দুর্ঘটনা
ঝিনাইদহে ইটভাটায় এক্সকেভেটর দুর্ঘটনায় চালক নিহত
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ফাইভ স্টার ইটভাটায় এক্সকেভেটর দুর্ঘটনায় সবুজ কাজী নামে এক চালক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের ওই ইটভাটা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সবুজ কাজী পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের দুলু কাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
নিহতের ভাই সোহাগ কাজী জানায়, রাত ১১টার দিকে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটছিলেন তার ভাই সবুজ কাজী। এ সময় মেশিনের চেইন ছিঁড়ে গেলে ডান পাশের জানালা দিয়ে চাকা দেখার চেষ্টা করছিলেন। তখন দুর্ঘটনাবশত মেশিনের বাকেটের বুম মাথায় লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ফাইভ স্টার ইটভাটার ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান জানান, বড় ভাই অসুস্থ থাকার কারণে ছোট ভাই এক্সকেভেটর চালাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে মাটি কাটার সময় চেইন কেটে বাকেটের বুম মাথায় লেগে মারা যায়।
স্থানীয় কালীচরণপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর মিজানুর রহমান মিজু জানান, এটা দুর্ঘটনা না অন্য কিছু তা নিয়ে আমরা পুরোপুরি জানতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছে মাটি কাটার সময় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা দুর্ঘটনা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভরত চন্দ্র বর্মন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার সহকর্মী আলামিন হোসেন (২৫)।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পৌর এলাকার সেলিনা পেট্রোল পাম্পসংলগ্ন ফরিদ ভোলকানাইজিংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির কথা বলে কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর, মারধরে আহত ৮
নিহত ভরত চন্দ্র বর্মন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার নওটিকা গ্রামের শীতল চন্দ্রের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার নাটোর থেকে ভরত চন্দ্র মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নন্দীগ্রাম ফরিদ ভোলকানাইজিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভরত চন্দ্র বর্মন মারা যান। মোটরসাইকেলে পেছনে থাকা আলামিন হোসেন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে ভরত চন্দ্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
করোনা টিকার নিয়ে ৩২ মাস ধরে অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ
দিনাজপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পিকআপের ধাক্কায় কাভার্ডভ্যানের চালকসহ ২ জন এবং চিরিরবন্দরের ট্রেনের ধাক্কায় একজন বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) পৃথক স্থানে নিহত হয়েছেন তারা।
দুর্ঘটনায় নিহত কাভার্ডভ্যানের চালক নায়েব আলী (৪৫) ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের জগন্নাথপুর বাঙালি পাড়ার ফয়েজ উল্লাহ'র ছেলে। একই সঙ্গে নিহত আরোহী শফিউল জামান (২৮) একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিজিবির ২৯ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়ায় ঢাকামুখী একটি দ্রুত গতির পিকআপ কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যানটির পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ২ কিশোর নিহত
তিনি আরও বলেন, এতে কাভার্ডভ্যানের চালক এবং আরোহী দুর্ঘটনাস্হলে নিহত হয়েছেন। দ্রুত গতির পিকআপটি একই দিকে যাবার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের রেলস্টেশনের কাছে পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একজন বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক জহির রায়হান বলেন, ১০৩ বছর বয়সী নিহত জেহার উদ্দিন রেললাইন সংলগ্ন বাজারপাড়ার মৃত নেজাম আলীর ছেলে। তিনি কানে শুনতে পান না। রেললাইন পার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ওই বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
জৈন্তাপুরে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৭
সিলেটের জৈন্তাপুরে একটি মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে সাতজন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বৈঠাখাল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঢাকার কেরাণীগঞ্জের ইটাপাড়া এলাকার দক্ষিণ কানার গ্রামের জাহাঙ্গীর (৩০) এবং ওই এলাকার মোয়ামীন (২৮)।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
আহতরা হলেন- ঢাকার কেরাণীগঞ্জের মো. শাহ আলমের ছেলে মো. রিপন (২২), রুবেল আলম (২৮), মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫), বাবুলের ছেলে মিন্টু (২৫) এবং নজরুল ইমলামের ছেলে মো. হোসেন (২৭)। আহত বাকি দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি।
আহতদের জৈন্তাপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, হতাহতরা ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে একটি মিনি ট্রাকে করে শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারতে সিলেট আসেন। মঙ্গলবার সকালে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.সিরাজ-উদ-দৌলা খান নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (সিএসপি) তুষার এবং চিফ মেডিকেল অফিসার আহাদ আলী সরকার রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী লোকোমোটিভ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আরও চার সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
রেল মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং আগামীকাল সকালে জিও জারি করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের পিআরও জানিয়েছেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলস্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্ধুর ‘গোধূলী এক্সপ্রেস’কে পেছন থেকে আসা কার্গো ট্রেনটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে যাওয়ার পথে বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনটি।
যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের দুটি বগি ভেঙে অনেক যাত্রী আটকে পড়ে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও র্যাবের উদ্ধারকর্মীরা দুটি ছিন্নভিন্ন বগির ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে লাশ বের করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের ছিন্নভিন্ন কোচের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার প্রভাবে কোচগুলো উল্টে যায়।
কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পর দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
শাহজাহান ইউএনবিকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ রেল দুর্ঘটনায় শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
কিশোরগঞ্জ রেল দুর্ঘটনায় শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনে জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার শোকবার্তায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি আহত যাত্রীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
পুলিশ ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেল স্টেশনে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগিতে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৭জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্ধুর গোধূলী এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে আসা কার্গো ট্রেনটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী ট্রেনটি বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের ছিন্নভিন্ন কোচের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
বাগেরহাটের মোংলার কাইনমারী এলাকায় পশুর নদীতে ৮০০ মেট্রিক টন সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই (কাঁচামাল) একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পশুর নদীর কাইনমারী পয়েন্টে ১০ জন নাবিকসহ ‘এমভি আনমোনা-২’ নামের জাহাজটি ডুবে যায়।
এ সময় জাহাজের সব নাবিক সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু জানান, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে নোঙর ছিঁড়ে জাহাজটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে জেলার আনোয়ারা উপজেলার পিএবি সড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দেওয়ানহাট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই নারীর মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন- দোহাজারী পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড চাগাচর এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী নিলুফার বেগম।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, সকালে আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কের ঝিওরী মাজার গেট এলাকা অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথা থেঁতলে গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। অজ্ঞাত ২৪/২৫ বছর বয়সী এই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
অজ্ঞাত ওই নারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে মহাসড়ক দোহাজারী পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লেগুনা সড়কের পাশের বাড়ির টয়লেটে ঢুকে পড়ে। এসময় টয়লেটে থাকা দিলুয়ারা বেগম নামে এক নারী নিহত হন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ এরফান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক যাত্রীবাহী লেগুনা গাড়িটি জব্দ রয়েছে। চালক পলাতক।
তিনি আরও বলেন, নিহত পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ৩৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৪৮ জন নারী ও ৫৩ জন শিশু।
বেসরকারি সংস্থা আরএসএফ শনিবার (৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৫১ জন (৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ) মোটরসাইকেল চালক; ১৬ (৪ দশমিক ০৬ শতাংশ) বাস যাত্রী; ১৫ (৩ দশমিক ৮০ শতাংশ) ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপের আরোহী এবং ৬৮ (১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ) সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশার মতো থ্রি-হুইলারের আরোহী ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৩৯ (৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ১৮৩ (৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৪৯ (১২ দশমিক ৩১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ২২ (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ) এবং ৫ (১ দশমিক ২৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য জায়গায় ঘটেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ১১৬ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ২০টি দুর্ঘটনা হয়েছে, যেখানে ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি দেশের সড়কে উচ্চ সংখ্যক হতাহতের জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে- ১.ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ২.বেপরোয়া গতি; ৩.চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; ৪.বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; ৫.মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; ৬.তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; ৭.জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; ৮.দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; ৯.বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; ১০.গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭টি দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ ছাড়া একই সময় আহত হয়েছেন ৬৮১ জন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত এবং ৬৫১ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন।অ এ ছাড়া নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ৪ জন আহত ছাড়া এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া সারাদেশে মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ঢাকা শহরে, ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে এবং ০ দশমিক ২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
মোট দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন ১০ জন, ১৪৩ জন চালক, পথচারী ৬৬ জন, ৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৫ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো চিহ্নিত করেছে।
কারণগুলো হলো-
বিপজ্জনক ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ফুটপাতের অভাব বা ফুটপাত দখল, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে ফিডার রোড থেকে হঠাৎ করে যানবাহন প্রবেশ, ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেনের অভাব, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন ফিডার রোড থেকে ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা নেমে আসাও এর অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি