সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ভোলায় ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
জেলার বোরহাউদ্দিন উপজেলায় এনজিও থেকে ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড স্মৃতি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী তিন জনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলেও সোমবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী ও তার স্বামী জানান, রবিবার বিকালে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণের টাকা আনতে যান ওই নারী। এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে সন্ধ্যায় স্মৃতিপাড়ার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮ টায় বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বখাটে সাহেদ, সুমন ও ইউসুফ ওই নারীকে জোরপূর্বক বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা চলে যাওয়ার সময় এনজিও থেকে ঋণ করে আনা ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এরপর তাকে রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদা ইসলাম মিতু জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, পুলিশ রাতেই ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেছেন। ওই নারীর স্বামী যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার সাথে ক্তভোগীর বক্তব্যের কিছুটা অমিল আছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারা ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করছেন। সঠিকভাবে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
রাজশাহীতে মোবাইলে ডেকে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে।
ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় মানিক হোসেনের ছেলে সুমন তার সাথে এর আগে শারীরিক মেলা-মেশা করেছে। সর্বশেষ শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে মোবাইল করে উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রাম থেকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ডেকে আনে। এরপর সুমন একটু পরে আসছি বলে তার তিন বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে চলে যায়।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
এদিকে সুমন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরে বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে রাতভর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাঘা উপজেলার উত্তর মিলিক গ্রামের এমদাদ আলী ছেলে তারেক (২৫)। একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরুফে নাসির উদ্দিন(২৩) এবং একই উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়ার হোসেন আলী ছেলে সবুজ আলী (২১) ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর দিন রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবা-মাকে সাথে করে বাঘা থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অপর একজন পলাতক রয়েছে।
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ও হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্যক সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কমরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি করে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয় ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবস্থা চেয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ওই ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন।
শুনানি নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসাথে ধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা ছিলেন।
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর ওই কমিটি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। গণধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশপ্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় কলেজ বন্ধ থাকার পরও কয়েকজন ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করেন। একজন প্রাক্তন ছাত্র ৫ নম্বর ব্লকের হোস্টেল সুপারের বাসভবন দখল করে থাকেন। প্রাক্তন ওই ছাত্ররা অবৈধভাবে কলেজ হোস্টেলের সিট দখল করে থাকার কারণে এবং প্রাক্তন ছাত্র সাইফুর রহমান হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে থাকার কারণেই তারা কলেজের হোস্টেল এলাকায় গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার সাহস পান। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।
প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়েছে, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা প্রাক্তন ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে গত ১১ মার্চ এ বিষয়প শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। রুল আংশিক মঞ্জুর করে ওই নির্দেশসহ আজ বুধবার রায় দেয়া হলো।
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া বাকি পাঁচ জনের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে আসামি পাঁচ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে দুপুরে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ছয় আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা জেলা কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশুলিয়া থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুনানি শেষে অপর পাঁচআসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ওই ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার পথে বাসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
পরে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন বাসের চালক ও চালকের সহকারীসহ ছয় জনকে আটক করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সাভারের আশুলিয়ার বিশমাইল নবীনগর এলাকার ডিসি নার্সারির সামনে শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম বলেন, গতকাল নায়ারণগঞ্জের চাষাড়া থেকে এক নারী শ্রমিক মানিকগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে তিনি মানিকগঞ্জ থেকে নায়ারণগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি বাসে করে আশুলিয়ার নবীনগর আসেন। নবীনগরে তার এক পূর্ব পরিচিত ভাইয়ের সাথে একটি মিনি বাসে উঠলে বাসের চালক বিশমাইল নবীনগরের মাঝে ডিসি নার্সারির সামনে নিয়ে ওই নারীর সাথে থাকা যুবককে বেঁধে বিভিন্ন গাড়ির ছয়জন চালক ও চালকের সহকারী তাকে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
এসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারী চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ ওই গাড়িটি জব্দ করে। সেই সাথে ছয়জন ধর্ষণকারীকেও আটক করে এবং ওই নারীকেও উদ্ধার করে। পরে সকালে ছয়জন ধর্ষণকারীকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে। এছাড়া গত দুই দিনে সাভার ও ঢাকার ধামরাইয়ে এক শিশুসহ দুইজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সিলেটে জঙ্গলে নিয়ে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক তরুণের সঙ্গে প্রেম করে প্রতারিত হয়ে চারজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান থানাধীন পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গোলাপগঞ্জের গন্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক স্থানে টিলার পাশে জঙ্গলের ভিতর একটি মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রবিবার বিকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
এছাড়া ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানেয়েছেন।
ডুমুরিয়ায় তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই ডুমুরিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (২৩) এবং চুকনগর গ্রামের (সাবেক নরনিয়া গ্রামের) আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আসাবুর রহমান আশিক গাজী (২৩)।
আরও পড়ুন: গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
মামলার বিবরণে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ভুক্তভোগী চুকনগর বাজারের গোলাম রোডে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পরিচিত এক ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় আসামিরা তাদেরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় নরনিয়া গ্রামের মৃত নজির উদ্দীন গাজীর ছেলে ইউসুফ হারুন গাজীর ধানের চাতালের দোচালা একটি টিনের ঘরে। পরিচিত ব্যক্তিকে আটকে রেখে ভিকটিমকে অন্য ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এ সময় ভুক্তভোগী তরুণী রাতেই ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনার বিবরণ দিলে ওই রাতেই ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে আসামি আশিকের বাবা আব্দুল হামিদ গাজী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু আসলে কি হয়েছে তা আমি জানি না।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হককে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে ২ তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আতর আলীর ছেলে রিফাত (১৮) , হুকুম আলী ছেলে শাহীন (১৯), মঙ্গলের ছেলে আপু (১৮) ও আসিফ (১৯)।
আরও পড়ুন: গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, রবিবার রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রাজাবাড়ি এলাকায় একটি পার্ক থেকে ডিউটি শেষে ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত মামলার এক নাম্বার আসামি আসিফ কিশোরীদেরকে জনৈক ছবির উদ্দিনের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা আপু, রিফাত, শাহীনসহ ৯ জন মিলে তরুণীদের রাতভর ধর্ষণ করে। পরে এক তরুণীর মা ও অপর তরুণীর নানীর দায়ের করা মামলায় চার যুবককে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, থানায় গ্রেপ্তার চার ধর্ষককে রবিবার দুপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এছাড়া পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
পাবনার চাটমোহরে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৬) এবং ফজর আলীর ছেলে আব্দুল হালিম (৩০)।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, ইমাম গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে বোঁথর (ফকিরপাড়া) গ্রামের জনৈক গৃহবধূ (২৬) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে অভিযুক্ত আতিকুর রহমান ও আব্দুল হালিম তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে তার স্বামী এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আতিকুর রহমান ও আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ২
সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, ‘ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ২
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
তারা হলেন উপজেলার বাহাদুরপুর দক্ষিণ ঠিকরপাড়া গ্রামের মৃত ছাইদ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ পেটলা ও উত্তর গাঙ্গপার এলাকার মৃত আব্দুর খালিকের ছেলে মিশুক আহমদ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘরের বারান্দায় নলকূপ থেকে পানি নিতে বের হলে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের একটি নির্জন জায়গায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষক পালাক্রমে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধর্ষকদের আটক করে রাখেন। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে আটক করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দেশের ধর্ষণ পরিস্থিতি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস্) সম্প্রতি জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে সারাদেশে ১২ জন গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে হত্যা এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্য, ধর্ষণের শিকার ১২ জন, শারীরিক আঘাত ও নিপীড়নের শিকার ১২ জন এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে করোনাকালে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও শিশুদের জনসমাগমের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
গত ৯ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে এ চিত্র তুলে ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয় বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক রাফেজা শাহীন।
পাঁচটি জাতীয় বাংলা দৈনিক এবং তিনটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত বছর ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ শিশুকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, সদস্য সমাপ্ত ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০৮ জনকে গণধর্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ধর্ষণের পরে ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্য ১২ জন আত্মহত্যা করেছে।
এছাড়াও, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনটি বলছে যে ১৬১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
আসক আরও বলছে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় তিনজন নারী ও নয়জন পুরুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া ৬২৭টি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২০ জন ছেলেকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এবং ২১ জন নারী অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।
বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।