রিমান্ড
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া ও তার স্বামীসহ ৩ জন একদিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
একই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
গত ৭ অক্টোবর সাজ্জাদ ইসলাম নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ই-অরেঞ্জের চমকপ্রদ অফার দেখে তিনি, তার ভাই এবং এক বন্ধু গৃহস্থালি পণ্য ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ই-অরেঞ্জ পণ্য সরবরাহ না করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করে।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের আরেক গ্রাহক। ওই দিনই সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় আমান উল্যাহকে।
২৩ আগস্ট এ তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েক দফা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পাঁচ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন, কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক গাজী সালাউদ্দিন বলেন, পাঁচ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দুদিনের মঞ্জুর করেছেন। আদেশের নথি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
এর আগে, সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এসময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ওই তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে হত্যার মিশনে অংশ নেয়া দুইজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদন করা গ্রেপ্তার তিনজন হলো- কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি-৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি-ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নূর ইসলামের ছেলে নূর মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
জেলা পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে এপিবিএন পুলিশ মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে কিলিং স্কোয়াডের শীর্ষ পাঁচজনের একজন আজিজুল হক হত্যার দায় স্বীকার করে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজনের জন্য আদালতে পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এর আগে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ইলিয়াস নামে এক রোহিঙ্গা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুইজন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. নাইমুল হক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক জানিয়েছেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আজিজুল হকসহ পাঁচজন আগ্নেয়াস্ত্রধারী ছিল। গ্রেপ্তার আজিজুল হকের দেয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার করা হয় রিমান্ড আবেদন করা গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ রশিদ, মোহাম্মদ আনাচ ও নূর মোহাম্মদকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট ডি-ব্লকে নিজ অফিসে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। নিহত মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোরআন অবমাননা: সন্দেহভাজন ইকবাল ৭ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিথিলা জাহান নিপা তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অন্য তিন আসামি হলেন ইকরাম এবং দরগাবাড়ি মাজারের দুই সহকারী খাদেম হাফেজ হুমায়ুন ও ফয়সাল।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। এছাড়া অন্য তিন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য,গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির,মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা,ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর,লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পদ্মা সেতু থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় যুবক ৬ দিনের রিমান্ডে
পদ্মা সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় যুবক উপেন্দ্র বিহারের ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালত ছয় দিনের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার লৌহজং থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আরফাতুল রাকিব ছয় দিনের রিমান্ড দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মানব পাচার চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ গ্রেপ্তার ৮
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন জানান,উপেন্দ্র বিহার ভারতের আসাম এলাকার বিন্দাশ্রী বিহারের সন্তান বলে দাবি করেছেন। পাগলবেশ অবস্থায় পদ্মা সেতুর মাওয়া সংরক্ষিত এলাকা কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। সেনাবাহিনী তাকে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে লৌহজং পুলিশকে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা বা পাসপোর্ট কিছুই দেখাতে পারেনি। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩
সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোনের ৫ দিনের রিমান্ড
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে দুই মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ অক্টোবর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি মাদক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
উখিয়ার লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনেরও তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আব্দুস সালাম,মোহম্মদ জিয়াউর ও মো. ছালাম।
আরও পড়ুন: শিগগিরই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত রবিবার একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি ছলিম উল্লাহ ও শওকত উল্লাহকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড
মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড
রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে (২১) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার মো. আশরাফুল ইসলাম পিয়াসার সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড না দিয়ে পিয়াসার জামিনের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ছয় সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। এ মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাসহ আট জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরের আগাম জামিন আবেদন
মডেল পিয়াসা মাদক মামলায় আগে থেকে কারাগারে আছেন। তাকে মুনিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই।
উল্লেখ্য, মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করলেন মুনিয়ার বোন
মুফতি কাজী ইব্রাহীম ২ দিনের রিমান্ডে
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহীমের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এসআই মো. হাসানুজ্জামান কাজী ইব্রাহীমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
কাজী ইব্রাহীমের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) এর বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দু’দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে কাজী ইব্রাহিম নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে ইব্রাহিমকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়।
জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথে লুট, ৪ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড
ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবারও ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য তাদের আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সাথে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৪ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন আদালত।
যে দুই বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে হবে তারা হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ উল্লেখ করে আগে দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দেয়া ব্যাখ্যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু তাদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রাখেন। সে অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।
পরে তাদের পক্ষে সময় চেয়ে আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। কী কারণে রিমান্ড দেয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। শেষে বলা হয়েছে, সার্বিক বিবেচনায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশে ত্রুটি -বিচ্যুতি...।’
এই পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘তারা (দুই বিচারক) আমার অফিসে এসেছিলেন। দুজনই তরুণ বিচারক। তারা অনুতপ্ত, দুঃখিত। প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে যথাভাবে জবাব লেখা হয়নি। দুজনই আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।’
আদালত বলেন, ‘ক্ষমা; তাহলে তারা (দুই বিচারক) আরেকটি ব্যাখ্যা (রিপ্লাই) দেবেন। এ জন্য সময় দিচ্ছি। বিষয়টি ২৪ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে।’ এ সময় আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ-নির্দেশনা যেন নিম্ন আদালত মেনে চলেন।
পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট
আদালতের আদেশ অনুসারে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে (২৪ অক্টোবর) ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান শুনানিতে ছিলেন।
মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি।
গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণিকে জামিন না দিয়ে তার আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল জারি করেন। রুলে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
পড়ুন: ফোনে আড়িপাতা রোধে করা রিট খারিজ
এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
পরে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্ব-প্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন জানান।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।