স্বেচ্ছাসেবক লীগ
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০২০ সালে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যার দায়ে এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামরায় গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, তার দুই ভাইসহ নয় জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন, মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলকর্মী মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, মাসুদ পারভেজ ওরফে কার্জন, শরীয়ত উল্লাহ ওরফে সুমন ও রাসেল মিয়া। তাদেরও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
যাদের খালাস দেয়া হয়েছে তারা হলেন, পৌর মেয়রের দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, শাহজাহান মিয়া, কামাল মিয়া, রিফাত, হানিফ ওরফে আবু হানিফা, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান। রায় ঘোষণার আগে ১৯ জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গত ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামিদের পক্ষে নয় জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে শরীয়তপুরে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বুধবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মামুন খান (৩২) নড়িয়া পৌরসভার বাড়ৈপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম খানের ছেলে ও নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, নড়িয়া পৌরসভা শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেস বেপারী ও মামুনের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শত্রুতার জের ধরে নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মামুনকে বাড়ি ফেরার পথে মোখলেসের সমর্থকরা তাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শরীয়তপুর জেলার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে মামুনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হামলায় মামুনের সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওসি জানান, মামুনের মৃত্যুর সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পক্ষের লোকজন মোখলেছ বেপারীকে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালের সামনে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাসু বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রমজান আলী (৩৫) ইছানগর পাথরঘাটা ৭নং ওয়ার্ডের বাদশা ফকিরের ছেলে। তিনি কর্ণফুলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঠাগার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: লটারির টিকিট কেনা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন!স্থানীয়রা জানান, কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাতে সদস্য পদে জয়ী সাইদুল হক মেম্বারের অনুসারী খোরশেদ ও শাহেদ মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পরাজিত মেম্বার ইসহাকের অনুসারী রমজান আলীকে।তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় রমজান আলী নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘দেবরের হাতে’ ভাবি খুন
ফরিদপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১২ মে (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ফলে পদপ্রত্যাশী নেতারা ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে।
সূত্র বলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম।
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোড়ণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে তাদের নাম।
এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, আরেক সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলী গের সভাপতি এমএ এমন মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু।
এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের নামেও বিলবোর্ড ও ফেস্টুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর এক বছরপর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
চট্টগ্রামে ভিপি নুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে ভিপি নুরের নেতাকর্মীদের।শনিবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনারে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের নেতৃত্বে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নবগঠিত মহানগর নেতাকর্মীরা।এর আগে মাঠে অবস্থান নেয় ভিপি নুরের সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। এ সময় সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
এসময় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল এসে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তিমূলক স্লোগান দেয়ায় ভিপি নুরের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু বলেন, ২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসে আমরা যখন ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ঢুকছি তখন ভিপি নুরের সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী হাতে প্লেকার্ডসহ মাঠে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল। তাই তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
বগুড়ায় পুলিশের ওপর আ.লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের হামলা: গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদ (৩৫),ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সোহেল রানা, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর আলী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী শাফি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি থানার এএসআই (উপপরিদর্শক) জানে আলম ও কনস্টেবল নাজমুল জোড়গাছা বাজারে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজ্জাককে আটক করেন। আসামি থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ আসামি রাজ্জাককে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে আহত দুই পুলিশকে উদ্ধার করেন।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে এএসআই জানে আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহৃত শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ, গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তযুদ্ধকালীন পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হারিচুর রহমান সোহানকে সংগঠনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হারিচুর রহমান সোহানের বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
এতে বলা হয়, আবদুর রহমান মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সরকারের গেজেটে রাজাকার হিসেবে তার নামও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।
এছাড়া আবদুর রহমানের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম লিটন স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এক সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতিও ছিলেন। পদ পাওয়া সোহান ছাত্র জীবনে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশেও যোগ দেননি তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘কোনো স্বাধীনতা বিরোধীরপুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগে আসতে পারবে না। আমরা তদন্ত করব। সত্যতা পেলে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘উপজেলা কমিটি আগে থেকে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরাও হারিচুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান ওরফে ওরেঞ্জ (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার রাত ১১ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ বগুড়া জেলা শাখার সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় অন্যতম আসামি খায়রুল ইসলাম (৪৮ ) এবং টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে লাশ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্কুলশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
উল্লেখ্য, বগুড়ার মালগ্রাম এলাকায় মাদক, জুয়ার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে আসছিল। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি (রবিবার) রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী, রাসেল, সানী ও সুমনের নেতৃত্বে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় আরেক গ্রুপের ওপর হামলা হয়। এতে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরের দিন ওরেঞ্জের স্ত্রী বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
ওরেঞ্জ মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭১
দেশের মানুষের বিপদে আ’লীগ পাশে থেকেছে: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সব সময় দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারে থেকেই নয়, যখন বিরোধীদলে ছিল তখনও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে। কিন্তু আজ আমরা কি দেখি, তারা (বিএনপি) দেশের জন্য নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেন।’
শনিবার ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্মল রঞ্জন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কর্মীর অন্যায় কাজ করা চলবে না, কেউ যদি তা করে প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা তারেক সাঈদ, আব্দুল আলিম, আজিজুল হক আজিজ, তানভীর আক্তার শিপার, মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড: নাহিয়ান খান
ফরিদপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে মারামারি, প্রভাব বিস্তার ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট হতে ফাইনকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এরপর তাকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির দায়েরকৃত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এই ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন।
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রকে অপহরণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
জানা গেছে, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন ফরিদপুরের কৃষি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। গত বছরের ২০ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
২০২০ সালের ৭ জুন রাতে এক বিশেষ অভিযানে ফরিদপুরের তৎকালীন ক্ষমতাশালী এক ডজন নেতা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করে।