শহীদ মিনার
শহীদ মিনারে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশনে পুলিশের বাধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির এই ছাত্র সংগঠন প্রতীকী বিক্ষোভ শুরু করে।
শহীদ মিনার ছাড়ার আগে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
জেসিডির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ জানাই আমরা। আমরা এই অমানবিক ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।’
জেসিডির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শমল বলেন, ভিসি মানে শিক্ষক, আর শিক্ষক মানে অভিভাবক। কিন্তু শাবিপ্রবি ভিসি তার স্বৈরাচারী আচরণ দেখিয়েছে। তার নির্দেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।
কর্মসূচি বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাছির বলেন, আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত হরতাল চলার কথা থাকলেও বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ তা বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি জানান,পুলিশ তাদের মারধর করেনি, কিন্তু পুলিশ দলের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করে তাদের বিচ্ছিন্ন করেছে এবং এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতীকী অনশন
৫০ বছরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি: শাবিপ্রবি উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আজকে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অনন্য গৌরব উজ্জ্বল একটি দিন। এই পঞ্চাশ বছরে আমরা অর্জন করেছি অনেক কিছুই। আমাদের আর পিছু ফিরে তাকানোর সময় নেই। এখন সময় শুধু এগিয়ে যাওয়ার।’বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য।বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিশ্বিবিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য। পতাকা উত্তোলন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ডিন’স ফোরাম, বিভিন্ন হল প্রশাসন, কর্মকর্তা সমিতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন: দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়: শাবিপ্রবি উপাচার্যদিনটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে চিত্রাষ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন উপাচার্য। তারপর সকাল সাড়ে ১১টায় হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিকাল ৩টায় মুক্তমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়।কর্মসূচিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ
সিলেটের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা
সিলেট নগরীর তিনটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যামাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে বুধবার থেকে জেলার সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬ টা পর্যন্ত নগরীর জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ করে রেস্টুরেন্ট মালিক-শ্রমিকরা এ ঘোষণা দেন। সড়ক অবরোধের সময় জিন্দাবাজার সড়কের চারপাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।পরে প্রশাসনের আশ্বাসে পৌনে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যান মালিক-শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জিন্দাবাজার এলাকার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টকে সিলগালা এবং পাঁচভাই ও পানসী রেস্টুরেন্টকে দেড় লাখের অধিক টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি শান্ত দেব জানান, লকডাউন পরবর্তী সময়ে এখনো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝা। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা যখন ধুঁকছে তখন অভিযানের নামে রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোন রেস্টুরেন্টে সমস্যা থাকলে জরিমানা হতে পারে। কিন্তু সিলগালা করার বিধান নেই। এতে বোঝা যায় রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়রানি করতে এরকম অভিযান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নবজাতকের গলিত লাশ উদ্ধার
শান্ত দেব জানান, অভিযান বন্ধ, সিলগালাকৃত রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়া ও আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে সিলেটের সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলতে থাকবে। এছাড়া বুধবার সকালে রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।
তিনি জানান, রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে এর সাথে জড়িত সিলেটের হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।
এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব এবং সিলেট রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায়ও বুধবার থেকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, পঁচাবাসী খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকার পরিবেশের দায়ে মঙ্গলবার সকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোজনবাড়ি, পাঁচভাই ও পানসী ইন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সিলগালা এবং অপর দুই রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
আরও পড়ুন:ভ্যালি সিটি: পূণ্যভূমি সিলেটে বাংলাদেশের লন্ডনি পাড়া
অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে অভিযানে এসে আমরা খাদ্যের মানে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছি। তাছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেই, খাবার পরিবেশনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সকল কিছু মিলে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে তাদেরকে সময় দিয়েছি। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের দুইজনকে আমাদের সাথে নিয়ে যাচ্ছি।’
পলাশ কুমার বসু জানান, ‘এসব রেস্টুরেন্টে পূর্বে একাধিকবার অভিযান চালালেও কোন কাজ হয়নি। অভিযানকালে রেস্টুরেন্টগুলোতে এমন অনেক খাদ্য পেয়েছি যেগুলো দুই থেকে তিন দিন আগের।’
আরও পড়ুন:সিলেটে কলেজে ঢুকে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় ১০ বছর আগে দেয়া উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
নড়াইল সদর হাসপাতালের শহীদ মিনারটি দেখভালের কেউ নেই
নড়াইল জেলার সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে নির্মিত শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত
কোভিড-১৯ মহামারির বাস্তবতায় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে রবিবার ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে জাতি।
গোয়ালন্দের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি।
মাগুরায় শহীদ মিনারে ‘রাজাকারের’ নাম!
জেলার শ্রীপুর উপজেলার সব্দলপুর ইউনিয়নের বাখেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত শহীদ মিনারে কৌশলে ‘রাজাকারের’ নাম স্থাপনে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদপুরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
ফরিদপুরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই ভাষা শহীদদের স্মারক শহীদ মিনার। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য রক্তদানের ৬৯ বছর এবং ভাষা ভিত্তিক বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এই হলো ফরিদপুরের বাস্তবতা।
কয়রায় ৯৪ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে নেই শহীদ মিনার
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।