বিক্ষোভ
নতুন হলের দাবিতে শেবাচিমের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিরাপদ ছাত্রাবাসের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) কয়েকশ শিক্ষার্থী।
সকাল ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা একাডেমিক ভবন ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে পৃথক ছয়টি হল রয়েছে। যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। এ ছাড়া জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের পলেস্তরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কলেজের ছাত্রী লিসা আক্তার বলেন, ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আমাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদারকে মারধর, নার্সদের কর্মবিরতি
কলেজের ছাত্র এহসান উল্লাহ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই নিরাপদ হলরুমেরও দাবি জানান তারা।
তাহসিন আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর আগে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
শিক্ষার্থী তাহসিন আহম্মেদ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে কতৃপক্ষ। দ্রুত এই ছাত্রদের পুন:আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে কিন্তু হল নির্মান করা হয়নি। আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মানে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
৪র্থ বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন বলেন, সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এছাড়া ঝুকিপূর্ণ হলের ছাত্র ও ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি করছি। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, শিগগিরই দুটি হোস্টেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শুরু করব।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিশাল সমাবেশ চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে সমাবেশ শুরু হয়।
সকাল থেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে সড়কের একপাশ অবরোধ করে।
বিজয়নগর ক্রসিং থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সিনিয়র নেতা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এর আগে গত সোমবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চলমান লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের হাতে দলটির সহযোগী সংগঠনের দুই নেতা মৃত্যুর প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে দলের সকল মহানগর ও জেলা ইউনিট প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে।
সরকার গত শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন এবং পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে এবং বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
গত ৩১ মে ভোলায় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে করা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের এক মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের মধ্যে একজন ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার বিকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের একদল শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা বিপিসির বোর্ড রুমে প্রবেশ করে। যেখানে সংগঠনটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্রিফ করার কথা ছিল।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা যখন প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
তবে বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন না বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। তিনি তার কক্ষে বৈঠক করছিলেন।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীরা বলেন, অযৌক্তিকভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
পরে শিক্ষার্থীরা বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদের কাছে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে দেয় সরকার।
এর ফলে, বাসের ভাড়া অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রায় ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জাপার
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম আগের অবস্থায় নিয়ে আসা; গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল এবং গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা।
শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর গণপরিবহনের ভাড়াও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, ‘গণপরিবহন খাতে ভাড়ার নামে নৈরাজ্য চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। পরিবহন মালিকদের তৈরি করা অসহনীয় পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের আগের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।’
এই কর্মসূচির পর বামপন্থী জোটের ডাকা আরেকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মধুর ক্যান্টিনে যান।
দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লিতে শুক্রবার কংগ্রেসের বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কাকে আটক করেছে পুলিশ।
রাহুল, প্রিয়াঙ্কা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারা দিল্লিতে অবস্থিত কংগ্রেস সদর দপ্তরের কাছে বিক্ষোভ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করে কিংসওয়ে ক্যাম্পের পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় রাহুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছি। প্রায় এক শতাব্দী আগে থেকে একটু একটু করে যে ভারতকে গড়ে তোলা হয়েছে, আপনাদের চোখের সামনে আজ তা ধ্বংস করা হচ্ছে। যেই এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাকেই নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়, জেলে নেয়া হয়, গ্রেপ্তার করা হয় এবং মারধর করা হয়।’
আগের দিন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাহুল, তার মা ও কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী এবং দলের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা সংসদে কালো পোশাক পরে গিয়েছিলেন।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা বিক্ষোভকারীদের দমন করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের দিল্লিতে কোনও বিক্ষোভ করার অনুমতিও দেইনি।’
সোনিয়া গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে অনেকেই ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। তার বাবা ছাড়াও তার দাদী ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদা জওহরলাল নেহেরু সকলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
এবার করোনায় আক্রান্ত রাহুল গান্ধী
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান
শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর অবৈধ বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার জন্য দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের শপথ নেয়ার একদিন পর শুক্রবার ভোরে কয়েক’শ সশস্ত্র সৈন্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে একটি বিক্ষোভ শিবিরে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করেন।
সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে নতুন সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করতে চায়-লঙ্কান জনগণের কাছে এমন বিপজ্জনক বার্তা যাবে বলে জানায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
অভিযানে দুই সাংবাদিক ও দুই আইনজীবীর ওপরও সৈন্যরা হামলা করে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী ও আইনজীবীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচিত উঁচু স্বরে ও স্পষ্ট বার্তা পাঠানো যে তারা এমন প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারে না যেটি জনগণের অধিকার পদদলিত করে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে শ্রীলঙ্কানরা কয়েক মাস ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন। এ সংকটের কারণে ২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপ দেশে ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। তার পরিবার গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় শ্রীলঙ্কা শাসন করেছে। তবে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনরোষের কারণে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে।
চবিতে ছাত্রী হেনস্তার প্রতিবাদে রাতভর বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় বিচার না করে উল্টো রাত ১০টার মধ্যে হলে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দেয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে চবির আবাসিক ছাত্রীরা।
বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিসির বাস ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শতাধিক ছাত্রী। এসময় তারা রাত ১০টায় হলে প্রবেশের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
তারা চার দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বলে জানান। চার দফা দাবিগুলো হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অকার্যকর যৌন নিপীড়ন সেল সংস্কার করে কার্যকর করা। রাত ১০টার পরে হলে প্রবেশের যেই নির্দেশনা তা বাতিল করা। কার্যদিবসের মধ্যে চলমান সকল হেনস্তা ইস্যুর বিচার করা।
এর আগে গত রবিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তায় চবির এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, প্রীতিলতা হলসংলগ্ন এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলেন তিনি। এ সময় পাঁচ তরুণ তাদের গতিরোধ করে জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে দুজন কোনো কারণ ছাড়াই তাদের মারধর করে। এছাড়া মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে এবং সেটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের মানিব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ওরা চলে যায়।
এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে হাটহাজারী থানায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ওই শিক্ষার্থী।
আন্দোলনকারীদের একজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী ফারজানা আমিন সোনিয়া বলেন, আমরা চারটা দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সাম্প্রতিক ছাত্রী লাঞ্ছিত ঘটনা চার কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডি প্রদত্যাগ করবেন। আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি।
এদিকে ছাত্রী হেনস্তাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ।
চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর আন্দোলন থেকে সরে আসেন ছাত্রীরা।
পড়ুন: নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধ
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভে একজন নিহত, আহত ৮৪: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বুধবার বিক্ষোভের ঘটনায় একজন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্মকর্তারা।
বিবিসির সূত্রমতে, পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে শ্বাসকষ্টে ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।
প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হয়।কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আরও বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
একজন সামরিক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, আহতদের মধ্যে একজন সৈনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন।তিনি অভিযোগ করেছেন যে গোলাবারুদ সহ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল একজন বিক্ষোভকারী চুরি করেছে যা এখনও উদ্ধার করা হয়নি।
এদিকে দেশটিতে চলমান কারফিউ শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে বলে সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভবনে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড
শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কার নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। বুধবার তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা কলম্বোয় তার কার্যালয়ে হামলা করেছে।
এর আগে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়ি ও অফিস দখল করে। এদিন একটি সামরিক জেটে করে গোতাবায়া মালদ্বীপ পালিয়ে যান এবং বিদেশে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বিক্রমাসিংহে দ্রুত দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। যাতে করে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ বন্ধ করা যায়।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিক্রমাসিংহের নিয়োগ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবার পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ: স্পিকার
এ বিষয়ে সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি অবিলম্বে তা (পদত্যাগ)করবেন। যদি তিনি পদত্যাগ করেন তাহলে ২০ জুলাই পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে নতুন সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন।
ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের সর্বশেষ মেয়াদটি ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। গত মে মাসে রাজাপাকসে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন; এই আশায় যে অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ তার কূটনীতি ও যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবেন। কিন্তু জ্বালানি, ওষুধ ও রান্নার গ্যাসের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় এবং তেলের মজুত কমে যাওয়ায় জনগণের ধৈর্য্য কমে যায়।
দেশটি ভারত ও অন্যান্য দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে। দেশটির নেতারা এখনও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি বেলআউট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন৷
কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কাকে শাসন করা রাজাপাকসের রাজনৈতিক রাজবংশকে ভেঙে দিয়েছে। এই পরিবারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর গত মে মাসে প্রেসিডেন্টের বড় ভাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তখন তাকে একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যাওয়ার পর এই ঘোষণা দেয়া হলো।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালায়।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন সরকার হলেই তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই!