৯৯৯
সিত্রাং: ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়া ৮০ যাত্রী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযান থেকে ৮০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ –এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন বিকাল ৫টায় ওই নৌযানের যাত্রী আজগর নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তারা দুইজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পথে রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়েন তারা। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ার তোড়ে তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর।
কলার আরও জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দুর্গম চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানায় জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিস্পাচার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান চিলমারীর উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’র ইজারাদারকে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া দশটায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আবহাওয়া শান্ত হলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মারধর থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ চোরের ফোন
চুরি করতে যেয়ে আটকা পড়েন চোর। উপায় না পেয়ে সাহায্য চান জাতীয় সহায়তা কেন্দ্রে। ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধারের কথা জানান। ঘটনাটি ঘটে বরিশাল সদর থানার চর কাউয়া ইউনিয়নে।
ব্যক্তিটির নাম ইয়াছিন খাঁ (৪১)। তিনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা হলেও বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ধরা পড়ে স্থানীয়দের মারধরের ভয়ে ইয়াছিন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ একটি দোকানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে পেশায় তিনি চোর।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
ওসি জানান, ভোরে জরুরি সেবা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে চর কাউয়া ইউনিয়নের এআর খান বাজার এলাকায় বিপদে পড়েছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে তার মোবাইল নম্বরে কল করে জানা যায় সে ঝন্টু মিয়ার দোকানের ভেতরে আছেন।
দোকান থেকে বের হতে তার অসুবিধা কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের ইয়াছিন বলেন, চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগে যায়। সকাল হওয়ায় লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে মারধরের শিকার হতে হবে। তাই বুদ্ধি করে ৯৯৯ নম্বরে কল করেছি।
আরও পড়ুন: চোরের ঘুষিতে চাষির মৃত্যু
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোনে কলে কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া শিশুসহ ২০ সদস্যের একটি পর্যটক দলকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা ২০ সদস্যের পর্যটকের একটি দল রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে বেড়ানোর পর বিকালের দিকে ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেল ফুরিয়ে গেলে তারা হ্রদের মাঝখানে আটকে পড়ে। সেখান থেকে একজন ৯৯৯ এ কল দিলে বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন: সংঘর্ষে আটকে পড়া ২ চালককে উদ্ধার
তিনি জানান, খবর পেয়ে জেলা পুলিশের একটি টিম পর্যটকের দলটিকে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেকের পেদা টিং টিং এলাকা থেকে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্কে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কথিত ছিনতাইকারী দম্পতি আটক
উদ্ধার হওয়া পর্যটক মো. রাশেদ বলেন, বৃহস্পতিবার কাপ্তাই হ্রদে বেড়ানোর পর ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেল ফুরিয়ে গেলে কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়ি। এই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি, হ্রদে বড় বড় ঢেউ এবং বাতাসের গতিবেগে আমরা সবাই খুবই ভয় পেয়ে যাই এবং বোটে থাকা শিশুসহ সবাই প্রাণভয়ে কান্না করতে থাকে। এ সময় আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের একটি টিম আমাদের এসে উদ্ধার করে।
কামরাঙ্গীরচর থেকে ২ তরুণের লাশ উদ্ধার
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে দুই তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচর থানার মুসলিমবাগ এলাকার সুরভি প্লাস্টিক কারখানার পাশ থেকে দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের নাম মেরাজ (১৯) ও রুবেল (১৮)। নিহতেরা দুজন বন্ধু ছিলেন। নিহত মেরাজ পার্শ্ববর্তী একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনিরুদ্ধ জানান, কি কারণে ওই তরুণদের হত্যা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।
পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, নিহতেরা কিশোর গ্যাং এর আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ২ যুবকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাছা মিয়া সওদাগর বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ মুছা (৪২) ওই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। নিহত মুছার ভাগিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একাধিক মামলাও রয়েছে।
এসআই জানান, রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
৯৯৯ এ কল: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
বাগেরহাট সদরে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে একই দিন বিকালে ফকিরহাট উপজেলার গণ সোমপুর বাঁশবাড়ি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মাহামুদুল হাসান (২৩) একই গ্রামের বজলুর ছেলে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
সোমবার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফকিরহাট থানার উপপরিদর্শ (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, খুলনায় স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীর ফোন পেয়ে বাগেরহাট থেকে শুক্রবার রাতে রওনা দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এই সময় তাকে একা পেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক সুযোগ বুঝে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে। এ ধরনের অভিযোগ জানিয়ে ওই নারী রবিবার বিকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
তিনি জানান তিনি দু’দিন আগে অর্থাৎ শুক্রবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং স্বামীও অসুস্থ থাকায়, সেই সঙ্গে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এই ঘটনা কাউকে জানান নি। পরে স্বামীকে ঘটনাটি জানালে স্বামীর পরামর্শে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এবং এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর সঙ্গে ৯৯৯’এ কথা বলিয়ে দেন।
আারও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রাজধানীতে বন্ধ ঘরে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল কে এম মাহফুজুর তাৎক্ষণিকভাবে বাগেরহাট সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। এরপর সদর থানার চুলকাঠি তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি দল ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য এবং বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিকশা চালক মাহামুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
পরে অভিযুক্তকে ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং এ সংক্রান্তে উক্ত থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
গভীর রাতে মালাবাহী ট্রাক ছিনতাই: ৯৯৯ এ ফোন কলে উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক কলারের ফোন কলে নরসিংদী সদরের পালমারি এলাকায় ছিনতাই হওয়া এক মালাবাহী ট্রাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে জাতীয় জরুরি সেবা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার দিবাগত রাত পৌণে তিনটায় মহসিন নামে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান,তিনি ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে একটি মিনি ট্রাক যোগে কিছু আসবাবপত্র নিয়ে তার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত আড়াইটার দিকে নরসিংদী সদরের পালমারি এলাকায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাদের মিনি ট্রাকটি থামিয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী তাদের টাকা পয়সা ও মালামাল সহ মিনি ট্রাকটি ছিনতাই করে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন কলে দগ্ধ গৃহকর্মী উদ্ধার, আটক ১
৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল নাহিদ হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল নাহিদ তাৎক্ষণিকভাবে নরসিংদী সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়।
সংবাদ পেয়ে নরসিংদী সদর থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।
নরসিংদী সদর থানার এস আই জয় বণিক জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকৃত মিনি ট্রাকটিকে ধাওয়া করেন তারা। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা নরসিংদী সদরের সিলমার্দী,পাচদোনা এলাকায় রাস্তার পাশে মিনি ট্রাকটি রেখে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। মালামাল সহ মিনি ট্রাকটি উদ্ধার করে কলারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
ছিনতাইকারীদের আটকে প্রচেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল কিশোর, ৯৯৯ এ ফোন কলে উদ্ধার
যুবককে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, আটক ২
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে একজনের কল পেয়ে মো. সোলায়মান হক (২৪) নামে অপহৃত যুবককে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই সহোদর তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামলেন্দু ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন-লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার বড়খাতা এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে লিপি বেগম (২৭) ও তার ছোট বোন সীমা বেগম (২৫)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: সরকারি বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষিকা আটক
মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি সেবায় কলার জানান, তার বন্ধু, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিল। এরপর তার বন্ধুর ফোন থেকে তাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পাঠালে তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে আটক হওয়ার আগে তার বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থানের গুগল ম্যাপ লোকেশন কলারকে পাঠিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী কলার জানান তার বন্ধু আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনে আটক আছেন।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানায় এবং কলারের সঙ্গে কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি নিয়ে গাছের ডালে, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনা স্থলে যায়। পরে আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ ৯৯৯ কে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখার বাড়িটি চিহ্নিত করেন গাজীরচটে তাহের পাটোয়ারীর বাড়ি ‘কুসুম ভিলা’। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী মো. সোলায়মান হককে উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে লিপি বেগম ও সীমা বেগমকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকালে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে মোহাম্মদপুর ফিউচার টাউনে এই ঘটনা ঘটে।
আটক বিল্লাল (২০) ভোলার লালমোহন উপজেলার চরচহিনা গ্রামের ইউনুসের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি নিয়ে গাছের ডালে, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, রবিবার সকালে বিল্লাল নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে ওই কিশোরীর মধ্যে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী কিশোরী (১৬) গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিল্লাল নামে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: সরকারি বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষিকা আটক
৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
লালমনিরহাট সদরের কালিবাড়ি খাদ্য গুদামের সামনে থেকে রাস্তায় ফেলে যাওয়া এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় এক ব্যক্তি কালিবাড়ি খাদ্য গুদামের সামনে থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল করে জানান, সেখানে রাস্তার ওপর একটি নবজাতক শিশুকে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে। ঠান্ডায় শিশুটির শরীর নীল হয়ে গেলেও শিশুটি বেঁচে আছে।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সজীব দাশ । কনস্টেবল সজীব তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে লালমনিরহাট সদর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রাজধানীতে বন্ধ ঘরে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) রফিকুল ইসলাম ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা একদিন বয়সী (আনুমানিক) নবজাতক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহা আলম জানান, ক্রিটিকাল কন্ডিশন হওয়ায় বাচ্চাটি সদর হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।