অনলাইন
ঠাকুরগাঁওয়ে মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক এই মামলা করেন।
জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে তিনি এই মামলার আবেদন করেন।
এ মামলার আরেক আসামি হলেন,অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেয়া ইউটিউবার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদ হাসান ইউটিউবার নাহিদ হেলালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দৌহিত্রী জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য ও উপস্থাপকের আচরণ অশালীন, নারীবিদ্বেষী ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক। তাদের সেই সাক্ষাৎকার ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও অবমাননাকর কাজ করার অপরাধে এ মামলা করা হয়েছে।
জাইমা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ফলে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিরা তার বিরুদ্ধে মানহানিকর,অপমানজনক বক্তব্য ভিডিও ছেড়ে দিয়ে গর্হিত অপরাধ করেছেন বলে আইনজীবী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহে যেভাবে বদলে গেলো মুরাদের জীবন!
অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
বর্তমান বিরামহীন প্রযুক্তির বিকাশের যুগে যে কোন চাকরিতে পদোন্নতির পাশাপাশি চাকরি লাভের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতাকে একটি আবশ্যিক হার্ড স্কিল হিসেবে দেখা হয়।
২০২০ সালে মহামারি করোনা কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে দূর-দুরান্ত থেকে কাজের প্রয়োজনীয়তায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো লোক নেয়া থেকে শুরু করে নানা কাজে ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যারগুলোর ওপর নির্ভর করা শুরু করে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের এই সফটওয়্যারগুলোতে দক্ষতার বিষয়টিও অনস্বীকার্য হয়ে পড়ে। তাই চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউয়ের সুবিধার্থে এই ফিচারে থাকছে বহুল ব্যবহৃত পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
অনলাইন এ চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ সফটওয়্যার
জুম
বহুল জনপ্রিয় এই সফটওয়্যারে সম্পূর্ণ ফ্রিতে সর্বোচ্চ ১০০ জন ৪০ মিনিট ধরে মিটিং করতে পারে। আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট সময়ে মিটিং ঠিক করে তার লিংক সবার সাথে শেয়ার করা যায়। মিটিংয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আছে পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত মিটিং লিংকের ব্যবস্থা। মিটিংয়ের লিংক ক্লিক করার পর সেই পাসওয়ার্ড দেয়ার পরেই কেবলমাত্র মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা যায়৷ এর জন্য মিটিংয়ের প্রত্যেককে জুম অ্যাপটি তাদের নিজ নিজ ডিভাইসে ইনস্টল করতে হয়।
আনসার আল ইসলামের অনলাইন প্রধান গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হাসিবুর রহমান ওরফে আজম আল গালিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
হাসিবুর রহমান পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাসিবুরের সাথে টেলিগ্রামের মাধ্যমে ‘জায়েদ ইবনে আলী’ এবং ‘শাফায়েত মুসান্না ঈসা’র পরিচয় হয়। এরপর তারা একই মতাদর্শ প্রচার এবং সদস্য নিয়োগের কাজ একসাথে শুরু করে। জায়েদ এবং শাফায়েতের সাথে হাসিবুর, আনসার আল-ইসলামের মতাদর্শ প্রচারে মৌলবাদী অনলাইন ‘ত্রি-রত্ন’-এর প্রধান হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া হাসিবুরের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনে প্রাথমিকভাবে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম অ্যাপসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী কনটেন্ট পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ‘জায়েদ ইবনে আলী’ ও ‘শাফায়েত মুসান্না ঈসা’ আইডির অপারেটর আল আমিন সিদ্দিকী এবং নারী জঙ্গি জোবাইদা সিদ্দিক নাবিলাকে সিটিটিসি গ্রেপ্তার করেছে।
হাসিবুর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শের বিভিন্ন বক্তব্য ছড়িয়ে দিতেন। নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছায়াতলে রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য ছিল তার। এই লক্ষ্যে, তিনি তথাকথিত সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যকারিতা বর্ণনা করে বিভিন্ন পোস্ট করে তরুণ প্রজন্মকে সহিংস চরমপন্থায় প্ররোচিত করেছেন, সিটিটিসি প্রধান বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হাসিবুর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করেন এবং ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় সহিংস চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের আদর্শের সাথে পরিচিত হন। এ সময় তিনি বিপুল সংখ্যক চরমপন্থী বই পড়তে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
রাজধানীতে এটিএম বুথের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুটের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় বাবা মা গ্রেপ্তার
করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। আর এই ক্লাসে ফেরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিতে নজরদারীতে এনেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।শিক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালকের অধীনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাটি পরিচালনা হচ্ছে। এতে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী কারও মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্বক্ষণিক মানসিক বিষয়ক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাবে। এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সর্বদা গোপনীয়তা রক্ষা করে সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুরুষ ও নারী আলাদাভাবে দুইজন করে শিক্ষক ছাত্র উপদেষ্টা বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: করোনার দীর্ঘ ছুটিতে নতুন আঙ্গিকে শাবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রকরোনাকালীন প্রথম থেকেই অনলাইন কার্যক্রমে সচল ব্যবস্থাপনা চালু রেখেছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্লাসের আক্ষেপটি দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। এছাড়াও দীর্ঘ এই ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী তোরাবি বিনতে হক, একই বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের আছিয়া আকতার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের তৌহিদুল আলম প্রত্যয়ের আত্মহত্যা ও রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাঁদিয়েছে শাবিপ্রবিয়ানদের হৃদয়কে। চলতি বছরের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির ও ১৬ অক্টোবর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাগুলো শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি করেছে।দীর্ঘ ছুটির পর ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারজানা আকতার বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে গত দেড় বছরে শাবিপ্রবি থেকে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষকে আমরা হারিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচজন আত্মহত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। একজন মানুষ কতোটা অসহায় হলে আত্মহত্যার মতো কঠিনতম সিদ্ধান্তে চলে যায় তা হয়তো আমরা জানি না। কিন্তু কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক ও শারিরীকভাবে সুস্থ্ থাকার জন্য একজন মনোবিজ্ঞানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা-ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মহোদয়গণ অনলাইনে নানা সময়ে বিভিন্ন সেশন, আলোচনা অনুষ্ঠান ইত্যদির আয়োজন করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী যারা মাত্র দেড় মাস ক্যাম্পাসে কাটানোর পর দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কাটিয়ে এখন একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে ফিরছেন তাদেরসহ সকল শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায় কিংবা কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা পরামর্শ দিয়ে যাবেন এবং শিক্ষার্থীরাও পরিবেশ-পরিস্থিতির এই নানা উত্থান-পতনে হতাশাগ্রস্থ না হয়ে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার চেষ্টা করবেন বলে আশা রাখছি।অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী প্রবাল বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর আমরা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। এই মহামারিতে যদি মানসিক অবস্থা চিন্তা করি তাহলে একপ্রকার বলা যায় শোচনীয় অবস্থায় ছিল। অনলাইন ক্লাসে যেহেতু আমাদের পাঠদান সম্পন্ন হচ্ছিল, ডিভাইস সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ফ্যামিলির সমস্যা আরও অনেক ধরনের সমস্যার কারণে ক্লাসে ভালোভাবে উপস্থিত হতে পারি নি। যেহেতু ক্লাসগুলো এখন সশরীরে হচ্ছে সেহেতু ক্লাসগুলোতে আমরা নিয়মিত উপস্থিত হতে পারছি এবং আমরা মানসিকভাবে সতেজ থাকতে পারছি।
হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ বিশেষ করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইনডোর- আউটডোর খেলাধুলা এবং এক্সট্রা কারিকুলার কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের নির্মল মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জায়েদা শারমীন বলেন, করোনার মতো মহামারি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্যই আসলে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এসেছে। আর এই চ্যালেঞ্জের বড় একটা বিষয় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিষয়টি আরও বড় ধরনের গুরুত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে না
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক দিন বাসায় থাকায় একদিকে যেমন তাদের মধ্যে একঘেয়েমিতা দেখা দিয়েছে তেমনি কিছুটা সেশন জ্যাম তৈরির ফলে চাকরির বাজারে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতাও একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ ধরনের মানসিক চাপ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ধৈর্যের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। শিক্ষক –শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা -কর্মচারী সকলের মানসিক বিষয়টি প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য কাউন্সেলিং সেলের নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তাতে সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা বলেন, দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা আগের মতোন নাও মনে হতে পারে এডজাস্টমেন্টের ক্ষেত্রে। সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। অনলাইন, সশরীরে, মুঠোফোনে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে। ডিপার্টমেন্ট ও হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় কাউন্সেলিং, ফলোআপ, মেডিসিনের বিষয়গুলোতে সেবা থাকছে।শাবিপ্রবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.আলমগীর কবীর বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় বিবেচনায় তৎপর। বর্তমানে করোনার এই দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরা অনেক শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমাধানে চেষ্টা করছি। এই বিষয়গুলো আমাদের নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, লম্বা একটি ছুটি কাটিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ একটা সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যস্ততা ভুলে অন্য একটি পরিবেশে মিশে ছিল। আর এই সময়টিতে হল, মেস, বাসা, বিভাগ যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো মানসিক সমস্যা তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের বলবো আমাদের কাছে চলে আসতে । আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবা চালু রেখেছি। শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার সংকট নিরসনে আমাদের সাইকোলজিস্টসহ শিক্ষক উপদেষ্টাদের আন্তরিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা তাদের মানসিক ভীতি দূর করতে সহায়তা করবে। আমরা চাই প্রতিটা শিক্ষার্থী মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন পার করে তাদের ভবিষ্যত জীবনেও সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সবধরনের সমস্যা নিরসনে আমাদের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগ, হলসহ সকল দপ্তরে শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতার কমতি নেই। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের প্রতিটি দপ্তরে নির্দেশনা দেয়া আছে। স্ব স্ব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সকলে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশকে পাঁচটি নৌ জাহাজ দেবে যুক্তরাজ্য
দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে পাঁচটি নৌ জাহাজ দেবে যুক্তরাজ্য।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার লন্ডন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যোগদানকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, একবার সংগ্রহ করা হলে, এই জাহাজগুলি বিশাল সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষায় সহায়তা করবে। এছাড়া বাংলাদেশ নীতিগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার গ্লাসগোতে ২০২১ সালের জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ২৬) সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসে যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ স্থাপনার (সিএসজি২১) ফ্রিগেট এইচএমএস কেন্টকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে,ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের অংশ হিসাবে এইচএমএস কেন্টের মোতায়েন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং একটি উন্মুক্ত ও স্থিতিস্থাপক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। যেখানে উন্মুক্ত সমাজ ও অর্থনীতি ক্রমাগত বিকাশ লাভ করছে এবং বাণিজ্য ও সমৃদ্ধির সুবিধাগুলি ভাগ করে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের রণতরির বাংলাদেশ সফর
শাবিপ্রবিতে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোও খুলে গেছে। ভার্চুয়াল থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)।করোনাকালীন সময়ে প্রথম থেকেই অনলাইন কার্যক্রমে সচল ব্যবস্থাপনা চালু রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুটি সেমিস্টারের ক্লাস-পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করতে পেরেছে। যা শিক্ষার্থীদের সেশনজটের মানসিক চিন্তা থেকে অনেকাংশে স্বস্তি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
মঙ্গলবার সশরীরে ক্লাস শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি, ব্যবসায় প্রশাসনসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ। দীর্ঘ দিন পর সহপাঠীদের একসাথে ক্লাসে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন পর ক্লাসে ফেরায় বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে গিয়ে দেখা যায় বিভাগটিতে অবকাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ল্যাব কক্ষ, নতুন ফার্নিচার সংযোজন, নতুন চেয়ার টেবিল সংযোজনসহ বাড়তি সৌন্দর্য বিদ্যমান। এছাড়াও সশরীরে ক্লাসে ফেরা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি থাকছে শতভাগ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিতক্লাসে ফেরার আনন্দের অনুভূতি জানিয়ে বাংলা বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রোহিতুজ্জামান নাজমুল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন পর এই ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দ কাজ করছে। দীর্ঘদিন পর সেই পরিচিত মুখ, সেই পরিচিত ক্যাম্পাস, এ যেন এক নতুন অনুভূতি।বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, আজকে আবারও আমাদের সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হল। করোনা পরবর্তী শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করছে। করোনার এই সময়ে একাডেমিক যতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য সর্বত্র চেষ্টা থাকবে।উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার টিকার অন্তত এক ডোজ যেসব শিক্ষার্থী নিয়েছেন শুধু তারাই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন এবং সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে করোনাকালেও খাদ্যের সংকট নেই। দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করা।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যতম লক্ষ্য হলো সকল মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। আমরা মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবারের নিশ্চয়তা চাই। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণ ছেড়ে আ’লীগ পালাবে না: কৃষিমন্ত্রী
সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ও আংশিকভাবে উপস্থাপন করে দুয়েকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু ভুঁইফোঁড়, লালকাগজ, সবুজকাগজ পত্রিকা একদম ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে, যার কোন সামান্যতম ভিত্তি নেই। কোন লিডিং বা শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে নি। তবে ভুঁইফোঁড় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যাছাই-বাছাই না করে কিছু শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তা প্রচার করেছে, প্রবন্ধও ছেপেছে। তারা খবরের সত্যতা, সঠিকতা ও সূত্র ভালভাবে যাছাই করে নি। এদেরকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১০.৭৭ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮.২৬ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রদায়িক হামলা: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট
দুর্গাপূজা চলাকালে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিচারিক হাকিম দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহাসহ দুইজন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আগামী বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন ধরনের পোস্ট, ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ফোনে আড়িপাতা রোধে করা রিট খারিজ
ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ
আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজতর করতে ডিজিট্যাক্স নামক একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন নিয়ে এসেছে দেশ ইউনিভার্সেল নামক একটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর কার্যালয়ে ডিজিট্যাক্সের এ অনলাইন ট্যাক্স অ্যাপলিকেশনটি উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন।
এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ফরম ও সম্পদের হিসাব-নিকাশ এখন অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পূরণ করা যাবে। ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর পরিশোধ ও রিটার্ন ফাইল দাখিল। বাসায় বসেই নেয়া যাবে আয়কর সংক্রান্ত যেকোনো সেবাও।
ডিজিট্যাক্সের মূল ফিচার বর্ননা করে প্রতিষ্ঠানটির টিম মেম্বার সৈয়দা নুসরাত হায়দার বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন লেভেলের টেক্স পেয়ার রয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশই আয়কর ক্যালকুলেশন এর নিয়মাবলী ও আইন কানুন যথাযথভাবে জানেন না। ফলে সুচারুভাবে রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। আমাদের সিস্টেমে রয়েছে আইন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় আয়কর গণনা পদ্ধতি যাতে করে ব্যবহারকারীরা সহজেই আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে, বাংলা ভাষায়ও সফটওয়ারটি ব্যবহারের পদ্ধতি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
করদাতা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রিটার্ন পূরণ করে নিজে আয়কর অফিসে জমা দিতে পারেন অথবা গ্রাহক যদি চান, তবে ডিজিট্যাক্সের পেশাদার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
ডিজিট্যাক্সের সিস্টেমটি এনবিআরের সাথে ইন্টিগ্রেট করতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমেই করদাতারা অনলাইনে তার রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার। এতে করে মেনুয়াল পেপার বেইজ সাবমিশন প্রয়োজন হবে না এবং সরকারও ডাটা এন্ট্রি ছাড়াই রিয়েল টাইম আপডেট পাবে বলে জানান তিনি।
করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক করদাতার ব্যক্তিগত আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। তিনি ছাড়া আর কেউ এ তথ্য দেখতে পাবেন না। করদাতা তার তথ্য সেইভ করে রেখে যেকোনো সময় তা আবার এডিট করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আয়করের আওতায় আনার জন্য এরইমধ্যে অনেক ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের সাথে ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা কাজ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে আমরা এই সফটওয়্যার টি ডেভলপ করেছি। ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইন্টিগ্রেটেড হয়ে একসাথে কাজ করতে পারবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আয়কর আইনজীবিরাও এর মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের কর সেবা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার।
অ্যাপলিকেশনটি উদ্ভোধন করে এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে কর দেয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। এতো বিপুল সংখ্যক করদাতাকে প্রচলিত পদ্ধতিতে করসেবা দেয়া সম্ভব নয়। করদাতাকে সেবা দিতে সব কিছু অনলাইন করা ও রিটার্ন দাখিল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি করার বিকল্প নেই। এনবিআর অনেক আগেই এ উদ্যোগটি নিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন ফরম পূরণ, দাখিল ও পেমেন্ট সিস্টেম চালু করছি। বেসরকারিভাবে ডিজিট্যাক্সের এগিয়ে আসা কর সেবাকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ আরও সহজতর হবে।
তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল অনলাইন করার পাশাপাশি এক নভেম্বর থেকে আমরা আয়কর মাস পালন করছি। করদাতারা স্বাচ্ছন্দে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, আয়কর আইন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম একটি আইন। এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এ আইন নিয়ে এতো বড় উদ্যোগ নেয়ায় ডিজিট্যাক্স প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ডিজিট্যাক্সের এ উদ্যোগটি করদাতাদের সহায়তা করবে। এর ফলে বিপুল মানুষকে রিটার্ন দাখিলে আগ্রহী করা যাবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিজিট্যাক্সের এডভাইজার ও দেশ ইউনিভা্র্সেল নির্বাহী পরিচালক মোসারাত নাইমা বলেন, ডিজিট্যাক্স একটি স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণের ওয়েব অ্যাপলিকেশন। রেজিট্রেশন করার পর করদাতা তার আয়ের তথ্য দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর গণনা হয়ে যাবে।
সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজের জন্য দেয়া হবে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’
দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, পঞ্চমবারের মত তাদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলা।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদেরকে দেয়া হবে এই ‘জয় বাংলা ইয়ূথ অ্যাওয়ার্ড’।এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ গঠনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে এবারই প্রথমবারের মতো দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার।
দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, হিজরা, দলিত ও অনগ্রসর সমাজকে নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনসহ ৩০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিতে ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন চলছে বলে সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে: হাইকোর্ট
একমাস ধরে চলা নিবন্ধন রবিবার শেষ হচ্ছে বলে সিআরআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপিতে আরও বলা হয়েছে,দেশের প্রতি তরুণদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব পালনে নেয়া উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানাতে পঞ্চমবারের মতো ফিরে এসেছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ছাড়াও মাঠপর্যায়ে রাস্তায় নেমে ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বহু যুবক ও যুব সংগঠন।
আ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে আগামী রবিবারের মধ্যে যুব ও যুব সংগঠনগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে ইয়ং বাংলা। ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইটে (http://jbya.youngbangla.org) এ পুরস্কারের জন্য আবেদনের করা যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ডকল্যাবে কসমস ফাউন্ডেশন পুরস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,জমা পড়া আবেদনগুলো ২৪ অক্টোবরের পর বাছাই করা হবে। পরে বাছাই করা সংগঠনগুলোর কাজ ও সমাজে তার প্রভাব দেখার জন্য মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণে যাবে ইয়াং বাংলা টিম। সেখান থেকে শীর্ষ ৩০ সংগঠনকে বেছে নেয়া হবে।
সামাজিক অন্তর্ভূক্তি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উন্নয়নে দুটি বৃহৎ ক্যাটগরিতে ১০টি পুরষ্কার দেয়া হবে।
সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংগঠন,যে সংগঠন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন,যুব উন্নয়ন,অতি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে তারা ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া যেসব যুব সংগঠন তাদের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে কোন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট’ এর অধীনে তারাও আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের জন্য শত পুরস্কার
এতে ছয়টি বিষয়ে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে,মাদক বিরোধী সচেতনতা অভিযান, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যক্রম,দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস,জরুরি প্রতিক্রিয়া, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা,শিক্ষা ও সামাজিক - সাংস্কৃতিক উদ্যোগ।
এছাড়া উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প,জননীতিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন,উদ্যোক্তা ও সৃজনশীলতা এই চার নীতিতে দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা।