অর্থমন্ত্রী
বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
ঋণ দেয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে পেট্রোলিয়াম ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব পাননি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা (আইএমএফ) বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেলআউট ঋণ দেয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে- একটি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়।
দেশের স্বার্থে কোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়াতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা টাকা পাচার করেছে তারা যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে তা ফেরত আনে সে ব্যাপারে সবার উৎসাহিত করা উচিত।
কালো টাকা সাদা করার জন্য সরকারের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে নিজের অবস্থানের পক্ষে তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থার কারণে টাকা কালো হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ঠিক পথে এগোচ্ছে। তাই কয়েক মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণের অনুরোধ নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এর মানে এই নয় দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাকে অবস্থার দিকে তাকিয়ে আগের বক্তব্য দিতে হয়েছিল। আমি আমাদের দাবি প্রকাশ করতে চাইনি।’
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
গত বুধবার একই ধরনের সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন নেই এবং ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে কোনো তহবিল সহায়তা চাইবে না। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই গণমাধ্যমে খবর আসে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
তার গত সপ্তাহের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কামাল বলেন, কৌশলগত কারণে তাকে এমন বক্তব্য দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি দাবি আগে থেকে প্রকাশ করি, তাহলে আমার ওপর বোঝা ও খরচ অনেক বেশি হবে। এটা একটা দর কষাকষি। প্রত্যেককেই এটি করতে হয়।’
তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের কোনো শর্ত যেন দেশের স্বার্থবিরোধী না হয় সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তবে আইএমএফের কাছে পাঠানো ঋণ প্রস্তাবে কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে দেখব তারা কোন শর্তে ঋণ দিতে চায় এবং আমাদের কতটা নেয়া উচিত।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ চাওয়ার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানে এবং তারা জানে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে সক্ষম।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
বাজারে বর্তমান ডলার সংকট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা তথ্য গোপনে কেউ বা কোনো মহলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কামাল বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস রেমিট্যান্স ও রপ্তানি। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে। তবে আমদানিও বাড়ছে।
চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছে- একটি গণমাধ্যমের এমন খবর নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য কোনো প্রস্তাব করিনি; আইএমএফও আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত দুইটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল দেশে সফররত এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে, আইএমএফের একটি পরামর্শক কমিটি এখন দেশে সফর করছে যার কোনো ঋণ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কোনো বিষয় নেই। এই মুহূর্তে আমাদের আইএমএফ থেকে কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। আমরা কোনো অর্থায়নের জন্য কোনো অনুরোধ করিনি; আইএমএফ থেকেও কোনো প্রস্তাব আসেনি।’
আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়া হলেও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্ত বাংলাদেশ কখনোই মেনে নেবে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে যাদের ফ্ল্যাট বা জমি আছে তারা কালো টাকার মালিক: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আইএমএফের করা দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি, আইএমএফেরটা সহ। আন্তর্জাতিক মাল্টিপল ফাইন্যান্সিং এজেন্সিকে বাংলাদেশের ঋণ মাফ করতে হয়নি।’
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের ভিন্ন হিসাব রয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও উড়িয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশের হিসাব মতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । তবে আইএমএফের হিসাব মতে এটি আরও অনেক কম।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করছি।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশের বিষয়েও দ্বিমত পোষণ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি এই ধরনের সংখ্যা স্বীকার করি না। মুদ্রাস্ফীতি কখনো সাপ্তাহিক বা দৈনিক ভিত্তিতে গণনা করা হয় না... কোনো দেশই এমনভাবে হিসাব করে না।’
ইআরডির সাবেক সচিব মনোয়ারের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সচিব মনোয়ার আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার পিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শোক বার্তায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মনোয়ার আহমেদ একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন, যিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মনোয়ার আহমেদের সফল কর্মজীবন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কামাল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোয়ার আহমেদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে, যা শুক্রবার থেকে তা কার্যকর হচ্ছে।
এবারের বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য-‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২২ অনুমোদিত হয়।
এর আগে বুধবার কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে অর্থ বিল ২০২২ পাস হয়েছে।
সংসদীয় অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও বেসরকারি ব্যয় তহবিল নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করে সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন।
এর আগে, এসব দাবির মধ্যে বিরোধীদলের সংসদ সদস্য মোট ৬৬৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন, ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পরে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টি, বিএনপি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র সদস্যসহ মোট ১৩ জন সংসদ সদস্য বাজেটের ওপর তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
তারা হলেন-কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, পনির উদ্দিন আহমেদ, হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, মোকাব্বির খান, রুমিন ফারহানা এবং রেজাউল করিম বাবলু।
পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তবে এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর তারা আলোচনা করেন।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মধ্যাহ্নভোজের বিরতি না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাবি পাসের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে গিলোটিন প্রয়োগ করেন।
সংসদে বিলটি পাস হওয়ার সময় বিরোধী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা সভায় উপস্থিত থাকলেও বিল পাসের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তোলেননি।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে: বিএনপি
ঢাকা শহরে যাদের ফ্ল্যাট বা জমি আছে তারা কালো টাকার মালিক: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঢাকা শহরে যাদের ফ্ল্যাট বা জমি আছে তারা কালো টাকার মালিক।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিদ্যমান ব্যবস্থা তাদের কালো টাকার মালিক করেছে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভার্চুয়াল ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জমি বা ফ্ল্যাটের মালিকেরা তাদের প্রকৃত সম্পত্তির চেয়ে অনেক কম সম্পত্তির রেজিস্ট্রি করেন।
তিনি আরও বলেন , জমি ও ফ্ল্যাটের সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ফ্ল্যাট বা জমির মালিকেরা কর ফাঁকি দিতে অনেক কম হার দেখিয়ে তাদের সম্পত্তি নিবন্ধন করে, যা তাদের কালো টাকার মালিক করে তোলে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের দাম ১০ কোটি টাকা, সেই ফ্ল্যাট মালিক রেজিস্ট্রি করছে দুই কোটি টাকায়। ‘সুতরাং, সেই অর্থে ঢাকা শহরের প্রায় সব ফ্ল্যাট বা জমির মালিকই কালো টাকার মালিক।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে মানুষ কর ফাঁকির সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘যখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তখনই আপনাদের জানানো হবে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভার্চুয়ালি ব্রিফিং করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সরকার সব সময় ভার বহন করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
কামাল বলেন, ‘কিন্তু যখন দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন সরকার জনগণের সঙ্গে ভার ভাগ করে নেয়।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে এমন তথ্যের জবাব দেননি তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে কষ্ট কম দেয়া।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি উন্মোচিত ২০২২-২৩ সালের জাতীয় বাজেটে ঘোষিত পদক্ষেপের প্রভাব দেশের শেয়ারবাজার দেখতে পাবে।
শেয়ারবাজারের জন্য বাজেটে অনেক কিছু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী মাস থেকে বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হবে এবং তারপর এর প্রভাব দেখতে পাবেন।
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
সাত শতাংশ কর দিয়ে পাচার করা অর্থ বৈধ করার বিষয়ে বাজেট প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
রবিবার সংসদে তারা ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সমালোচনা করেন।
অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, যারা টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তা না হলে অর্থপাচার বিরোধী আইনের প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
পীর ফজলুর রহমান বলেন, যারা টাকা চুরি, অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছে তাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।
গাইবান্ধা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী অর্থমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি এই সাধারণ ক্ষমা পাসের পর চলমান মামলার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাটোয়ারী বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এই সাধারণ ক্ষমা লাভ করা যাবে না এমন একটি নীতি থাকা উচিত।
জাতীয় পার্টির সাংসদ বলেন, ভারতে এ ধরনের সাধারণ ক্ষমা দেয়া হলেও তা কোনো সফলতা আনতে পারেনি।
সিলেট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান দেশের শীর্ষ ১২ দুর্নীতিবাজের শাস্তি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা দেশের ৫০ শতাংশ দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারব, অন্যথায় আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।’
মোকাব্বির খান অভিযোগ করে বলেন,বড় বড় পদে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা বড় দুর্নীতিবাজদের ছোঁয়ার সাহস কর্তৃপক্ষের নেই।
কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত অর্থ পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটার কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তারা সৎ থাকলে দেশেই টাকা রাখত।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
সরকারি ব্যয়ে সংকুলান এবং বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করার যুক্তিতে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, `নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার প্রদান। অথচ অর্থপাচার রোধ আইন ২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ, দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তার দ্বিগুন জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে। এই সুযোগ অর্থ পাচার তথা সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।’
তিনি বলেন, যারা বৈধ উপার্জননির্ভর করদাতা তাদের জন্য এই প্রস্তাব প্রকটভাবে বৈষম্যমূলক, কারণ তারা ৭ শতাংশের কমপক্ষে তিনগুণ হারে কর দিয়ে থাকেন। এটি বৈষম্য ও সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী। অবিলম্বে এ সুযোগ বাতিল করতে হবে এবং অর্থপাচারকারীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিতের জন্য যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারিত রয়েছে তা অনুসরণ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান বিগত বছরগুলোর মতই কালো টাকা সাদা করার বেআইনি ও অন্যায় সুযোগের ধারাবাহিকতা মাত্র, যা স্থানিক থেকে বৈশ্বিক করা হলো।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা, আমদনি ব্যয় বেড়ে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মতো বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটগুলোকে স্বীকার করলেও এগুলোকে মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল বা পথ নির্দেশিকা দিতে পারেননি মন্তব্য করে ড. জামান বলেন, ‘প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীকে আরো বড় করার প্রত্যাশা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার তেমন কোনো নিদর্শন দেখা যায়নি। বরং সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয়কে বড় করে দেখাতে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, করোনার অভিঘাত উত্তরণে দেয়া ঋণের সুদ মওকুফকে অর্ন্তভূক্ত করে দেখানো হয়েছে, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর অংশই নয়।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যারা পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনবে তাদের কোনো প্রশ্ন করা হবে না, আইন করে তাদের সেই সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তার পদক্ষেপের পক্ষে তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ সিস্টেমের কারণে এই জাতীয় বেশিরভাগ অর্থ অঘোষিত ও পাচার হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশ অর্থ পাচারকারীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
সদ্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ঘোষিত একটি বিধান অনুযায়ী, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কোনো কর্তৃপক্ষ বিদেশে অবস্থিত কোনো সম্পদের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না যদি কোনো করদাতা এই ধরনের সম্পদের ওপর কর দেন।
বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ এবং বাংলাদেশে পাঠানো নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।
এই সুযোগটি ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার কিছু হাতিয়ার ব্যবহার করবে যাতে মানুষ পাচার হওয়া অবৈধ টাকা ফেরত আনতে উৎসাহিত হবে। তবে যারা যারা নিয়মিত কর প্রদান করে এটি তাদের নিরুৎসাহিত করবে না।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: সম্পূর্ণ অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা করেছেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রীর দাবি, প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সমাজের সকল অংশের জন্য বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য সুবিধা নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি এবং দারিদ্র্য থেকে বেড়ে উঠেছি। তাই, আমি দরিদ্রদের কষ্ট অনুভব করি।’
তিনি বলেন, নতুন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা-বেষ্টনী কর্মসূচির জন্য বরাদ্দসহ অনেক ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ দুর্নীতি ও ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে আয় করা হলেও নতুন বিধানের পর এ ধরনের বেশির ভাগ অর্থই ফেরত আসবে।
তিনি বলেন, জাতীয় বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাজারে চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সংকোচনের নীতি অনুসরণ করা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য ও পণ্যের দামের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সে কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: রেমিটেন্সের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি শিগগিরই ফিরবে, প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে যার প্রভাব স্থানীয় বাজারে পড়েছে। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং সময় এবং সরকার তার অভিজ্ঞতা থেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, রেমিটেন্স প্রেরকদের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনার কারণে বৈদেশিক রেমিটেন্স ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে এবং ৫০ বিলিয়ন বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করবে।
তবে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা কী পরিমাণ রেমিটেন্স বাইরে চলে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি বিরত থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এএসএম শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী