যুক্তরাষ্ট্র
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ মারা গেছেন
কুয়েতের শাসক আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ (৮৬) মারা গেছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করা হয়েছে।মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার আমিরি আদালতের মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল সাবাহ একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পাঠ করেন।
এতে বলা হয়, ‘খুব শোক ও দুঃখের সঙ্গে আমরা কুয়েতের জনগণ, আরব ও ইসলামিক দেশগুলো এবং বিশ্বের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে জানাচ্ছি, আজ মহামান্য আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’
তবে কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর কোনো কারণ জানায়নি।
শেখ নওয়াফের সৎ ভাই শেখ মেশাল আল আহমাদ আল জাবের (৮৩) এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক যুবরাজ।তিনি কুয়েতের শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিবেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৩২
নভেম্বরের শেষ দিকে শেখ নওয়াফকে অজ্ঞাত অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকেই ক্ষুদ্র তেল সমৃদ্ধ দেশটির জনগণ তার সুস্থতার সংবাদের অপেক্ষায় ছিল।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, তিনি ২০২১ সালের মার্চ মাসে শারিরীক পরীক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।২০২০ সালে তার পূর্বসূরি প্রয়াত শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহের মৃত্যুর পরে আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ।
কূটনীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত শেখ সাবাহের মৃত্যুতে সমগ্র অঞ্চল শোক পালন করছে।শেখ নওয়াফ এর আগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে শেখ নওয়াফ একটি সাধারণ ক্ষমা ডিক্রি জারি করে প্রায় অর্ধশতাধিক কুয়েতি ভিন্নমতাবলম্বীর শাস্তি ক্ষমা এবং হ্রাস করে একটি বড় সরকারি অচলাবস্থাকে প্রশমিত করেন।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে তিনি তার অসুস্থতার ঠিক আগে আরেকটি নির্দেশ জারি করেছিলেন।যার ফলে তার শাসনামলে কুয়েতে তিনটি পৃথক সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
কুয়েতকে উপসাগরীয় মুক্ত সংসদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে ভিন্নমতের অনুমতি দেয়।
এছাড়া, তার শাসনকালে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের রাষ্ট্রগুলো দোহাকে বয়কটের কয়েক বছর পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছে, আঞ্চলিক উত্তেজনা কমেছে এবং শেখ নওয়াফ অভ্যন্তরীণ সঙ্কট সমাধানে মনোযোগ দিয়েছে।
কুয়েতে প্রায় ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের বসবাস, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির চেয়ে সামান্য ছোট এবং বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলের মজুদ রয়েছে এখানে।
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকেই কুয়েত কট্টর মার্কিন মিত্রদেশ।
কুয়েতে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জন আমেরিকান সৈন্য রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে নির্বাচন সহিংসতামুক্ত পরিবেশে হোক: মুখপাত্র
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসে পরপর অগ্নিসংযোগ, রেল ট্র্যাক অপসারণ, অবরোধ চলাকালীন ট্রেনের কোচে পেট্রোলবোমা হামলার কথা উল্লেখ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী মনে করছে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে কি না।
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম উপাদান হলো নির্বাচনটি সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে এই মঞ্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে বলতে শুনেছেন আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই।’
গত ১৩ ডিসেম্বর মিলার সব পক্ষকে সংযম বজায় রাখতে এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, কারণ এটা রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাক্ষাৎ
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
১৪ ডিসেম্বর (যুক্তরাষ্ট্র সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ও ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সেক্রেটারি অব লেবার বাংলাদেশের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের অধিকার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
তারা বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে দুই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত থাকতে এবং পক্ষগুলোর উদ্বেগ আরও বুঝতে সম্মত হন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি'র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) সেলিম রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তারা বহির্বিশ্বের কোনো চাপে নেই, তারা অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ তার দল একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের চাপ। তবে আমরা এটা করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘এনারজাইজিং বাংলাদেশ’স ইয়ুথ ওয়ার্কফোর্স ফর গ্লোবাল সাকসেস’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, বহির্বিশ্ব আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এবং তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সহিংসামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: বক্তারা
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা জনগণের রায় চাই। আমরা চাই বিপুল সংখ্যক জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে। এগুলো আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, তিনি মনে করেন বিরোধী দল বিএনপি যা করছে তা যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না। ‘আমার ধারণা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর ব্যাপক অসন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির গণতান্ত্রিক আচরণ পায়নি। ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরাও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক তফাৎ নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রকৃতি তুলে ধরে মোমেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর পরামর্শকে গুরুত্ব দেয় এবং যেগুলো জাতির জন্য উপকারী সেগুলো গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে 'ডিপ ফেকের' উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে 'ম্যানেজ' করতে পারবেন।
জবাবে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মতপ্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মতপ্রকাশ সমসাময়িক বিষয়ে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিলার আরও বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে তারা 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না, বরং যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কারণ এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৫ সদস্যের কাউন্সিলে ১৩ সদস্য পক্ষে এবং একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।
এতে গাজায় ইসরায়েলের মাসব্যাপী বোমাবর্ষণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্ন অবস্থান এবং তার কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান ফাটল লক্ষ করা যায়।
যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ফ্রান্স ও জাপানও ছিল।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ বলে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এই অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ প্রধানকে।
গুতেরেস গাজায় সৃষ্ট ‘মানবিক বিপর্যয়’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, সামরিক অভিযান বন্ধ করা হলে হামাসকে গাজা শাসন চালিয়ে যেতে এবং ‘পরবর্তী যুদ্ধের বীজ রোপণ করার সুযোগ দেবে’।
ভোটের আগে উড বলেছিলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান চায় না হামাস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে চায়, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা উভয়েই যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে। তাই আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করি না।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় ১৭ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত এবং ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক সদস্যদের মৃত্যুর আলাদা করে কোনো হিসাব দেয়নি।
তবে তারা জানায়, নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষের প্রায় ১২০০ জন মারা গেছে।
নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানার শোক
যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর দ্বিতীয় মেয়ে নাদিহা আলীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
টুঙ্গিপাড়া সফরকালে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয় মোহা. নূর আলীর। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে অবস্থান করছিলেন নূর আলী।
এ ছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও ফোনে মোহা. নূর আলীর সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নাদিহা আলীর অকাল মৃত্যুতে নূর আলীকে সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা জানান।
তারা নূর আলীর মেয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। পাশাপাশি পরিবার যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর মেয়ে নাদিহা আলীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ.লীগ নেতা আল মামুনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনুমান করতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ৪ ডিসেম্বর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো অনুমান করতে যাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর আগে বেশ কয়েকবার যা বলেছি, আমি তাই বলব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে বাইডেনকে দেওয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি সম্পর্কে অবগত নই: মার্কিন মুখপাত্র
মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আইপিইএফ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করছে ওয়াশিংটন: মার্কিন মুখপাত্র
শ্রম আইনের সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে: বাণিজ্য সচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও শ্রম আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার সভা করেছি। আমাদের কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে আরও কী করতে হবে, তা নিয়েই কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য দেশগুলো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অঙ্গীকার দেখতে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল। তাদের চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য এসব সংস্কার এনেছিলাম।
তিনি বলেন, গেল ১০ বছরে আমরা অনেক সংস্কার এনেছি। যে কারণে শ্রম আইনে তিনবার সংস্কার আনা হয়েছে। চারবার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পায়নের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়েও সোমবার কথা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
কোথায় কোথায় সমস্যা আছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের বাণিজ্যে যারা বড় অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করি। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। বরং পৃথিবীর মধ্যে বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছি। কিন্তু তাদের কিছু দাবি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনগুলো অনুমোদন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের শ্রম আইনে একটা ন্যূনতম থ্রেশহোল্ড আছে, একটি কারখানায় মোট শ্রমিকের ২০ ভাগ সদস্য যদি সংগঠন করতে চায়, তাহলে সেটা করতে পারবে। এটাকে ১০ শতাংশ করার দাবি তারা করেছিল, আমরা ১৫ শতাংশ করে দিয়েছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বেপজা আইনের ক্ষেত্রে সংগঠন করার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন বলি না, আইনে সেটাকে বলা হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তারা বলে যে ট্রেড ইউনিয়ন প্রবর্তন করতে হবে। বিষয়টি প্রায় একই। এখনও সংগঠন হচ্ছে, তখনও সংগঠন হবে। কিন্তু নামটি যেন শ্রম সংগঠন হয়। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বেপজা আইনটা সংশোধন করা হবে। সংশোধনটা কীভাবে হবে, সেটা সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মোটাদাগে দুটি জিনিস তারা দাবি করেছে। তারা চাচ্ছে বেপজাতে শ্রম সংগঠন করার অধিকার দিতে আর থ্রেশহোল্ডটা কমিয়ে আনা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমঝোতায় যেসব ইস্যু ছিল, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সেটা কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর একটা উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকায় এসে সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ যে সংস্কারগুলো নিয়ে এসেছে, সেগুলোর প্রশংসাও করেছেন।
সচিব বলেন, তারা বলেছেন আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন তাদের চাওয়াগুলো আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ যেহেতু শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেহেতু তাদের চাওয়াগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়।
তপনকান্তি বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল এই পাঁচ বছর মেয়াদি। সেক্ষেত্রে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
বেপজা আইনের সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশীজন যারা আছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। এরইমধ্যে বেপজা আইনে অনেকগুলো সংশোধন আনা হয়েছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, বিশেষ করে আইএলও আইনে ত্রিপক্ষীয়ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাও সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষ মিলে ঠিক করবে, কীভাবে করা হবে। বেপজার শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, তাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে, যেমন বেপজা আইনে সংস্কার করা হয়েছে, শ্রম আইনটিই বেপজার মতো প্রযোজ্য হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, এ অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এজন্য কয়েকদিন লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব