আইনমন্ত্রী
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া এটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সংসদে এমপিদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (সংসদে) উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আইএলও’র গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি ও এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কী সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংকট কি কেটে গেছে- এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলব একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। সেসব সমস্যা ও আইনের যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, ‘আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে বা অজ্ঞতা থেকে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের ঊদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তারা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। উদ্দেশ্যমূলক কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, তাদের সংবিধানের এইসব অনুচ্ছেদ সমন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’ আর আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।আনিসুল হক জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মামলাজটের কারণে জনগণ অনেক সময় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের নানারকম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি) তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্রাক করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর ‘ইন্টিমেশন’ তাড়াতাড়ি করতে হবে। হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’, যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়/সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটি যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল/নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫ থেকে ৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেটি গত নির্বাচনে জনমতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগ যথেষ্ট কাজ করেছে। তাতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, বহুদিন ধরে মামলা জট নিরসনের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় গেল ১০-১৫ বছর আমাদের এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে। তবে আমরা মামলাজট নিরসনে সঠিক পথে এগোচ্ছি।
আরও পড়ুন: অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রথম কর্মদিবসে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার দেশবাসীর কাছে করেছেন এবং আমাদের প্রতি যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনেক এগিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
প্রথম কথা হলো, যখন কোভিড মহামারি ছিল, তখন বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল। কিন্তু কোভিডকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়াল আদালত স্থাপন করে বিচার ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কারাগারেও যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক মামলার সুরাহা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক আইন করেছে, বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন। এই আইনে যে সংশোধন করা হয়েছে, নারীদের ইজ্জতের ব্যাপার ছিল সেখানে। এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ। এভাবে সরকার অনেক আইন করেছে। তারপর সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন করা হয়েছে, তাতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেটার একটি সফলতা আনার জন্য কাজ করা হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাদের মামলা এখনো চলছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন-অত্যাচার করেছিল। ২০১৩ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই মামলাগুলো ম্যাচিউরড হয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিচারকার্য আদালত করে, সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব। কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত ভুলের কারণে তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনিা বলেন, স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’
তিনি জানান, বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয়।
এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথ নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইন ও বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি ইনশাআল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলব, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারও স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া উপজেলা) আসন থেকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আইনজীবী আনিসুল হক।
আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের শাহীন খান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট। দুই উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাস প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ যে ভোট হচ্ছে, সেটা গণতন্ত্র রক্ষার ভোট। আমরা ইনশাল্লাহ বিজয়ী হয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করব।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।
যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তাদের বিষয়ে সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে। কেউ অসহযোগ, অন্যায় বা অপরাধ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছে। তার মানে জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ গাড়িতে চড়ে, রিকশায় করে, বেবিট্যাক্সিতে করে ভোট দিতে আসছে। হরতাল মানে তো এগুলো বন্ধ থাকার কথা। তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এ হরতাল মানে না। তারা হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে না কি ঠিক করেছে তারাই জানে। কারণ তাদের যে রাজনৈতিক নীতি, সেটা সম্বন্ধে আমার খুব একটা উচ্চ ধারণা নেই। তো সেক্ষেত্রে আমি বলব, বিএনপিতে গণতন্ত্রমনা যারা আছেন, তারা অবশ্যই ভুল করেছেন। তার কারণ হচ্ছে, তারা জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষা দেননি।
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
রবিবার (৭ জানুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা বা এর কাছাকাছি সময়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। পানিয়ারুপ তার নিজ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা দুই মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
এর আগে তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
এবার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ দুই হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬টি। আখাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২০৪টি।
মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৪৭ জন, নারী ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং হিজড়া চারজন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার কসবা উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৭৪টি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী