দীপু মনি
আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে একটি মাত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।
বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজ মাঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিজ্ঞান মেলা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা ছিল। আগামীতে এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, র্যাগিং সামাজিক সমস্যা। সমম্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
এজন্য তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া বিজ্ঞান মেলায় ১৮টি কলেজ অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে নারী ও পুরুষের সমান ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষের সকল বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়া নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, তিনি আমৃত্যু শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল অগ্রগতি-অগ্রযাত্রায় নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রোটারি ভবনে উদ্যোক্তাদের মেলা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের কাজটা করে যেতে হবে। নারীদের প্রযুক্তি শিখতে হবে। নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুরের মেয়েরা বহুকাল আগে থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সস্কৃতিতে এগিয়ে আছে। এখনও দেশে-বিদেশে চাঁদপুরের মেয়েরা তাদের কর্মদীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরে চাঁদপুরে অসংখ্য নারী উদ্যোগতা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর উইমেন চেম্বারের আয়োজনে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে। এটি নারীদের প্রেরণা দিতে একটি মহৎ উদ্যোগ।
আমি এ মেলার আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল- ২০২৩ মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য একটি বিজনেস ইনকিউবেটর থাকবে।
এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সকল সহযোগিতা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনও উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিলে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা কমিটি যৌন হয়রানি, সহিংসতা ও র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটকে প্রস্তাব দেবে।
এতে বলা হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেবেন। তবে দুই মেয়াদে কাউকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হবে না।
চ্যান্সেলর চার বছর মেয়াদে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করবেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। এছাড়া আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনি করি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রী দু’দিনের সফরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে আসেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ ও দেশ-এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা কখনও স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
এছাড়া মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কেউ না খেয়ে থাকবে আর কেউ অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কথা। বই না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে বলব, আমাদের ওয়েব সাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে, কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ঠিক পিতার মতো। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদের দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হবো এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এরপর তাঁর নির্বাচনী এলাকার অংশ হাইমচর উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারের বাচ্চু সরকারের বাড়ী, পুরান বাংলাবাজার ওসমান প্রধানিয়া বাড়ী ও সৈয়দ মেম্বারের বাড়ীতে উঠান বৈঠক এবং নতুন সাহেবগঞ্জ বাজারের জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটা এখন পুরোপুরিই মৃত এবং বহুদিন থেকেই মৃত। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটাকে বিতর্কিত করে নষ্ট করে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি।
শনিবার চাঁদপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে অসহায় দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: দীপু মনি
তিনি বলেন, তারা বিচারপতিদের বয়সসীমা বাড়িয়ে যখন নিজেদের আজ্ঞাবহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি করে, তখন তারা পুরো এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে ফেলেছে। তারপর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা একেবারেই অযৌক্তিক।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপির অন্য কোন ইস্যু নাই। তারা এখন মরিয়া হয়ে একটি ইস্যু তৈরী করবার চেষ্টা করছে। কারণ কোন ইস্যু নিয়ে তারা মাঠে দাঁড়াতে পারছে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন মানুষ যে অবস্থায় আছে, তা যেকোন সময়ের তুলনায় তারা এখন ভাল অবস্থায় আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, মানুষের পেটে ভাত আছে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, আমাদের পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। হাতে হাতে মানুষের মোবাইল এবং সে মোবাইল ব্যবহার করে নিজের কত রকমের কাজ করছেন।
এছাড়া এখন একটি বৈশ্বিক সংকট সারা পৃথিবীতে চলছে। এরপরেও এখন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দীপু মনি বলেন, যখন বাংলাদেশ মান মর্যাদায় উন্নত হয়েছে, সে সময়ে তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে আছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তাদের যে দুঃশাসন ছিল, তাদের যে ব্যাপক দুর্নীতি ছিল, সেগুলোর কারণে জনগণ তাদেরকে পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছিল।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান প্রমুখ।
এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলাতানা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি জানান, আগামী রবিবারের মধ্যে এ দুই কমিটির বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের যে ভুলগুলো চিহ্নিত হচ্ছে সেটা খুব ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এ ভুলগুলো শনাক্ত করতে আমরা দুটি কমিটি করছি। একটি কমিটিতে আমাদের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। একই সঙ্গে পাঠ্যবই সংশোধনীতে একটি অনলাইন ফর্ম সরবরাহ করবে মন্ত্রণালয়। এ ফর্মে বিষয়ভিত্তিক বইগুলোর ভুল বা অসংগতি সম্পর্কে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে অবহিত করার সুযোগ থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিশেষজ্ঞরা নতুন করে সব বই পর্যালোচনা করবেন। বইয়ের মধ্যে যেসব ভুল চিহ্নিত হবে সেগুলো আমলে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সমাধান করবেন। সেসব সংশোধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্য কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনসিটিবির প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে। পাঠ্যবইয়ে ভুল-ত্রুটি ও বিতর্ক উঠা বিষয়গুলো কেউ ইচ্ছাকৃত যুক্ত করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: দীপু মনি
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
তিনি বরেন, এ বছরের পাঠ্যপুস্তকগুলো পরীক্ষামূলক এবং ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর পরেও ত্রুটি থাকতে পারে এবং সেগুলো সংশোধন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
নবম ও ১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ত্রুটি’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রকাশিত ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
তবে এই পাঠ্যপুস্তকগুলো নতুন নয়, এটি ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে। তবে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হতে পারে এবং সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি কেউ এই বইগুলোতে ত্রুটি খুঁজে পান, আমাদের জানান এবং আমরা তা সংশোধন করব।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া ভালো শিক্ষার্থী পাওয়া অসম্ভব। ‘রোট লার্নিং’ কার্যকর হচ্ছে না। এজন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আমরা কাজ করে শেখার উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। একজন শিক্ষক গাইডের ভূমিকা পালন করবেন।
প্রতিদিন মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষাও মজার হওয়া উচিত। আমরা শুধু সার্টিফিকেট পাই কিন্তু বলতে পারি না যে আমরা সত্যিই শিখেছি।
এছাড়া চাকরির বাজারে দক্ষতার ফাঁক রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষারও পরিবর্তন হবে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত থাকুক। আমরা চাই তারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় যাক।
এছাড়া তারাই সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বছরের জন্য বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের তিনটিতে পাওয়া নয়টি ভুল সংশোধন করেছে। এনসিটিবি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ এ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে সংশোধন পোস্ট করেছে।
এছাড়া ৯-১০ শ্রেণির তিনটি পাঠ্যবইয়ে ভুলগুলো ধরা পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস’-এ চারটি, ‘বাংলাদেশ অ্যানড গ্লোবাল স্টাডিজ’-এ তিনটি এবং ‘সিভিক অ্যান্ড সিটিজেনশিপ’-এ দুটি ভুল পাওয়া গেছে। এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে সমস্ত সংশোধন প্রদান করেছে।
এছাড়া বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক হাসিনা খান তাদের সম্পাদিত নতুন ক্লাস ৭ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া চুরির বিষয়বস্তুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে তারা দায়িত্বও নিয়েছে।
এছাড়া এ বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক ‘অনুসন্ধানী পথ’ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
আওয়ামী লীগ অতীতে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই করবে বলে বিশ্বাস করেন শিক্ষামন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন ও প্রাক্তন ছাত্রীদের পুনর্মিলনীতে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শনিবার অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ আওয়ামী লীগ সেই দল যা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য লড়াই করেছিল, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিজয়ী করেছিল। তারপরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পুনরুদ্ধারের সমস্ত আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যে কমিটি ঘোষণা করা হবে, তাতে নতুন ও সিনিয়রদের সমন্বয় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই যেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের এত বেশি অংশগ্রহণ রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশের জনগণকে কিছু দিতে পারেনি, বরং কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা, জুলুম ও নির্যাতন,আগুন সন্ত্রাস করেছে। জাতীয় নির্বাচন আসলে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং গুজব ছড়ায়। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায়। তাদের এসব ষড়যন্ত্রের রুখে দিতে আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য।
সোমবার বিকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকায় আজ দেশের মানুষের গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। দেশে এখন আর কোন কুঁড়েঘর নেই। কমপক্ষে টিনের ঘরের মধ্যে বসবাস করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ভাবেন এবং কাজ করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেরই অবস্থা তলানিতে। এমন পরিস্থিতেও আমরা অন্যদের তুলনায় ভাল আছি। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলোতে কিছুটা হলেও কষ্টে আছেন। তবে এমন পরিস্থিতি থাকবে না।
দীপু মনি আরও বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচেন সফল করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আলী এরশ্বাদ মিয়াজী ও পৌর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল এর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভুঁইয়া, ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
এর আগে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন ডা দীপু মনিসহ অন্যান্য নেতারা।
সম্মেলনের আলোচনা পর্ব শেষে চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিগত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
অনেক বছর পর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নেতাকর্মীরা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে ব্যানার, ফ্যাস্টুন ও নানা ধরনের ক্যাপ, টি-শার্ট পড়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থানে এসে উপস্থিত হন। এতে শহরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট।
আরও পড়ুন: প্রশাসন যেখানে অনুমতি দিয়েছে, বিএনপিকে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: হানিফ
নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘জনসেবা ও কূটনীতি’ ক্ষেত্রে তার ‘অনুকরণীয় সাফল্যের’ জন্য গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
গুসি শান্তি পুরস্কারটি ফিলিপাইনের ম্যানিলার ‘গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন’ দিয়ে থাকে, যা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন নং ১৪৭৬ দ্বারা বাধ্যতামূলক। এটি এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখেন।
প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে গুসি শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এটি ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৪টি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন এবং ফিলিপাইন) থেকে ২০২২ সালে ১৪জন এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে চেয়ারপার্সনও ছিলেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস করেছেন। পরে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স করেন। ২০১৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ বছরের নারী শিক্ষার ইতিহাসে ১৫০ জন নেতৃস্থানীয় নারীর একজন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
তার বাবা এমএ ওয়াদুদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি প্রথম কাউন্সিল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি দেশের অক্সফোর্ড শিক্ষিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নওয়াজের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান তৌকির রাশাদ নওয়াজ এবং তানি দীপাবলি নওয়াজের মা।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি