জন্মদিন
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার সারা দেশে শেখ রাসেল দিবস পালিত হচ্ছে।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যের সাথে নির্মমভাবে নিহত হন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বছর ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সকাল ৮টার দিকে দলটি বনানী কবরস্থানে রাসেলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এছাড়া ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের কবরেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে বিশেষ দোয়া, সূরা ফাতিহা পাঠ ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপ ফুটবল: শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই সভায় যোগ দেবেন।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ভারতে সরকারী ছুটি থাকায় এই আমদানী রপ্তনী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকায় দু দেশের বন্ধ এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্য বোঝাই ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
আরও পড়ুন: অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল বন্দর
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, আমাদের ভারতের মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে সরকারী ছুটি থাকায় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য আবার স্বাভাবিক গতিতে চলবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, ভারতের মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সে দেশে সরকারী ছুটি থাকায় বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানী হচ্ছে ভারতে। তবে বেনাপোল বন্দরের লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজু আহম্মেদ জানান, দু দেশের মধ্যে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট যাত্রী পারপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি টিকা প্রদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে নতুন রেকর্ড তৈরি করে দেশে মঙ্গলবার একদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি করোনা টিকা দেয়া হয়েছে।
যদিও এই প্রথমবারের মতো এত বিপুল সংখ্যক মানুষ একদিনে এতো টিকা পেয়েছেন তবে শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান ৭৫লাখ নাগরিককে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) জানিয়েছে, আটটি বিভাগ জুড়ে ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে,যা বাংলাদেশে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক টিকা দেয়ার ঘটনা।
বেশিরভাগকে প্রথম ডোজ হিসাবে চীনা সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
এছাড়াও, এই বিশেষ প্রোগ্রামের অধীনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ভ্যাকসিনের ডোজ ও দেয়া হয়েছে।
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: হাছান মাহমুদ
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রাম, ধৈর্য্য এবং অসাধারণ গুণাবলীর কারণে, সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসামান্য ক্ষমতার কারণে আজকে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রগতিশীল সাংবাদিক মঞ্চ আয়োজিত 'উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে ৭৫তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী নিজে জন্মদিন পালন করেন না। আমরাই তার জন্মদিন পালন করি। আজকের এই দিনে মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা, তার শততম জন্মদিনেও যেন তিনি এই পৃথিবীতে থাকেন এবং দেশের মানুষ তাকে নিয়ে যেন তার শততম জন্মদিন পালন করতে পারে।''আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। যে স্বপ্নে আমাদের পূর্বসূরিরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম দিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার', বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রীতিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বদলে গেছে, স্বল্পন্নোত থেকে মধ্যম আয়ের, খাদ্যঘাটতি থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গত সাড়ে ১২ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে কমে অর্ধেকে অর্থাৎ ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি সময় পাননি বিধায় সেটি সম্ভবপর হয়নি। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন স্বাধীনতার ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হতো।'
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, এই করোনার মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, গৃহহীনদের ঘর করে দেবেন এবং এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তিন লাখ পরিবারকে ঘর করে দেয়ার পরিকল্পনা সরকার করেছে। ইতোমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ মানুষকে ঘর দেয়া হয়েছে। সুতরাং এই করোনার মধ্যেও দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে।জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, দ্য ডেইলি সান সম্পাদক ও পিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দেশব্যাপী একযোগে গণ টিকাদান কর্মসূচি পালিত
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার দেশব্যাপী একযোগে ৭৫ লাখ লোককে করোনা টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও শহর এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় ৮০ হাজার লোক অংশ নিয়েছে।এদিকে কর্মসূচির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে দুপুর ১২ টায় ধানমন্ডি ৮/এ, ডিঙি রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা কার্যক্রম শুরুএসময় মুখ্যসচিব বলেন, সারাদেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এই কর্মসূচি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।সারাদেশের সাথে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত সকল সংগঠনকে আনুমানিক ৭৫ লাখ ব্যক্তির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে ৭৫ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজিএর আগে গতকাল সোমবার কর্মসূচিটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে এদিন সারাদেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী মাসে একইভাবে ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে।
ক্যাম্পেইনের আগে রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৫ বছর বয়সোর্ধ নাগরিকদের এসএমএস প্রদানের মাধ্যমে অবহিত করে কেন্দ্রে ডাকা হবে।এছাড়া ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাষোর্ধ বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারিরীক প্রতিবন্ধীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এনআইডি কার্ড ও টিকা কার্ড সাথে সঙ্গে আনতে হবে। ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের টিকা প্রদান করা হবে না।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকাবিকাল ৫টা নাগাদ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, যেসব কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি সেসব কেন্দ্রে টিকাদান চলমান ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার আরেকটি দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সকাল ৯টা থেকে সারা দেশে ছয় হাজার টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। ‘প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী এবং প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, যারা আগে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু সময়মত পাননি তাদের এই সময় অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় (ডিএনসিসি) জোন -২ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম বলেন, বিশেষ টিকা অভিযান দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হয়। কিন্তু টিকা পরিচালনার নিয়মিত প্রক্রিয়া সকাল থেকেই চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে গণ পরিসরে টিকা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সোমবার বিকাল ৪টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এই টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি জানান, কর্মসূচি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে রাতেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিব এবং টিকা নিতে আসার সময় তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিজি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাপক হারে টিকা দেয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হবে এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। টিকা দেয়ার পর আমাদের ভ্যাক্সিনেশন টিম কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করবে।তিনি বলেন, জেলা-উপজেলায় টিকা ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরতরা টিকা ক্যাম্পেইনের সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। বৃষ্টি বা অন্যান্য যেকোন সুবিধা-অসুবিধায় তারা তাদের সুবিধামতো সময়ে এই কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই আমাদের নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না।
ডিজি বলেন, আমরা চল্লিশোর্ধ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেব। বয়স্ক, শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আনবো। তবে এক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মা এবং গর্ভবতী মায়েদের টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে বুথ থাকবে। পৌরসভায় একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রশ্ন তুলে বিএনপি আবারও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহারের কারণে দেশে যে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিলো তারা একই সংকট এখন আবারও সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘অনন্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিয়ার মদদে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক উদ্যোগ ও অর্জনকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। বাসে আগুন দেয়া, সন্ত্রাসবাদ-জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে রূপান্তির করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।
এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দুই শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
দেশের প্রতিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নাম মিশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আজ পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রতিবেশী দেশগুলো হতবাক হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে। এসব কিছু এমনিতেই হচ্ছে না। একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই সম্ভব হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী হিসেবে নয় তার স্বীয় যোগ্যতা, মেধা-বুদ্ধি, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে শতবাধা উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশে এবং স্বপ্ন নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে। এখন এসডিজি বাস্তবায়নেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এসবের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বিভিন্ন পদক ও সম্মানে ভূষিত করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রীতাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর এদেশের শাসকরা যেমন দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করেনি তেমনি তাদের দোসর পাকিস্তানিরাও ২৫ বছর বাঙালির রক্তচোষা ছাড়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কোনো অবদান রাখেনি। এমনিভাবে বিএনপি কখনোই এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় এদেশের মানুষকে ভিখারী জাতি হিসেবে দেখতে চায়।
আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না: তথ্যমন্ত্রী
দেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না। আকাশ থেকে চট্টগ্রাম শহরও চেনা যায় না।
তিনি বলেন, ‘এই বদলে যাওয়া কোন জাদুর কারণে হয়নি। এটি হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। বিধাতার কাছে আমার প্রার্থনা, শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে এ দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রীহাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্ষুধার্ত থাকে না, ক্ষুধার জন্য সন্ধ্যার পর ডাক শোনা যায় না। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেও দেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে। ৪১ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে ঢাকার রাস্তায় যারা রিকশা চালাতো বেশিরভাগের পায়ে কোন স্যান্ডেল ছিল না। এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেড়া কাপড় পড়া মানুষও দেখা যায় না।প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও শুরু হচ্ছে গণ পরিসরে টিকা ক্যাম্পেইন কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এ দিন ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি ও টিকা কার্যক্রম নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের ছয় হাজারের বেশি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী একাধিক শিফটের মাধ্যমে এ টিকা দেয়া হবে। টিকাদানের ক্ষেত্রে প্রথম দুই ঘণ্টা ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাবেন।’
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ক্যাম্পইনে আমাদের লক্ষ্য একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া। আমরা এর আগে একবারে ৪৫ লাখ টিকা দিতে পেরেছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবার আমরা টার্গেট নিয়েছি এবং এটা আমরা বৃদ্ধি করতে থাকব। ক্যাম্পেইনে যারা যুক্ত থাকবেন, অবশ্যই এই লক্ষমাত্রা অনুযায়ী টিকা দেয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর, সেজন্য ক্যাম্পেইনটি আমরা শুরু করছি সেদিন থেকে।’
তিনি বলেন, ‘চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩৩টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা টিকাকেন্দ্র থেকে এই টিকা দেয়া হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি, পৌরসভায় একটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকার কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ থাকবে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেয়ার জন্য এ টার্গেট নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ২০ দিনের মধ্যে স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জ পর্যায় পর্যন্ত টিকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা দূরে থাকেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা সবসময় টিকা নিতে আসতে পারেন না এবং বয়স্ক যারা, তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা টিকা ক্যাম্পেইন শুরু করছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা অনেকদিন নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু টিকা পাননি এবং অপেক্ষায় আছেন, তাদেরকে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার দিব। আপনারা জানেন, প্রথমদিকে নিবন্ধন একেবারে অনেক হয়ে গিয়েছিল। যে কারণেই আমাদের একটি জট তৈরি হয়েছিল। কোন কোন দিন ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক নিবন্ধন করেছিল। এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে, ইনশাআল্লাহ এখন আর জট থাকবে না।’স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৫২ লাখ টিকা পাওয়া গেছে। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে চার কোটি দুই লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়টি চলমান আছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মা. এ নিয়ে চীনের সাথে কাজ করছে। আমি যতটুকু জানি, তাদের কাজকর্ম চলমান আছে। তারা যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আশা করি তারা সেভাবেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে। আমাদের টিকার কোন ঘাটতি হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রয়কৃত এবং কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা পাব।’