নোয়াখালী
ভাসানচরের পথে আরও ৩৭৯ রোহিঙ্গা
সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা।
সর্বশেষ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়। এর আগে বেলা ১১ টায় সাতটি বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হয় তাদের। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে নেয়া হবে রোহিঙ্গাদের।
এর আগে ১ ও ২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় (দুই অংশে) চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। এবার ১৮শ’ থেকে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের টার্গেট সরকারের। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্পৃক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরসি) কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১২ রোহিঙ্গা নোয়াখালীতে আটক
কক্সবাজার ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত: জাতিসংঘ
বেগমগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গুলিবিদ্ধ ৩
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিসুর রহমানসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে গুলি বিনিময়ের এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন-সুলতানপুর গ্রামের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাই মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৬) ও মোশাকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসেন (২৪)।
স্থানীয়দের বরাতে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী ও বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) আনিসুর রহমানের মধ্যে কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া ও পাল্টা-ধাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আনিসুর রহমানসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসআই (নিরস্ত্র) অমর্ত্য মজুমদারের নির্দেশে কনস্টেবল মো. আশিক ৪ রাউন্ড রাবার গুলি, কনস্টেবল নাহিদ ৪ রাউন্ড সিসা গুলি, কনস্টেবল রাকিব দুই রাউন্ডসহ মোট ১০ রাউন্ড রাবার গুলি ছুড়ে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ টিম এসে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. আনিসুর রহমানের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের বিরোধী প্রার্থীর খালাতো ভাই মো. মিরাজকে পুলিশ আটক করে।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রে র্যাব, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে, দুপুরে হাজীপুর ইউনিয়নের ১০৮ নং কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন, হাজীপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের মৃত আফজাল উদ্দিন বাবুর ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল (২৫) ও হাজীপুর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে কামরুল হাসান (১৭)।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুয়েলকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কামরুলকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এর আগে, সকালে ছয়ানি ইউনিয়ন ৮ নং দোয়ালিয়া কেন্দ্রের বাইরে বলের বাড়ির পশ্চিম উত্তর পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৮টায় আমানুল্যাপুর ইউনিয়নের মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে পলোয়ানপুল থেকে আমিশাপাড়া রাস্তার ওপর বড় বাড়ির দরজার সামনে কতিপয় বহিরাগত লোক চাদর গায়ে দাঁড়ানো ছিল। স্পেশাল স্ট্রাইকিং-১ এর ইনচার্জ বেগমগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে অজ্ঞাতনামা একজনের একটি পিস্তল মাটিতে পড়ে যায়। এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ দৌড়ে পিস্তল উদ্ধার ও দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করতে গেলে তাহাদের গায়ে থাকা চাদর ছুড়ে মারে। চাদর এসআই আনোয়ার হোসেনের পায়ে পেঁচিয়ে পাকা রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে দুই হাত ও পায়ে জখম হয়। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আটক ও পিস্তল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিকাল ৩টায় রসুলপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বিজয়কে নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা আটক করেন।
নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ও লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী এলাকায় মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় রবিবার রাতে আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মন্দিরের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, রবিবার রাতে রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে উক্ত উপজেলার মো. মনির হোসেন রুবেল (২৮), জাকের হোসেন রাব্বি (২০), মো. রিপন (২১) ও মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ (৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে মন্দিরের লুন্ঠিত সাতটি পিতলের তৈরি প্রতিমা, ২০টি বাতির কৌটা, দুইটি দ্রুপতি, পাঁচটি পঞ্চ বাতির দানি, দুইটি হাত ঘণ্টা,এক সেট পিতলের অলংকার, ৪০টি পিতলের তৈরি বিভিন্ন পূজার সামগ্রীসহ বিপুল পরিমাণ জিনিস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রুবেল, রাব্বী ও রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। তারা গ্রেপ্তার সোহাগ এর সহযোগিতায় ধাতব আইটেমসমূহ রুপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার মাদরাসা প্রভাষকের
নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ওসিসহ ৫ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ করে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
বেগমগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়া অন্যরা হলেন-উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও চৌকিদার আলী আসগর।
ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চৌকিদারকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর ফুটেজ সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য নিতে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন আদালত। কমিটিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
পরে আদালতের নির্দেশে কমিটির প্রধান ছিলেন চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার। সদস্য ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন এবং জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
আদালতে ওই কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে অবহেলা পাওয়ায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় চৌকিদারের বিষয়ে আদালত যৌক্তিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিতে পারে বলে মত দেয়া হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ৩৭ বছরের নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্মম নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে ওই নারীকে হামলাকারীরা কুপ্রস্তাব দেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা ধারণ করা ভিডিওচিত্র ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রাইভেটকার চাপায় নারী নিহত
রাজশাহীতে সাঁওতাল নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাগুরায় বিষপানে নারীর ‘আত্মহত্যা’
নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু ছায়েদ ভূঞা রিপন (৪৮) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন আওয়ালীগের এক নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের ভূঞা বাড়ির মৃত রফিক উল্লাহ ভূঞার ছেলে।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান,নোয়াখালী ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস লাল সবুজ পরিবহনের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার কাউন্টারে ম্যানেজার এর দায়িত্বে ছিলেন তার বাবা। প্রতিদিনের মতো কাউন্টারের কাজ শেষে মোটর সাইকেল নিয়ে কর্মস্থল থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন। বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার সময় প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল তার কাছে। দুর্বৃত্তরা চলন্ত মোটরসাইকেলের ওপর হামলা চালিয়ে তার বাবাকে এলোপাতারি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
তিনি বলেন,এটি কোন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা টাকার লোভে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা আমি নিশ্চিত নই।এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন।বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান,পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে মাঠে কাজ করছে পুলিশের কয়েকটি টিম। অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
গান্ধীজীর জীবন এবং বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী
মহাত্মা গান্ধীজীর জীবন এবং তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
শনিবার নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রম ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত 'অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন হাইকমিশনার।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মিস অ্যারোমা দত্ত, এমপি, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি জনাব সুদীপ্ত মুখার্জী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
আনিসুল হক, ড. আবদুল মোমেন এবং হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সদ্য সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
গান্ধী আশ্রম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত অনন্য এই জাদুঘর সংস্কারে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন।
মুজিববর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রদর্শিত হওয়ায় হাইকমিশনার আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে।
তিনি বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতো একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চণ্ডালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপের ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের’ সীমানা আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ সচিব ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে নিঝুম দ্বীপের ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের’ সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব প্রধান বন সংরক্ষকসহ ১৪ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, ‘এখনও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ না করার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় ভূমিখেকোরা নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনের জমি অবৈধভাবে দখল করছে। এমনকি জমি দখলে নিয়ে তারা সেখানে বিভিন্ন কাঠামোও নির্মাণ করছে। এতে নিঝুম দ্বীপের প্রাকৃতি-পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ। সীমানা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত এ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছিল। আদালত সে বিষয়ে আদেশ দেননি।
আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের ৬ মাসের বেশি বরখাস্ত রাখা যাবে না: হাইকোর্ট
রিট আবেদনে বলা হয়, ৪০ এর দশকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠে নিঝুম দ্বীপ। ১৯৭৪ সালে বন বিভাগ এই দ্বীপটিতে বনায়ন শুরু করে। পরবর্তীতে দ্বীপটির প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য বিবেচনায় সরকার এটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারায় সরকার পুরো নিঝুম দ্বীপকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে। আইনানুযায়ী সংরক্ষিত বন নিঝুম দ্বীপে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশ, কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বন নিয়ে ১১ নং নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
পরবর্তীতে ২০১২ সালে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় দুটি গেজেটের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদকে আলাদা করে সীমানা নির্ধারণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নোটিস পাঠান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী রফিক উদ্দিন এনায়েত। কিন্তু বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রফিক উদ্দিন বাদী হয়ে গত রবিবার হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে বাক্সবন্দি ২৮ যন্ত্র: তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
চাটখিলে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
নোয়াখালীর চাটখিলে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফৌজিয়া আক্তার মুক্তা (৪০) ওই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বুলবুলের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ফৌজিয়া ফজরের সময় নিজ বসত ঘর থেকে ওযু করার উদ্দেশ্য পুকুরে যায়। ওই সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাতে তিনি আহত হন। এরপর বাড়ির লোকজন দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বজ্রপাতের সময় করণীয়
রাজশাহীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তিন আসামিকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের জামিন ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তিন আসামি ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিককে তিন মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাদল)। ওই সময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার একদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বাবা নুরুল হুদা মাস্টার বাদী হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। আসামি ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিক গত ১১ মার্চ থেকে কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: হাইকোর্টে তিন আসামির জামিন
কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: হাইকোর্টে তিন আসামির জামিন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তিন আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তারা হলেন-ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিক।
রবিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের পৃথক আবেদন শুনে তিন মাসের জন্য এই জামিনের আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুর কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাদল)। ওই সময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার একদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বাবা নুরুল হুদা মাস্টার বাদী হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
আসামি ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিক গত ১১ মার্চ থেকে কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জে আ’ লীগের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬