রিমান্ড
পরীমণি আবারও একদিনের রিমান্ডে
বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে পরীমণিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা আসামি পরীমণির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমণির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির আরও ৫ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি
কাশিমপুর কারাগারে পরীমণি
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
ফেনীতে স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ওসি ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গোপাল কান্তিদাসকে ফেনীতে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন। শুনানি শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
এর আগে গত ১১ আগস্ট বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ডিবি ওসি সাইফুল ইসলামকে ৪ দিন ও এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানাকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান।
গত শনিবার দুপুরে ডিবি ওসি ছাড়া বাকি ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফের ৩ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৬ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
এদিকে রবিবার সকালে মামলার অধিক তদন্তের জন্য স্বর্ণবার ডাকাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে মামলাটি হস্তান্তর করেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী। পিবিআই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে। তিনি আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
একই দিন ডিবির অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল গত ৮ আগস্ট রবিবার চট্টগ্রাম থেকে ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তার গাড়ি গতিরোধ করে।গাড়ি তল্লাশির এক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া বাসা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ৫ কর্মকর্তা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে
ফেনীতে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদ্য বহিস্কৃত ৫ কর্মকর্তার আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ফেনীর আদালতের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালত ৫ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিনালী জানান, তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুর মামলার ৫ আসামি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানাকে মডেল থানা থেকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন প্রত্যেক আসামির ৭ দিন করে ফের রিমান্ড আবেদন করে। আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ৫ আসামির প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে আসামিদের আদালত থেকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিকে মামলার অধিক তদন্তের জন্য স্বর্ণ বার ডাকাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে আদালতের একটি সূত্র জানায়, পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণের জন্য শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোন লিখিত আবেদন করেনি।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম আসামি ছেড়ে দেয়া ঘটনায় ৩ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৬
শনিবার দুপুরে ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডিতে স্থানান্তরের জন্য আদালতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আসামিদের রিমান্ডে জিঙ্গাসাবাদ চলছে। তদন্তে মামলার বাদীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলার অধিক তদন্তের জন্য পিবিআই বা সিআইডিতে স্থানান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ সবগুলো বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত করছে। মামলার বাদী কোথায় থেকে বারগুলো সংগ্রহ করেছে। কবে করেছে, কীভাবে করেছে, কারকাছে বারগুলো বিক্রি করতে যাচ্ছিল। কেন ডিবি পুলিশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বর্ণ বারগুলো লুট করেছে। সবগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ নতুন কিছু তথ্য পেয়েছে। সে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
একই মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া চার দিনের রিমান্ডে রয়েছে। রবিবার তার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে তোলা হবে। ওই সময়ে তাকে পুনরায় রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়াকে ৪ দিন ও অপর ৫ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওইদিন বিকালে তাদের আদালত থেকে ফেনী মডেল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ফেনীতে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে দুই দফা রিমান্ড শেষে পরীমণি ও দিপুকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
আবেদনে বলা হয়, দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে পরীমণি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই তাকে কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা করছি।
পরীমণির পক্ষে মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী প্রমুখ আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরীমণির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমণি ফের ২ দিনের রিমান্ডে
মাদক মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে ফের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
চার দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাস এই আদেশ দেন।
এছাড়া একই মামলায় রাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক নজরুল ইসলাম রাজের সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে, একই আদালত রাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এছাড়া বনানী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্নগ্রাফি আইনের মামলায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক রাজ ও তার সহযোগী সবুজকে মাদক মামলায় দুই দিন এবং পর্নগ্রাফির মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে বুধবার ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে আটক করে র্যা ব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়েছে বলে র্যা ব সূত্র জানিয়েছে।
নায়িকা পরীমণি এবং তার সহযোগী নজরুল ইসলাম রাজ একটি সংগঠিত চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে র্যা বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন।
র্যা ব সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তারা গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় সমাজের উচ্চবিত্তদের লক্ষ্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন এবং পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক বিক্রি করছিলেন।
মঈন আরও বলেন, অভিনেত্রীর বাসভবনে একটি মিনি বার ছিল এবং নিয়মিত সেখানে ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন।
পরে মাদকের মামলায় নায়িকা পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা দুটি ভিন্ন মামলায় রাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও সবুজকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
এ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন: পরীমণি-সাকলাইন ঘটনা তদন্তে কমিটি
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা
ফের রিমান্ডে মডেল পিয়াসা ও মৌ
মাদক মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আবারও বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গুলশান থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন এবং খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয় পিয়াসার।
শুক্রবার গুলশান থানার মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
পরে গুলশান থানার মামলায় সাত দিন, ভাটারা থানার মামলায় ১০ দিন এবং খিলক্ষেত থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
অপরদিকে কথিত মরিয়ম আক্তার মৌকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী আসামি পিয়াসাকে তিন মামলায় আট দিন এবং মৌকে চার দিনের রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
গত সোমবার (২ আগস্ট) ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পিয়াসা ও মৌকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে প্রত্যেককের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: পিয়াসা ও মৌ ৩ দিনের রিমান্ডে
পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
মাদকের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা দুটি ভিন্ন মামলায় রাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও সবুজকে চার দিনের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে।
বনানী থানার পুলিশের করা মাদক মামলায় পরীমণিসহ চারজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
নায়িকা পরীমণি এবং তার সহযোগী নজরুল ইসলাম রাজ একটি সংগঠিত চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান। র্যাব সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তারা গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় সমাজের উচ্চবিত্তদের লক্ষ্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন এবং পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক বিক্রি করছিলেন।
মঈন আরও বলেন, অভিনেত্রীর বাসভবনে একটি মিনি বার ছিল এবং নিয়মিত সেখানে ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন।
আরও পড়ুন: মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় রাতে মডেলদের নিয়ে পার্টি ও বিদেশে প্লেজার ট্যুরের আয়োজক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মাসুদুল হাসান ওরফে জিসানেরও রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামুনুর রশীদের আদালত শুনানি শেষে পৃথক তিন মামলায় মিশুর ৯ দিন এবং তিন মামলায় জিসানের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
বুধবার রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়।
এলিট ফোর্সের সূত্র ইউএনবিকে জানায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট বিকাল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযান শুরু করে। তিন ঘণ্টা অভিযানের পর তাকে আটক করা হয়।
একই রাতে র্যাব রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজকেও আটক করে।
আরও পড়ুন: পরীমণি ও রাজের ২ সহযোগীর রিমান্ড মঞ্জুর
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমণি ও রাজের ২ সহযোগীর রিমান্ড মঞ্জুর
ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় রাতে মডেলদের নিয়ে পার্টি ও বিদেশে প্লেজার ট্যুরের আয়োজক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মাসুদুল হাসান ওরফে জিসানের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত শুনানি শেষে পৃথক তিন মামলায় মিশুর ৯ দিন এবং তিন মামলায় জিসানের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ২
মিশুর অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন, পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় এক দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড এবং জিসানের ভাটারা থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের একদিন। এছাড়া খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মাদকের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে মিশুর অস্ত্র, পর্নোগ্রাফি এবং মাদক আইনের মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিন এবং বিশেষ ক্ষমতা ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় জিসানের ১০দিন করে ২০দিনের এবং খিলক্ষেত থানার মাদক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
আরও পড়ুনঃ নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান (৩১) ও জিসানকে আটক করে র্যাব।
উত্তরায় থানা হেফাজতে মাদক মামলার আসামির ‘আত্মহত্যা'
উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের হেফাজতে দুই দিনের রিমান্ডে থাকা মাদক মামলার এক আসামি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ লিটনের (৪৫) বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। সোমবার দুই দিনের রিমান্ডে রেখে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে নারী করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা
ডেপুটি কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) মহম্মদ ফয়জুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, মোহাম্মদ লিটন সেলের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। থানার ভিতরে ১৫ টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এগুলোর ফুটেজে দেখা গেছে, অভিযুক্ত সেলের ভিতরে কম্বল ছিঁড়ে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে নিজেকে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
কর্তব্যরত পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা-তা খতিয়ে দেখতে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এয়ারপোর্ট জোন) নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ফয়জুল বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
পৃথক চার মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনূর রহমান পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
গুলশান থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদক মামলায় তিনদিন করে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী।
গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ গাবতলী থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার
এদিন পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলাতেও হেলেনা জাহাঙ্গীরের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এছাড়া, গত ৩১ জুলাই মাদক মামলায় পাঁচ দিন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
পল্লবী থানায় দায়ের করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে, গুলশান থানার দুই মামলায় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে শফিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পৃথক চার মামলায় তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব।