সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরে এক পোশাক কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোসাদ্দেক হোসেন অপু (৩২), নাঈম ইসলাম (১৮) ও হৃদয় (২০)। তাদের সকলের বাড়ি নগরের গজারিয়া পাড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর মহানগরের গজারিয়া পাড়া এলাকা দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় এক যুবক ভুক্তভোগীকে ছুরি দেখিয়ে রাস্তা থেকে পাশের গজারি বনে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে।
এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এবং ভিডিওর আলামত জব্দ করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় উপজেলার ছোট দারোগারহাটের লালানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ইউপি সদস্যের নাম জাহেদ সুলতান চৌধুরী রবিন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
তিনি জানান, শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার সময় ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর সঙ্গে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে রবিন মেম্বার তার অফিসের সামনে তাদের গতিরোধ করে এবং অফিসে ধরে নিয়ে যায়। এরপর স্বামীকে জিম্মি করে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এছাড়া, ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং দুটি মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে তার স্বামী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত রবিন পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রবিন একজন নেশাগ্রস্ত। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন এবং মদ পান করে মসজিদের মুসল্লীদের মারধোরের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, রবিন ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় নগরীর সরাইপাড়া থেকে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাকে একবার গ্রেপ্তার করেছিল।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হয়। রাত তিনটার সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে আসামি জাহেদ সুলতান চৌধুরী প্রকাশ রবিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। নেত্রকোণার পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে বুধবার ভোর চারটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আমানউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং খোরশেদ আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই গৃহবধূ তার বাড়ি থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিল।
এ সময় সুমন মিয়া নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দিবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সুমন আমানউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।
সাড়ে ছয়টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালি মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এছাড়া সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমানউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমানউল্লাহকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম জানান, সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে স্বরাষ্ট্র সচিবকে গেজেট জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটির বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদি পক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি অভিযোগ একসঙ্গে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লায় প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার রাতে জেলার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিনার হোসেন। একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন, আমিনুল ইসলামের ছেলে নোমান হোসেন, গফুর ভূইয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
শুক্রবার রাতে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে মিনার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে মিনার ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোসেনপুর গ্রামের উন্মুক্ত মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ওই কিশোরীকে সারারাত সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, একপর্যায়ে ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে কুমিল্লা শহরের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (ধর্ষকদের) কবল থেকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছি, তারা আমাকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সিএনজিতে তুলে দেয়ার সময় হুমকি দিয়েছিল এ ঘটনা কাউকে না বলতে।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, শনিবার এ ঘটনায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ও অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বন্ধুর হবু স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ৩
ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
আসামিরা হলো-গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান (২৮), মো. হান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭), মতিয়ার রহমান মুন্সির ছেলে নাজির হোসেন (৩২), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২৯) এবং আমিনুর রহমান (২৯)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পলাতক।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত আবুজার রহমানের সঙ্গে শাহীনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আবুজার। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১৪ মে আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে লালমনিরহাটে একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এসময় বাড়িতে শাহীনা ও তার ১২ বছর বয়সী ভাগ্নি শান্তনা বাড়িতে ছিলেন।
বিষয়টি জানাজানির ভয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত আবুজার রহমান তার অপর সহযোগিদের নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে এনে পাশ্ববর্তী একটি ধইঞ্চা খেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করেন।
ওইদিন রাতে আইয়ুব আলী বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ধইঞ্চা খেত থেকে শাহীনার লাশ উদ্ধার করেন আইয়ুব আলী।
পরবর্তীতে শান্তনা ও তার স্ত্রীর মুখে বিস্তারিত শুনে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আইয়ুব আলী।
প্রায় সাত বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত পাঁচ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্তজেলা ট্রেনের বগিতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনায় পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলেছেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন ঢাকার আদালতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তবে ঘটনার পর থেকে ইমরান নামে আরেক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলো-নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), নাইম (২৫), সুমন (২১) ও রুমান ওরফে কালু (২২)।
১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নেত্রকোণার একটি গ্রাম থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি আন্তজেলা ট্রেনে করে কমলাপুর থানায় পৌঁছায়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সে ঢাকায় আসে।
তার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য না থাকায় প্ল্যাটফর্ম নং-২ এ অপেক্ষা করছিল। পলাতক ইমরান তার সঙ্গে কথোপকথন শুরু করে এবং তাকে প্ল্যাটফর্ম নং-১ এর একটি ট্রেনের বগির ভিতরে থাকতে বলে যে এটি তার জন্য নিরাপদ হবে।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমরানসহ চার থেকে পাঁচজন মিলে বগিতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। রেলওয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষী বগির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সকালে নিরাপত্তারক্ষী মেয়েটিকে উদ্ধার করে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে ভুক্তভোগীর দেয়া বিবরণে থানা এলাকা থেকে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করেছে।
শনিবার বিকালে গ্রেপ্তার পাঁচ যুবককে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদের মধ্যে নাইম ও সুমন নামে দুজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।
অভিযুক্তদের সবাইকে জেলে পাঠানো হয়েছে, পুলিশ এখনও পলাতক ইমরানকে খুঁজছে।
আরও পড়ুন: ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা
মাদারীপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কর্তব্যে অবহেলার অভিযাগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
কুমিল্লার মুরাদনগরের চাপিতলা গ্রামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সোমবার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা বাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) আতাউর রহমান ও কনস্টেবল মামুন।
জানা যায়, উপজেলার চাপিতলা গ্রামে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ৮/১০ জনের একটি দল। এসময় তারা ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মেরে আহত করে। ঘটনার পরদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে, প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নিয়ে সময়ক্ষেপণের মাধ্যম ঘটনার প্রধান আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই পুলিশ সদস্যদেরকে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে ক্লোজড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন।
ওসি বলেন, এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গাফিলতির কারণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ, যুবক আটক
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনা মহানগরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ফজলুর রহমান শাওন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। এ মামলার বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী মধ্যপাড়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন, খালিশপুর হাউজিং এলাকার আবু কাশেমের ছেলে সোয়ান, তেলিগাতী মধ্যপাড়া ক্লাব মোড়ের লিয়াকত শেখের ছেলে রুবেল শেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন বৃহস্পতিবার বিকালে ভুক্তভোগী তরুণীকে নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকায় নিয়ে যান। সন্ধ্যায় আড্ডা দেয়ার সময় চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই তরুণীকে তেলিগাতী মধ্যপাড়ার আজগর সরদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রাতে অভিযুক্ত চারজন ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওহিদুজ্জামান বলেন,সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক)হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
খুলনার খালিশপুরে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে খালিশপুর এলাকার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. মেজবাহ উদ্দীন, একই এলাকার মো. সুজন মোল্লার ছেলে মো. ইমন মোল্লা ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মো. মহারাজ চৌকিদারের ছেলে মো. শিমুল চৌকিদার।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী তার বন্ধু মারুফের সঙ্গে ইজিবাইকে ঘুরতে বের হয়। এ সময় মারুফের বন্ধু ও ফুফাতো ভাই মেজবা ফোন করে ওই স্কুলছাত্রীকে তাদের বাসা পাবলা সবুজ সংঘের মাঠ এলাকায় নিয়ে আসতে বলে। তারা সেখানে গেলে মেজবাসহ আরও দুজন মারুফ ও ওই স্কুলছাত্রীকে মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে মারুফকে আটকে রেখে নির্মাণাধীন একটি ভবনে ভুক্তভোগীকে ওই তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাদের দুজনকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি জানান, ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, পরে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন ওই স্কুলছাত্রী। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওইদিন রাতেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিজিবি-রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন