স্কুল
এক স্কুলেই বিচরণ ১০ জোড়া যমজের!
ঠাকুরগাঁও-এর এক স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশোনা করছে। তারা একসঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা করে, একসঙ্গেই খেলে ও খায়। আশেপাশের সবাই তাদের মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখে। এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাইবোন পড়াশোনার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। বেশ আকৃষ্ট করেছে সবাইকে।
জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুল ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশুনা করছে। স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা-চঞ্চল রাহা।
যমজ ভাইবোনদের চেহারায় মিল থাকায় স্কুলের শিক্ষকরাও মাঝেমধ্যে দ্বিধায় পড়েন। খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের নিয়ে বেশ উপভোগও করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দু’জন একসঙ্গে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গে দেখছেন যমজ ভাইবোনরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় কোমড় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
ষষ্ঠ শ্রেণির যমজ দুই ভাই সান ও মুন জানায়, আমরা দুই ভাই একসঙ্গে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা-যাওয়া করি৷ আমাদের দু’জনের পছন্দ মাংস-ভাত৷ শুধু দু’জনের দুই রঙ পছন্দ। একজনের লাল আরেকজনের নীল।
তারা আরও জানায়, আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না, আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এক রকম। এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না কে সান আর কে মুন, তখন আমাদের হাসি পায়। আমরা খুব মজা পাই। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসঙ্গে। বাড়িতে একসঙ্গে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সবাই আমাদের নিয়ে খুশি।
সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া জানায়, আমাদের সব কাজ আমরা একসঙ্গে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসঙ্গে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করি। ক্লাসে স্যার একজনকে বকা দিলে অন্যজনের খুব খারাপ লাগে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশির জানায়, আমাদের একটা বড় সুবিধা হলো কেউ কোনো ভুল করলে আরেকজনকে চাপিয়ে দেয়া যায়, পরে আবার আমরা একসঙ্গে মিলে যাই। আর পরিবারের কাছে, আত্মীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই। আমরা পুরো সময় একসঙ্গে কাটাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়ে। আমরা তাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। ক্লাসে তাদের প্রত্যেকের মেধাক্রম কাছাকাছি। আমাদের স্কুলের জন্যও এটা গর্বের যে তারা আমাদের স্কুলে পড়ছে। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যমজ ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে প্রশংসা করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমজ ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে দেখাশোনা ও লেখাপড়ার সকল সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যমজ তিন কন্যা শিশুর জন্ম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে স্কুলের পিকনিক বাস উল্টে বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
রবিবার সকালে জেলার উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের পাওয়েল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, একটি বাসে করে শিবগঞ্জ উপজেলার দু’টি স্কুল এইচএম হাইস্কুল ও বেল আফরোজা হাই স্কুলের প্রায় ৬০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পিকনিকের উদ্দেশে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পাওয়েল এলাকায় বাসের সামনের একটি চাকা ফেটে গেলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি তাল গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দল তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ১২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আর গুরুতর আহত হওয়ায় বাসের সহকারী অপু ও দুলাল নামে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
জাতীয় পর্যায়ের নতুন তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় নথিভুক্ত নয়।
ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ (এনএসপিডি) ২০২১’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ বলছে, প্রতিবন্ধী শিশুদের (৫-১৭ বছর বয়সী) মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত আছে।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
মোট ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে, প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা তাদের বয়স অনুপাতে শিক্ষাগতভাবে গড়ে দুই বছরের বেশি পিছিয়ে।
এছাড়া এই প্রথম বিবিএস প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করেছে। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য প্রতিবন্ধী শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কত প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা তুলে ধরেছে।
বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম বলেন, রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে।
জরিপের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের ১.৭ শতাংশ শিশু ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’-এ সংজ্ঞায়িত ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতার অন্তত একটি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেঁচে আছে।
অন্যদিকে ৩.৬ শতাংশ শিশুর অন্তত এক ধরনের ‘ফাংশনাল ডিফিকাল্টি’ রয়েছে।
ফাংশনাল ডিফিকাল্টির বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রয়েছে দেখা, শোনা, হাঁটা, আঙ্গুল ব্যবহার করে কাজ করা, যোগাযোগ, শেখা, খেলা বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে কতজন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছে নতুন এই তথ্য। এই শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা দরকার। আমাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবাসমূহ প্রদান করতে হবে এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে।
এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুরা বড় হওয়ার পর প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তার ওপরও আলোকপাত করেছে জরিপ থেকে উঠে আসা তথ্য।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কাজ করার বয়সী তাদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ কর্মরত, যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজে নিযুক্ত না থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আর যদিও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সরকারিভাবে নিবন্ধিত, তাদের ৯০ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে ভাতা পান, বেশিরভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-প্রায় ৬৫ শতাংশ-অনিবন্ধিত থেকে যায়।
প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের মাঝে থাকা সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশের জন্য শৈশবকালীন দ্রুত শনাক্তকরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পরিবার ও সেবা প্রদানকারীরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করতে পারে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নেতিবাচক ধ্যানধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে চলমান অবরোধ প্রত্যাহার করেছে শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করে।
মঙ্গলবার সকালে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ধানমন্ডির মিরপুর সড়ক অবরোধ করেছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্কুলের ধানমন্ডি শাখা থেকে একটি মিছিল বের করে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে। এতে ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকার স্কুলে পরিচয় ও প্রেম, অতঃপর ভারতে বিয়ে!
সত্যিই ভৌগলিক সীমা কখনও প্রেমের পথে বাধা হতে পারে না। আরেকবার তা সত্যি করেছেন বন্যা ও অনির্বাণ।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারত থেকে ঢাকায় পড়তে আসেন বন্যা বড়ুয়া। এসময় তিনি তার সহপাঠী অনির্বাণ চৌধুরীর প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনেই তখন রাজধানী ঢাকার মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: আবারও আসিফ-লগ্নজিতার মেলবন্ধন
সে সময়ে বন্যার বাবা গোলাপ বড়ুয়া ওরফে অনুপ চেটিয়া নিষিদ্ধ ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তখন বাংলাদেশের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মূলত ১৯৯৭ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে চেটিয়া বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন। এ অভিযোগে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অভিযোগও আনা হয়েছিল।
উলফার সাধারণ সম্পাদককে অবশ্য ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ২০১৫ সালে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টার পুলিশ সুপার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী!
এর সাতবছর পর, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ডিব্রুগড় শহরের কাছে অনুপ চেটিয়ার আদি গ্রাম জেরাইগাঁওয়ে বন্যা ও অনির্বাণ গাঁটছড়া বাঁধেন।
বিয়ের পর তাদের আরেকটি জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে ১৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। অনির্বাণ এখন সেখানে কর্মরত আছেন।
চেটিয়া সম্প্রতি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি তখন জেলে থাকার কারণে তাদের সম্পর্কের কথা জানতাম না। কিন্তু আমাদের বিপ্লবে তারা যে ধরনের সাহায্য করেছিল, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চেটিয়া এবং কয়েকজন যুবক মিলে ১৯৭৯ সালে উলফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তারপর থেকে তারা একটি পৃথক অসমীয়া মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন: আরিয়ানকে সিনেমার প্রস্তাব দেন শাকিব খান
স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা!
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্মার্টফোন কিনে না দেয়ায় বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কামালপুর এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরহাদ হোসেন ওই গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আ.লীগ নেতা হত্যায় সন্দেহভাজন কিশোরের ‘আত্মহত্যা’
পরিবার সূত্রে জানা যায়,ফরহাদ বেশ কয়েকদিন থেকে মোবাইল ফোন কেনার আবদার করে। বৃহস্পতিবার সকালে তার শোয়ার ঘরের জানালা দিয়ে ধরনার সঙ্গে গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে থাকা অবস্থায় তাকে দেখে তার মা চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: উলিপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পাউরুটির সঙ্গে শিশুপুত্রকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা!
রাশিয়ায় স্কুলে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩, আহত ২১
রাশিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২১ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে মধ্য রাশিয়া এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
দেশটির তদন্ত কমিটি একটি অনলাইন বিবৃতিতে বলেছে যে মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) পূর্বে উদমুর্তিয়া অঞ্চলের শহর ইজেভস্কের একটি স্কুলে গুলিতে সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং ১ শিশু নিহত হয়েছে।
উদমুর্তিয়ার গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, অজ্ঞাত ওই বন্দুকধারী নিজেকেও গুলি করেছে।
গভর্নর বলছেন,স্কুলটিতে ১ থেকে ১১ বিভাগের শিশুরা পড়াশুনা করে। ঘটনার পর আশেপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির মতে, বন্দুকধারী কালো টি-শার্ট পড়েছিল,যা ‘নাৎসিদের প্রতীক’। তবে হামলাকারীর উদ্দেশ্যে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ইজেভস্ক শহরটি পশ্চিমে ইউরাল পর্বতমালার পশ্চিমে মধ্য রাশিয়ায় অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মারিউপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৩
যশোরের শার্শায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বালু বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ী জব্দ, আটক ১
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলো- ওই গ্রামে জাহান আলীর ছেলে নাসিম (২৮), নিজাম চৌকিদারের ছেলে নুরুজ্জামান (২৭) ও ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮)।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে কিশোরী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে উপজেলার কন্দপপুর গ্রামে এক কিশোরী ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি আছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারী আটক
শেরপুরে স্কুলের বাথরুম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার একটি স্কুলের বাথরুম থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মোহাম্মদ রিমন (১৬) পার্শ্ববর্তী খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে ও ড্যাফোডিল স্কুলের ছাত্র।
নিহতের মা রশিদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে রিমন বের হয়ে যায়। তারপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। ভেবেছিলাম হয়তো কোন বন্ধুর বাসায় গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে তার লাশ পাওয়ার কথা শুনেছি। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুলের বাথরুম থেকে উৎকট গন্ধ বের হলে কৌতূহল হয়ে এগিয়ে গেলে সেখানে ওই ছাত্রের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাথার ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, গোয়েন্দা শাখা এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ৪ লাশ উদ্ধার
যশোরে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে টিকাদান আগে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু টিকা নিতে পারবে না।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দেশে (১১ আগস্ট) পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
নবজাতকের সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে জাহিদ মালেক বলেন, এই সেবাকেন্দ্রে অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকরা বিশেষায়িত সেবা পাবে। আমাদের দেশে প্রতি ঘণ্টায় প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ জন শিশু মৃত্যু বরণ করে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই সেবা চালুর মাধ্যামে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতক মৃত্যুর হার কমে হাজারে ১০ থেকে ১২ আসবে।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী