বিক্ষোভ
বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অসহনীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
এছাড়া, বিরোধী দলীয় এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তাদের সাম্প্রতিক রোডমার্চে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ করবে।
রবিবার নগরীর পুরানপল্টন এলাকার মেহরাবা প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে সারাদেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হক বলেন, গত ৪-৭ মার্চ দিনাজপুরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের রোডমার্চ কাফেলার ওপর হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব হামলা প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনরোষের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে ভুগছে। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
হক বলেন, সরকার এখনও দমন ও পীড়ণমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি দাবি করেন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের এত বাধা, হামলা, উসকানি সত্ত্বেও তাদের রোডমার্চ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পেয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, রোডমার্চের সময় হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী লড়াই করার চেতনা প্রদর্শন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া বর্তমান দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, দখলদার সরকারের হাত থেকে অবিলম্বে মুক্তি চায়। জনগণ এই সরকারকে আর নিতে পারবে না। তারা অধীর আগ্রহে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে।‘তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, তবে জামায়াত বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত নয়। ‘তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিএমপি কমিশনার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে।’
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাষ্ট্রদূতরা কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে চলবেন এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আশা করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরার মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিল করে।
খাদিজাতুল কোবরার মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে র্যালিটি টিএসসি চত্বর থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, মল চত্বর, কলা অনুষদ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছে যে কর্তৃপক্ষ ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে যাতে অগ্রসর না হয়।
সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের প্রতিবাদে স্লোগান দেন।
গত বছর, একটি ‘বিতর্কিত টক শো’ সঞ্চালনা করার জন্য খাদিজাতুলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তার বন্ধু ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি।
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের কয়েকশ’ শ্রমিক ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় পুলিশ শ্রমিকদের দাবি নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
আরও পড়ুন: নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। ফলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধরা জানান, সোমবার (২০ মার্চ) কারখানার ফ্লোরে দুই শ্রমিকের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) তাদের ডেকে নেন। তবে তিনি কারও কথা না শুনে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখেন। পরে তাদের কার্ড জব্দ করে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকুরিচ্যুত করে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেন। বিষয়টি সবাই জানতে পেরে রাতেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বিক্ষোভ করে। তবে জিএম কোনও সমাধান না দিয়ে চলে যান। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রমিকরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা অন্যায়ভাবে দুই শ্রমিককে মারধর ও চাকরি থেকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদ জানায়।
একই সঙ্গে ওই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক।
তবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ স্বীকার করলেও, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম শামীম সরকার।
অন্যদিকে, প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে আসায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঁঞা জানান, এ ঘটনায় বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রমেক পরিচালকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসানের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিক্ষোভ শেষে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। এসময় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন দুপুর ১২ টায় পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. কিশোর হাসান জানান, ২৬৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। অথচ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই, পরিচয়পত্র নেই। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য বরাদ্দকৃত হোস্টেলে থাকার জন্য বেড, বিছানা ও পানির ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে অনেকবার পরিচালকের কাছে তুলে ধরলেও কোনো সুরাহা না করে উল্টো খারাপ আচরণ করে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। আমরা এসবের দ্রুত সমাধান চাই।
এসময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীন ইসলাম জানান, পরিচালক দায়িত্বে আসার পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে লাগামহীন দুর্নীতি করছেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চাকরিচ্যুত হুমকি দেন। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, এরমধ্যে অপসারণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।
আরও পড়ুন: রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
এদিকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান কার্যালয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আ.ম. আখতারুজ্জামান বলেন, তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা অভিযোগের বিষয়গুলো দেখছি। পরিচালক স্যারের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. রাকিবুল হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক ডা. কিশোর হাসান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির (১৬-২০) সভাপতি শাহীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়নসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
রংপুরে মাইগ্রেশনের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
কেমব্রিজের বোস্টন শহরে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থীর নিহতের বিচার দাবিতে কয়েকশ’ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গত সপ্তাহের এই ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় সময় সোমবার তারা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাঈদ ফয়সাল (২০) ম্যাসাচুসেটস বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত ৪ জানুয়ারি এক পুলিশ অফিসারের ছোঁড়া গুলিতে তিনি নিহত হন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ফয়সালের হাতে কুকরি ছিল। তিনি পুলিশদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন। তাকে থামাতে ব্যর্থ হলে তার দিকে গুলি ছোঁড়া হয়।
উল্লেখ্য, কুকরি হল একটি ধরনের ছোট ছুরি,যার প্রচলন দক্ষিণ এশিয়ায় (নেপালে)।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড আয়োজিত কেমব্রিজ সিটি হলের বাইরে সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’ ও ‘ফয়সালের বুলেট নয়, সাহায্যের প্রয়োজন’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ জানান।
এ সময় তার বন্ধু ও শিক্ষকরা তার বন্ধুত্ব,ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও বুদ্ধিমত্তার কথা স্মরণ করেন।
এ ঘটনায় একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের ফলাফল মিডলসেক্স জেলার অ্যাটর্নির অফিসে পাঠানো হবে। অভিযোগগুলোর নিশ্চয়তার বিষয় সেখানেই যাচাই করা হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
ফয়সালের মা-বাবা আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলেন, ফয়সাল পরিবারে ‘প্রিন্স’ নামে পরিচিত, সে তাদের একমাত্র সন্তান। তাকে কখনও সহিংস হতে দেখা যায়নি এবং এর আগে কখনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত হতে হয়নি তাকে।
কেমব্রিজের বাসিন্দারা জানান, আমরা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত এবং বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমাদের ছেলে চলে গেছে। প্রিন্স ছিলেন বিস্ময়কর, মায়ময়, যত্নশীল, উদার, সহায়ক ও অত্যন্ত পরিবারকেন্দ্রিক একজন মানুষ।
কেমব্রিজের মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকী, সিটি ম্যানেজার ই-আন হুয়াং, মিডলসেক্স জেলার অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান ও কেমব্রিজ পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো- সকলেই বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আলোচনা করতে এবং জনসাধারণের প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, গুলি চালানো অফিসারের নাম প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের মুখপাত্র জেরেমি ওয়ার্নিক সোমবার বলেন, বেতনভুক্ত প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা ওই কর্মকর্তার ওই বিভাগে সাত বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে কখনও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয় ঘটেনি।
প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বুধবার বিকালে পুলিশ একজন বাসিন্দার কাছ থেকে ৯১১-এ কল পায়।
তিনি পুলিশকে জানান, এক ব্যক্তিকে একটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে ছুরি নিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।
অফিসার ও প্যারামেডিকরা ফয়সালকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ শিক্ষার্থী নিহত
সিলেটে লেগুনার ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত
পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, সংঘর্ষে নিহত ১৩
পেরুর দক্ষিণ-পূর্বে অবহেলিত গ্রামীণ অঞ্চলে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ পুনরায় শুরু হওয়ায় সোমবার অন্তত ১৩ জন মারা গেছে। তারা এখনও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর অনুগত বলে জানা যায়।
পেরুর শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা এই মৃত্যুর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। যার মধ্যে ১২টি মৃত্যু বলিভিয়ার সীমান্তবর্তী জুলিয়াকা শহরের একটি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টাকারী বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটেছে।
কংগ্রেস ভেঙে ফেলা ও নিজের অভিশংসন বন্ধ করার ব্যাপকভাবে নিন্দার প্রচেষ্টার পর ক্যাস্টিলোর অপসারণ ও গ্রেপ্তারের পর ডিসেম্বরের শুরুতে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জুলিয়াকাতে নিহত ১২ জনের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী। নিকটবর্তী শহর চুকুইটোতে ১৩তম ব্যক্তি মারা গেছেন, যেখানে বিক্ষোভকারীরা একটি মহাসড়ক অবরোধ করেছিল।
আরও পড়ুন: করোনার ৪র্থ ধাপের জরুরি অবস্থার সময় বাড়িয়েছে পেরু
কাস্টিলোর উত্তরসূরি (তার প্রাক্তন চলমান সঙ্গী দিনা বোলুয়ার্ট) মূলত ২০২৬ সালের জন্য নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসের জন্য ২০২৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে কি না সে বিষয়ে তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু এই ধরনের পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত অস্থিরতা প্রশমিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা বড়দিন ও নববর্ষের ছুটির আশেপাশে সময়ে পেরুর দরিদ্রতম অঞ্চলে অনেকটা জোর করেই পুনরায় শুরু হয়, যেখানে কাস্টিলোর অপ্রথাগত শাসনের প্রতি সমর্থন ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।
সোমবার পেরুর প্রায় ১৩ শতাংশ প্রদেশে দেশব্যাপী বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অনেকগুলো রাস্তা অবরোধের কারণে ট্রাকচালকদের বাজারে পণ্য সরবরাহ করা অসম্ভব করে তোলে।
সোমবারের হতাহতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জনে পৌঁছেছে। আরও শতাধিক আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু
পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৬
অস্থিরতার মধ্যে ফ্রান্সের পতাকা পোড়াল ইরানের কট্টরপন্থীরা
ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন চার্লি হেবদোতে ইরানি শাসক ধর্মগুরুদের কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে ইরানের কট্টরপন্থীরা ফরাসি পতাকা পুড়িয়েছে।
রবিবার তেহরানে ফ্রান্স দূতাবাসের বাইরে এই পতাকা পোড়ানো হয়।
ইরানে ক্রমাগত সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় চতুর্থ মাসে ব্যঙ্গচিত্রগুলো প্রকাশিত হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা কট্টরপন্থী প্রতিষ্ঠাকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতনের দাবি জানাচ্ছে।
ফরাসি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভগুলো ইরানের শাসকদের পৃষ্টপোষকতায় তাদের সমর্থকদের পাল্টা বিক্ষোভে জড়ো করার পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা।
সেমিনারী স্কুলের ছাত্র সহ শত শত বিক্ষোভকারী ‘ফ্রান্সের মৃত্যু’ বলে চিৎকার করে এবং প্যারিসকে তেহরানের প্রতি ‘বিদ্বেষ’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ইরানকে অপমান করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি হাতে নিয়ে কয়েকজনকে বিক্ষোভকারীদের দূতাবাস ভবন থেকে দূরে রাখে পুলিশ কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইরানের ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র কোম শহরের মাজারে কিছু আলেম একই ধরনের বিক্ষোভ করেছেন।ইরানের সংসদীয় স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ রবিবার ফরাসি ম্যাগাজিনের কার্টুনের উদ্বৃতি দিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিমাদের চক্রান্তে ইরানে কথিত দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য চেষ্টা চলছে।
পরদিন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফরাসি কার্টুনগুলোর প্রতি তার প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং অনুরূপ দাবি তোলেন।
তিনি বলেন,‘স্বাধীনতার অজুহাতে অপমান করার নীতি অবলম্বন করা ইরানে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার চক্রান্তে তাদের হতাশার স্পষ্ট ইঙ্গিত।’
চার্লি হেবডোর ইসলামপন্থীদের উপহাস করে অশ্লীল কার্টুন প্রকাশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সমালোচকদের মতে মুসলমানদের জন্য গভীরভাবে অপমানজনক। দুই ফরাসি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা চরমপন্থী ২০১৫ সালে সংবাদপত্রের অফিসে আক্রমণ করেছিল। ১২ জন কার্টুনিস্টকে হত্যা করেছিল এবং এটি বছরের পর বছর ধরে অন্যান্য হামলার লক্ষ্য ছিল।
এর সর্বশেষ সংখ্যায় সাম্প্রতিক একটি কার্টুন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেখানে প্রবেশকারীদের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সবচেয়ে আপত্তিকর ব্যঙ্গচিত্র আঁকতে বলা হয়েছিল।
ফাইনালিস্টদের মধ্যে একজনকে দেখানো হয়েছে যে একজন পাগড়িধারী ধর্মযাজক একজন জল্লাদের ফাঁস পেতে যাচ্ছেন যখন তিনি রক্তে ডুবে যাচ্ছেন। অন্য একজন খামেনিকে বিক্ষোভকারীদের উত্থিত মুষ্টির উপরে একটি বিশাল সিংহাসনে আঁকড়ে ধরে আছেন। অন্যরা আরও অশ্লীল এবং যৌনতাপূর্ণ দৃশ্যগুলো চিত্রিত করে৷
কঠোর ইসলামিক পোষাক কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মহিলা মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বরে ইরান জুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইরানে অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই অস্থিরতা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস দমন অভিযানের মধ্যে কমপক্ষে ৫১৭ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এবং ১৯ হাজার ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ নিহত বা আটকদের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানায়নি।
শনিবার কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে একজন আধা-সামরিক স্বেচ্ছাসেবককে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
শনিবারের ফাঁসিতে আমিনীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে। রুদ্ধদ্বারভাবে বিচারে সমস্ত সাজা দ্রুত দেয়া হয়েছিল যা আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়।
ইরানের একটি আদালত এখনও ১০ জন সামরিক কর্মীর তিন বছর ধরে বিচারকাজ পরিচালনা করলেও একটি রায় দিতে পারেনি যাদেরকে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করা হয়নি তবে তাদের বিরুদ্ধে বিমানটি নামার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ইরানের কর্মকর্তারা দাবি করে আসছে যে বিদেশি এজেন্টদের দ্বারা মাসব্যাপী বিক্ষোভ চালিত হচ্ছে কিন্তু তারা কোনো প্রমাণ দেয়নি।
চার্লি হেবডো ইরানি ধর্মীয়গুরুদের উপহাস করে কার্টুন প্রকাশের পর তেহরানের কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক দশক পুরানো ফরাসি গবেষণা ইনস্টিটিউট বন্ধ করে দেয়। এটিকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় একটি ‘প্রথম পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করে।
আরও পড়ুন: ইরান ইস্যুতে জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান বাংলাদেশের সারা হোসেন
রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমিরের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নগরীর নিউমার্কেটের পাশ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে দড়িখরবোনা মোড়ে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার এসআই আবু হায়দার ও কনস্টেবল আহাদ। এদের মধ্যে আবু হায়দারের চোখে নিচে ও ওপরে আঘাত লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে জামায়াত ও শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর কাদিরগঞ্জ মোড় হয়ে রেলক্রসিং পার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরভবন মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুস সামাদসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণার একদিন পরই আওয়ামী সরকার অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে আমিরে জামায়াতের মুক্তির দাবি করছি।
সমাবেশের শেষ দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা হয়। এতে ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, মিছিল করার কোনো অনুমতি ছিল না। ঝটিকা মিছিল বের করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে পালিয়ে যান। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ আহত হয়েছেন।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মুন্সীগঞ্জে এজলাস কক্ষে ব্লেডের আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে একই দিনে গণমিছিল করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই হবে বিএনপির নয়াপল্টনে প্রথম কর্মসূচি।
পুলিশি অভিযানের চারদিন পর রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ৭ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ্যানি ও সালামসহ ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকার একটি আদালত।
পরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা