সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
চলন্ত বাসে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জে চলন্ত বাসে এক গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় জাহিন গার্মেন্টস এর সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই বাস চালক নুরুল হক (২১), বাস কন্ট্রাকটার শান্ত (১৬) ও বাসের হেলপার বুলেটকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে।
বন্দর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে ওই গৃহবধূ রূপগঞ্জের গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি চিটাগাং রোডে আসতেই সকল যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে উচ্চস্বরে গান বাজনা বাজিয়ে চালক গাড়িটি চালাতে থাকে। এর একপর্যায়ে চলন্ত বাসের মধ্যে ওই গৃহবধূকে চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টর মিলে ধর্ষণ করে। চিটাগাং রোডের পর থেকে ঘটনা ঘটলেও বন্দরের মদনপুরে এসে ওই তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ওসি আরও জানান, রাতেই গাড়ি মেরামতের দোকান থেকে অভিযুক্ত বাসটির চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব!
ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তার ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর বরখাস্ত
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব!
যশোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর (১৪) সন্তান প্রসবের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ভোর ৫টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে সে।
জানা গেছে, চলতি বছর মার্চ মাসে যশোর সদরে তিন তরুণ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে থাকা ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে প্রসব বেদনা উঠলে তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে ভোর ৫টার দিকে একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে সে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে ডিবির এসআই হাজতে
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যানচালক। মার্চ মাসের প্রথম দিকে আমার বড় মেয়ে হাসপাতালে সন্তান প্রসব করে। সেই সময়ে আমরা সবাই হাসপাতালে ছিলাম, কেবল ছোট মেয়ে বাড়িতে ছিল। ওইদিন রাতে তিন যুবক অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ তাদের জেলহাজতে দেয়। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে তারা মেয়ের গর্ভপাতের জন্য হুমকি-ধামকি দিলেও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তারা আর কিছু বলেনি।’
আরও পড়ুন: রৌমারীতে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ
এ ব্যাপারে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, কিশোরী মা ও তার সন্তান এখন ভালো আছে। যেহেতু সে কিশোরী সেকারণে আইনগত বিষয়টি পুলিশই দেখবে।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রয়েছে। এখন শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জয়পুরহাটে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- জেলার সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের শফিকুলের ছেলে আসলাম (২১), রমজান আলীর ছেলে মো. রাব্বি (১৯) ও বেলাল হোসেনের ছেলে মো. রায়হান (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক এক গৃবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও ওসি জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
মনপুরায় গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে পার্লার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বিউটি পার্লার কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন শিমুলতলা গ্রামের কামরুজ্জামান ও একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের গোলাপ মিয়া।
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম সারোয়ার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাগ্নীর জন্য পাত্র দেখতে এক বান্ধবীকে নিয়ে শ্রীপুরে কাওরাইদ এলাকার পাত্র আল-আমিনের বাড়িতে যান ওই নারী। সেখান থেকে রাতে সিএনজিতে করে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। এ সময় তাদের বহনকারী সিএনজি শ্রীপুরের শিমুলতলা গ্রামে পৌঁছালে চার থেকে পাঁচজন যুবক গাড়িটিকে আটকিয়ে দেয়। ওই যুবকরা সিএনজিতে থাকা অপর নারীকে ছেড়ে দিয়ে পার্লার কর্মীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বলদীঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে।
এসআই আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হলে আজ শনিবার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন পেছাল
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন পেছাল
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলার চার্জ গঠন পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলার নথিপত্র একসাথে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক আদালতে মামলার অতিরিক্ত চাপ ও স্টেনো না থাকায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম জানান, স্টেনোগ্রাফার না থাকার প্রেক্ষিতে চার্জ গঠনের তারিখ পেছানো হয়েছে। একই সাথে আদালতে ৩ আসামি অব্যাহতির আবেদন করেছে।
আদালতে মামলা জটের কারণে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী। পরবর্তী ধার্য তারিখে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনের মামলার অভিযোগ গঠন ও আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের ব্যাপারেও শুনানি হবে।
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এর মধ্যে ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র নারী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ও চাঁদা দাবি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলাটির অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ: নতুন করে গঠন হবে মামলার অভিযোগ
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান জানান, এসমি কলেজ ছাত্রবাসে আলোচিত এ ধর্ষণের অভিযোগে একটি ও ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।
অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান জানান, বাদীপক্ষ মনে করে একই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দুই আদালতে বিচারকাজ পরিচালিত হলে সাক্ষীরা দুই আদালতেই সাক্ষী দিতে হবে। এতে নানা অসঙ্গতি দেখা দিবে। এতে বিচার প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই দু’টি মামলাই একই আদালতে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। পরে হাইকোর্ট দুটি মামলা একই আদালতে বিচারের আদেশ দেন।
এ আদেশের পর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা একসাথে বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৭ জানুয়ারি আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।
পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে তুলে নিয়ে সীতাকুণ্ড এলাকায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ড থানার বেড়িবাঁধ এলাকা ও ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে গণমাধ্যমকে এ ঘটনা জানায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন গাড়ি চালক মো. মেহেদী হাসান ওরফে মুন্না (১৯), মো. হাসান তারেক রনি (২৯), মো. মাকিব (২২)।
এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড়বোন বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে ‘ধর্ষণ’: সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
পুলিশ জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী তার এক ভাবীর সাথে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়। পথে একটি লেগুনা গাড়িতে ভুক্তভোগী ও তার ভাবী উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু অসর্তকতাবশত কিশোরী গাড়িতে উঠতে না পারলে গাড়িটি তাকে পথে রেখেই গন্তব্যের দিকে ছুটে যায়। পরে কিশোরী আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারের সামনে কান্নাকাটি করতে থাকলে গাড়ি চালক মেহেদী বিষয়টি লক্ষ করে তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে তাকে বাসায় পৌঁছে দিবে বলে তার গাড়িতে উঠায়। ওই কিশোরী মেহেদীর গাড়িতে উঠলে তাকে সীতাকুণ্ডের কালুশাহ মাজার এলাকায় গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রেখে মেহেদী তার অপর দুই বন্ধুকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে আসামি মেহেদী কিশোরীকে তার মনসুরাবাদের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। কিশোরী এই ঘটনা অনেকদিন পরিবারের কাছ থেকে গোপন রাখে।
ঘটনার কিছুদিন পর কিশোরীর শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সে তার সাথে পাশবিক ঘটনার বর্ণনা দেয়। বুধবার কিশোরীকে তার পরিবার ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে মনসুরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে ঘটনাচক্রে মূল আসামি মেহেদীকে দেখতে পায়। পরে কিশোরীর বোন ও তার স্বজনরা মেহেদীকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন করলে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল আরও দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্রী। উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ঢোলারহাট ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবার থানায় মামলা করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও খবর: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে মাধবপুর গ্রামের মাঠে ছাগল আনতে গেলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে শিমুলতলী বাজারের অশেন চন্দ্রর দোকানে নিয়ে চার বখাটে মিলে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, গত পরশু দিন আমার মেয়ে পাশের জমি থেকে ছাগল আনতে যায়। কিন্তু সেখান থেকে কয়েকজন মিলে আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে শিমুলতলী বাজারের অশেন রায়ের পরিত্যক্ত এক দোকানে ধর্ষণ করেছে। পরে স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়টি নাকি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আপোষ করেছে। কিন্তু আমি এসবের কিছুই জানি না।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলে আগুন দেয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
থানায় যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা হলেন, ঢোলারহাট ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের লেবু রায়ের ছেলে রওনা রায় (৩৬), আলাউদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), গৌর লাল প্রসাদের ছেলে উত্তম কুমার (২৪) ও শনি রায়ের ছেলে অনাথ রায় (৩৬)।
এ বিষয়ে ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিমান্ত কুমার বর্মন নির্মল বলেন, বুধবার রাতে মেয়ের বাবা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আমি বৃহস্পতিবার তাদের বাড়িতে এসে মামলা দায়েরের কথা জানতে পারি। তিনি আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিরা যদি সত্যি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাদের সঠিক বিচার চাই।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় এসে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং আসামিকে ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৬
কিশোরগঞ্জের নারীকে সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে এক নারীকে (২৫) সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হচ্ছে- এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ ওরফে জাবেদ (৩৬), ফড়িংউরার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ (২৭), একই গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (২২) ও বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪)।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় সিলেটের জামেদ আহমদ জাবেদের। আলাপের এক পর্যায়ে জাবেদ তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে প্রথমে ওই নারী আপত্তি জানালেও পরে জাবেদের কথায় বিশ্বাস করে রাজী হন।
গত ১০ জুলই সন্ধ্যায় ওই নারী বাড়ি ছেড়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আসেন। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জাবেদ তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার ওপর একটি ছাউনির ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন তার সহযোগী ফয়সল আহমদ, রাসেল আহমদ, জামিল আহমদ নামে তিনজন। এই চারজন ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে টানা তিন দিন ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে জাবেদ ওই নারীর মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পাটখেতে নারীর গলাকাটা লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ
এজাহারে ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার ভোর অনুমানানিক ৬ টার দিকে রুবেল (২৫), ইমাম (২৫), ফারুক (২৩), মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও আবুল (২৬) নামে পাঁচ ব্যক্তি সেখানে যান। তখন জাবেদসহ অন্যরা ওই পাঁচ জনের কাছে তাকে রেখে চলে যায়। এরপর ওই পাঁচ ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাকে ফেলে সবাই চলে গেলে চা বাগানের ওই নির্জন স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী। এরপর রাস্তায় একজন লোকের সহায়তায় নিজের খালাতো বোনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দর থানায় এসে ওই নারী মৌখিক অভিযোগ জানান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বুরজান চা বাগান এলাকা থেকে জামেদ আহমদ জাবেদ ও মোশাহিদ আহমদকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ওই নারীর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযানে নামে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির।
বুধবার বিমানবন্দর থানায় ভিকটিমের অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবারই ওই মামলায় আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী ৫ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগকারী নারীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
গাইবান্ধা সদরে মায়ের সাথে অভিমান করে এক কিশোরী (১৬) বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ঘটনার শিকার কিশোরীর মা।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার পারবর্তীপুর গ্রামের কসাই লাল মিয়া ও একই উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের বকুল প্রধান।এদের মধ্যে লাল মিয়া পেশায় মাংস বিক্রেতা (কসাই) ও বকুল বাসের কাউন্টার মাস্টার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
মামলায় বলা হয়, গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই কিশোরী মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে যায়। ঢাকা যাওয়ার জন্য মেয়েটি বাজারের শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস কাউন্টারের সামনে পায়চারি করছিল। এ সময় কাউন্টার মাস্টার বকুল প্রধান ও কসাই লাল মিয়া মেয়েটির কাছে যান। পরে জানতে চাইলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি। লকডাউনে বাস বন্ধ, তবে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাওয়ার যাবে বলায় মেয়েটি রাজি হয়। রাত ৮টার দিকে তারা মেয়েটিকে বাথরুম সেরে নেয়ার কথা বলে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। পরে এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোবাইলে ডেকে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলন্তবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চালক-হেলপারসহ বাসের ৩ জন রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৩জন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাড়ি জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায়।
আটককৃতরা হল- সীতাকুণ্ড উপজেলার আশরাফুল ইসলাম ( ২৩), শাহাদাত হোসেন ( ১৯), নিজামউদ্দিন রানা ( ২০), মো. বেলাল হোসেন ( ২৩), মো. ইসমাঈল (৩১) এবং মীরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামের মো. সাগর হোসেন ( ২২)।
এর আগে গত বুধবার (২৩ জুন) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ভোর পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থেকে মীরসরাই পর্যন্ত চলন্ত বাসে দফায় দফায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিম ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আটক হওয়া ৬ জনকে শনিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের মধ্যে বাস চালক হেলপারসহ ৩ জন রয়েছে। ঘটনার সাথে মোট ৯জন জড়িত থাকলেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ৬ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার শিকার তরুণীর বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অধিকাংশ সময় বাসে এবং পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রানা নামে বাসের একজন স্টাফ ছিল ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত। সে সম্পর্কের সুবাদে রানা তাকে ফুসলিয়ে মিরসরাইয়ে নিয়ে যায়। এরপর ছয়জন মিলে প্রথমে একটি বাসের ভেতর এবং পরে মীরসরাইয়ে আরও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। তাদের আরও দু’জন সহযোগী আছে। মোট আটজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: ৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিমকে মাঠে নামানো হয়। একে একে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।’