পশু
বিশ্বনাথে পশু ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে আরশ আলী (৪৫) নামের এক পশু ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের একটি বাড়ির সামনের গেইটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আরশ আলী উপজেলার নতুন বাজার খাইয়াখাইড় গ্রামের মৃত আখলুছ আলীর ছেলে।
বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ লাশ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ির সামনের গেইটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে বিভিন্ন আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সিলেটের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধের ঘোষণা
নিহতের শালা ময়নুল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতি আরশ আলী বিশ্বনাথ পৌর এলাকার দতা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পশু ব্যবসা করতেন।
আরশ আলী প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বিশ্বনাথ বাজারে কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত ১১টায় তাকে (ময়নুল) মুঠোফোনে কল দিয়ে জানান, তিনি এখনও বিশ্বনাথ বাজারে অবস্থান করছেন এবং কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরবেন।
কিন্ত রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার মুঠোফোনে পরিবারের লোকজন কল দিলে ফোন বন্ধ পায়।
বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ির সামনের পাকা গেইটের সাথে আরশ আলীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ পরিকল্পিতভাবে আরশ আলীকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘কথিত’ আরসা নেতা হাসিমের লাশ উদ্ধার
সিলেটে নবজাতকের গলিত লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু ২
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের শিবপুর কালেন্দি চকে গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান তারা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সিংগাইরের শিবপুর গ্রামের শাহিন মিয়া (৪২) এবং মো. রুবেল হোসেন (৪০)।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তদন্ত শেখ মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হচ্ছিল। ওই সময় শাহিন ও রুবেল ধান খেতে ঘাস কাটছিল। বিকট শব্দে বজ্রপাতের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
সারাদেশে মোট ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু কোরবানি হয়েছে
এ বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৯টি গরু-মহিষ, ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮টি ছাগল-ভেড়া ও ৭১৫টি অন্যান্য গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিকঢাকা বিভাগে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৩৬৩টিসহ মোট ২২ লাখ ৩৯ হাজার ২৫২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ লাখ ৭১ হাজার ২৩১টি গরু-মহিষ, ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ২০১টিসহ মোট ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১২৯টিসহ মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৫টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৭টি গরু-মহিষ, ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১১টিসহ মোট ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬২১টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৭৯টি, সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৯ হাজার ৫৬৯টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৮টিসহ মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৪১টি, রংপুর বিভাগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২২০টি গরু-মহিষ, ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯ টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮০ হাজার ৩২৫টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৩টিসহ মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার এবছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ করে। সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ অন্যান্য বেসরকারি সংগঠন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে গবাদিপশুর ডিজিটাল হাট পরিচালনা করে।
এই প্রেক্ষিতে এবছর অনলাইনে মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি গবাদিপশু বিক্রয় হয়েছে যার আর্থিক মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গতবছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল ৮৬ হাজার ৮৭৪টি যার আর্থিক মূল্য ছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪ হাজার ৮২৯ টাকা। এবছর গতবছরের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ বেশি গবাদিপশু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
আগামী বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয়ের পরিসর আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।করোনা মহামারির মধ্যেও গবাদিপশু উৎপাদন, কোরবানির পশু প্রস্তুতকরণ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা ও খামারিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদানসহ সুষ্ঠুভাবে কোরবানির সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা
একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি, উদ্যোক্তা, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনসহ কোরবানির সাথে সম্পৃক্ত সকল সরকারি, বেসরকারি দপ্তর, সংস্থা ও সংগঠনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন রওনক মাহমুদ।
আজকের মধ্যেই কোরবানি শেষ করুন: মেয়র তাপস
আজকের(বৃহস্পতিবার) মধ্যেই কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার দুপুরে 'কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি' বিষয়ে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এই অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা আজকের মধ্যেই কোরবানি দেওয়া বা পশু জবাই শেষ করুন। আমাদের বিশাল জনবল নিরবিচ্ছিণ্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদেরকে একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।’
আরও পড়ুনঃ কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
তিনি আরও বলেন, ‘নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসুন। বাস্তবতা হলো - আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি - বিভিন্ন জায়গায় নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়।’
এ সময় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন কোরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে মেয়র জানান। মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এবং ঈদের দিনের বর্জ্য অপসারণ তদারকি করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কমিটি গঠন করেছে।
ডিএসসিসি এলাকার পশুর হাট এবং ঈদের দিনে কোরবানির বর্জ্য দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণর লক্ষ্যে কাজ তদারকি করার জন্য এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউএনডিপি, স্কাউটসের উদ্যোগে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ
এছাড়াও করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
করপোরেশনের আওতাধীন যেকোনও নাগরিক তার নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রেরণ বা পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সমসা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তিন শিফটে ১৮ জুলাই দুপুর ২টা হতে ২৪ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
সময়মতো বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসি এলাকায় নিয়মিত ৫০০০ কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০০০ কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত থাকবে।
ইউএনডিপি, স্কাউটসের উদ্যোগে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ
চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক পরিধান করে পশু বেচাকেনার জন্য হাটে আগত জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ স্কাউটস।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক বিতরণের জন্য ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকার বৃহৎ চারটি পশুর হাট যথাক্রমে গাবতলী, ধূপখোলা, আফতাব নগর উত্তর ও দক্ষিণ বাজারে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
হাটগুলোতে মোট ১১টি বুথ স্থাপন করে পশুর হাটে আগত জনসাধারণ, ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং মাস্ক পরিধানের জন্য বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে বাংলাদেশ স্কাউটস এর রোভার সদস্যবৃন্দ। একই সাথে এই কর্মসূচি দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে পশুর হাটে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কাজে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ( ইউএনডিপি)।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিল করেছে। তবে মানুষের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা । মানুষ নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সর্তক না হলে মহামারিতে লড়াই করা কঠিন হবে।‘
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় আরও ৫২ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৫
ইউএনডিপি এর আবাসিক প্রকৌশলী সুদীপ্ত মুর্খাজি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সকলের প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মতভাবে উৎসব উদযাপন করা। কেবল সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরুত্ব বজায় এবং ঘন ঘন হাত ধোয়া অনুশীলনের মাধ্যমে সকলকে সুরক্ষিত রেখে ঈদ উদযাপিত হবে।‘
করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেন
আর কিছুদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এ সময় কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোরবানির সময় সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এ রকম একটা উৎসবে অনেক মানুষের সমাগম থাকাটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পশু কোরবানির আগে ও পরে সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই চলুন, কোভিড সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় সতর্কতার জন্য জরুরি পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে জেনে নেই।
কোভিড সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় সতর্কতা-
কোরবানির জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করুন
পশু কোরবানির স্থানটি বসতবাড়ি থেকে একটু দূরে এবং খোলামেলা হওয়া দরকার। যে স্থানটি নির্বাচন করবেন, সেটি অবশ্যই আগে থেকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে রাখবেন। এতে এলাকা জুড়ে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকে এবং পরিবেশ দূষণ রোধ হয়। তাছাড়া কোরবানি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ময়লা নিষ্কাশনেও বেশ সুবিধা হয়। কোরবানির সকল কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে পুরো জায়গাটি স্যাভলন মেশানো পানি অথবা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে স্যানিটাইজ্ড করে নিন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
কসাই-কোরবানির সরঞ্জাম স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনুন
কসাইদের কাজ শুরুর আগে দেখে নিন তারা হ্যান্ড-গ্লাভস, মাস্ক এবং জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরছে কিনা। তাদের সাথে যারা কোরবানিতে অংশ নিবেন ও মাংস কাটবেন তাদের ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা প্রযোজ্য। পশু ধরার আগে ও পুরো কাজ হওয়ার পর সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। পশু কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আগে থেকেই স্যানিটাইজ্ড করে রাখুন। যে পাত্রে মাংস রাখাবেন তা আগে থেকেই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রাখুন। মাংস কাটার সময় নিজেদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব রেখে বসুন।
পশু কোরবানি ও চামড়া ছাড়ানোর সময় কোন অবস্থাতেই হাঁচি-কাশি দেয়া যাবে না। মাংস আলাদা করে যেখানে রাখা হবে তার আশপাশেও হাঁচি-কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকুন। শুধু কোরবানির সাথে সম্পৃক্তরা ছাড়া অন্য কাউকে আশেপাশে ভীড়তে দেবেন না। আর কেউ এলেও তাকে অবশ্যই কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব রেখে দাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির হাটে মহিষের আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু
একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশুর বর্জ্যগুলো ফেলুন
গ্রামাঞ্চলে কোরবানির আগে থেকেই খোলা মাঠে বা কোন পরিত্যক্ত স্থানে গর্ত করে রাখতে পারেন। আর শহরের ক্ষেত্রে কাছাকাছি একটি ডাস্টবিন ঠিক করে রাখুন। ডাস্টবিনটি রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছাতে সুবিধা হবে। আর গোলির ভেতরে হলে বর্জ্য একটি ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। খেয়াল রাখবেন- কুরবানির পশুর গোবর ও অন্যান্য আবর্জনা যেন ড্রেনে ফেলা না হয়। এক্ষেত্রে ড্রেন বন্ধ হয়ে ময়লা উপচে পড়বে।
আগে থেকে ঠিক করা জায়গায় মাংস কাটার কাজ শেষ করুন। এ সময় উচ্ছিষ্টগুলো ছিটিয়ে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। অতঃপর সব উচ্ছিষ্ট একসাথে করে পূর্ব নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলুন। গ্রামাঞ্চলে গর্তে রেখে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে পারেন। দ্রুত বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
যত দ্রুত সম্ভব চামড়া ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করুন
চামড়া ছাড়ানো হয়ে গেলে সাথে সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করুন। এছাড়া মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং, মসজিদ বা এতিমখানায়ও দান করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
মাংস সংরক্ষণে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
মাংস বাড়িতে নেয়ার আগে থেকেই হাত, রান্নাঘর বিশেষ করে মাংস রাখার পাত্রগুলো সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাংস এমনভাবে রান্না করুন, যেন মাংসের প্রতিটি অংশ বেশ ভালোভাবে সেদ্ধ হয়। রান্নার কাজ শেষ হলে কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে আসা সব কিছু আগের মত করে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাংস রাখার সময় ছোট ছোট প্যাকেটে মুখ বন্ধ করে মাংস রাখুন। রেফ্রিজারেটর থেকে মাংস বের করে রান্নার পূর্বে ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আসতে দেওয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শেষাংশ
যেহেতু করোনা মহামারি চলাকালীন দ্বিতীয়বারের মত ঈদুল আজহা পালিত হতে যাচ্ছে, তাই কোরবানি পরবর্তী সতর্কতা মেনে চলার উপর আরো বেশি জোর দিতে হবে। এর ফলশ্রুতিতে আপনি নিজে সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার পাশের জনকেও কোভিড সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে মনিটরিং টিমের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এই সতর্কবার্তা দেন।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। স্থায়ী একটিসহ নয়টি পশুর হাটের ইজারা শর্ত সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ১৫ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই দলে ১৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং দু'জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মেয়র বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। শক্তি ফাউন্ডেশন প্রতিটি বাজারে ২০০ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২০০ টিশার্ট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, ইজারাদাররা সমস্ত গরুর বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন।
মেয়র বলেন, পশুর হাটগুলোতে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উভয়কেই মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
তিনি জানান, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধকল্পে গবাদি পশুর হাটগুলোতে শারীরিক উপস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট -২০২১’এর আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ।
কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ৭৭টি গরু ও ৬টি ছাগল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন ছাড়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে এই বিশেষ সার্ভিসের উদ্বোধনের পরই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
আরও পড়ুনঃ বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় আসবে কোরবানির পশু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানান, করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে রেল মন্ত্রণালয় এই ট্রেন সার্ভিসের সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে ওয়াগন জুড়ে দিয়ে পশু পরিবহন করা হবে। প্রতিটি গরুর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯২ টাকা ও ছাগল প্রতিটি ২৯২টাকা। প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহণ করা যাবে। আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত এ ট্রেন সার্ভিস চলবে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঢাকা ম্যাংগো ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গত বছরের চেয়ে এবার সব ধরনের চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ২৮ থেকে ৩২ টাকা।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা; গত বছর যা ছিলো ১৩ থেকে ১৫ টাকা। এক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। এক্ষেত্রেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, গতবছর এক্সপোর্ট ট্রেডটা ভালোই হয়েছে। সবদিকে প্ল্যান করেই এগুতে হবে। সবার একটাই ইচ্ছা যেনো চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা ওয়েট-ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি, এটি খুব একটা স্বস্তির নয়। যেহেতু দেশে দাম পাওয়া যাচ্ছে না তাই রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি। এটা স্থায়ী হোক সেটা আমি চাই না। এবার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
এ সময় ব্যবসায়ীদের কোরবানির পরপরই দ্রুত চামড়ায় লবণ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিটিএ'র সভাপতি শাহীন আহমেদসহ ব্যবসায়ী নেতারা ।