রিমান্ড
সিলেটে এটিএম বুথে লুট, ৪ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুরে ব্যাংকের এটিএম বুথ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৩এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এটিএম বুথ লুটের ঘটনা দেশে বিরল উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ডিএমপির গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার শামীম আহমেদ এবং সিলেট জেলা গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার সাফি উদ্দিন জাহির দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। একসময় দুজনই দেশে ফিরে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যায়। শেরপুরে এটিএম বুথ লুটের ঘটনাটিও শামীম ও জাহিরের পরিকল্পনাতেই বাস্তবায়িত হয়। গ্রেপ্তার শামীম এক সময় ওমানে থাকা অবস্থায় সেখানকার স্থানীয় ব্যাংকের এটিএম বুথ ডাকাতির ঘটনায় আট বছর কারাবাস করে। শেরপুরের ঘটনার পরেও সে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুটএর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর শেরপুরস্থ নতুনবাজারে অবস্থিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে বেঁধে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫শ' টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ঘটনার দৃশ্য ধারণ হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওসমানীনগর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ আট হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি, একটি প্লায়ার্স ও মাথায় ব্যবহারের তিনটি কাপড়ের টুকরো জব্দ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম। গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার তাদেরকে সিলেট জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে (ডিএমপি) পুলিশ।অপরদিকে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার মূল হোতা ও পরিকল্পনাকারী সাফি উদ্দিন জাহিরকে (৩৮) হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন পাঁচপাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহির পাঁচপাড়িয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তার দেয়া তথ্য অনুসারে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশ থেকে বুথের মেশিন ভাঙার শাবল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
ঢাকার একটি আদালত মঙ্গলবার ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে ধানমন্ডি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।
গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই আদেশ দেন।
আদালত তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিনের রিমান্ডের মেয়াদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
পুলিশ দুজনকে আদালতে হাজির করে এবং মামলায় প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চায়।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন পল্টন এলাকার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে আছেন, ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জাওয়াদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
উল্লেখ্য, এর আগে শামীমা এবং কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের রাসেল গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২ আগস্ট একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ চিঠির মাধ্যমে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার একটি আদালত ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে শুক্রবার তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই দম্পতিকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো.আতিকুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন। এর আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া কয়েকশ’ কোটি টাকার অপব্যবহার এবং পণ্য সরবরাহ না করে তাদের প্রতারিত করার অভিযোগে রাসেল ও শামীমার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন, ইভ্যালির এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে।শুক্রবার এলিট ফোর্সের সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই তথ্য প্রকাশ করেন।
শামীমা এবং কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের রাসেল গুলশান থানায় একটি মামলা করার পর এই দম্পতিকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই ) অহিদুল ইসলাম জানান, টাকা আত্মসাত ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
এছাড়া,বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২ আগস্ট একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ চিঠির মাধ্যমে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
হবিগঞ্জে নববধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
হবিগঞ্জে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোলায়মান রনিকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
এদিকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার মিঠু মিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে শুক্রবার রাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবিগঞ্জ শাখর সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে লাখাই ছাত্রলীগের সদস্য সোলায়মান রনিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মামলার অপর পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট দুপুরে এক নারী তার স্বামী ও এক বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কাপুর হাওড়ে বেড়াতে যান। মামলার প্রধান আসামি মুসা মিয়ার নেতৃত্বে অপর নৌকায় থাকা আট যুবক তাদের নৌকায় হামলা চালায়। ভুক্তভোগীর স্বামী ও তার বন্ধুকে হাত পা বেধে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা নববধূর স্বামী ও তার বন্ধুর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ভাক্তভোগীর স্বামী জানান, লোকলজ্জা ও ধর্ষকরা অত্যন্ত প্রভাবশালী সেই ভয়ে তার স্ত্রীর চিকিৎসা এলাকায় না করে পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওযায় তাকে ১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২ এ মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার রনি ও শুভকে র্যা ব- ৯ এবং শুভকে লাখাই থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুল ইসলাম জানান, মামলার অন্যান্য আসামি মোড়াকরি গ্রামের বাসিন্দা খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ওয়াহাব মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২০) পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত এখনও কোন আদেশ দেননি ‘
মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এটি খুব ভালো কথা, সবার পাওয়া উচিত। যারা তার সাথে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদেরও পাওয়া উচিত। তিনি বের হলেন বিজয়ীর বেশে, মাথায় পাগড়ি, হাস্যমুখে। খুব সুন্দর লাগছিল তাকে। মুক্তি পাওয়ার পর উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে উৎফুল্ল পরীমণি হাত উঁচিয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করছিলেন। এই সময় অনেকেরই চোখ ছিল তার হাতের দিকে। তার হাতে লেখা ছিল, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।
এ লেখা দেখে পরিমণি আর তার উপদেষ্টাদের বুদ্ধি নিয়ে আমার সন্দেহ জাগছে। একটু বোঝা উচিত ছিল এতে অনেকেই ক্ষুণ্ন হতে পারেন। বিশেষ করে যাদের কারণে তিনি জেলে ছিলেন। তারা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হেরে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন, এটা যদি কেউ ভেবে থাকেন তবে তার জন্য বিপদ আছে।
‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ কথাটি একটি গান থেকে নেয়া এবং এটি হয়তো তার প্রিয় গান হতে পারে। গানটিতে মূলত রাগ ও ঘৃণা প্রকাশ করার জন্য গালিগালাজ করা হয়েছে। তবে যথেষ্ট উত্তেজক ভাষায় লেখা এই গান আজকের দিনে তাকে প্রিয় করে তুলবে না অনেকের কাছে! বিষয়টা বোঝা কঠিন নয়, যদিও বোঝা যায় যে এই বিজয়কে সে নিজের ব্যক্তিগত বিজয় মনে করছে। এটি যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির এক ধরণের লড়াই ছিল ‘ক্লাব’ শ্রেণির বিরুদ্ধে সেটা তার মাথায় ঢুকেনি। কিন্তু কেউ ভুলবে না যে ‘ক্লাব’ শ্রেণি কত ক্ষমতাবান এবং চাইলে তারা পরীমণিকে আরও বহুদিন আটকে রাখতে পারতো। এরকম বহু কেস আছে। করেনি, কারণ একে নিয়ে তারা আর সময় নষ্ট করতে চায় না।
আরও যুদ্ধ আছে। যারা তার বিপক্ষে তারা এখনও সমান ক্ষমতাবান। পরীমণি বোট ক্লাবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেবেছিল ‘জিতেছি’। কিন্তু তার সূত্র ধরে বাড়িতে রেইড, জেল, রিমান্ড ইত্যাদি। তারা ক্ষমতা রাখে, সে রাখে না। পুলিশের বাড়াবাড়ি তার বড় উপকারে এসেছে, কিন্তু খেলা শেষ হয়নি। মামলা ডিসমিস হয়নি। হাতে ওই কথা লিখে বিজয় নিশান না উড়িয়ে তিনি চলে গেলেই পারতেন। তার বোঝা উচিত, এক মাঘে ক্ষমতাহীনদের শীত যায় না। এই মেয়ে বোকা, কার সাথে লড়তে হয় এবং কীভাবে লড়তে হয় জানে না।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকার একটি আদালত নায়িকা পরীমণিকে জামিন দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তাকে একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর ২২ আগস্ট পরীমণিকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন তার পক্ষ থেকে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
পরে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। আবেদনে তিনি অভিনেত্রীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চেয়েছিলেন।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে তাকে আটকের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনবার রিমান্ডে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তার বাড়িতে অবৈধভাবে মদ ও মাদক রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য জুন মাস জুড়ে ফেসবুক লাইভে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে শিরোনামে ছিলেন পরীমণি।
আরও পড়ুন: বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
আগামীকালের অপেক্ষায় অনেকে। আর পছন্দ হোক আর নাই হোক বেশিরভাগ মানুষ চায় পরীমণি জামিন পাক। এখন আর তার অপরাধ বিষয় নয়। তার রিমান্ড, হাজতবাস ইত্যাদি মিলিয়ে এমন এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে যে পাবলিকের চোখে সে এক ধরণের ভুক্তভোগী। তারা মনে করে যে তার ওপর 'অন্যায়’ করা হচ্ছে। মানুষের মন এমনই। পাবলিক কারও কষ্ট দেখলে বিশেষ করে পুলিশের হাতে সিম্প্যাথেটিক হয়ে যায়।
২. এর সাথে আছে আরও বিভিন্ন অপরাধ ও গ্রেপ্তার নিয়ে পাবলিকের ভাবনা। বড় বড় আসামি জেলের ভেতর থাকে আরামে, বিরাট বাটপার সহজেই দেশ ছাড়ে আর প্রতিদিনিই কেউ না কেউ মাফ বা অব্যাহতি পেয়ে যায় ওই অপরাধের অভিযোগ থেকে।
সময়টাও খারাপ, কারণ ইদানিং ‘বিশাল’ কয়েকজনকে ছাড় দেয়া হয়েছে। পাবলিক তাই বলছে, তাদের অপরাধের তুলনায় পরীমণি কি করেছে? এতো কেন? কিন্তু যেহেতু পাবলিকের কোনো ক্ষমতা বা প্রভাব নেই, তাই সে মনে মনে ‘জামিন’ দিয়ে দিয়েছে। আর কি করার আছে তাদের?
৩. বোট ক্লাবের ঘটনা থেকেই সব সূত্রপাত। যাদের সে ‘ক্ষতি’ করেছে , যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা ব্যক্তিগতভাবে নয় গোষ্ঠীগতভাবে আঘাত পেয়েছে, অপমান বোধ করেছে। তাই রাগটা অনেক বড়, পাল্টা আঘাত আরও বড়। পুলিশ এরই মধ্যে ইঙ্গিত করেছে যে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের ভিত্তি নেই, অতএব ঝালটা আরও বেশি তো হবেই। তার দাম চুকাতে হচ্ছে পরীমণিকে।
৪. পরিমণির জীবন-যাপন বাংলাদেশের বড়লোকদের ওপরতলার মানুষের মতোই, যেখানে নেশা, ‘অনৈতিক আচরণ’, ক্লাব আর রিসোর্ট কেন্দ্রিক জীবন বহমান। কিন্তু পরীমণি মিডল ক্লাস বড়োজোর, তার রুজি বা জীবন চলে বড়লোকের সাথে মেলা মেশায়, হিসাবের ভুল এখানে। সে উপরতলার নয়। একসাথে মদ খেলে সব মদ খোর এক হয় না, সবার সাথে লাগা যায় না। যার যে শ্রেণি সেটাই ঠিকানা। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ভালো উদাহরণ। পরীমিণির বিরুদ্ধে লেগেও, বোট ক্লাবের সদস্য হয়েও সে একই ধরণের মামলায় জেলেই। কারণ সে উপরতলার নয়।
৫. পাবলিক এতো কিছু বোঝে না, পরীমণির জন্য তাদের মধ্যে ‘আহা বেচারি’ বোধ কাজ করছে সবচেয়ে বেশি। সে কি হয়েছিল ভুলে গেছে, এখন রিমান্ড আর জেল দেখে দুঃখিত। তাই কি আর করবে, মনের জামিনটা দিয়েছে আদালতের জন্য অপেক্ষা না করে। তারা এইটুকুই পারে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণির পক্ষে প্রতিদিন কেউ না কেউ নিজেকে ঘোষণা করছে। অথচ তার বিরুদ্ধে যে সব চার্জ আনা হয়েছে তা আমাদের সমাজে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। মানে মদ খাওয়া, ড্রাগস নেয়া , ব্ল্যাকমেইল করা, অনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি। কিন্তু তাতে তার প্রতি সমর্থকদের আগ্রহে একটুও ভাটা পড়েনি। সে অনেকটা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশে একজন ফিল্মস্টারকে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা আগে দেখা যায়নি।
সে রাজনীতির বাইরের লোক, পাচ্ছে সামাজিক সমর্থন। যারা তার পক্ষে তারা কম বেশি যাদের বলে সুশীল সমাজ, কলিগ এবং তার ফ্যান। পরীমণিকে কেউ ধোয়া তুলসীপাতা ভাবে? তার সুপার -ফ্যান ছাড়া কেউ ভাবে না। অন্যরা জানে তার জীবন যাপন - যা তার নামে বলা হচ্ছে - তার সবই স্বাভাবিক, সবাই করে। তাতে তারা দোষের কিছু মনে করে না। বিষয় হলো, এই দেশের অনেক ক্ষমতাবান, সম্পদশালী মানুষও তাই করে। নেশা করে, নারী ভোগী, এবং আরও বহু কিছু ভোগ করে। তারা দুর্নীতি করে, ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেয় না, মানুষের টাকা নিয়ে ভেগে যায় ইত্যাদি। অর্থাৎ বড়লোকদের ওপর রাগের ফিরিস্তি বড়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য কাউকে পরোয়া করে না। এদের এক অংশের সাথে বিবাদ হয় পরীমণির এবং সেটা থেকেই সংঘাতের শুরু। বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমণিকে অনেকে সমর্থন করে, সেই কারণে এবং সে ভেবেছিল, ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ তুলে জিতেছে। কিন্তু না, আসলে সে জিতেনি। যদিও অনেকেই বিশ্বাস করে না যে পরীমণিকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। তবুও তার পক্ষে ছিল।
বোট ক্লাব ঘটনা আসলে অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকার বড়লোকদের প্রতি যে ক্ষোভ, সেটা চলছে। আর ‘এস্টাবলিশমেন্ট’ তার বোট ক্লাবের ঘটনায় অপমানিত, তার এফেক্ট চলছে, যা দেখছি আমরা। তাহলে কী হচ্ছে এসব ? গোটা এপিসোড সুশীল ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে একটা সুযোগ দিয়েছে ‘বোট ক্লাব’ গোষ্ঠী ও ‘রাতের রাজাদের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। কিন্তু সাধারণ মানুষ তার সিনেমার ভক্ত হতে পারে, তার জীবন-যাপনের নয়। তাই তারা এতে নেই। মানববন্ধন যারা করছে তারাই শুধু মাঠে, অর্থাৎ মধ্যবিত্ত যাদের ক্ষোভ সবচেয়ে বেশি। তারা পরিমণির বিষয় নিয়ে যতটা ভাবিত, ততটাই বর্তমান ব্যবস্থা নিয়েও। কিন্তু যারা সরব তারা সব সময় সরব হয়। কিন্তু এর বেশি কিছু করতে পারে না। তারা সংখ্যায় বেশি নয়। পরীমণিকে নিয়ে রিমান্ড চর্চা চলছে। যে শক্তির বিরুদ্ধে পরীমণি গেছে তাতে তার পরিণতি এমনটিই হওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। তারা ‘রাতের রানিদের’ পিছনে গেলো ঠিকই। কিন্তু ‘রাতের রাজাদের কিছু না বলে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বাড়িতে মদ, ট্যাবলেট পাওয়া, পার্টিতে যা খুশি করা , এটা তো ঢাকায় কমন। ইদানীং কেউ কিছু মনে করে না। রাজা ও রানিদের জীবন একই কিসিমের। আদালত পাড়ায় বার বার রিমান্ড নিয়ে, মানুষের মনে পরীর জন্য ‘আহা বেচারি’ ভাব সব চেয়ে বেশি সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে পুলিশ বিভিন্ন মামলা খারিজ ও নিষ্পত্তি করছে, সেখানে তাকে ভিলেন বানিয়ে কী পাওয়া গেলো ? শেষ কথা পরীমণি ও তার মতো যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে আছে, তাদের সবাইকে সংবাদটা দেয়া হয়ে গেছে যে ‘হুঁশিয়ার-কার গায়ে হাত দাও?’ এবার মিটমাট করে ছেড়ে দিন। কয়েকটায় তো হলো দেখলাম, এটি কেন হবে না ?
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: মদ, ঘুষ হারাম না হালাল? লাইসেন্স থাকলে চলবে?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর আসামি হলেন- ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনা সার্টিফিকেট প্রতারণা চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক নিয়ে প্রতারণা, সিলেটে দারাজকে জরিমানা
মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ওসি ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
চিত্রনায়িকা একার জামিন মঞ্জুর
গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা একার জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায়ও চিত্রনায়িকা একার জামিন মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান।
গত ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত নায়িকা একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিন হাতিরঝিল থানার পৃথক দুই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
একইসঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর না করে একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই একার পাশের ফ্ল্যাট থেকে একটি ফোন আসে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। পুলিশ জানতে পারে যে, একা যে ভবনে থাকেন তার পাশের ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এরপর ৯৯৯ থেকে হাতিরঝিল থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ গিয়ে সেই বাসা থেকে একাকে আটক করে।
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একার বিরুদ্ধে মামলা দুটি করা হয়। একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং অপরটি গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
দুই মামলায় কারাগারে নায়িকা একা