অনলাইন
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাংলাদেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা এবং সরকারের ওপরও হামলা। এটি করে তারা সরকারের ওপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো সরকারের সাথে হিন্দু সম্প্রদায় এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা এই হামলাগুলো করেছে।’বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. দেলদার হোসেনের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মালেক এবং নওগাঁ জেলার সংসদ সদস্যরা সম্মেলনে বক্তব্য দেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে বিএনপি-জামাত। ভোটের সময় ভারত বিরোধী শ্লোগান কারা দেয়, এই বিএনপি দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোট কেন্দ্রে যেতে বারণ কারা করে, এই বিএনপি-জামাতই করে। কোরআন শরিফ যে একজন মুসলমান যুবক রেখে এসেছিল, সেটি তো তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সে ধরা পড়লে বোঝা যাবে কার ইন্ধনে সে এটি করেছে। সবকিছু যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মুখটা চুপসে যাবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী‘সরকার দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। আমরা মনে করি, শক্তিশালী বিরোধী দল গণতন্ত্রকে সংহত করে। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা চাইলেও বিএনপি শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি’র জোট থেকে অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছে, বিএনপির রাজনীতিও অনেকে ছেড়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন যে, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।’কুমিল্লা ও পীরগঞ্জের ঘটনার প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। সুতরাং যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছে এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেটি সরকার দমন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্রটা করেছিল তারা আরও ষড়যন্ত্র করবে। কারণ তারা সময়ে সময়ে এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের শুরুতে গুজব রটিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে এবং অতি সম্প্রতি পূজা মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। আমরা তাদেরকে দমন করেছি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র এবং কুচক্র পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে সেটি আমি মনে করি না।’
আরও পড়ুন: সকল সম্প্রদায়ের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ পৌঁছাবে স্বপ্নের ঠিকানায়: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে ধামইরহাট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতি আছে, তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য, প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের সুসম্পর্কের ওপর কালিমা লেপন করার হীন উদ্দেশ্যে দুর্গা পূজাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের সরকার দৃঢ় হাতে সেটি দমন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমাদের দল অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য হীন, তারা এ ধরনের আরও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। তাই আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো যে আপাতত এই দুস্কৃতিকারীরা নিবৃত্ত হয়েছে মনে হলেও আমাদেরকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ও অ্যান্টেনা যুক্ত একটি পাসপোর্ট যেখানে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক পরিচিতি অর্থাৎ ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই চিপের ভেতর সমন্বিত করা থাকে। ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশনের জন্য ভিসা চেকিং-এর লাইনে দাড়াতে হবে না। বরং তারা ইলেকট্রনিক গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন দেশের যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নির্ঝঞ্ঝাটভাবেই ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। চলুন দেখে নিই, কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন।
ক্লিনফিড সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সহজ কাজ ছিল না। ১৫ বছরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এরআগেও একবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে সেটি করা সম্ভবপর হয়নি। এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেভাগে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে এবং যে সমস্ত জায়গা থেকে কথা উঠতে পারে তাদেরকে অবহিত করে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি৷ সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্পাদক ফোরামের নেতৃত্বে সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আপনারা জানেন সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য সম্প্রচার, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে আমরা এব্যপারে উদ্যোগ নিয়েছি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে প্রস্তাব সেটার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত প্রথমে ৫০টি পত্রিকা সম্ভব হলে ১০০ টি পত্রিকার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টিক যে সার্কুলেশন সেটার ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি এটা অনেক ভালো প্রস্তাব, আমি এটা করতে চাই। আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হলো।
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং এর জন্য বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না এটি আসলে কিছুটা জানতাম। তবে এতো ভয়াবহ চিত্র সেটা জানা ছিলো না। এবিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ই- টেন্ডারিং হলেও যেন বিজ্ঞাপন যায়। আর আপনারা যে বকেয়ার কথা বলেছেন সেটা আমি জানি। অনেক পত্রিকার কয়েক কোটি টাকা করে বাকি আছে। কোর্টেও যে পড়ে আছে সেটা অবশ্য জানতাম না। এগুলা আমি জানলাম। দেশের মানুষ জানলেও মনে হয় ভালো হতো। কারণ এই বাকিটাতো থাকার কথা ছিলো না। বিজ্ঞাপনের টাকা প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। কেন বাকি পড়ছে এটা আসলে বিষয়।
আরও পড়ুন: ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বুধবার থেকে ফের মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এবিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে সকল মন্ত্রণালয়কে তাগাদাও দিয়েছিলাম। আমরা পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। আপনারাও বড় বড় মন্ত্রণালয়, বিচারপতির নজরে আনেন কোর্টে কতো কোটি টাকা বাকি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মনীতিহীন ভাবে, এভাবে এ মাধ্যমটা চলতে পারে না। অনেক নিয়মনীতি আছে কিন্তু যেগুলোতে নেই সেখানে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই: তথ্যমন্ত্রী
আগামী বছর থেকে নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে
আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব, আমরা আলোচনা করেছি আগামী বছর থেকে কোন অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’
আরও পড়ুন: অনুমোদন পেলো আরও ৮৫ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত এটা (চালুর পর নিবন্ধন দেয়া) রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্র্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এজন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যখন কোন অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হবে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি এটা যেন বুঝা যায়। ওখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।’
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপি টিভি খবর প্রকাশ করতে পারবে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে আমরা খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাস্তব সম্মত নয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সেখানেও একটা শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। (প্রচার সংখ্যা) অন্তত বাস্তবতার কাছাকাছি আনতে হবে। এই রকম অবাস্তব ও ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে থাকবে, সেটি হয় না। কিছু পত্রিকা আছে হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়, যেদিন ক্রোড়পত্র পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার, তিনিই প্রকাশক। ওনার একটা ব্রিফকেস আছে, পত্রিকাও ব্রিফিকেস বন্দি। ব্রিফকেসে করে সেই পত্রিকার অফিসে অফিসে বিলি করে বেড়ায়। এগুলো আসলে পত্রিকা নয়, আমরা সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২১০টির ব্যাপারে সব ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এগুলো বের হয় না সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয় না। আরও ২০০-এর বেশি আছে এই রকমের পত্রিকা। সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে, ধীরে ধীরে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে, এটি সংসদে পাস হলে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এমনকি অনলাইন মিডিয়ার সংবাদিকরাও আইনগত সুরক্ষা পাবে। এখন যে কথায় কথায় ছাঁটাই, বিনা নোটিশে ছাঁটাই, তুমি কালকে থেকে আসিও না- এগুলোর বলার সুযোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
মন্ত্রী বলেন , ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান) যখন পাঠাবে তখনই সেগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে । ’
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড নেই এমন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সংলাপ সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের দু-বছর আগে থেকে তাগাদা দিয়েছি, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলোকে ক্লিন ফিড চালাতে হবে। তাগাদা দেয়ার পর বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। মাস দেড়েক আগে সবার সঙ্গে বসেছিলাম, সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড কার্যকর হবে। এটি ছিল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।’
অনুমোদন পেলো আরও ৮৫ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
তথ্য মন্ত্রণালয় আরও ৮৫টি নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ২০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এসব পোর্টালকে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস-১ শাখার পৃথক দুই আদেশে নিবন্ধনের এই অনুমোদন দেয়া হয়।নিবন্ধিত সবগুলো নিউজ পোর্টালের মধ্যে ৬২টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন এবং ২৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রীনতুন নিবন্ধন পাওয়া অনলাইন পোর্টালের মধ্যে রয়েছে, ইএন.প্রথম আলো, ইপেপার.প্রথম আলো, নিউজ টুডে.কম.বিডি, ইপেপার.ডেইলি স্টার, সংবাদ.কম.বিডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪, খবরপত্র.কম, ডেইলি নওরোজ.কমসহ, আজকের সিলেট.কম, পল্লীনিউজ.কম, এবিসিবার্তা.কম, ঢাকাটুডে.কমসহ ৮৫টি নিউজ পোর্টাল।গত বছর ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সরকার দেশের ৯২টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন, ৮৫টি অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন দিয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য প্রায় দুই হাজার অনলাইন পত্রিকার আবেদন তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোনএর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করে বিটিআরসি। এ সময় দেশের বেশ কয়েকটি নিউজ পোর্টাল বন্ধ দেখায়। ওই সময় বেশ কয়েকটি নিবন্ধিত পোর্টালেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠকরা ঢুকতে পারেননি। এই অবস্থা চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। পরে নিউজপোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে অননুমোদিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হবে এবং অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের জন্য তালিকা আজ কালের মধ্যে বিটিআরসিকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
কয়েকদিন আগে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসসহ বেশ কিছু অনলাইন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিটিআরসি অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে নিবন্ধিত এমনকি সরকারি ওয়েবপোর্টালও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি ভুল বোঝাবুঝির কারণেই হয়েছে। সেটি খুব দ্রুত নিরসন হয়েছে। আমরা আমাদের কাছ থেকে তালিকা পাঠাবো যে সমস্ত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন পোর্টাল বন্ধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনলাইন পোর্টাল অনুমোদন যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল যেগুলো আসলে গর্হিত কাজ করে কিংবা সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয়, গুজব রটায় কিংবা ভুল সংবাদ প্রচার করে সেগুলো বন্ধের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সেই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে খুব সহসা আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই বা কাল সকালে বিটিআরসিকে তালিকা পাঠাতে। আমাদের কাছ থেকে তালিকা পেলে তারা সেগুলো বন্ধ করবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, কোর্টকেও আমরা জানাবো, বিটিআরসিও জানাবে যে অনলাইন পোর্টাল বন্ধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সবকিছু হুট করে বন্ধ করলে, আমার বিবেচনায় সবগুলো একসাথে বন্ধ করে দেয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। সেই বিষয়টা কোর্টকে অবহিত করব। আমরা পর্যায়ক্রমে অননুমোদিতগুলো বন্ধ করব।
বিদেশে অপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে অনলাইনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপমন্ত্রীর
যারা বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না, বিদেশে বসে যারা দেশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে অপপ্রচার চালায়, তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রবিবার রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট অনলাইনে সোচ্চার হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। অবশ্যই আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করবো। তবে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক কর্মীরা দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।নওফেল বলেন, বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে কনক সারওয়ার, ডেভিড বার্গম্যানসহ যারা অপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের প্রতিহত করার জন্য রাজপথে প্রতিবাদের পাশাপাশি অনলাইনে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: এসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোন সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রীতালেবানের সঙ্গে তারেক রহমানের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে নওফেল বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন, তারা ক্ষমতায় আসার পর তালেবান নেতাদের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। আগের বার যখন তালেবান ক্ষমতায় আসলো, তখন আফগানিস্তানে বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠী সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে যায়। এদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খুন করার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে।শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, যারা খুনের রাজনীতি বিশ্বাস করে, পরিকল্পিতভাবে খুন করে, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই। আমাদের আহসানুল্লাহ মাস্টার সাহেবসহ অনেকেই তাদের হাতে খুন হয়েছেন। এ কারণে নেতাকর্মীদের এসব বিষয়ে আরও সোচ্চার ও সক্রিয় হতে হবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
দেশের আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি’র স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে ইভ্যালি’র গ্রাহক ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
আদেশের পর আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভ্যালি অনলাইন শপ থেকে গত মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে পণ্যটি কেনার একটি রশিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও পণ্যটি বুঝিয়ে না দেয়ায় যোগাযোগ করা হলে তাকে বার বার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পণ্যটি না পেয়ে এবং টাকা ফেরত না পেয়ে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্ট আজ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি অথবা ট্রান্সফার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নোটিশ ইস্যু করেছেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের গুলশান থানায় মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার গুলশান থানায় করা মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানায় এক গ্রাহকের করা মামলায় মোহাম্মদ রাসেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার সকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে রিটটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই অরেঞ্জের মতো ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
রিটে বাণিজ্যসচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব, অর্থসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টসহ ছয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। এছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
আরও পড়ুন: ‘ই কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আরজি জানানো হয়েছে এই রিটে
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা নিয়ে একটা অস্থির সময় যাচ্ছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ও ধামাকার মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেলকে। মামলা হয়েছে ধামাকার মালিকদের বিরুদ্ধেও। এরই মধ্যে হাইকোর্ট রবিবার লোভ কমাতে গ্রহকদের সচেতন করার তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বিধানে সহায়ক।’
বুধবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না বা আজকে যে সমস্ত পত্র-পত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্র-পত্রিকা বের হবে না, তেমন নিয়ম কোথাও নেই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রীএবিষয়ে আদালতের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং যেমন ইচ্ছা তেমন অসত্য সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটনায় ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে এটি কখনোই সমীচীন নয়, সেক্ষেত্রে আদেশটি অবশ্যই সহায়ক।’
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চলবে না: তথ্যমন্ত্রীআদালতের আদেশের লিখিত কপি পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘একইসাথে এটি যে একটি চলমান প্রক্রিয়া, একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন চলছে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসাথে বন্ধ করে দেয়া কতটুকু সমীচীন সে ভাবনার বিষয়গুলো আদালতের কাছে উপস্থাপন করবো।’