চীন
কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭৭, শনাক্ত ২৯৫৫
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩০৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৮ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০.৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়: কাদের
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
লকডাউন বাড়ল
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার ছয়টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকান ও শপিংমলগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংস্থা ও বাজার পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই নির্দেশনা অনুসারে, পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত কাউকে ভারত থেকে বিমান, স্থল ও নদী পথের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও যে সকল বাংলাদেশি এখন ভারতে রয়েছেন এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছ থেকে রিলিজ/ সার্টিফিকেট গ্রহণের পর দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬০ জনে।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ২২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।
বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার তিনটি বিকল্প উত্স- রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভিড টিকার অনুসন্ধান করছে এবং এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনের জন্য কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ভারতের সাথে আলোচনাও চলছে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ স্টক বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা শুরু করবে।
হোয়াইট হাউস সোমবার জানায়, আগামী কয়েক মাসে রপ্তানির জন্য ৬০ মিলিয়ন ডোজ পর্যাপ্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া ও চীন থেকে জরুরিভাবে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। 'যেখানে পাব সেখান থেকেই আমরা ভ্যাকসিন নিব।'
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-পরবর্তী দারিদ্র্য ও ই-কমার্স ফোরামের জন্য চীন একটি উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনসহ তিনটি পরামর্শ শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করা উচিত। আমরা সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছি।'
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
ডা. মোমেন বলেন, চীন এই প্রক্রিয়াটিতে ভারতকেও স্বাগত জানিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব ভারতেরই।
তিনি বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
এটি ভারত থেকে যেকোনো দেশে পাঠানো বৃহত্তম পরিমাণ।
বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে বিএনপিকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় নেতা নয়, সরকার দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'দু:খজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এবং কিছু গোষ্ঠী, যারা সরকারের কোনো কাজেই ভালো দেখতে পারে না, তারা মহামারির শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই চালিয়েছে।'
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভারতের টিকা কাজ করবে না- এই প্রচারণা আপনারা চালিয়েছিলেন। আবার সেই টিকা আসতে যখন একটু দেরি হচ্ছিল, তখন অন্য কথা বলা শুরু করেছিলেন, সুতরাং এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।'
'বিএনপিসহ যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদেরকে বলব, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাজনীতি না করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান,' বলেন ড. হাছান।
মন্ত্রী এ সময় জানান, সরকার রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী মাসেই সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অনেক টিকা আসবে এবং খুব সহসা অন্যান্য দেশ থেকে যে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোও আসবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মহামারির মধ্যেও অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন এবং গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার ও অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২-এ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি।
স্মৃতি রক্ষার্থে রাখা দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষরও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
এ সময় সফররত চীনা মন্ত্রীর সাথে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত ছিলেন।
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি মঙ্গলবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বিকাল ৩টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
সফররত চীনের স্টেট কাউন্সিলর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সাথেও বৈঠক করবেন।
এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীন সফর করেছিলেন।
২০১৮ সালের ১৯ মার্চ চীনের কংগ্রেসে জেনারেল ফেঙ্গিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে চীনের সাথে আলোচনার সময়ে এই সফরটি হচ্ছে।
এই মাসের শুরুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবানও বাংলাদেশ সফর করেছেন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফেঙ্গি বেইজিংয়ের যাওয়ার আগে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বো যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তারা জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ তৈরিতে চীনা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও চীন থেকে অনুরূপ প্রস্তাব পেয়েছে এবং সম্মতি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ এই প্রস্তাব পেয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এই প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত জানতে চাইবেন। এ বিষয়ে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
ড. মোমেন বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
ঢাকায় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি মঙ্গলবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ঢাকা সফরকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ওয়েই ফেঙ্গি।
তিনি বিকাল ৩টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
সফররত চীনের স্টেট কাউন্সিলর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সাথেও বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: চীনা টিকার কার্যকারিতা কম, দেশটির কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি
এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীন সফর করেছিলেন।
২০১৮ সালের ১৯ মার্চ চীনের কংগ্রেসে জেনারেল ফেঙ্গিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে চীনের সাথে আলোচনার সময়ে এই সফরটি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ, চীন: রাষ্ট্রদূত
এই মাসের শুরুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবানও বাংলাদেশ সফর করেছেন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফেঙ্গি বেইজিংয়ের যাওয়ার আগে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বো যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টিকার মজুদ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ এর টিকার মজুদ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, চীনের উপহারের ছয় লাখ ডোজসহ বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমরা একটি লাইনআপ করেছি। আমাদের যথেষ্ট ভ্যাকসিন থাকবে। চীন উপহার হিসেবে ভ্যাকসিনের ছয় লাখ ডোজ দেবে। আমাদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই ... আমরা ঠিক আছি।'
আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
ভারত থেকে যে কোনো দেশে প্রেরিত বৃহত্তম পরিমাণ এটি।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের দুই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে টিকা সহ-উত্পাদনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।
'আমরা একই পৃষ্ঠায় আছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা বিষয়গুলি চূড়ান্ত করা হবে,' বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে ইউএনবির সাথে আলাপকালে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে টিকা সহ-উত্পাদন করার প্রস্তাব দিয়েছে। 'এটা খারাপ না। আমরা আমাদের বিকল্পগুলো উন্মুক্ত রাখছি।'
তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে রাশিয়া প্রযুক্তি দেবে এবং বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো এখানে রাশিয়ার টিকা তৈরি করবে। 'এটি সস্তা হবে এবং আশা করি এটি আরও ভাল হবে।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণ টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
জলবায়ু সম্পর্কিত মার্কিন রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রদূত জন কেরি সাম্প্রতিক সময়ে তার বাংলাদেশ সফরে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমরা আশ্বাস দিতে পারি, আমাদের গুরুতর গণ টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত থাকলে আমরা যে কোনো উপায়ে ভ্যাকসিন পুরোপুরি সরবরাহ করব।'
ভারতে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ আশা করে ভারত দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার অবশিষ্ট ডোজ সরবরাহ করবে। তবে অন্যান্য বিকল্পও উন্মুক্ত রাখবে।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকার তিন কোটি ডোজ কেনা হয়েছে এবং ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান গত জানুয়ারিতে আসে এবং কোভিড-১৯ টিকার ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালানটি ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল।
টিকার রপ্তানি বন্ধে ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার দাবিসহ বিশ্বব্যাপী টিকার উচ্চ চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, 'আমি মনে করি, যেহেতু আমরা অগ্রিম অর্থ প্রদান করে ব্যবস্থা করেছি সেহেতু এই দাবি আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ভারত ঘোষণা করেছে যে সময়সূচি অনুসারে টিকা সরবরাহ করা হবে। এবং আমরা এটি বিশ্বাস করি।'
চীন বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহের ব্যাপারে একবার অনেক আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) কর্তৃক তাদের টিকা অনুমোদিত না হওয়ায় বাংলাদেশ তখন অনিচ্ছুক ছিল।
ডা. মোমেন বলেন, চীন তাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য টিকা পরিচালনা করে এবং ৫০টিরও বেশি দেশে প্রমাণ করা ছাড়াই তাদের টিকাকে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন বলেছে। 'আমরা তাদের সাথে (চীন) আবার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যেন তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে।'
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, ভারত রাশিয়ান স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই টিকা পেতে প্রতিবেশী ভারতের সাথে প্রথম হাত মেলানো কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। তিনি প্রথম থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।'
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে উচ্চ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) কর্তৃক তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার ডোজ চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ঢাকা।
পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ভারত আমাদের জানিয়েছে যে এটি (মার্চের চালান) আসবে তবে এখনও আসেনি। আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ভারতের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ৩২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে তবে ভারত থেকে মার্চে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত ৫০ লাখ ডোজের চালান এখনও আসেনি।
সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান গত জানুয়ারিতে দেশে এসেছে এবং ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালানটি ফেব্রুয়ারিতে আসে।
রপ্তানি বন্ধে ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার দাবিসহ বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের উচ্চ চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অগ্রিম অর্থ প্রদান করার কারণে এটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ভারত আশ্বাস দিয়েছে যে সময় মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে এবং আমরা এটি বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
গত মাসে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময়, দু'দেশ চলমান কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এবং চলমান সংকট চলাকালীন দু'দেশের মধ্যে টিকার সরবরাহ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ পক্ষে ভারতের তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৩২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান সরবরাহের প্রশংসা করা হয়।
সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের অবশিষ্ট চালান নিয়মিত সরবরাহের সুবিধার্থে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
ভারত তাদের দেশীয় কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাংলাদেশকে সর্বোত্তম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল।
ড. মোমেন বলেন, ‘তারা (ভারত) বেশি উত্পাদন করছে তবে তারা তাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আমরা অন্যান্য উত্সের সাথে যোগাযোগ করছি।
তিনি বলেন, এর আগে চীন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছিল কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) কর্তৃক তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদিত না হওয়ায় বাংলাদেশ সে সময় আগ্রহ দেখায়নি।
ড. মোমেন বলেন, চীন তাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে, তারা ৫০টিরও বেশি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে যেখানে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি বলে তারা বলছে। আমরা তাদের সাথে (চীন) আবার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে একটি সহ-উত্পাদনে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এটা খারাপ না, আমরা আমাদের বিকল্পগুলো খোলা রাখছি।’
তিনি বলেন, রাশিয়া প্রযুক্তি দেবে এবং বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে এখানে রাশিয়ান ভ্যাকসিন তৈরি করবে। এটি কম মূল্যের হবে এবং আশা করি এটি আরও ভালো হবে।’
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, রাশিয়ান স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত।
বিশ্বব্যাপী টিকার উচ্চ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেশী ভারত প্রথমে বাংলাদেশে করোনার টিকা রপ্তানি করতে সম্মত হয়।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমান নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রথম থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি এই ভাইরাসে আরও ১০২ জন মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ১০১ জন করে মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৩ হাজার ৬৯৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১২১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।
বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় এস আলমের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিক্ষোভে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে মালিক পক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। আর সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে অন্য মামলাটি দায়ের করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, শনিবার রাতে দায়েরকৃত দুটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিক্ষোভে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের জেরে গুলিতে মোট পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন কমপক্ষে ২৫ জন৷
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, শ্রমিকরা সকালে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে গিয়ে সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করে৷
কিন্তু শ্রমিকরা দাবি করেছেন, পুলিশ আগেই গুলি করেছে৷
একজন শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের রমজানে ইফতারের সময় দেয়া হয় না৷ আমরা বলেছি আমাদেরকে নামাজ, ইফতার ও রোজার ছুটি দিতে হবে৷ এসব দাবি না মেনে পুলিশকে দিয়ে আমাদের আন্দোলনে গুলি চালানো হয়েছে৷’
আরেকজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, ‘আন্দোলন শুরুর পরই পুলিশ গোলাগুলি শুরু করে৷ অনেকের মাথায় পিঠে গুলি লাগে৷ যে যেভাবে পেরেছি ছুটে পালিয়েছি৷’ নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মধ্যেই পুলিশের একটি ক্যাম্প আছে৷
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ তাদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন
ঘটনার পর বাঁশখালী এবং হাসপাতালে আহত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত বেতন দেয়া হচ্ছিল না৷ সেই সাথে তারা বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন৷ রোজার মাসে কাজের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা, তাও মানা হচ্ছিল না৷
এছাড়াও শ্রমিকদের অভিযোগ সেখানে পানি ও টয়লেটের সংকট রয়েছে৷ আট ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ ঘণ্টা কাজে বাধ্য করা হয়৷ তাদের সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করা হয়৷ এনিয়ে তারা ১১ দফা লিখিত দাবি দিয়েছিল৷ শুক্রবারও তাদের কাজ করতে হয়৷ এনিয়ে শুক্রবার তারা বিক্ষোভ করেন৷ শনিবার সকালে তারা আবার বিক্ষোভ করলে তা দমনে গুলি চালানো হয়৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিকদের মধ্যে বেতন ও কর্মঘণ্টা নিয়ে অসন্তোষ ছিল৷ তবে শনিবারের বিক্ষোভে শ্রমিক ছাড়াও স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়৷ তারা গাড়ি পোড়ায়, ভাঙচুর করে৷ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে৷’
এদিকে সংঘর্ষের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসনের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এবং পুলিশের তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেয়া হবে বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলমের কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় প্রায় আট বছর আগে৷ ২০১৬ সালের এপ্রিলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের রিরোধিতা করে স্থানীয়রা আন্দোলন করেন৷ তখন গুলিতে ছয়জন নিহত হন৷
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে স্থানীয়রা শুরু থেকেই পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করে আসছেন৷ এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা৷ ২০২২ সাল নাগাদ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা৷ এই প্রকল্পে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ ভাগ বিনিয়োগ রয়েছে।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে ১২ কোটি ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৪ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪১ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার ৩৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ১৬৬ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৫৪ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৭৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে সোমবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩০ জনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ৮০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি পরীক্ষাগারে ২৬ হাজার ৩৫৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৫ হাজার ৯৫৪টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.৬৯ শতাংশ।
এর আগে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১১.১৯ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমকি ১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত