পদ্মা নদী
পদ্মায় ডুবে যাওয়া বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু
রাজশাহীর বোয়ালিয়ায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এক বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে অপর দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বোয়ালিয়া থানার বড়কুঠি এলাকায় তারা গোসল করতে নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো বড়কুঠি এলাকায় সারিক আলী ছেলে ও লোকনাথ স্কুলের শিক্ষার্থী নিরব (১৫) এবং একই এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে ও শাহিন শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহিন (১৬)।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, বড় কুঠির কাছে পদ্মা নদীতে নিরব, শাহিন ও সাজেদ এই তিন বন্ধুসহ আরও ১০ জন গোসল করছিল। এদের মধ্যে হঠাৎ সাজেদ পানিতে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে যায় নিরব ও শাহিন। এ সময় সাজেদকে উদ্ধার করতে তারা দুজন পানিতে ডুবে যায়। সাজেদ পরে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
ওসি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিরব ও শাহিনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তারা তিনজনের কেউ সাতাঁর জানে না।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
পদ্মা নদীতে ডুবে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ডুবে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মপাড় লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মোসা. মাইমুনা খাতুন (১৩) চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে ও মাদরাসাতুস সুফফাহ আল আরাবিয়াহর ছাত্রী।
এই ঘটনায় লুবনা (১২) নামে অপর এক ছাত্রী আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্ধবীদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চ এলাকায় হাঁটার সময় পা ভেজাতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় তার বান্ধবীরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় আরেক ছাত্রী বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ওসি জানান।
পদ্মা নদী থেকে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে শিলাদহের পদ্মা নদীর খেয়াঘাটের কাছের এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, দুপুরের দিকে পদ্মা নদীর খেয়াঘাটের কাছে নদীরক্ষা বাঁধের ব্লকের সাথে লাশটি আটকে থাকতে দেখে তারা কুমারখালী থানা পুলিশকে খবর দেন। এ সময় কুমারখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর জসিম ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে অর্ধগলিত লাশটি বেশ কয়েকদিন আগেকার। একজন পুরুষের লাশ। তবে লাশের বয়স অনুমান করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত নদীর পানিতে লাশটি ভেসে এসেছে। নৌ পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নিখোঁজের ২ দিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
পদ্মায় মাছ শিকারের সময় বজ্রপাতে ৩ জেলে নিহত
শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তিন জেলে নিহত হয়েছেন। এসময় আরও এক জেলে আহত হয়।
রবিবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৪ টায় ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার পদ্মা নদীর আনন্দ বাজার পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভেদরগঞ্জের উপজেলা উত্তর তারাবনিয়ার টুকু বেপারীকান্দির কাশেম পাঠানের ছেলে মহি উদ্দিন (২৪), ইউনিয়ন দেওয়ান কান্দির এলাকার হাকিম দেওয়ানের ছেলে আল আমিন (৩২) ও চাঁদপুর জেলার হাইমচর ইউনিয়নের চর ভৈরবের নয়ন আহমেদ (২৭)। এছাড়া আহত সাগর প্রদানিয়া (২৫) উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ের দেওয়ান কান্দির এলাকার আলী আহমেদ প্রদানীয়র ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ভোর রাতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পর বজ্রপাতের কবলে পড়ে মাছ ধরার একটি নৌকা। পরে আশেপাশের থাকা জেলেরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এসময় নৌকায় থাকা জেলেদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে বজ্রপাতে নিহত ৩
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, রোববার ভোর রাতে নদীতে মাছ ধরতে যায় জেলেরা। হঠাৎ নদীতে বজ্রপাতে নৌকায় থাকা চার জনের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (সচিব) সিপন মেহেদী বলেন, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দুইজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একজনের লাশ চাঁদপুরে নেয়া হয়েছে আর সাগরকে ঢাকায় নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
সখিপুর থানা ওসি (তদন্ত) মো. ওবাইদুল হক বলেন, ভোর রাতে বজ্রপাতে পদ্মা নদীতে তিন জন জেলে নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নিহতদের পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে জেলে নিহত
পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে ব্যক্তি নিহত, আহত ৪
পদ্মায় অভিযান: কারেন্ট ও চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস
মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ফরিদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ প্রকল্পে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা মৎস্য অফিস। এসময় ইলিশ ধরার কাজে ব্যবহৃত পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও অবৈধ ‘চায়না দুয়ারী ২০০টি জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয় ।
শুক্রবার ও শনিবার চরভদ্রাসনে উপজেলার পদ্মা নদীতে এই অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান জানান, গোপালপুর ঘাট হইতে স্পিডবোট ও ট্রলার যোগে নমুর ছ্যাম সালেপুর, সালিপুরের শেষ সীমানা পর্যন্ত অংশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে ২শ টি চায়না দুয়ারী, ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে থেকে মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ
তিনি জানান, নদীর বিভিন্ন জায়গায় আড়াআড়ি বাধ ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমাদের এই অভিযান সরকারি নির্দেশনা সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মৎস্য বিভাগের এই অভিযানে ফরিদপুর নৌপুলিশ সহযোগিতা করে।
পদ্মায় ধরা পড়ল ১৮ কেজি ওজনের কাতল
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলেদের জালে প্রায় ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এক কাতল মাছ ধরা পড়ে।
শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন বাজারে মাছটি নিলামে বিক্রি হয়। ১৪০০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।
আরও পড়ুন: ১০০ কেজির বাগাড় মাছ, দাম উঠেছে ২ লাখ টাকা
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে পাবনার কাজির হাটের জেলে গুরুদেব হালদার সহকর্মীদের নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যান। রাত শেষের দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের প্রায় তিন কিলোমিটার ভাটিতে চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন তারা। ভোরের দিকে জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় দেখতে পান বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি নৌকায় তুলেই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন মাছ বাজারে নিয়ে এসে ওজন দিয়ে দেখেন ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম। পরে বিক্রির জন্য প্রকাশ্য নিলামে তোলেন। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন চাঁদনি-আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. চান্দু মোল্লা কিনে নেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কুশিয়ারায় ১৫০ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ!
মাছটির ক্রেতা চান্দু মোল্লা বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে প্রকাশ্য নিলামি উঠলে ১৪০০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার ৪০০ টাকায় কাতল মাছটি কিনে নেই। মাছটি বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। বিক্রির জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আশা করছেন কাতলটি ১৪৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মহিপুরে ধরা পড়ল এক থেকে দেড় মণ ওজনের ৮টি পাখি মাছ
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এই অঞ্চলে ইলিশের দেখা তেমন একটা না মিললেও মাঝে মধ্যে বড় বড় কাতল, বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। পদ্মা নদীর পানি আরও কমলে আরও অনেক ভালো মাছ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় পানি হ্রাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এসময়ে পদ্মার পানি ১১ সেন্টিমিটার কমেছে।
জানা গেছে, পানি কমলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিস্তির্ণ চরাঞ্চল নিমজ্জিত হয়ে আছে। এসব এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় পানি বেড়ে নাটোরের লালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় পানি বাড়লেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ১১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
তিনি আরও জানান, রবিবার পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপদ্রুত এলাকা থেকে পানি সড়তে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: পদ্মার পানি বৃদ্ধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
পদ্মায় প্রবল স্রোত: পাটুরিয়ায় আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক
পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে পাটুরিয়ায় ঘাটে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য আটকে আছে। একই সাথে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনেরও দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই পথের গাড়িগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে চলে আসায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এতে করে প্রতিটি যাত্রীবাহী বাস পার হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:দৌলতদিয়ায় ৩ ফেরি ঘাট স্থানান্তর, তীব্র যানজট
অপরদিকে, ঘাট কর্তৃপক্ষ জরুরি পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়িকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পার করার ফলে পাটুরিয়া ঘাটে আটকে পড়েছে অন্তত আটশ এর অধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আটকে পড়া ট্রাকের চালক ও সহযোগীরা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাটুরিয়া ঘাটের দু‘টি ট্রাক টার্মিনালে চার শতাধিক এবং ফেরিতে উঠতে লাইনে অপেক্ষমান আরও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ঘাট থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে মহাসড়কে আটকে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান জানান, নদীর তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারের সময় বেশি লাগছে। এ কারণে ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া ঘাটে গণপরিবহন ও নৌযানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
এ ছাড়া, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ থাকায় ওই পথের গাড়িগুলো এই পথে আসার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ১৮টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান তিনি।
পদ্মায় পানি বেড়ে নাটোরের লালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নাটোরের লালপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরসমূহ তলিয়ে গেছে।
পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার প্রায় এক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মি আক্তার জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে লালপুর সদর, বিলমাড়িয়া ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের আরাজি, সুলতানপুর, বাকনাই, চরজাজিরা সহ অন্যান্য চরের সবজি, আখসহ প্রায় সকল ধরনের ফসল তলিয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণীরা এখন কৃষাণী
ইউএনও জানান, বন্যার সকল পরিস্থিতি ওপর প্রশাসন রাখছে।
ফরিদপুরে বিপদসীমার উপরে পদ্মার পানি, তীব্র ভাঙন
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমা অতিক্রম করছে। এছাড়া জেলার পাঁচ উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড় তীব্রভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা ফলে এই পানি জেলার মধুমতি, কুমার নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, প্রতিদিনই ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে তা বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুরের বিপদসীমার লেভেল ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, দণ্ডিত ৮
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি ফলে পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেল প্রাথমিক প্রটেকশনের জন্য।
জেলার সদর উপজেলার গোলডাঙ্গী এলাকার গৃহিনী নাছিমা বেগম বলেন, হঠাৎ করে গত ৪-৫ দিন হলো পানি বাড়ছে। বৃদ্ধির হারও বেশি।
আমাদের বাড়ি আশেপাশে পানি চলে এসেছে। মাঠে ধান ও ধুনচে গাছ তলিয়ে যাচ্ছে।
একই উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগই চরাঞ্চল। স্বাভাবিকভাবেই পানি বাড়ায় চরের মাঠ-ঘাট তুলিয়ে গেছে এবং আউশ ধান ও অন্যানো ফসলের খেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাঙন
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা সতর্কভাবেই দেখছি। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে খোঁজ খবর রাখতে। কোথাও জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে সব স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।