রিমান্ড
হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ২ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নূর উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
শুনানি শেষে ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।
অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, উপ-নির্বাচনের দিন সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন।
মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫থেকে ৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
মামলার বাদী হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে।
এসময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলার আসামি রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে আরও তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে চাঁদকে আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আলম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
রাজশাহী জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক পরিমল কুমার বলেন, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে তোলা হয়। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে আরও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার এই মামলা বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আছে। তারাই বিএনপি নেতা চাঁদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
গত ৫ দিনের রিমান্ডে চাঁদ কি ধরনের তথ্য দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে গত ২৫ মে বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপি নেতা চাঁদকে গ্রেপ্তার করে বিকালে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
ওই রিমান্ড শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার আবারও তাকে আদালতে তোলা হলে তিনদিনের রিমান্ডে দেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনামিয়া।
আসামীপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চার বক্সের মধ্যে তিন বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদি হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: ফের রিমান্ডে সজিব
সিলেটে সোনিয়া আক্তার (২১) নামের এক তরুণী হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ চলে গেলেও প্রকৃত রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি।
এ ঘটনায় সোনিয়ার মামাতো ভাই মূল অভিযুক্ত মো. সজিবকে (২৯) প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নিলেও পুলিশের কাছে তিনি মুখ খোলেননি। ফলে তাকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষ হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিলেট মহানগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শীতলজুড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম, ভারতীয় তরুণী সিলেটে
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে সোনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করেন তার মামাতো ভাই সজিব।
সজিব হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।
১২ ফেব্রুয়ারি সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। পরে দুপুর ১২টার বাসায় ফিরে সোনিয়ার শয়নকক্ষে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রথম থেকেই সোনিয়ার পরিবারের দাবি ছিলো এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেয়ায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
সোনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারও খোয়া গেছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় সজিবের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট
র্যাব জানায়, প্রায়ই সোনিয়াদের বাসায় আসতেন সজিব। খুনের ঘটনার আগে তিনি তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে সাতদিন যাবৎ সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করেছিলেন।
ঘটনার আগের দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) সোনিয়া চাকরির সন্ধানে সজিবকে নিয়ে বিয়ানীবাজার যান। ওইদিন বিয়ানীবাজার থেকে ফেরার পথে সিলেট শহরের শেখঘাটে সোনিয়ার অসুস্থ খালাকে দেখে তারা রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরেন।
ঘটনার দিন সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে।
পরে হাসপাতাল হতে সোনিয়ার মা দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় ফিরে সোনিয়ার শোবার ঘরে ঢুকে বিছানায় তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সোনিয়ার লাশের গলার বাম পাশে গভীর এবং ডান হাতের কব্জির রগ কাটা পাওয়া যায়।
পুলিশ এসময় তল্লাশি করে সোনিয়ার খাটের তোষকের নিচ থেকে ধারালো রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে।
এদিকে, গ্রেপ্তার সজিবকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
পরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) সজিবকে নিয়ে সোনিয়াদের বাড়িতে যায় পুলিশ এবং তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে বালতিতে রাখা রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে। জামায় দুজনেরই রক্ত আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য পুলিশ জামা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
সূত্রটি আরও জানায়, প্রথম দফা রিমান্ডে নেয়ার পর পুলিশের কাছে সজিব স্বীকারোক্তি দিলেও শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তুললে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী না দেয়ায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও দুই দিনের রিমান্ডে দেন আদালত।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের প্রথম দিন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার সজিবকে ফের আদালতে তোলা হবে।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও এবং রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ১৬৭ ধারার অপব্যবহার রোধে আপীল বিভাগের দেয়া নীতিমালা অনুসরণের রায় পুনর্বিবেচেনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিদ্যামান আইনে কী আছে, রায়ের সুপারিশে কী আছে, তার তুলনামূলক একটি চিত্র দেখানো হবে।
আদালত বলেন, ‘প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তৈরি করেছি, আইন ও সুপারিশে কী আছে, তা পাশাপাশি রেখেছি।’
আদালত বলেন, ‘তাহলে দাখিল করেন, আমরা দেখি।’ পরে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আরও পড়ুন: ডাণ্ডাবেড়ি-হাতকড়া পরানোর নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে রুল
এরপর আদালত বলেন, ‘নট টু ডে।’ পরে আইনজীবীরা জানান, রিভিউ শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি ফের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
এদিনে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক, মো. শাহীনুজ্জামান ও এ এম জামিউল হক।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারার অধীনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া নির্বিচারে আটক বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ (৫) এবং আন্তর্জাতিক নির্যাতন প্রতিরোধ সনদ ১৯৮৪ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সনদ ১৯৬৬ এর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। ওই রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করে।
২০১৬ সালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের পুর্বের রায়টি কিছু পরিবর্তনসহ বহাল রাখেন। আপীল বিভাগ বিনা পরোয়ানায় আটক ও রিমান্ডের অপব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ১৩ দফা এবং ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারক ও ট্রাইবুন্যালকে অপরাধ আমলে নেয়ার ক্ষমতা প্রদান করে ৯ দফার নীতিমালা প্রদান করেন। পরে এই রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানায়।
২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সরকারকে ওই নীতিমালার বিরোধিতার সুনির্দিষ্ট কারণ ও নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশসমুহ অন্তর্ভুক্ত করে তা একই বছরের ১৬ এপ্রিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদানের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকবার শুনানির জন্য বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসে।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস
নাদিয়ার মৃত্যু: বাসের চালক ও হেলপার ২ দিনের রিমান্ডে
সড়ক দুর্ঘটনায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকারীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বাসের চালক লিটন ও তার হেলপার আবুল খায়ের।
আরও পড়ুন: নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
আগের দিন ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে আদালতে হাজির করেন।
সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর থেকে লিটন ও আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাসটিও জব্দ করেছে পুলিশ।
নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাদিয়া (২৪)। রবিবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস তার বন্ধুর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোটরসাইকেল আরোহী নাদিয়ার।
এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী নিহত: চালক ও হেলপার আটক
রাজধানীতে বিআরটিসি বাসের চাপায় শিশুর মৃত্যু
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় ১০ আসামির আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার দশ আসামিই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
বৃহস্পতিবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুনরায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আবদুর সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া।
২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আরাফাত ও সবুরকে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে ছয় টুকরো করে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি আবীর আলীকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুনানীকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবীর আলীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
এদিকে, সকালে ঘাতক আবীর আলীকে কড়া নিরাপত্তায় আদালত প্রঙ্গণে হাজির করা হয়। তার আগেই সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ আদালত এলাকায় ভিড় করে। দুপুরে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি আবীর আলীকে নামানোর সময় মানুষ তার ফাঁসি দাবি করে শ্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনী দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় আসামিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জানান, আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর লাশ কেটে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় আসামি আবীর। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আবীর একই দাবি করেছে। ঘটনাস্থল চিনিয়ে দিতে রাজি হলে আবীরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। তার দেখানোমতে আবার তল্লাশি করা হয়। তবে কোনো দেহাবশেষ উদ্ধার করা যায়নি। পরে আবীরের মায়ের বাসায় তল্লাশি করে একটি ডায়েরি পেয়েছি।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আবীর আলীকে সঙ্গে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বে-টার্মিনাল এলাকায় সাগরতীরে প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালায়। কিন্তু আয়াতের দেহের খণ্ডিত কোন অংশ পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আসামি আবীরকে নিয়ে নগরের বিভিন্ন আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন নালাসহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় আবীরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় পুলিশ। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তরার উত্তরার ১৫নং সেক্টরের দিয়াবাড়ি এলাকার ৩নং ব্রিজের নিচ থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার এ মামলায় স্বামী রাশেদ শরীফকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্ত রাশেদ শরীফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের মো. শামসুল হকের ছেলে । তবে এ মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
নিহত সায়মন পারভিন নিপুন (৩৬) সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের কালীবাড়ি মহল্লার মাহমুদুল হাসান বাবলু মুন্সির মেয়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাসা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম মামলার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাশেদ শরীফের সঙ্গে ২০০৯ সালে পারিবারিক ভাবে সায়মন পারভিন নিপুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ বিয়ের পর থেকেই স্বামী রাশেদ শরীফ যৌতুকের টাকা দাবী করে নিপুনকে মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে স্বামী রাশেদ শরীফ তার মেজো ভাই ও বোন জামাই মিলে নিপুনকে হত্যা করে তুরাগ নদীর উল্লেখিত স্থানে লাশ ফেলে দেয়া হয়। এরপর নিপুনের বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে কোন এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। এ খবর পেয়ে পরদিন নিপুনের বাবা তার মেয়েকে খুঁজতে ঢাকায় এসে মেয়ের বাসায় গেলে মেয়ে জামাই রাশেদ শরীফ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ সময় তার মা-বাবা ভাই-বোন ও বোনের জামাইসহ বাসার সবাইকে হাসিখুশি দেখা গেছে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে নিহত নিপুনের বাবা বাদী হয়ে তুরাগ থানায় তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ও নিপুনের স্বামীকে অধিকতর জিজ্ঞাবাদ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দু'দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা, লাশ উদ্ধারে সাগরে অভিযান পিবিআই’র
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় টিএসর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যার মিশনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
গত রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান