জন্মদিন
পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন: মুক্ত দুই শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর বই পড়ার আদেশ
পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন এবং সেই ভিডিও লাইভের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় দু’জন মাদ্রাসা শিক্ষককে প্রবেশন আইনে সাজা দিয়ে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর নয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো.জিয়াউর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বৈরতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহা. আব্দুস সালাম ও একই মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক গোলাম কবির।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রাত ৮ টার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইসমত আরা বলেন, এ মামলায় সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১/৩১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাদের সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা আদালত বিবেচনায় এনে শাস্তির পরিবর্তে শর্তের ভিত্তিতে প্রবেশন মঞ্জুর করে তাদের মুক্তি দেন। এছাড়াও মামলার অপর নয় আসামির দোষ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
ইসমত আরা বলেন, ‘প্রবেশনকালীন সময়ে আসামিরা এক বছরের জন্য আদালতের নিয়োগ করা একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এই সময়কালে ‘বাঙালি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এই তিনটি বই পড়বেন।
সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের উপর জাহানার ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা ‘একাত্তরের চিঠি’ এই দুটি বইসহ পাঁচটি বই পড়বেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জানাবেন। প্রবেশনে মুক্তি প্রাপ্ত আসামিদের ১০টি বনজ ও ১০টি ফলজ গাছ রোপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এডভোকেট ইসমত আরা বেগম আরও বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুাল আদালতগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম প্রবেশন। আসামিরা আপাত দৃষ্টিতে মুক্তি পেলেও আগামী এক বছর আদালতের নজরদারীতে থাকবেন। আদালতের শর্ত ভঙ্গ করলে ও আচরণ সন্তোষজনক না হলে তাদের প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং শাস্তি হিসেবে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১/৩১ ধারার প্রত্যেক অপরাধের জন্য এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শারমীন কানিজ বলেন, ফৌজদারী মামলার বাইরে প্রবেশনের বিধান একটি যুগউপযোগী উদ্যোগ। আমি আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আশাকরি প্রবেশনপ্রাপ্ত আমার দুইজন মক্কেল আদালতের শর্ত সঠিকভাবে পালন করে মামলা থেকে মুক্তি পাবে।
উল্লেখ, গত বছরের ১৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বৈরতলা দাখিল মাদ্রাসায় দশ টাকা দামের পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়। এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে আইনশৃংখলা অবনতির আশঙ্কায় জনস্বার্থে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইউনুস আলী মাদ্রাসা সুপারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত করে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৪ বছর বয়স পূর্ণ হলো বুধবার (২৬ জানুয়ারি)। প্রতিবারের মতো এবারও এই বিএনপি নেতা জন্মদিনে তার পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
জন্মদিনের সকালে তার ঘুম ভেঙেছে বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ আর বোন আনারকলি ফরহাদ বানু নাগিনা আমিনের ফোন পেয়ে। উভয়ই তাকে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জন্মদিন উদযাপনের কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল না; তবে তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং দেশ-বিদেশের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি সাধারণত আমার জন্মদিন উদযাপন করি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার বড় মেয়ের ফোন আসে, সে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। তারপর আমার বোন, ছোট মেয়েও আমাকে ফোন করে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে শুভেচ্ছা জানায়।
ফখরুল জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, তিনি এখনও খুবই দুর্বল।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশকে বাঁচাতে চাইছে, কোনো ক্ষতি করছে না: ফখরুল
তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের সিনিয়র নেতা, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরাও তাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফখরুলের ভাষায়, ‘আমার জন্মদিন এভাবেই কেটে যাচ্ছে।’
জন্মদিন উপলক্ষে তার অনুভূতি জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, জন্মদিন মানে আমার জীবন থেকে আরেকটি বছর হারিয়ে গেছে এবং পৃথিবীতে আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। আমার বয়স এখন ৭৪ বছর, আপনি বলতে পারেন এটি আমার একটি দীর্ঘ যাত্রা এবং আমি অনেক কিছু দেখেছি...আমি বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেয়েছি। জীবন আমার কাছে সুন্দর!
বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ সময় পার করছে বলে আক্ষেপ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং খারাপ দিন শেষ হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও হেরে যায় না।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। তার বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন একজন মুসলিম লীগ নেতা এবং পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী।
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
পরে তিনি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। আশির দশকে শিক্ষকতা ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন ফখরুল।
২০০১ সালে বিএনপির টিকিটে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বগুড়া-৬ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় তিনি শপথ নেননি।
২০১১ সালে দলের তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ফখরুলকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে দলের মহাসচিব পদের পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
গুঞ্জন সত্যি করে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম
গতকাল থেকে শোবিজ অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যা সিনহা মিমের বিয়ের খবর। কিন্তু এ বিষয়ে নায়িকা কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু সেই উড়ো খবর সত্য হলো। গাঁটছড়া বাঁধলেন ঢাকাই সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দীর্ঘদিনের প্রেমিক সনি পোদ্দারকে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম। পাত্র পেশায় একজন ব্যাংকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম ও সনির ছবি পোস্ট করে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোবিজের অনেক তারকা। নায়িকার পরনে লাল বেনারসি লেহেঙ্গা। দু হাতে লাল ও সাদা রঙের চুড়ি। নাকে নোলক আর মাথায় রূপালি টিকলিতে সেজেছেন এই নায়িকা।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
২০২১ সালে হুট করে নিজের জন্মদিনের দিন বাগদান সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। পরবর্তীতে ফেসবুকে ছবি প্রকাশের মধ্য দিয়ে সবাইকে খবরটি জানান। গণমাধ্যমে তাদের পরিচয়-প্রেম নিয়ে নানা কথা প্রকাশ করেন। তবে বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তখনও কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি মিম।
উল্লেখ্য, নতুন বছরে মিমের দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ‘পরান’। ‘দামাল’ মুক্তি পেতে পারে মার্চ মাসে। এছাড়া এই নায়িকা ‘অন্তর্জাল’ শিরোনামে এক সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
আরও পড়ুন: তিশার কোলে আসছেন নতুন অতিথি
কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। সোমবার দিবসটি উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠের পাশে কবির সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, উপাধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দিন, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, সৈয়দ হকের সহধর্মিনী সৈয়দ আনোয়ারা হক এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব নীলুসহ কবির পরিবারের সদস্যরা। এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় কবির সহধর্মিনী কবির সমাধিস্থলে দ্রুত স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে হারানোর দিন আজ
সবশেষে কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দেশবরেণ্য এই কথা সাহিত্যিক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর কবির ইচ্ছানুযায়ী তাকে নিজ জেলা কুড়িগ্রামের সরকারি কলেজ মাঠের পাশে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে লেখক শামসুল হককে স্মরণ
সঞ্জীব চৌধুরীর কবিতা সমগ্র ‘তোমাকেই বলে দেব’ প্রকাশিত
বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
বড়দিন উদযাপনে রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের মধ্যে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। এ উপলক্ষে গীর্জাগুলোকে ফুল দিয়ে নানান রঙে সাজাঁনো হয়েছে।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে বড়দিন পালন করলেও এবছর করোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করবেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা।
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। তার মধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা, রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গীর্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিন পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড়দিন ঘিরে নানা আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
এছাড়া কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ও বিলাইছড়ির পাংখো পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখো ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উৎযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জেওমে ডি. রোজারিও বলেন, দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করবে সকলে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘টিকা লাগাউনে’ উৎসব
খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
১৫ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে জারি করা রুল এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাকিলা রওশন ও অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সকল নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, খালেদা জিয়া বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালন করেছেন। তার জন্মদিন সংক্রান্ত পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশন, ম্যারিজ সার্টিফিকেট, এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তির ফরম, মেট্রিকুলেশনের সার্টিফিকেটের তথ্য আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।
গত ৩১ মে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১৩ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে কী কী তথ্য আছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পাসপোর্টসহ জন্ম তারিখ সংক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কাছে থাকা সব নথিপত্র তলব করেন আদালত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে: ফখরুল
দুই মাসের (৬০ কার্যদিবস) মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এসব নথিপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে জাতীয় শোক দিবসকে অবমূল্যায়ন ও ক্ষুন্ন করতে ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিনে জন্মদিন পালন করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিটের শুনানিতে নাহিদ সুলতানা যুথী আদালতে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করছেন বেশকিছুদিন ধরেই। অথচ আমরা নথিপত্র থেকে দেখতে পাচ্ছি, তার একাধিক জন্ম তারিখ। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬। কাবিননামায় জন্মতারিখ লেখা রয়েছে ৯ আগস্ট, ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট, ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ মে, ১৯৪৬। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের দিন জাতীয় শোক দিবসেও জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে জাতীয় শোক দিবসকে অবমূল্যায়ন করতে।
তিনি বলেন, একজন মানুষের কয়টি জন্মদিন থাকতে পারে? তিনি(খালেদা জিয়া) একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারতো এভাবে একাধিক জন্মদিন পালন করার কথা নয়।
এসময় আদালত বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে, এই ঘটনায় একটি সিভিল মামলা হয়েছিল। বিচারপতি মোমতাজউদ্দিন হয়তো কোনো আদেশ দিয়েছিলেন। হয়তো সেই সিভিল মামলাটি বিচারাধীন। তাই একই ঘটনায় রিট আবেদন করার সুযোগ আছে কীনা? জবাবে নাহিদ সুলতানা যুথী বলেন, অবশ্যই সুযোগ আছে। কারণ এরসঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী একাধিক জন্মদিন পালন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, সিভিল মামলায় রুল বিচারাধীন থাকলেও আদালত একটি রুল দিয়ে বিস্তারিত শুনতে পারেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
এসময় আদালত বলেন, এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্টরা কি উদাসীন? তারা কেন নিষ্ক্রিয়? সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তবে আদালতের করার কি আছে? এসময় আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, প্রকৃত জন্ম তারিখে তা পালন করুক। কিন্তু তারতো জন্ম তারিখ একাধিক। এসএসসি, বিবাহ নিবন্ধন, পাসপোর্টে একাধিক জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে। সর্বশেষ করোনা সনদে আরেকটি তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, একেক দিন জন্মদিন পালন করায় বিশাল জনগোষ্ঠী সংক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছি: শেখ হাসিনা
নানা আয়োজনে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন
প্রয়াত জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন কেক কেটে, মোমবাতি জালিয়ে, কবর জিয়ারত ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে পালন করা হয়েছে। জননন্দিত এই লেখকের নিজ হাতে গড়া দৃষ্টিনন্দন ওই পল্লীতে শ্রদ্ধা জানাতে আর ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে দিনভর আসতে থাকেন নানা বয়সী লোকজন।
সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন ভক্তরা দলে দলে আসতে থাকেন নুহাশপল্লীতে। সেখানে এসে তারা প্রিয় লেখককে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। ভেসেছেন আবেগে।
যারা হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে থেকেছেন, কাজ করেছেন, কিংবা তাঁর লেখা প্রকাশ করেছেন তারাও স্মৃতি বিজড়িত স্থানে এসে আপ্লুত হয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর দুই সন্তানসহ স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে কবরে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কেক কেটে শামিল হন জন্মোৎসবে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
জন্মদিনে ভোরে সন্তান নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে যান মেহের আফরোজ শাওন।নিষাদ-নিনিতও বাবার কবরে ফুল দেয় এবং অন্যদের সঙ্গে তারা বাবার জন্য দোয়া করে। এর আগে প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীর পক্ষ থেকে একটি কেক কাটা হয় এবং কবরের চারপাশে, নুহাশ পল্লীর প্রবেশ পথে, ভেতরের বিভিন্ন পথে, পল্লীর ভেতরে হুমায়ূন আহমেদ যে সব জয়গায় বসতেন সে সব জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো হয়। দিনভর নানা বয়সী লোকজন আসতে থাকে নুহাশপল্লীতে। এভাবেই বছর ঘুরে আবারও জন্মদিন আসবে, যুগ যুগ ধরে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে।
কেক কাটার পর শাওন জানান, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে যেন সঠিক ভাবে চর্চা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের যারা পাঠক- ভক্ত রয়েছেন, তারা যেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখা তাঁর কর্ম তুলে ধরেন। সেটাই হবে তার বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীর আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলেও গণ্য করা হয় তাকে।
তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্র নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। আজ ১৩ নভেম্বর বহুগুণে গুণান্বিত এই লেখকের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী।
হুমায়ূন আহমেদ তার বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনী এবং নন-ফিকশন লেখার জন্যই বেশি জনপ্রিয়। প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে (১৯৭২) দিয়ে তার সাফল্য অর্জন শুরু হয়। এরপর একে একে ২০০ টিরও বেশি কথাসাহিত্য এবং নন-ফিকশন লিখেছেন তিনি। তার লেখা সবগুলো উপন্যাসই বাংলাদেশে বেস্টসেলার।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)তার প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর’(১৯৮৩) দিয়ে আত্মপ্রকাশ। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার পরিচালিত সবগুলো ধারাবাহিক নাটকই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে, ‘এই সব দিন রাত্রি’, 'বহুব্রীহি', 'অয়োময়', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার' এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য 'কোথাও কেউ নেই'।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন হুমায়ুন আহমেদ। মোট আটটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি, প্রতিটিই তার নিজের লেখা উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া' (২০০৪)ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা'(২০১২) চলচ্চিত্র দু’টি শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র হিসাবে আকাদেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
তিনি ‘শঙ্খনীল কারাগার'(চিত্রনাট্যকার হিসেবে),'আগুনের পরশমনি’,'দারুচিনি দ্বীপ' এবং 'ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন বিভাগে সাতবার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
প্রখ্যাত এই লেখকের অনুরাগী দল ‘হিমু পরিবহন’ বহু বছর ধরে তার জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। প্রতিবছর এইদিনে তারা একটি বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এর সদস্যরা এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খালি পায়ে হেঁটে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে হুমায়ূন আহমেদের পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং সন্ধ্যায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এই দলের সদস্যরা।
দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং রেডিও স্টেশনগুলিও হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
এদিকে, শুক্রবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হয়।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখিকা সেলিনা হোসেন বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য পুরস্কার জিতেছেন। আর লেখিকা ফাতেমা আবেদিন নাজলা তরুণ সাহিত্যিক বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন, যা ৪০ বছরের কম বয়সী লেখকদের দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অন্যদিন পত্রিকার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন। অনুষ্ঠানে দুটি গান গেয়ে প্রয়াত স্বামীকে স্মরণ করেন শাওন।
২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ নভেম্বর নন্দিত এই কথা সাহিত্যিকের জন্মবার্ষিকীর আগের দিন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বইমেলায় দুই উপন্যাস নিয়ে আসছেন কথাসাহিত্যিক জুয়েল
জীবন সঙ্গীনী হিসেবে ডিলেন মেয়ার’কে বেছে নিলেন ‘টোয়াইলাইট’ তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট
পরিচয়টা হয়েছিলো ২০১৩ সালের কোন এক মুভি সেটে। তারপর ছয় বছরের এক বিশাল বিরতির পর এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ঘটনাক্রমে দেখা হয়ে গেলো চিত্রনাট্যকার ডিলেন মেয়ার ও অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের। সেই থেকেই তাদের মধ্যকার প্রণয়ের অঙ্কুরটা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে শুরু করে। অতঃপর নভেম্বরের ২ তারিখে জনপ্রিয় হাওয়ার্ড স্টার্ন শো’তে নিজের নতুন মুভি ‘স্পেন্সার’-এর প্রোমোট করতে এসে টোয়াইলাইট খ্যাত এই তারকা ঘোষণা করেন যে, দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক অবশেষে বিয়েতে গড়াতে যাচ্ছে। চলুন, চাঞ্চল্যকর এই জুটির ব্যাপার কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
টোয়াইলাইট স্টার ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট-এর মুভি ক্যারিয়ার
২০১২ সালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট-এর জন্ম ১৯৯০ এর ৯ এপ্রিল। একমাত্র আমেরিকান অভিনেত্রী হিসেবে তিনি সর্বপ্রথম ফ্রান্সের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার সিজার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছিলেন।
মাত্র আট বছর বয়সে ডিজনী চ্যানেলের টিভি মুভি ‘দ্যা থার্টিন্থ ইয়ার’ (১৯৯৯)-এ সংলাপ বিহীন ছোট্ট একটি রোল দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু। ২০০২ সালে ডেভিড ফিঞ্চারের থ্রিলার মুভি ‘প্যানিক রুম’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে তার চরিত্রটি সবার মনোযোগ কেঁড়ে নেয়।
আরও পড়ুন: আমেরিকার প্রেসকট চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত অমিতাভ রেজার 'রিকশা গার্ল'
২০০৮ থেকে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্যা টোয়াইলাইট সাগা’ চলচ্চিত্রে ‘বেলা সোয়ান’ চরিত্রের মাধ্যমে সমগ্র গ্ল্যামার বিশ্ব জুড়ে সাড়া ফেলে দেন। সেই সময়কার সর্বোচ্চ আয়কারী এই ফ্রাঞ্চায়জিতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের কারণে তিনি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে এমটিভি অ্যাওয়ার্ড, পিপল্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড, টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ড সহ আরও অনেক পুরষ্কার জিতে নেন।
নারীবাদী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট-এর সব্যসাচী প্রেমাদর্শ
বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা প্রতিভাবান তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট নারীবাদের ব্যাপারে বেশ সরব। পাশাপাশি তথাকথিত জীবন ধারণের কাঠামো ভেদ করে পরিণয়ের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতি তার আকর্ষণের বিষয়টির সপ্রতিভ প্রকাশ ঘটেছে মিডিয়ার সামনে।
টোয়াইলাইট-এ তার সহশিল্পী রবার্ট প্যাটিনসন-এর সাথে প্রেমের সম্পর্কটা ছিলো চার বছর। ২০১২ সালের মুভি ‘স্নো হোয়াইট এ্যান্ড দ্যা হান্ট্সম্যান’-এর পরিচালক রূপার্ট স্যান্ডার্সের সাথে তার প্রেম নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় বেশ হৈচৈ হয়েছিলো। প্রায় তিন বছরে গড়িয়েছিলো আমেরিকান ভিজুয়াল ইফেক্ট প্রযোজক অ্যালিসিয়া কার্গিল-এর সাথে সম্পর্কটা। অতঃপর ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট অ্যাঞ্জেল নামে পরিচিত নিউজিল্যান্ডের মডেল তারকা স্টেলা ম্যাক্সওয়েল-এর সাথে স্টুয়ার্ট-এর ভালবাসার অধ্যায়টি বিস্তৃতি পেয়েছিলো ২০১৬ থেকে ২০১৮ অব্দি।
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার ১৮ অক্টোবর রাসেলের স্মরণে উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারি প্রাঙ্গনে আয়োজিত হয় স্মৃতিচারণমূলক একটি বিশেষ আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সৌগত চট্টোপাধ্যায়, শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু প্রতিবেশী নাতাশা আহমাদ এবং প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) শামসুল আরিফ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) দূতালয় প্রধান মিজ শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের