বিক্ষোভ
শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলাপাতা ও কচুপাতায় বিক্ষোভ
শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কুড়িগ্রাম জেলা সংসদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার ২ ডিসেম্বর সকালে কলেজ মোড়স্থ জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই ছাত্র সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এসময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থীদের কলা পাতা ও কচু পাতায় লিখে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
সংগঠনটির জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিদওয়ানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, রংপুর জেলা সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক আবির ইয়ামান, রাজারহাট থানা শাখার অন্যতম সংগঠক ও সাকোয়া হাই স্কুলের আহ্বায়ক রতন চন্দ্র অধিকারী, জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মোহন্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। পাশাপাশি কলেজগুলোতে গবেষণার কাজ সক্রিয় করতে হবে এবং খাতার কাগজের দাম ও কলমের দাম কমাতে হবে।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন নেতারা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়েই দীপস অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানা হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও নতুন চাক্তাই করে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছে কারখানাটির শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের না জানিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
কারখানাটির কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের এখনো পাঁচমাসের বেতন বকেয়া আছে। তার ওপর অন্য কারখানাগুলোতে এখন লোক নিচ্ছে না। জানি না কিভাবে ঘর সংসার সামলাবো।
কারখানা মালিকের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, বর্তমানে পোশাক কারখানাটিতে কোন কাজের অর্ডার নেই। আয় না থাকায় ৬০০ শ্রমিকের বেতন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মালিক। তাই তারা কারখানা বন্ধ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে শ্রমিকরা চাক্তাই রিং রোডে বিক্ষোভ শুরু করে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সদস্যরা সেখানে আছেন।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহবাগে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে ‘আহত’ ৩
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে চাঞ্চল্যকর শিক্ষক হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেছে।
এর আগে উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়কে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, যুবলীগ নেতা রমজান আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান, আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, মুক্তিযোদ্ধা হবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালী বেগম ও নিহতের বাবা নুরুল হক ও মা হোসনা খাতুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
বক্তারা হোসাইন হত্যার ১২ দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করা এবং ইতোমধ্যে সন্দেহজনক ৭ জনকে থানায় ধরে এনে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা আসামিদের আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে তারা এনিয়ে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরকে একটি স্মারকলিপি দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া বাজারের পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধান ক্ষেত থেকে কোচিং শিক্ষক হোসেন আলীর (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ৭২ ঘন্টা নয় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে ছাগলের অদ্ভুত ২ বাচ্চা!
বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে যদি তারা ভাঙচুর করেন এবং জনদুর্ভোগ তৈরি করেন তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, যদি কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কিংবা গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে কিংবা জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করার জন্য তারা যদি কিছু করে, তাহলে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে-এটাই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম’- আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে যারা রাজনীতিতে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে; তারা মিটিং করবে, তাদের দাবি-দাওয়ার কথা বলবে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবে-সেগুলোতে আমাদের সরকারের কোনো রকম বাধা দেয়ার ইচ্ছা নেই এবং আমরা বাধা দিচ্ছিও না।
আরও পড়ুন: কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে যেকোনো দল তার কর্মকাণ্ড করবে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়েই মনে করে যে নির্বাচনের মাধ্যমে পাবলিক ম্যান্ডেটে সরকার বদল হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা অনেক কিছুই দেখেছি, ষড়যন্ত্র দেখেছি। এগুলোর মাধ্যমেও ক্ষমতা বদল হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই মনে করেন সরকার বদল করবার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। সেজন্য সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমেই, সেই নির্বাচনকেই আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, কোনো ভাঙচুর বা কোনো কিছু হলে মামলা তো হবেই। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কালকে একজন বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বিচারপতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা করেছেন। এই মামলা তো হবেই। এখানে রাজনীতির গন্ধ আনা উচিত নয়।
পুরনো রাজনৈতিক মামলা সক্রিয় হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরনো মামলা রয়ে গেছে। এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। পুরনো বলে কিছু না। পুরনো মামলা তো যুগ যুগ ধরে রাখবো না। নতুন করে কিছু হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশিং দক্ষতা বাড়াতে আরও প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারিদের নিয়োগ পরীক্ষা আসস্মিক স্থগিতের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে বেগমগঞ্জ-ঢাকা সড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে চাকরী প্রার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ড্রাইভার নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রধান গেটে নিয়োগ পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিতের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। ওই সময় বিভিন্ন জেলা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আট শতাধিক পরীক্ষার্থী ওই নোটিশ দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপর তারা মেডিকেল কলেজের প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন এবং সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ বলতে নারাজ। কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পরীক্ষার তারিখ টেলিটকের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলে পরীক্ষার্থীরা তাদের মানববন্ধন স্থগিত করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আট শতাধিক পরীক্ষার্থী এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কলেজ থেকে জানানো হয়েছে অনিবার্য কারণবশত এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরীক্ষার্থীরা ২-৩মিনিট সড়কে অবস্থান নেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করে।
তিনি জানান, নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোনে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দুই ডজনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনটির একজন সঞ্চালক গণবিক্ষোভে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জনের মতো হতে পারে বলে উল্লেখ করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ওই সঞ্চালক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাস্থলে ২৬ জন সাধারণ মানুষ ও পুলিশ প্রাণ হারিয়েছেন। পরে এর আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বৃহস্পতিবারের একটি তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইরানে বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশটির নৈতিক পুলিশ পোশাক রীতি ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আটক করেছিল।
দেশটির পুলিশ বলছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি, তবে তার পরিবার এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে।
ইরানের রাষ্ট্র-চালিত গণমাধ্যম চলতি সপ্তাহে রাজধানী তেহরান সহ কমপক্ষে ১৩টি শহরে কয়েকশ লোকের বিক্ষোভের খবর দিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইরানি কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে।
তেহরান এবং অন্যান্য কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
ফিলিস্তিনি ‘হামলাকারীদের’ গুলিতে ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু
চবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। এতে সকালে ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী শিক্ষকদের বাস ছেড়ে যায়নি।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একাংশ।
একই দাবিতে গত ১ আগস্ট ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিতরা। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার পর পদবঞ্চিতরা মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
আন্দোলনকারীরা কমিটিতে স্থান দেয়াসহ তিন দফা দাবি দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন বলেন, ‘কর্মীরা পদবঞ্চিত হয়ে আন্দোলন করছে। আমরা এখনও অবস্থান করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পদবঞ্চিত কর্মীরা ফটকে অবস্থান করছেন। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রেজাউল হককে সভাপতি ও ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: চবি ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, প্রক্টরকে আদালতে তলব
পরে চলতি বছরের ১ আগস্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। মূলত এরপরই আন্দোলন শুরু করেন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। এক পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী এবং আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এই দুটি গ্রুপের রয়েছে ১১টি উপগ্রুপ।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২০০২ সালে ভারতের গুজরাটের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় এক মুসলিম নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১১ আসামির মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার শত শত মানুষ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে।
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় এবং গুজরাট সরকারের কাছে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গানও গায় বিক্ষোভকারীরা।
অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পড়ুন: নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
১৫ আগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করে, তখন সাজা স্থগিত করে এই ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি সমাবেশের জন্য ২০০৮ সালে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী, যার বয়স এখন ৪০, তিনিও আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুজরাট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত তাকে অসাড় করেছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তার বিশ্বাসকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় ওই ভুক্তভোগী গর্ভবতী ছিলেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ছিল এই গুজরাট দাঙ্গা। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিল। এই সহিংসতায় ভুগভোগী নারীর তিন বছরের মেয়েসহ পুরো পরিবারও নিহত হয়েছে।
সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণান বলেন, ‘পুরো দেশের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি উত্তর চাওয়া।’
গুজরাটের কর্মকর্তারা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)ক্ষমতায় রয়েছে, তারা বলেছে যে অপরাধীদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ তারা ১৪ বছরেরও বেশি জেল খেটেছে। ১৯৯২ সালের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ফেডারেল সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে গৃহীত নীতির একটি নতুন সংস্করণে ধর্ষণ এবং হত্যাসহ কিছু অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাজা মওকুফ ও মুক্তি দেয়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
এই দাঙ্গার জন্য গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই দাঙ্গার অনুমতি দিয়েছেন এবং এমনকি উস্কানি দিয়েছেন। কিন্তু মোদি বারবার এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ বলে আসছেন। তিনি দাঙ্গায় ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে তার বিরুদ্ধে মামলা করার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নয়াদিল্লির তরুণ বিক্ষোভকারী আছিয়া কুরেশি জানান, তিনি ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মোদি ১৫ আগস্ট ভারতের নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন এবং একই দিনে তারা ধর্ষকদের মুক্তি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে নিরাপদ?’
আরও পড়ুন: ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী
শাহবাগে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে ‘আহত’ ৩
বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ) দাবি করেছে, রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে জোটের তিন সদস্য আহত হয়েছে। জ্বালানি, সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জোটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী অর্ধদিবস ধর্মঘট পালন করে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাংলামোটর এলাকা থেকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন সহকারী জেলা প্রশাসক (রমনা জোন) হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন পুলিশ হঠাৎ আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, এতে আমাদের তিন নেতাকর্মী আহত হয়।’
আহত এলডিএ কর্মীরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে অনেক সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দেয়ায় তাদের হরতাল সফল হয়েছে বলে দাবি করেন রাজিব।
আরও পড়ুন:নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, এলিফেন্ট রোড, বাংলামোটর, কাটাবন, নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় অর্ধদিবস ধর্মঘটের সমর্থনে তাদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
এলডিএ কর্মীরা ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু করে পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
১৭ আগস্ট দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এলডিএ-র ধর্মঘটে সমর্থন জানায়। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:নড়াইলে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ
শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধে পুলিশের বাধা
নতুন হলের দাবিতে শেবাচিমের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিরাপদ ছাত্রাবাসের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) কয়েকশ শিক্ষার্থী।
সকাল ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা একাডেমিক ভবন ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে পৃথক ছয়টি হল রয়েছে। যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। এ ছাড়া জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের পলেস্তরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কলেজের ছাত্রী লিসা আক্তার বলেন, ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আমাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদারকে মারধর, নার্সদের কর্মবিরতি
কলেজের ছাত্র এহসান উল্লাহ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই নিরাপদ হলরুমেরও দাবি জানান তারা।
তাহসিন আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর আগে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
শিক্ষার্থী তাহসিন আহম্মেদ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে কতৃপক্ষ। দ্রুত এই ছাত্রদের পুন:আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে কিন্তু হল নির্মান করা হয়নি। আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মানে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
৪র্থ বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন বলেন, সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এছাড়া ঝুকিপূর্ণ হলের ছাত্র ও ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি করছি। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, শিগগিরই দুটি হোস্টেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শুরু করব।