মন্ত্রী
ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর উপযোগী করে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ চালানোর মতো অবকাঠামো ও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সময় থাকতে আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
সোমবার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধে কোনো প্রযুক্তি না থাকায় অতীতেও ভূমিকম্প হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। আমাদের করণীয় হচ্ছে যেকোনো বিল্ডিং বা অবকাঠামো তৈরি করার সময় ভূমিকম্প সহনীয় ও জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে নির্মাণ করা।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তুরস্কের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে প্রশস্ত রাস্তা ও উন্মুক্ত স্থান ছিল যেখানে মানুষ ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিল, ফলে মানুষের প্রাণহানি কম হয়েছে।
ঢাকায় সে বাস্তবতা কতটুকু রয়েছে তা জনগণের সামনে প্রতিনিয়ত উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যম সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণের দায় আমাদের সবার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ ব্যতীত কোন স্থাপনা তৈরি হতে না পারে সেজন্য যে প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনা তদারকির দায়িত্ব রয়েছে তাদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে গণমাধ্যম অপরিকল্পিত নগরায়ন বা বিল্ডিং কোড না মানার ফলে ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে যে ভয়াবহতা হতে পারে তা অনবরত মানুষের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঁঞা, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরাকৌশল বিভাগের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঈদে স্বস্তির ট্রেন যাত্রায় মন্ত্রীর সন্তুষ্টি
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতভাগ অনলাইনে টিকেট ক্রয়-বিক্রয়ে ভোগান্তি কম হওয়া এবং সিডিউল বিঘ্ন না ঘটায় ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
রবিবার রেল ভবনে ঈদ পরবর্তী রেল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মূল্যায়ন সভায় রেলপথ মন্ত্রী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাও এগিয়ে যাচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে উন্নত বিশ্বের মতো পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রেলওয়ের কয়েকটি মেগা প্রকল্প এই বছরই উদ্বোধন করা হবে। রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি রেল পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচ সংযুক্ত হচ্ছে, নতুন ডাবল লাইন করা হচ্ছে। যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলেই এবারের টিকেট বিক্রয়ের পদ্ধতিকে স্বাগত জানান এবং আগামী ঈদগুলোতেও একইভাবে শতভাগ অনলাইনে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা কোনরকম ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন। টিকেট বিক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য টিকেট বিক্রয়ের কপিসমূহ স্টেশন এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন সমূহে অস্থায়ী বাশের বেড়া নির্মাণ করে যাত্রী নিয়ন্ত্রিত করায় টিকেট ছাড়া কোন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি। ঈদযাত্রায় তেমন কোনো সিডিউল বিপর্যয় না ঘটায় এবং ট্রেনের ভিতরে এবারের ঈদযাত্রা যাত্রীদের কাছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ। শোভন চেয়ারের যাত্রীরাও তাদের সিটে যেতে কোনো ভোগান্তিতে পড়েনি। মাঝখানে দাঁড়ানো কোনো লোক ছিল না। ছাদের যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন কয়েকটি ঈদের যাত্রী পরিবহন ও আয়ের চিত্র তুলে ধরে বলেন ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৬৩ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ১৯ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৭৮ টাকা। একই বছর ঈদুল আযহায় ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১৯ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৬১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৭ টাকা। এই বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে (১৭ থেকে ২১এপ্রিল) যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৭৩ জন এবং আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮০৯ টাকা।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
মঙ্গলবার ১২.২৮ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন: মন্ত্রী
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ১৮ এপ্রিল বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের মোট ১২ লাখ ২৮ হাজার ২৭৮ জন মোবাইল সিম গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন।
বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ই-সিম চালু করল রবি
এর মধ্যে তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৯৫ জন গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী, তিন লাখ দুই হাজার ২৮৪ জন রবি ব্যবহারকারী, পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৯ জন বাংলালিংক ব্যবহারকারী এবং ১৮ হাজার ১৯০ জন টেলিটক ব্যবহারকারী।
এদিকে মঙ্গলবার মোট ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৩ জন সিম গ্রাহক ঢাকায় ফিরেছেন। তাদের মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী; এক লাখ ছয় হাজার ৮৬৩ জন রবি ব্যবহারকারী, চার লাখ ২২ হাজার ৬০০ বাংলালিংক ব্যবহারকারী এবং ৯ হাজার ৩৫০ জন টেলিটক ব্যবহারকারী।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বেক্সিমকোর টাকা আত্মসাৎ মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম আলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে লেখার কারণে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে দেশের সব মানুষের প্রতিবাদ প্রতিবাদ সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ক্ষমা চায়নি; বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (০২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ ও দেশের বাইরের কিছু মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিয়ে কটাক্ষ করে।
তিনি বলেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মন্ত্রী প্রথম আলোর এই বিশেষ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশুটি মন্তব্য করেনি, তবে তার জন্য ১০ টাকা পেমেন্ট পেয়েছে।
তিনি বলেন, উক্তিটি যেমন দেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করেছে এবং তেমনি সেই ছেলেটিকেও নিগ্রহ করা হয়েছে। কারণ সংবাদের পাশাপাশি তার ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সব গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে, তবে এর জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লঙ্ঘন করেছে এবং দেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করেছে।
আরও পড়ুন: অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন । তাকে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দেশকে দূষণমুক্ত সবুজ বাংলায় পরিণত করতে কাজ করা হচ্ছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’- শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী জাতির পিতাসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং দেশবাসীকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
সভার আগে পরিবেশমন্ত্রী ও অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আলোচনা শেষে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
টেলিটকের কাছে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বকেয়া: মন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সংসদে বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে সরকারের প্রায় এক হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম সরওয়ার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের অধিবেশন শুরুর পর সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
এসময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, মোট বকেয়ার মধ্যে থ্রিজি স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা, স্পেকট্রাম চার্জের জন্য ২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, রাজস্ব ভাগ বাবদ ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং এসওএফ (সার্ভিস অর্ডার ফর্ম) এর ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সিটিসেলের কাছে সরকারের ১২৮ কোটি ৬৯৮ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার সাশ্রয়ে টেলিটকের ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প স্থগিত
টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
অবৈধভাবে চলছে ৬০ ভাগ ইটভাটা: মন্ত্রী
দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে।
মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশে (জুন ২০২২) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
তিনি বলেন, ৪১ দশমিক দুই শতাংশ ইটভাটা বৈধ এবং ৫৮ দশমিক আট শতাংশ অবৈধ।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৭৭২টি অভিযান চালিয়ে ৩৩৭টি ইটভাটা থেকে ৭৭ দশমিক ৬২ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ৯০৭টি ইটভাটা বন্ধ এবং ৮০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শহরগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়।
২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৪৭ হাজার টনে।
মন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশই প্লাস্টিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’র জন্য পেছাবে না রূপপুরের কাজ: মন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জামবাহী রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি কারও জন্য ভালো হয়নি মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় রূপপুর প্রকল্পের কাজ পেছাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে, এটি আমাদের নিশ্চিত করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বিলম্ব: মন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর'র ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বোধহয় নানাজন নানা কথা বলছেন। যাই হোক রাশিয়ান জাহাজের ব্যাপারে আমি বলি, আমাদের সঙ্গে তাদের যে কন্ট্রাক্ট (চুক্তি) সেটা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না পণ্য রূপপুরের নদী বন্দরে পৌঁছাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আমরা তখনই কনসার্ন হই, যখন আমাদের নদী বন্দরে এসে পৌঁছায়। তারপরও আমি বলবো, যে অঘটন ঘটেছে-এটা কিন্তু কারও জন্যই ভালো নয়। এতদিন ধরে হাজার হাজার জাহাজ এসেছে, কোনো সময় কোনো কথা ওঠেনি। এর মধ্যে একটা অঘটন ঘটেছে এবং আমরা তাদের বলে দিয়েছি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, তারা টাইমলি কাজটা শেষ করবে। আমরা এখনও সেই পথেই আছি। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই যে অনেক দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
কার্গো জাহাজটি কী এসে পৌঁছেছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইএম নট ইস্টারেস্টেড, কার্গো কোথায় থাক। লন্ডনে বা অন্য কোথায় থাকুক।
তাহলে এখনও আসেনি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আপনারা বুঝবেন ভালো। আপনারা যেহেতু সাংবাদিক। এটা ইউর ডিউটি, নট মাই। এখানে কোনো সেনসেটিভ ব্যাপার নেই। যতক্ষণ না আমাদের নদী বন্দরে আসছে, আমাদের টেনসেশনের ব্যাপার নেই। সুতরাং আপনাদের এত ভয় পাওয়ার কারণ নেই, যে এটা নিয়ে বোধহয় হইচই হবে।
এতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজের সময় পিছিয়ে যাবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো বললাম রাইট টাইমে হবে এটা বলেছে তারা। অনেক কাজ তো আগেও আছে। এমন নয় যে একটা কাজ পিছিয়ে গেছে বলে সব কাজ পিছিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বলেনি, ওটার কারণে টাইম পেছাবে। তাহলে আমি কেন বলতে যাবো।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে জাহাজটা বাংলাদেশে আসছিল। এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে কনসার্ন না। বাংলাদেশ আছে, ঠিক আছে। তাই বলে কি আমার মন্ত্রণালয়ের বাইরে ফরেন মিনিস্ট্রির ব্যাপারে আমি বলবো?
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলেচনার বিষয়ে বলেন, আমরা যে কাজগুলো করছি, সাইন্সের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে যে কাজ হচ্ছে। এগুলোতে তাদের যে সহযোগিতা লাগবে, সেটার বিষয়ে তাদের বলেছি। আমি খুশি এ কারণে ডিসিরা বিষয়টি ওভাবেই নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন
২০২১ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন: মন্ত্রী
করোনা মহামারি চলাকালীন এপ্রিল ২০২০ থেকে মে ২০২১ এর মধ্যে মোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দালালদের হাত থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১৫ হাজার ৭০৬ জনকে পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ৪২৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এছাড়া ৫২ হাজার ৭৪ জন অভিবাসী শ্রমিককে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সংসদে বলেছেন, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাদ্য গুদামে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে তিন লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৩৮১ টন ধান রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে সরকারের ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ভারত, ভিয়েতনাম ও মায়ানমার থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে তিন লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনী সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহকে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বিজয় দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে।
এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ঘর পেল সুনামগঞ্জের ৩০টি গৃহহীন পরিবার