নোয়াখালী
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে হত্যার ঘটনায় আটক ২
সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ মোল্লাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মো. সোহাগ (২৪) একই ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে এবং মো. মিলন হোসেন (২৫) নূর মোহাম্মদের ছেলে।
আজ (শনিবার) দুপুর ১২টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিহতের মরদেহ দেখতে যান। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
তিনি ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, হারুন অর রশিদ মোল্লা হত্যার ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. সোহাগ ও মো. মিলন হোসেন নামে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের ভাই আমিনুল হক বাদী হয়ে ৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।
ওসি বলেন, হত্যার সাথে জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশ নোয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের এক বিএনপির নেতাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুইজন। শুক্রবার ৮ টার দিকে স্থানীয় আন্ডারচর ইউনিয়ন এর তালতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আমিনুল হক জানান হারুনুর রশীদ মোল্লা আন্ডারচর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। কিছু দিন আগে হারুন এর ছেলে সজিবের সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের অস্ত্রধারী ক্যাডার।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
ওই ঘটনার জের ধরে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকে সজিবকে খুঁজতে থাকে। এই খবর পেয়ে সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা সজীবের সন্ধানে স্থানীয় চৌকিদার বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় তালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী যুবকেরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং পরে গুলি করে মারাত্মক আহত করে।
এ সময় তার সাথে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (২৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্রধারী যুবকেরা ঘটনা স্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা আহত দের দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
আমিনুল হক আরও জানান নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তার এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাশীল দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে বলে তার বড় ভাইয়ের ধারণা।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হক জানান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা এবং কেনো এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক’ নেতা গুনবি গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ’আনসার আল ইসলাম’ এর আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। অভিযানের সময় উগ্রবাদী পুস্তক ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
র্যাব জানায়, হাসান গুনবির বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করার পর মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ২০০৮ সালে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর থেকে তাইসির দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকাসহ কুমিল্লা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সজারের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি ধর্মীয় মতাদর্শের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে ওয়াজ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ধর্মীয় বক্তব্যে উগ্রবাদ প্রচারে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এছাড়া তিনি ধর্মীয় পুস্তকের ব্যবসার সাথে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা ‘খুন ’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি প্রথমে হুজির (বি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই তিনি আনসার আল বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সাথে সম্পৃক্ত হন। গ্রেপ্তারের পর জসিম উদ্দিন রাহমানি নিজেকে উগ্রবাদ প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
ইউপি সদস্য প্রার্থীকে হত্যা: আসামির তালিকায় নির্বাচনী প্রার্থী ও স্থানীয় নেতারা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার প্রাক্তন ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৪২) হত্যা মামলায় ৬৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতর ছেলে বিটেল দাস বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে হাতিয়া থানায় ৬৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সুমন চন্দ্র দাস (৪০) ও একই ওয়ার্ডের গামছা খালি গ্রামের আনাজল হকের ছেলে আমজাদ (৩৪)।
আরও পড়ুন: মামলার ২৭ বছর পর আপিলে খালাস পেলেন ১৬ আসামি
মামলার আসামিদের মধ্যে আসন্ন চর ঈশ্বর ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হককে প্রধান ও চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসন্ন নির্বাচনে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলটি দায়ের করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, মামলার দুই আসামি সুমন চন্দ্র দাস ও আমজাদকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নোবেলের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত করবে সিআইডি
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে স্থানীয় বাংলা বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সাবেক ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস মোটরসাইকেল যোগে হাতিয়া উপজেলা শহর ওছখালি বাসায় যাওয়ার পথে নন্দ রোডে এক দল দুর্বৃত্তের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন।
শনিবার থেকে নোয়াখালী সদরে কঠোর লকডাউন
শনিবার থেকে নোয়াখালী পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার থেকে ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ৭দিন এই লকডাউন চলবে।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক এই ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালী পৌর এলাকাসহ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। শুক্রবার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে।
আরও পড়ুন: খুলনার ৪ থানা এলাকায় কঠোর লকডাউন শুরু
লকডাউন চলাকালীন সময়ে এ সকল এলাকায় গণপরিবহন, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
খাবার হোটেল ও রেস্তোরায় বসে খাওয়া যাবে না। তবে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্সেল / টেকএওয়ে সার্ভিস গ্রহণ করা যাবে।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের বিদ্যমান নির্দেশ অনুযায়ী নোয়াখালী পৌরসভায় এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় শনিবার থেকে ৭ দিনের লকডাউন
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সীমিত সংখ্যক মুসল্লী অংশগ্রহণ করতে পারবে।
কোম্পানীগঞ্জে আ’ লীগের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলার ঘটনায় ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷
উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন- সবুজ (৪০) মোহাম্মদ সানি (২৭), দেলোয়ার হোসেন (২৭), দিদার (৩৫) ও জিসান (২৩)। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের অপর এক জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: শাল্লার হামলার ঘটনায় আরও ৬ গ্রেপ্তার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও বসুরহাট উপজেলার মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকেরা বসুরহাট পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে মিছিল বের করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে চলমান মিছিলের ওপর পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় এবং মিছিলের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে মিছিল থাকা কাদের মির্জার সমর্থক ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, গুলিবিদ্ধরা সবাই কাদের মির্জার অনুসারী। তবে কারা মিছিলে এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি। কাদের মির্জার সমর্থকরা এই হামলার জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনার পর কোম্পানীগঞ্জে উত্তেজনা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক খুন
ওসি জানান, কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক সাংবাদিক ও যুব লীগের এক কর্মী গুলিতে নিহত হয়।
এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনাররা নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনাররা রোহিঙ্গাদের জন্য সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভাসানচর পরিদর্শন করতে আসেন।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে ২৪৯৫ রোহিঙ্গা
রাষ্ট্রদূতদের ভাসানচরে সরকারি নেতৃত্বাধীন সফরে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এর আগে, জাতিসংঘের একটি দল ১৭-২০ মার্চ পর্যন্ত ভাসানচর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে কূটনীতিকরা দ্বীপটির কিছু সুবিধা ও পরিষেবা দেখার সুযোগ পান।
এ সময় তারা স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা, কর্তৃপক্ষ এবং সেখানে বসবাসরত ও কর্মরত অন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছে ২২৫৭ রোহিঙ্গা
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, কূটনীতিকরা যা দেখেছেন তার ভিত্তিতে রবিবার বা সোমবার একটি যৌথ প্রেস রিলিজ প্রকাশ হতে পারে।
কূটনীতিকরা বিকাল ৫টার পর ঢাকায় ফিরে আসেন।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকারের বিধিবিধান ও নির্দেশনা মেনে কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় ভাসানচর যাচ্ছেন ৪ হাজার রোহিঙ্গা
রাষ্ট্রদূতরা জানান, তারা ভাসানচর প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সাথে সংলাপ অব্যাহত রাখার অপেক্ষায় আছেন।
তারা মনে করেন, নীতিমালা ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বিশেষত বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের মধ্যে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা নেয় যেখানে বর্তমানে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা সাময়িকভাবে বাস করছে এবং প্রতিবছর সেখানে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার শিশু।
আরও পড়ুন: ভাসানচর: ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
সরকার জানায়, কক্সবাজারের এই হতাশাগ্রস্ত লোকদের দীর্ঘদিন থাকার কারণে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির কারণে সরকার জরুরিভাবে ভাসানচরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নেয়।
সূত্র অনুযায়ী, দ্বীপটির উন্নয়নে সরকার ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ১৩ হাজার একর ভাসানচর দ্বীপে বছরব্যাপী মিঠা পানি, চমৎকার হ্রদ ও যথাযথ অবকাঠামো ও আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রশংসায় ওমান
এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, কৃষি জমি, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, গুদাম, টেলিযোগাযোগ পরিষেবা, থানা, বিনোদন ও শিক্ষা কেন্দ্র, খেলার মাঠ ইত্যাদি রয়েছে।
এটি কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর অস্থায়ী কাঠামোগুলোর মতো নয়, ভাসানচরের আবাসনটি কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করা যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও অক্ষত থাকবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর জোরপূর্বক নয়: ঢাকা
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ভাসানচরের কাঠামোগুলোর শক্তি প্রমাণ করে দিয়েছে বলে এটি জানায়।
দ্বীপের সক্ষমতা নিয়ে কিছু মহলের আশঙ্কা থাকলেও ভাসানচর বিশাল ঝড়ের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়িয়েছিল।
জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা সত্ত্বেও, দ্বীপের ১,৪৪০টি বাড়ি এবং ১২০ টি আশ্রয়কেন্দ্র অক্ষত ছিল।
দ্বীপটি নৌপথ দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত।
হাতিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ২৮ রাউন্ড গুলি ও নগদ ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকাসহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষ: বাদলকে কারাগারে প্রেরণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষ: সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।