বিটিআরসি
গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে জিপিকে (গ্রামীনফোন) দোষতেই হবে । কারণ জিপির কল ড্রপ বেশি । সবচেয়ে বেশি কল ড্রপ গ্রামীনফোনের ছিল। অতি সম্প্রতি গ্রামীন ফোনের কল ড্রপ কিছুটা কমেছে।’
বৃহস্পতিবার বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ( টিআরএনবি ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে আমিও ভোগান্তিতে আছি। আরেকটি আমার বড় ভোগান্তির কারণ হচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। ১৭ কোটি মানুষের সমস্ত দায় আমার ওপরেই। কারণ তাদেরকে কোয়ালিটি সার্ভিস এনসিওর করার দায় আমার ওপর।’
শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং কল ড্রপের সমস্যা কমাতে বিটিআরসি ৩০০টি উপজেলায় টেস্ট ড্রাইভ পরিচালনা করছে।
আর পড়ুন: গ্রামীণফোনের ওপর বিটিআরসি’র নতুন বিধিনিষেধ আরোপ
তিনি বলেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে আমাদের প্রায় ২২৭টি উপজেলায় আমাদের টেস্ট ড্রাইভ হয়েছে । তাতে ১২৮০০ কিলোমিটার কাভার করেছে । রংপুরের টেস্ট ড্রাইভ রিপোর্ট অনুযায়ী, সব টেলিকম অপারেটরের কল ড্রপের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন মোবাইল ব্যবহারকারীরা।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ড্রাইভের সাথে নিয়মিতভাবে চিঠি এবং নির্দেশনা পাঠিয়ে টেলিকম অপারেটরদের ওপর আমাদের চাপ অব্যাহত রেখেছি।’
ভাইস চেয়ারম্যান ও কমিশনারের নেতৃত্বে দুটি হাই-প্রোফাইল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি প্রধান। তিনি বলেন, ‘অপারেটর অফিস এবং ক্ষেত্র থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাদের নেটওয়ার্ক পরিষেবার অবস্থা সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হচ্ছে। কারণ ডাটা ফরওয়ার্ডিংয়েও সমস্যা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ মার্চ আমরা অপারেটরদের কাছে স্পেকটাম নিলামে বিক্রি করেছিলাম। আবার ২.৩, ২.৬ ও ৩.৫ এই তিনটি ম্যাগাহার্টস অকশন করবো আগামী বছর মার্চ মাসে । এ বছরই ডিসেম্বর মাসেই অকশন দেয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু অপারেটরদের অনুরোধে সেটি পিছানো হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় টিআরএনবি’র সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের নেতৃত্বে টিআরএনবি’র সদস্যরা এবং ও বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্হিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: বিটিআরসিকে আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে গ্রামীণফোন
বিটিআরসিকে আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিল গ্রামীণফোন
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আলালের কটূক্তিপূর্ণ ভিডিও সরানোর নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দ্রুত সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এর আগে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আরও পড়ুন: মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করায় বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসন শাহাদাত।
একই ঘটনায় অপর এক শিক্ষার্থী নূরউদ্দীন একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জিডিতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে কুরুচিকর ও অশ্লীল মন্তব্য করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা এর প্রতিবাদ করে। আলালের বক্তব্য রাষ্ট্রের জন্য চরম আপত্তিকর ও মানহানিকর’। তিনি জিডিতে একটি ভিডিও’র লিংকও যুক্ত করেছেন।
অন্য অভিযোগে নূরউদ্দীন লিখেছেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর রাত ১২টায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২৩৯নং রুমে বসে একটি লিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আলালের ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের ভিডিও দেখতে পান। এটি সরকার ও দেশের জনগণের জন্য হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানিকর’।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সকল ধরনের আপত্তিকর অডিও ও ভিডিও সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ বিটিআরসিকে এই নির্দেশনা দেন। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আবেদনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দাবি করেন, এই ধরনের ‘অশ্লীল অডিও ও ভিডিও’ সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর উচিত ছিল এই অডিও ভিডিওগুলো সরানো। কিন্তু তারা তা না করায়, আমি জনস্বার্থে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়েছি।
সম্প্রতি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় প্রতিমন্ত্রী বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করেন।
এদিকে অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মন্ত্রীর দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপে মন্ত্রী অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’ হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগ চায় বিএনপি
সোমবার রাতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমি রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।
এর আগে সোমবার মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া এবং নারী ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তার ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, জাতিগত ও অবমাননাকর’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিএনপি।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চায় বিএনপি
মানসম্মত মোবাইল সেবা নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একই সাথে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারার অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়া জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।
এর আগে গত ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হাওলাদারকে দেয়া দুদকের নোটিশ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইলফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি, যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ওয়াকি-টকির অবৈধ ব্যবহার বন্ধে অভিযান: আটক ৫
ওয়াকি-টকিসহ সকল বেতার যন্ত্রপাতিসমূহের অবৈধ আমদানি, মজুদ, বিক্রয়, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন, ইজারা প্রতিহত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে আনুমানিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি জব্দসহ পাচঁ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর তারিখে বিটিআরসি ও র্যাব-১০ এর যৌথ টিম রাজধানীর সায়দাবাদ, মনিপুরীপাড়া, রাজারবাগ ও শেওড়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিভিন্ন প্রকারের ৩১৭ টি অবৈধ ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট ও ৫ হাজার ২৪৪ টি একসেসরিস জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৫৫(৭) মোতাবেক ওয়াকি-টকি ব্যবহারের জন্য কোনো প্রকার লাইসেন্স বা তরঙ্গ গ্রহণ করেনি। এছাড়াও একই আইনের ৫৭(৩) ধারা মোতাবেক ওয়াকিটকি আমদানির পূর্বে বিটিআরসি হতে অনাপত্তি গ্রহণের বিধান থাকলেও তারা তা ভঙ্গ করে অবৈধভাবে উক্ত ওয়াকি-টকিসমূহ আমদানি ও প্রদর্শনপূর্বক বিক্রয় করেছেন।আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এরূপ অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
সাম্প্রদায়িক হামলা: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট
দুর্গাপূজা চলাকালে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিচারিক হাকিম দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহাসহ দুইজন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আগামী বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন ধরনের পোস্ট, ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ফোনে আড়িপাতা রোধে করা রিট খারিজ
তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
তদন্তকালে ঘুষ দাবির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী সাত নভেম্বর তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালত তাকে ঘুষ দাবির অভিযোগে কেন অভিযুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঢাকা সদরের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে পিরোজপুরের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলার তদন্ত করছেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। কিন্তু ওই জেলা রেজিস্ট্রারের ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘুষ দাবি করছেন এমন অভিযোগ তুলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে পরিবর্তনের দাবিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু দুদক চেয়ারম্যান তাতে সাড়া না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত সাত মার্চ হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ভাইয়ের ও দুদকের ওই সহকারি পরিচালক আলমগীর হোসেনের মোবাইলে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কথোপকথনের রেকর্ড এবং কল লিস্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) এবং গ্রামীণ ফোন (জিপি) প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান, প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় ওই সহকারি পরিচালক এবং অভিযুক্ত জেলা রেজিস্ট্রারের বড় ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারে দফায় দফায় কথোপকথন হয়েছে। এখানে কথা হচ্ছে, তদন্তের প্রয়োজনে কথা বললে অভিযুক্তদের সাতে তদন্ত কর্মকর্তা কথা বলবেন। কিন্তু অভিযুক্তের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট দুদকের ওই সহকারি পরিচালককে তলব করেছেন।
সারাদেশে থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীরা মোবাইল ডেটার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না কারণ শুক্রবার সকাল থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত ধীর হয়ে গেছে।
যোগাযোগ করা হলে মোবাইল অপারেটররা ইউএনবি প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তাদের একটি নির্দেশের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে যে শুক্রবার সকাল ৫ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল ডেটা পরিসেবা বন্ধ রাখতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইউএনবি বলেছেন, কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করা হয়েছে। ‘সমস্যাগুলি ঠিক হয়ে গেলেই পরিসেবাগুলি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
আসছে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া ‘যোগাযোগ’
পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে অননুমোদিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হবে এবং অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের জন্য তালিকা আজ কালের মধ্যে বিটিআরসিকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
কয়েকদিন আগে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসসহ বেশ কিছু অনলাইন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিটিআরসি অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে নিবন্ধিত এমনকি সরকারি ওয়েবপোর্টালও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি ভুল বোঝাবুঝির কারণেই হয়েছে। সেটি খুব দ্রুত নিরসন হয়েছে। আমরা আমাদের কাছ থেকে তালিকা পাঠাবো যে সমস্ত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন পোর্টাল বন্ধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনলাইন পোর্টাল অনুমোদন যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল যেগুলো আসলে গর্হিত কাজ করে কিংবা সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয়, গুজব রটায় কিংবা ভুল সংবাদ প্রচার করে সেগুলো বন্ধের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সেই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে খুব সহসা আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই বা কাল সকালে বিটিআরসিকে তালিকা পাঠাতে। আমাদের কাছ থেকে তালিকা পেলে তারা সেগুলো বন্ধ করবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, কোর্টকেও আমরা জানাবো, বিটিআরসিও জানাবে যে অনলাইন পোর্টাল বন্ধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সবকিছু হুট করে বন্ধ করলে, আমার বিবেচনায় সবগুলো একসাথে বন্ধ করে দেয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। সেই বিষয়টা কোর্টকে অবহিত করব। আমরা পর্যায়ক্রমে অননুমোদিতগুলো বন্ধ করব।
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আজকে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালত থেকে আরও ১৪ দিন সময় নেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মোস্তফা জব্বার বলেন, কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের ডেটলাইন ছিল আজকে। সে অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে যথাসময়ে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের তালিকা না পেয়ে আদালত অবমাননা থেকে রক্ষা পেতে বিটিআরসি নিজেরাই একটা তালিকা করে নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে আজকে। এতে বিএসএস, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজসহ বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালও অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাথে বন্ধ হয়ে যায়। পরে যেসকল নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছিল সবগুলো আবার এখন খুলে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছ। দুই-তিন দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের তালিকা দিয়ে দেবেন। সে অনুযায়ী বিটিআরসি বন্ধের ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: ৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
ঝুলন্ত তারসহ সব সমস্যা ক্রমান্বয়ে নিরসন করা হবে: বিটিআরসি
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ