প্রাণহানি
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাস এক শোকবার্তায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘পঞ্চগড়ে মহালয়া উদযাপন শেষে ফেরার সময় করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
এতে আরও বলা হয়েছে,‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও প্রার্থনা জানাই।’
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ফেরার সময় নারী ও শিশুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
বাংলাদেশে ইরাসমাস প্লাস রোডশো শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন ইইউ রাষ্ট্রদূতের
ডেঙ্গুতে একদিনে ৩ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্তিআগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় ৪৮২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৫৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৬৯২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে এক হাজার ২৯৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৩৯৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ২৯১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১২ হাজার ৬১৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে নয় হাজার ৭৫১ জন ঢাকার এবং বাকি দুই হাজার ৮৬৬ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ৩৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১১৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ১১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৫৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৯ হাজার ৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় সাত হাজার ২৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে সাত হাজার ৯৪৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ছয় হাজার ৪২৯ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ৫১৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
ইউক্রেন সংঘাতে ৩৭৫২ বেসামারিক মানুষের প্রাণহানি: জাতিসংঘ
ঢাকা, ১৮ মে (ইউএনবি)- ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশটিতে তিন হাজার ৭৫২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। বুধবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, আরও চার হাজার ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খারকিভের চারপাশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার: ইউক্রেন
অধিকাংশ নথিভুক্ত বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার কারণে হয়েছে।
এই সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও যথেষ্ট বেশি বলে ধারণা করছে ওএইচসিএইচআর।
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৫০০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এছাড়া সাতটি নৌপথে দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত এবং দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ১৭টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
মোট নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী ও ৫১ জন শিশু।
মোটরসাইকেল সংক্রান্ত ১২৮টি দুর্ঘটনায় মোট ১৫৬ জন নিহত হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আরএসএফ -এর অনুসন্ধান অনুসারে, সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
প্রায় ৪৯ জন চালক এবং তাদের সহকারীরাও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং এটি মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে মহাসড়কে ১৩২টি, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৮৭টি এবং গ্রামের সড়কে ৪১টি এবং শহরের সড়কে ২৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারী নিহত
মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি
সারাদেশে মার্চে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জন নিহত এবং ৬৪৭ জন আহত হয়েছেন যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
এছাড়া এ সময়ে পাঁচটি নৌ-দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ১১টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) সোমবার চলতি বছরে বাংলাদেশের সড়কে দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপুরা ও গুলশানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুর্ঘটনার খবরের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছেন যেখানে ফেব্রুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ১৬ দশমিক ৭৫।
এছাড়া গত মাসে ২২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয় যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরএসএফের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৬২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন যা মোট মৃত্যুর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
প্রায় ৭৩ জন চালক ও তাদের সহকারী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান যা মোট মৃত্যুর ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৬৭টি, আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৭৯টি, গ্রামীণ সড়কে ৬৮টি, শহরের রাস্তায় ৩৯টি ও অন্যান্য স্থানে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।
ইউপি নির্বাচন: জানুয়ারি মাসে সহিংসতায় ২৯ জনের প্রাণহানি
সারাদেশে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু জানুয়ারি মাসে ১০৯টি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গণমাধ্যম থেকে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ১০৯টি রিপোর্টের ওপর সংগৃহীত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এমএসএফের মতে, এ বছর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতা আগের সব বারের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এমএসএফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং অন্য চারজনকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী গুলি করেছে।
বগুড়া জেলায় সর্বোচ্চ সাতজন, ঝিনাইদহে পাঁচজন, চাঁদপুরে তিনজন ও নরসিংদীতে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সম্প্রতি ৫ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালালে পুলিশ ২৫টি গুলি ছুঁড়ে।
এমএসএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষের সময় নারীসহ চারজন মারা যান এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
একই দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ বছর বয়সী সুমেলা খাতুন মারা যান।
গত ১২ জানুয়ারি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের নির্যাতনে ৩০ বছর বয়সী আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।
এমএসএফ-এর মতে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন এবং আহতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, পদ ও মনোনয়ন সংক্রান্ত দুর্নীতি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করেছে এবং স্থানীয় নির্বাচনে এ ধরনের সহিংসতাকে বৃদ্ধি করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাণহানি কমাতে এবং এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন দল, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে রায়পুরায় নিহত ২, আহত ২০
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ শ্রমিকের প্রাণহানি: এসআরএস
গত এক বছরে সারাদেশে ৩৯৯টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আগের ২০২০ সালে অনুরূপ ৩৭৩টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মোট ৪৩২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার সংস্থাটির প্রোগ্রাম অফিসার সিথী ঘোষ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে গত এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছুটিসহ বিধি-নিষেধের কারণে অনেক শ্রমিক কাজ করতে পারেনি, তারপরও কর্মদুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সবচেয়ে বড় কর্মদুর্ঘটনা ছিল রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, যেখানে ৫২ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া সোয়ারীঘাটে রোমানা রাবার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন ও বগুড়ার সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে পুড়ে পাঁচজন শ্রমিক প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: বুধবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
মোট ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে বছর শেষে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যেসকল শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাহিরে অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে আসা-যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা অন্য কোন কারণে মারা গিয়েছেন তাদের এই জরিপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছে পরিবহন খাতে। এই খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা মোট ১৫০ জন। এর পরেই রয়েছে নির্মাণ খাত, এই খাতে নিহত হয়েছে ১৩৮ জন। এছাড়া কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে ১১২ জন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ৮৬ জন এবং কৃষি খাতে ৫২ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮২ জন, আগুনে পুড়ে ৭২ জন, ছাদ, মাঁচা বা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছে ৫৮ জন, বজ্রপাতে ৪৯ জন, শক্ত বা ভারী কোন বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ৩২ জন, রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন, পাহার বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ২৭ জন, বয়লার বিস্ফোরণে ২৩ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে ৯ জন শ্রমিক নিহত হয়।
এসআরএস- এর নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় বছরটিও শ্রমজীবীদের জন্য সুখের ছিল না। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় তারা কাজ করতে বাধ্য। করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেও তাদের কাজ করতে হয়েছে। যদিও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক, বিশেষ করে পরিবহন, নির্মাণ শ্রমিকদের কোন কাজ কর্ম ছিল না। সবক্ষেত্রে একধরনের অচল অবস্থা বিরাজ করেছে, তবুও কর্মদুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি।
আরও পড়ুন: চকবাজারের আগুনে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের অবহেলা ও সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যথাযথ পরিদর্শনের ঘাটতি কর্মদুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। টেকসই উন্নয়নের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এবং এজন্য শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবীর জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাদের সুরক্ষার জন্য শ্রমের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এক্ষেত্রে যেকোন ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করতে হবে।
জরিপের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপোরোয়া যান চলাচল ইত্যাদি হল পরিবহন দুর্ঘটনার মূল কারণ। কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়া যেমন-ভেজা হাতে মটর চালু করা, মাথার ওপরে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, ভবনের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে লোহার রড ওঠানোকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
সাম্প্রতিকালে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা, কারখানায় ভবনে জরুরি বর্হিগমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেয়া, সেইফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেয়া ইত্যাদি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সকলের যৌথ প্রচেষ্টাই পারে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা থেকে শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান, সেইফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব মালিকের। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে কি না তা পরিদর্শন করার দায়িত্ব সরকারী প্রতিষ্ঠানের। সরকার ও মালিক উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কর্মদুর্ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৫ লাশ শনাক্ত
করোনা: আরও ৪ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৯৭
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ২৯৭ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৮ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৩০২ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ১৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ০৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৩ লাখ ২০ হাজার ২৩৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৮ জন এবং মারা গেছেন আট লাখ ৩৪৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৯৭০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ২৩ জন পৌঁছেছে।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ তিন হাজার ৬৪৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট দলের আরেক সদস্য করোনা আক্রান্ত
করোনা: আরও ৩ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৯৫
করোনা: আরও ৩ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৯৫
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ২৯৫ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮০ হাজার পাঁচজনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৮৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি সাত লাখ ২৫ হাজার ২৯৭ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৫৬১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি এক লাখ ১৮ হাজার ৩০৭ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৭ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৪৫৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৯৮ লাখ ৭১ হাজার ২২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯০৯ জন পৌঁছেছে।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৬ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৩৮৫
ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখ যোদ্ধাদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সুপারিশ
করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় কাজ করার নির্দেশ