সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
খুলনায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরও ২ জন গ্রেপ্তার
খুলনায় নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় আরও দুই আসামিকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মুশতাক আহমেদ জানান, খুলনার শিরোমনি এলাকার বাসিন্দা সুমন ও আলামিন মল্লিককে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গত ১৮ মার্চ রাতে নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি এলাকার তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ের পাশে একটি গ্যারেজের সামনে দিয়ে ভুক্তভোগী ও তার স্বামী সিএনজিযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় চার জন তাদের গতিরোধ করে। পরে দম্পতিকে ওই গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে স্বামীর হাত বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই নারী চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
শনিবার রাতে গ্যারেজের মালিক কামরুলকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার সাগর ও শাকিলকে আটক করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সুমন ও আলামিনকে আটক করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জীবন এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
খুলনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে মহানগরীর খানজাহান আলী থানার তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ের পাশে একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ কামরুল ইসলাম নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিরা হচ্ছে-শিরোমনি পূর্বপাড়া এলাকার আফজাল মল্লিক এর ছেলে সুমন (২৭), জামাল উদ্দিনের ছেলে সজিব হোসেন জীবন (২২) এবং আফজাল মল্লিক এর ছেলে আলামিন মল্লিক (২২)।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বামী-স্ত্রী অভিযুক্ত কামরুলের গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় চার-পাঁচজন জোর করে তাদের গ্যারেজে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে ফেলে। পরে তারা নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি গ্যারেজ মালিক আব্দুল মালেকের ছেলে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আবু জাফর বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তিনি বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: পুত্রবধূ ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী: গ্রেপ্তার ১
খুলনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
খুলনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর খানজাহান আলী থানার শিরোমনি এলাকার একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর সার্কেল) মো. আবু জাফর বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় শনিবার সকালে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন-কামরুল, জীবন , সুমন ও আলা।
অভিযোগ অনুযায়ী, তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ের পাশে কামরুলের গ্যারেজের সামনে দিয়ে ওই নারী ও তার স্বামী যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাদের তুলে গ্যারেজের ভেতর নিয়ে যায় এবং স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার এনামুল হাওলাদার (৩৫) মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের মুনছুর আলী হাওলাদারের ছেলে। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার জিলবুনিয়া গ্রাম থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি রিয়াজ শিকদারকে (৩৮) কচুয়া উপজেলার বাগমারা এলাকা থেকে র্যাব-৬ গ্রেপ্তার করে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল-আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বুধবার মোরেলগঞ্জ থানায় রিয়াজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১০ জনের এক ডাকাত দল ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলার প্রধান আসামি রিয়াজ শিকদারকে প্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার কচুয়া উপজেলার বাগমারা খেওয়াঘাট থেকে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পূর্ণ হযেছে। ওই নারী বাগেরহাট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রিয়াজ শিকদার (৩৮) বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বর্শিবাহ গ্রামের আব্দুল মজিদ শিকদারের ছেলে।
র্যাব খুলনা-৬ এর সদরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল-আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ ধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব সদস্যরা ওই গৃহবধূ ধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনার মুল হোতা রিয়াজ শিকদারের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এর পর র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কচুয়া উপজেলার বাগমারা খেওয়াঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কার্যালয়ে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসামিদের ধরতে র্যাবের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৫
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধু বাগেরহাট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় ওই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক তার ওই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন। এছাড়া ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গৃহবধূ গণধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত আসামিদের আটক করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ আদনান হোসেন জানান, হাসপাতালের তিন সদস্যের নারী চিকিসকদের মেডিকেল বোর্ড ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে। ওই মেডিকেল বোর্ড তার বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে এবং নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। পরীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ শেষে তারা রিপোর্ট দেবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে রেখে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে সংঘদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই গৃবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর আসামিরা যাওয়ার সময় ঘরে থাকা স্বর্ণলংকার, দুই বস্তা শুকনা সুপারি, শাড়ি কাপড়, নগদ অর্থসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর দিনমজুর স্বামী বুধবার মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে রিয়াজ শিকদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
ঝালকাঠি শহরে স্কুলছাত্রীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে রনি নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর সূত্র ধরে তাদের পূর্ব পরিচিত রাব্বি নামে এক যুবক ওই ছাত্রীকে ফোনে কল দিয়ে বাসা থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক মোটরবাইকে তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ববিতে মশাল মিছিল
এরপর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার খান একটি বোডিংয়ে নিয়ে ওই ছাত্রীকে রাব্বি, রনি, নাছির ও খান বোডিংয়ের ম্যানেজার চাঁনমিয়া রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি বাসায় গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার সম্পর্কে জানায়। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ঝালকাঠি সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাগেরহাটে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
বাগেরহাটের কচুয়ায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সোহেল শেখ, ইজাজুল মোল্লা, সজিব মোল্লা ও টিপু শেখ।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বলেন, সজিব তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কয়েক মাস আগে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা নাকচ করে দেন এবং এতে তার ওপর সজিব ক্ষিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে তিনি একা ছিলেন। তার বাবা ও মা খুলনায় অবস্থান করছিলেন। রাত ১২টার দিকে তিনি ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে ওই চার যুবক তাদের বাড়িতে আসেন এবং দুজন তার ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা অপর দুজন ঘরের দরজার কাছে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ববিতে মশাল মিছিল
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জ্যৈষ্ঠ স্টাফ নার্স তুলসী রানী বিশ্বাস জানান, মেয়েটির নিচের অংশে বিভিন্ন স্থানে কামড় এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মেয়েটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান,এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ববিতে মশাল মিছিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কেও ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলসা মুনতাজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। স্বাধীন দেশে আমাদের নিরাপত্তাটা কোথায়। পড়াশুনা করতে গিয়ে যদি এমন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাবো। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি আমরা।
গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান জানান, বুধবার রাতে জেলার সদর উপজেলায় সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘এই খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।’
অঅরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব!
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক অটো থেকে তাদের তুলে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ৭-৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে এবং তাকে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে ডিবির এসআই হাজতে
নারায়ণগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. কাউসার আহম্মেদ হিমেল ওরফে কালুকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) -১১।
মঙ্গলবার র্যাব-১১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সম্রাট তালুকদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় এক স্কুল ছাত্রী (১৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় জেলার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়।
মামলায় আসামি হৃদয় গ্রেপ্তার হলেও কালু সহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। সোমবার র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. কাউসার আহম্মেদ হিমেল ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার
র্যাব জানায়, আসামি মো.কাউসার আহম্মেদ হিমেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা ও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়া তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।