা কী।’
সরকার বিশেষ দূতদের আচরণকে তাদের নিজ নিজ ম্যান্ডেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও উপযুক্ত নয় বলে মনে করে। তারা মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ পদ্ধতির অংশ যা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
এছাড়াও এতে আশা করা হয় তারা তাদের মানবাধিকার লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সমর্থন করার জন্য মানবাধিকার সম্পর্কে প্রতিবেদন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য তাদের স্বীকৃতি বা গ্রহণযোগ্যতাকে ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ সরকার আশা করে, বিশেষ দূতদের আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের আদেশ পালনে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুঃখজনকভাবে বিশেষ দূতদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি, যারা এই ধরনের নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ নিয়ে এসেছিল। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউপিআর সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ইউপিআর পরীক্ষার আওতায় ছিল মাত্র চৌদ্দটি দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মজার বিষয় হলো, বিশেষ দূতরা কেবল বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তারা অগণিত উন্নতির বিষয়ে নীরব ছিল কারণ এই পরীক্ষার রিভিউতে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দূতরা প্রশংসা করেছে।’
‘এটি করে তারা বিশেষ দূত হিসেবে তাদের জাতিসংঘের পরিচয়কে অসম্মান করেছে। তারা মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারের অপব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত ও পক্ষপাতদুষ্ট মতামত প্রচার করে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে,’ বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সরকার ইউপিআরের সময় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সুপারিশকে গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে স্বাগত জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউপিআর-এর পরপরই একই বিষয়ে নেতিবাচক মূল্যায়ন করে বিশেষ দূতরা সদস্য দেশগুলোর সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণকে এক প্রকার অসম্মান করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের ওপর জরুরি এবং গুরুত্ব আরোপের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের’ প্রতি আহ্বান জানান। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর উচ্চতর নৈতিক অবস্থান নেওয়া এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদন গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের আহ্বান তাদের কর্তব্যের আহ্বানের চেয়ে অনেক বেশি। এই তিন বিশেষ দূতের মধ্যে একজন বাংলাদেশের এবং সম্প্রতি তিনি সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণে অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখিয়েছেন। তিনি অন্যান্য দেশের বিষয়ে আপেক্ষিক নীরবতা বজায় রেখেছেন। এত আংশিক, পক্ষপাতদুষ্ট, বিষয়ভিত্তিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করার ফলে বিশেষ দূতরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।’
বাংলাদেশ সরকার একটি সুষ্ঠু মানবাধিকার ব্যবস্থার জন্য বিশেষ পদ্ধতির স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘যদিও তারা আশা করে যে বিশেষ দূতরা তাদের স্বীকৃতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন, তবে এটি আশা করে যে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় তাদের আদেশগুলো নিরপেক্ষভাবে পূরণ করতে সহায়তা করবে এবং তাদের বিষয়ভিত্তিক ঘোষণার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন।
একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা অংশ নিচ্ছেন।
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে যোগ দিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ফ্রন্টে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের সমালোচনা করেনি, বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো দেশ রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়টি তুলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরশু জানতে পারবেন বাংলাদেশ কতগুলো সুপারিশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানাবে যে তারা কোন কোন সুপারিশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা ইউপিআরের আগে সব অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা আজ এটি দেখেছেন ও শুনেছেন। এবং আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ইউপিআর একটি সুন্দর প্রক্রিয়া, যা প্রতিটি দেশকে একই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নিয়ে আসে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকালের তুলনায় আগামীকাল বাংলাদেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখাই তাদের লক্ষ্য। ‘এটাই স্পিরিট। আমরা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি।’
পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে এবং বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক স্থান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ আইন ২০২২ একটি নিরপেক্ষ ও সক্ষম ইসি নিশ্চিত করে এবং এটি দেশের পাশাপাশি উপমহাদেশে এই ধরনের প্রথম আইন।
বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইউপিআরগুলো হয়েছিল যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এপ্রিল ২০১৩ ও মে ২০১৮ সালে।
তার পেশ করা জাতীয় প্রতিবেদনে, বাংলাদেশ বলেছে এটি মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য তার প্রতিষ্ঠান এবং পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে থাকবে।
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। তবে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিটি দেশ পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।
যে নথিগুলোর উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনাগুলো করা হয় তা হলো:
১) জাতীয় প্রতিবেদন - পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্র প্রদত্ত তথ্য
২) স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে থাকা তথ্য, বিশেষ প্রক্রিয়া, মানবাধিকার চুক্তি সংস্থা ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা হিসেবে পরিচিত
৩) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোসহ অন্যান্য অংশীজনদের দ্বারা প্রদত্ত তথ্য।
ইউপিআর হলো ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডের সমকক্ষ পর্যালোচনা।
২০০৮ সালের এপ্রিলে এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সবকটিকে নিয়ে তিনবার পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ইউপিআর মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি অনন্য প্রক্রিয়া। যা জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে প্রতি সাড়ে ৪ বছরে তার মানবাধিকার রেকর্ডগুলো সমকক্ষ পর্যালোচনা করার আহ্বান জানায়।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬০/২৫১ রেজোলিউশনে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) প্রতিটি দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে সমুন্নত, সমর্থন ও প্রসারিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন।
একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা অংশ নিচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যেকোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে এবং বিরোধী দলগুলোকে দেওয়া রাজনৈতিক স্থান তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
বাস্তবে জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই জাতিসংঘের আসলে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এটা নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, সুদান দেশটা আরও দু্ই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কথা কেউ শুনে? আজকে গাজায় যা হচ্ছে জাতিসংঘের একটি কথা কেউ শুনেছে কি না? জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা তো নেই বাস্তবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন যেতে পারে, এটাতে তো তাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তাদের আসল দায়িত্বটা তারা তো পালন করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেইনে তারা কিছু শব্দচয়ন করে সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে। ক্লাইমেট চেইঞ্জের অবনতি ঘটছে। ভালো ভালো কিছু কথা বলা ছাড়া জাতিসংঘের আর কোথাও তো কোনো ভূমিকা আছে বলে আমাদের জানা নেই। বাংলাদেশ নিয়ে তারা মাথা ঘামাচ্ছে, আমরা অনেক ভালো আছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
বিএনপিবিহীন আরেকটি নির্বাচনের দিকে দেশ এগুচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমি জানি না। বিএনপির অধিকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। তারা নির্বাচন না করলে, করবে না। আমার কথা হলো বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। সংবিধান যেভাবে বলছে আমাদের নির্বাচন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক সেভাবে চলবে, এতে কে এল, কে এল না সেটা বিষয় নয়।
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে-বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্পেস দেন, সময় আসুক।
তিনি বলেন, বিএনপি না এলে আমরা কি তাদের জোর করে আনব? বিএনপি না এলে সংবিধান অবজ্ঞা করে নির্বাচন করব না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু থাকবে না, এটা কেমন কথা, এটা তো হতে পারে না। সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ যারা বলেন তারা বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
ঢাকায় সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে 'সঠিকভাবে' জানানো হয়নি : মোমেন
ঢাকায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে 'সঠিকভাবে' জানানো হয়নি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
মানবাধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের শীর্ষ স্থানীয় সংস্থাকে সরকার সত্যের ভিত্তিতে জবাব দেবে জানিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক বিবরণ ত্রুটিপূর্ণ এবং বাস্তবতাবর্জিত। তাদের তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম তথ্যঘাটতি দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান
মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং প্রায় ৩০ জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। এ সময় মুখোশ পরে মোটরসাইকেলে যারা এসেছিলেন, তাদের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক বলে মনে করা হয়।
মানবাধিকার কমিশনার উল্লেখ করেছেন, তারা বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের সময় ধারাবাহিক সহিংস ঘটনার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়ানোর জন্য বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ যেহেতু দেশে নির্বাচনের সময় কাছে চলে এসেছে, তাই এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। একই সঙ্গে সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়াতে সব দলের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
তথাকথিত 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা' সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা ও ভুয়া বিষয়' নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপিও ঢাকার সহিংসতা নিয়ে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা 'ভুয়া উপদেষ্টা' নিয়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রেরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
সহিংসতা পরিহার করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতায় উস্কানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলুন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভ চলাকালীন একাধিক সহিংস ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বলেছে, ‘দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, তখন আমরা সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড এড়ানোর জন্য।’
মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।
এসময় স্পিকার জাতিসংঘের ৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার