কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ভর্তুকি দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
পাটবীজের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে পাটবীজ উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে চায় না। পাটবীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে ও কৃষকেরা যাতে চাষ করে লাভবান হয় সেজন্য প্রণোদনা বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ‘পাটবীজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনার’ ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছে। সেই জিনোম ব্যবহার করে দেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল পাটের জাত উদ্ভাবন করেছে; যার ফলন ভারতের পাটজাতের চেয়ে অনেক বেশি। কৃষক পর্যায়ে এসব জাতের চাষ জনপ্রিয় করতে পারলে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। সেজন্য, এসব দেশীয় জাত দ্রুত জনপ্রিয় করতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী এসময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, সম্প্রসারণকর্মী ও বিজ্ঞানীদেরকে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য রোডম্যাপ বাস্তবায়নে দ্রুততার সাথে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে উৎপাদিত পাটের ৮৫ ভাগই তোষা জাতের পাট। এ পাটবীজের চাহিদার প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ ভারত থেকে আনতে হয়। এই বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৫-২৬ এই ৫ বছরের মধ্যে দেশে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চমূল্যের রবি ফসলের পরিবর্তে কৃষক পাটবীজ উৎপাদনে তেমন আগ্রহী হয় না। হিসেব করে দেখা গেছে, তোষা পাটবীজ চাষ করে একর প্রতি কৃষকের নীট লাভ ৪৮ হাজার টাকা, যেখানে ফুলকপি চাষে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বাধাকপি চাষে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নীট লাভ হয়। তাই পাটবীজ উৎপাদনের পরিবর্তে পাট চাষের সময় কৃষক বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে পাট চাষ করা লাভজনক বলে মনে করে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও সংস্থা প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাওরে আগাম জাতের ধানের চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী
ঝুঁকি কমাতে হাওরে আগাম জাতের ধানের চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কোন কোন বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমরা কাজ করছি। ১৫- ২০ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার সাদরের হাওরে 'বোরো ধান কর্তন উৎসব' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মিঠামইন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পরে কৃষিমন্ত্রী ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ধান কাটার যন্ত্র ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার’ কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছে। আমরা আপনাদেরকে এসব উন্নত জাতের হাইব্রিড ধানের বীজ দিব। আপনার এগুলো চাষে এগিয়ে আসবেন। পাশাপাশি, শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে, দ্রুততার সাথে ধান কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, হাওরে চাষযোগ্য জাতের ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য হাওরে 'ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের' আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান আছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব। আজকে দিগন্তবিস্তৃত হাওরে সোনার ধানের যে অপরূপ হাসি দেখা যাচ্ছে, দেশের কৃষকের মুখেও সে রকম অমলিন হাসি ধরে রাখতে চায় সরকার। সেজন্য, সরকার কৃষিকে লাভবান ও কৃষকের জীবনমান উন্নত করতে অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে সার, বীজ, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমানো ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র কৃষকদেরকে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওরে এক লাখ দুই হাজার ৫০০ হেক্টর ও নন- হাওরে ৬৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরের ৫৩ শতাংশ ও নন-হাওরের ৩৯ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে। এ বছর জেলায় সাত লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘এবার বোরোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এ বছর বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হয়েছে, তারপরও ভালো ফলন হবে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও হাওরসহ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে সংকট থাকবে না। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
শুক্রবার হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামে হাওরে 'বোরো ধান কর্তন উৎসব' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাকালে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকেত না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে।
হাওরে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানামুখী কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের বিশাল জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উন্নত জাতের হাইব্রিড ধান দেয়া হবে। এছাড়া হাওরের অনেক জায়গায় সেচের অভাবে জমি পতিত থাকে বা সেচের প্রয়োজন হয়।এসব জায়গায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন ও পুন:খননের জন্য শিগগরই প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ব্রির ডিজি ড. মো. শাহজাহান কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো. তমিজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পরে মন্ত্রী বানিয়াচংয়ের হাওরে ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ভর্তুকির আওতায় ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন। এছাড়া, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরে মতো এবারও হাওরের ধান কাটার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক সরবরাহ ও কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইন বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরোতে ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
এ বছর সারা দেশে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪৯.১০ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪১.৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সরকারের এখন লক্ষ্য হলো কৃষির প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক করা। এজন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও উদ্যোক্তাদের আরও কীভাবে সহায়তা দেয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা করছি।’
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারকদের’ সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাকবলেন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কীভাবে যেতে পারে, সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য, যারা রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালেরও যোগান দিয়ে থাকে। এ কাঁচামাল যোগান দিয়ে আমরা যে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাচ্ছি সেটা বিদেশে রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো আমাদের রপ্তানিটা বেশির ভাগ তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমিত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রায় শতকরা ৮০-৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তার সাথে সাথে কৃষি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। আমরা যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি এবং নিরাপদ সবজি ও ফলের নিশ্চয়তা দিতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে পারব।’
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
সভায় বক্তারা কৃষিপণ্য রপ্তানিতে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক মোহম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ এসিআই, প্রাণ-আরএফএল এবং সবজি ও ফল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য দেন।
কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেশি করে বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন সারা বছরই বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। টমেটো, আনারস, আলুসহ বেশির ভাগ কৃষিপণ্যের ভরা মৌসুমে দাম কম থাকে। অনেকক্ষেত্রে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব পণ্যের প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবে। সেজন্য দেশের বেসরকারি শিল্পোক্তাদেরকে প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টিভি আয়োজিত ‘এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও বেশির ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃত হওয়ার মাধ্যমে শিল্পায়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিখাতে পুরস্কার প্রদান একটি মহৎ উদ্যোগ। এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত হবে।’
আরও পড়ুন: ৪-৫ বছর পরে কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষির উন্নতি না হলে মানুষের আয় বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রবিবার বলেছেন, কৃষির উন্নতি না হলে মানুষের আয় বাড়বে না।
দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাচলে হবে বিশ্বমানের প্যাক হাউস ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পূর্বাচলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউস ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
করোনা-বন্যাতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রবিবার বলেছেন, করোনা ও বন্যার মধ্যেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে সরকার।