বাংলাদেশ
ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের (ইইসি) সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বেলারুশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রবিবার(১০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পঞ্চম পর্বে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ ফরেন অফিস কনসালটেশনে নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনের জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে বেলারুশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকা করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উভয় প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বেলারুশের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি এবং আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বেলারুশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষই ঝুলে থাকা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
কৃষি, শিক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আইনি বিষয়ে সহযোগিতাসহ বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফের বোলিং করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিতে শনিবার টস জিতে সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে স্বাগতিকরা।
এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশত রানের ইনিংস, যা স্বস্তি ফিরেয়ে আনে। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ
প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী ৫০ রান করলেও সেই ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দুই দলই চট্টগ্রাম যাবে। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
প্রথম টেস্ট সিলেটে এবং দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ একাদশ-
লিটন দাস (উইকেট কিপার), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস (উইকেট কিপার), কামিন্দু মেন্ডিস, সাধিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আশালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন সানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), মহেশ থিকশানা, বিনুরা ফারর্নাডো ও নুয়ান তুষারা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো আরও সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
নর্ডিক দেশগুলোর পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকার হোটেল রেডিসনে আয়োজিত নর্ডিক দিবস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব উদযাপন করতে এ্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। সে কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের সংহতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে একটি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলোর মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদাহরণ। এটি আসলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং টেকসই ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্ব।
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সবচেয়ে টেকসই এবং সমন্বিত ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নর্ডিক কাউন্সিলের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে নর্ডিক অঞ্চলের মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও জলবায়ু সহনশীলতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের রূপরেখা তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেনডসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও ভারতের নয়া দিল্লিতে ফিনল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. টিটো গ্রোনোও বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২০৭ রানের একটি দুর্দান্ত লক্ষ্য তাড়া করে তিন রানের পরাজয় হয় টাইগারদের। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততে হবে।
গত ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী হাফসেঞ্চুরিসহ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেও জয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ধারাবাহিকতা এবং স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা লড়াইয়ের ম্যাচে সমর্থকরাও স্বাগতিকদের কাছ থেকে দারুণ পারফরম্যান্স আশা করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৯ মার্চ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ জিততে পারলে তৃতীয় ম্যাচটি হবে আক্ষরিক অর্থেই ফাইনাল।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাউইক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, চরিথ আশালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মহেশ থেকশানা, আকিলা ধনঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্দো, মাথিশা পাথিরানা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের
নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে স্বাগতিক নেপালকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে দুটি গোল করে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ এ কে এম সাইফুল বারী টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, 'প্রথম ম্যাচ হিসেবে পারফরম্যান্স ঠিক ছিল, তবে অনেক উন্নতি করতে হবে, বিশেষ করে আমরা যে সুযোগ তৈরি করেছি, আমাদের আরও গোল করা উচিত।’
লিগ ভিত্তির ম্যাচে ৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এবং ৮ মার্চ একই সময়ে একই ভেন্যুতে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এএফসি মহিলা এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
শীর্ষ দুই দল ১০ মার্চ ফাইনালে খেলবে।
এর আগে শুক্রবার(১ মার্চ) বিকালে একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চমৎকার সূচনা করে ভারত।
ভারতের হয়ে দুটি করে গোল করেন শ্বেতা রানি, পার্ল ফার্নান্ডেজ ও আনুশকা কুমারী।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল: সিঙ্গাপুরকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
‘অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’
আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে জার্নালে প্রকাশ ও পরবর্তীকালে করণীয় সম্পর্কে অংশীজনের সমন্বয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সিনিয়র সচিব জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতে নিবন্ধন এবং বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করলে উদ্যোক্তারা পণ্যের অধিকতর মূল্য পাবেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেল গঠনের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সভায় পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কসের (ডিপিডিটি) পক্ষ থেকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের জিআই সংশ্লিষ্ট আইন, উভয় দেশের টাঙ্গাইল শাড়ির জার্নাল, ট্রিপস এগ্রিমেন্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনা পর্বে টাঙ্গাইল শাড়ির আবেদনকারী হিসেবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, এই শাড়ি উৎপাদনের ইতিহাস, উৎপাদন ও বিপণন অঞ্চল নিয়ে সভাকে জানান।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান জিআইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ যেহেতু লিসবন এগ্রিমেন্টের সদস্যভুক্ত দেশ নয়, সেহেতু ডব্লিউআইপিও আরবিট্রেশন মিডিয়েশন সেন্টারের মাধ্যমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
এসএসজিপি প্রকল্পের উপদেষ্টা শরিফা খান আপত্তির বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং ভারতীয় হাইকোর্ট বরাবর আপিল করার কথা বলেন। তিনি বিকল্প সকল উপায়ে একই সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উপর জোর দেন।
ট্রেড এক্সপার্ট ড. মোস্তফা আবিদ খান তিনটি পদ্ধতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির উপর আলোকপাত করেন। প্রথমত কূটনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করা। দ্বিতীয়ত, আপিলের জন্য ডব্লিউটিওতে আবেদন করা এবং তৃতীয়ত টাঙ্গাইল শাড়ি নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আবেদন করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলম মোস্তফা ডব্লিউটিও ডিসপিউট সেটলমেন্ট বডিতে আবেদন করার কথা বলেন। একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিওর প্রতিনিধি মাসুকুর রহমান শিকদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে আপিল করার কথা বলেন। এছাড়া জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সভায় বক্তারা ভারতীয় পরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আলোকপাত করেন এবং প্রতিবেদনে জিওগ্রাফিক্যাল লোকেশনকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
এছাড়া তাঁতীদের স্থানান্তরের বিষয়টি ভারতীয় জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান। উক্ত জার্নালে শাড়িটি হাইব্রিড শাড়ি বলে স্বীকার করা হয়েছে, তাই শাড়িটি একটি নতুন শাড়ি যা টাঙ্গাইল শাড়ি নামকরণ করা অযৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করেন।
বক্তারা টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এর আগে অনুরূপ কেস স্টাডি (যেমন-বাসমতি চাল) করার পর অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন।
এছাড়া ডিপিডিটির জিআই সেলকে শক্তিশালীকরণের কথাও আলোচনা করা হয়। সভায় টাঙ্গাইল শাড়ির বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
কোম্পানীগঞ্জে ভারতীয় শাড়ি-লেহেঙ্গা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে আসিয়ান ও বাংলাদেশ উভয়ই লাভবান হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আসিয়ানের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আসিয়ানের ঢাকা কমিটির (এডিসি) সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসিয়ানের এসডিপি হতে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমর্থন করার আশ্বাস দেন এডিসির সদস্য।
এডিসি ঢাকাভিত্তিক আটটি আসিয়ান আবাসিক মিশন- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ানের যে বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার সুফল পেতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বেসরকারি খাতের বর্ধিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে তাদের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি মোকাবিলায় এডিসির সদস্যদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওআইসি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড।
রবিবার বাংলাদেশে তার প্রথম সফর শেষে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে জরুরি ভিত্তিতে গভীর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার প্রয়োজন।
বিজার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।’
সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত ও সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে।’
বিজেরদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বর্তমানে, প্রায় সব ছেলে ও মেয়ে শিশু স্কুলে যায় এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের প্রয়োজন মেটাতে দুটি নতুন প্রকল্পে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বব্যাংক ও সরকার।
অর্থায়নের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করা হবে এবং অনুদানের শর্তেই তা ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিজার্ড এলন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত, দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করব।’
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতাদের এবং নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অর্থায়নে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও রেয়াতি ঋণ আকারে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম চলমান আইডিএ কর্মসূচি এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক