বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম বলেন, গত ৫০ বছরে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছর এবং এরপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) “মহান শহীদ দিবস” ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্কট উরবম বলেন, মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়েই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের হৃদয়েও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেইসব বীরের মহান আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলা ভাষা রক্ষায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলা পৃথিবীতে অন্যতম সর্বাধিক উচ্চারিত ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রভাব ও গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী সব ভাষাবীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দিনব্যাপী এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির ‘বাতিঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার উপযুক্ত কূটনৈতিক মাধ্যম হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস পরিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত, নেপাল, জাপান ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা এবং একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই গৌরবোজ্জ্বল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম অংশ নেন।
রাত ১২ টা ০১ মিনিটে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ‘প্রভাত ফেরি’ বের করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, তথ্যচিত্র প্রর্দশন এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকনোমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নূর।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
‘চিন-রাখাইনের চলমান সংঘাতের গতিপ্রকৃতি বুঝতে হবে বাংলাদেশকে’
এক আলোচনায় বক্তারা বলেন, চিন ও রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের গতিপ্রকৃতি বাংলাদেশকে বুঝতে হবে। তারা উল্লেখ করেন, ভারত, চীন ও বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী দেশগুলোর জন্যও রাখাইন গুরুত্বপূর্ণ।
বিআইপিএসএসের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মনিরুজ্জামান বলেন, 'মিয়ানমারের সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি বা সংঘাতময় পরিস্থিতি আমাদের বিশেষ করে রাখাইন ও চিনকে গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্য ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) আয়োজিত 'মিয়ানমার কি উন্মোচিত হচ্ছে? বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য প্রভা ‘ শিরোনোমে এ গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়ানমারের জটিল সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো বিশ্লেষণ এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য এই আয়োজনে অংশ নেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
স্বাগত বক্তব্যে বিপসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির রোহিঙ্গা সংকটের বাইরেও মিয়ানমারের গতিপ্রকৃতি বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মুনিরুজ্জামান গত অক্টোবরে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের উত্থানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ভূমিকা এবং চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
মুনিরুজ্জামান বলেন, রাখাইন শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, চীন, ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘চীনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিয়াউকফিউতে তাদের একটি গভীর সমুদ্রবন্দর রয়েছে যা চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের জন্য রয়েছে কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট, যার জন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য চিন ও রাখাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যানেল আলোচক সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন, মিয়ানমারের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে ও লিবিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. শহীদুল হক এবং ইউল্যাবের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (সি-এসএএস) পরিচালক ও 'দ্য ইস্টার্ন গেট' বইয়ের লেখক সুদীপ চক্রবর্তী তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
তৌহিদ হোসেন পরিস্থিতিকে একটি ক্রমবর্ধমান গৃহযুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বেসামরিক বিরোধিতা উভয়ের মুখোমুখি তাতমাদাও।
তিনি বলেন, 'এই প্রথম বামনরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছে।’
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবগুলো নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এই অঞ্চলে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পরিকল্পনাগুলো উল্লেখ করেছিলেন এবং সংঘাতের সংস্থান নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতির উপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য সম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও রোহিঙ্গা ইস্যুর কৌশলগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন হোসেন।
মেজর জেনারেল শহীদুল হক তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সংঘাতের বিপরীত প্রকৃতি নিয়ে একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কিছু অনুমানের কারণে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন হবে না। তিনি এমন একটি দৃশ্যকল্পের কল্পনা করেছিলেন যেখানে তাতমাদাও শেষ পর্যন্ত ইএওগুলোর সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করবে, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে সংঘাতের অনন্য মাত্রা বোঝার গুরুত্বের উপর জোর দেবে।
হকের মতে, পূর্ব সীমান্তে লড়াইয়ের গতিশীলতা পশ্চিম সীমান্তের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক, প্রতিটি অঞ্চল স্থিতিশীলতার জন্য নিজস্ব চ্যালেঞ্জ এবং প্রভাব উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, একটি অঞ্চলে বিপর্যয় সামগ্রিকভাবে মিয়ানমারের জন্য সর্বনাশ নয়।
তিনি আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
যে আরাকান আর্মির সঙ্গে জড়িত হওয়া ভারতের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে বলেও পরামর্শ দেন, বিশেষত কালাদান প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে।
আরও পড়ুন: রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেজর জেনারেল হক একটি প্রকল্পকে মৃত ঘোষণা করেন, যা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের উপর আঞ্চলিক গতিশীলতার প্রভাব এবং কৌশলগত যোগাযোগ ও জোটের গুরুত্বকে চিত্রিত করে।
সুদীপ চক্রবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি খাতে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করে মিয়ানমারের গভীর ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
তিনি এই জ্বালানি রুটগুলো সুরক্ষিত করতে মিয়ানমারের জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক লালন করার চীনের দীর্ঘদিনের অনুশীলনের উপর জোর দেন।
বিপরীতে, তাতমাদাওয়ের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিবর্তিত গতিশীলতার বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে।
চক্রবর্তী মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতার বৃহত্তর প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে সংঘাত ও অস্ত্রশস্ত্র প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষত বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
চক্রবর্তীর বিশ্লেষণে মিয়ানমারের চলমান অস্থিরতা এবং এর আঞ্চলিক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশকে কৌশলগত পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নগুলো জ্বালানি নিরাপত্তা, আসিয়ানের কূটনৈতিক সম্ভাবনা এবং মিয়ানমারের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়।
কথোপকথনে মিয়ানমারের কোনো জাতিগোষ্ঠীর নৌ সক্ষমতা না থাকার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়, যা ওই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিরাপত্তার গতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
অধিকন্তু, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আলোচনায় এতটাই প্রাধান্য পেয়েছে যে তা আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে ঐকমত্য হয়েছে।
এই সংকটে আসিয়ানকে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
শ্রোতারা আসিয়ানের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে আঞ্চলিক রাজনীতির জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশের একটি সক্রিয় ও উদ্ভাবনী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করার অপরিহার্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পারস্পরিক স্বার্থ চিহ্নিতকরণ এবং তার সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান উন্নত করতে পারে এবং আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
আলোচনা শেষে মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান পরিকল্পিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং জটিল গতিশীলতার গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণের জন্য প্যানেলিস্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি কেবল কঠোর বিশ্লেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মই নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত আলোচনাকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএসএসের অবদান তুলে ধরে।
বিআইপিএসএস জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বৃহত্তর বোঝাপড়ায় অবদান রেখে এ ধরনের জটিল আলোচনা জোরদার করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সপ্তাহে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ শান্তি, সার্বভৌমত্ব এবং সার্বিক বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
সম্প্রতি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ২০২৪-এ যোগ দিতে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের ফলাফল বিষয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে সফল বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্ব নেতাদেরকে বলেছেন, আকার নয়, একটি দেশের নীতির শক্তিই হচ্ছে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির পথ।
এছাড়া বন্ধুপ্রতীম দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২৪ অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট : স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে তিনি অবিলম্বে গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সব ধরনের শত্রুতা, অবৈধ দখলদারিত্ব ও নিরস্ত্র মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও প্রভাব ফেলে।’
এ প্রসঙ্গে অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘মানবতার অস্তিত্বের সংকটের মধ্যে আমি এই কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছি যে, ক্ষুদ্র স্বার্থ কেবল দুর্দশা নিয়ে আসে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে তিনি বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বহুমুখী নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগণের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি, প্রতিশ্রুত তহবিলের প্রকৃত স্থানান্তর এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনার সময় রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের (অ্যাক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ) সঙ্গে বৈঠকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তিতে অবদানের আলোকে চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পথেও বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং গম, ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার জন্য আমি তাকে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা গাজা উপত্যকার সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফর শেষে মিউনিখ থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
বাগেরহাট থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীসহ সারা দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ জন। ‘এর মধ্যে ১৪ লাখ আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ১৫টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের ১৭ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, এসব টিকা সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, , বিশেষত প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ভ্যাকসিনগুলো সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে গবাদি পশু ও পোল্ট্রি ভ্যাকসিনের প্রায় ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ডোজ উৎপাদন ও বিতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকারে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় হাছান মাহমুদ সামনের চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করলেও জাতীয় স্বপ্নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা। এটাই আমাদের স্বপ্ন। আমি জানি এখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কিন্তু এটাই আজ আমাদের স্বপ্ন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন।
তিনি বলেন, 'অনেকেই জানেন না, তাকে যখন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কারাগার থেকে) নেওয়া হয়, তখন তিনি একটি সভার আয়োজন করেছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হবে।বঙ্গবন্ধু তার কারাগারের সদস্যদের নিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিদেশি মিশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও অংশ নেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, কূটনীতিক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ নেতা হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ তার নেতৃত্বের জন্য প্রাপ্ত প্রশংসার কথাও উল্লেখ করেন।
ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপন করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে।
২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য, ‘বহুভাষিক শিক্ষা - শেখার এবং আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার একটি স্তম্ভ’, মাতৃভাষায় শুরু হওয়া শিক্ষার পক্ষে সমর্থন করে, বহুভাষিক শিক্ষার রূপান্তরকে সহজ করে এবং আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণ করে।
বাংলাদেশে 'অমর একুশে' স্মরণে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যা সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সংরক্ষণে জাতির অঙ্গীকারের কথা বলা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যা জাতীয় ঐক্য ও স্মরণীয় মুহূর্তের প্রতীক। এসময় কালজয়ী সংগীত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'র গানটি বাজানো হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে ভারত। বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
তবে পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণে এসব দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জাপান আরও জোরদার করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি গ্রাম, একটি পণ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ ও সহযোগিতার আশা দিয়ে বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৪’ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আশা করছি।
এসময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
এই উদ্দেশ্যে ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেন।
এ সময় সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক কমিশনের উপনির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দেন।
এসময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাহী প্রধান উচ্চশিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বৈঠকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগসংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিনিয়র সচিব তার সফরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বাসের প্রশংসা করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সচিব।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দু’দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ শুরু
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে দেশে-বিদেশে হাইলাইট করার উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’- এর আয়োজন করেছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উদযাপন করার অভিপ্রায় নিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’ এর আয়োজন করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের সংস্কৃতির ভান্ডার সংরক্ষণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে এগুলো তুলে ধরে দেশকে ব্র্যান্ডিং করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সমৃদ্ধময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্র্যান্ডিং করতে পারি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত করে পোশাক রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে পারি, এভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারি। ঐতিহ্যবাহী পণ্য যেমন জামদানি, খাদি এবং বিভিন্ন তাঁতবস্ত্রকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক হাসান সবাইকে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উদযাপনের আহবান জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরবময় অবস্থানে উন্নীত করতে অবদান রাখি।
এর আগে একই দিনে, বিজিএমইএ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে, যেখানে ফারুক হাসান বাংলাদেশ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর বিভিন্ন দিকগুলো এবং উদ্দেশ্যসহ সাংস্কৃতিক উৎসবের একটি সার্বিক বর্ণনা দেন।
বাংলাদেশ হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও শত শত বছরের ঐতিহ্য, যেমন জামদানি, খাদি, মসলিন, গামছা, মনিপুরি তাঁতবস্ত্র, মৃৎশিল্প, (টেপা পুতুল, শখের হাড়ি, পোড়ামাটির পণ্য) হস্তশিল্প, নকশি কাঁথা, পাটজাত পণ্য, বেত, শীতলপাটি এবং ৬ষ্ঠ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কর্তৃক স্বীকৃত রিকশা পেন্টিং এবং আরও অনেক দেশীয় পণ্য তুলে ধরা।
এই ইভেন্টের বিশেষ দিগুলো হলো ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী এবং শিল্প ও কারুকাজ উপস্থাপন, যা বাংলাদেশকে অনন্য করে তুলেছে। পুরো উৎসব জুড়ে, দর্শকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ পাবেন।
উৎসবের একটি প্রধান আকর্ষণ হলো বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নিচতলায় বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনী, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও অপার সৌন্দর্যকে তুলে ধরছে। উৎসবে মোট ৪০টি স্টল অংশগ্রহণ করছে, যেখানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্যময় পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।
ইভেন্টে জামদানি, মসলিন, খাদি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কাপড় থেকে তৈরি উচ্চমানের পোশাকগুলো নিয়ে একটি মন্ত্রমুগ্ধ ফ্যাশন শোও রয়েছে। উৎসবে বাংলাদেশের লোকজ সঙ্গীত পরিবেশনাও থাকছে।
উৎসবে প্রথম দিনে নৃত্য পরিবেশন করেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ ও তার দল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেস সালাস, প্রখ্যাত শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস এবং গুলশান হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ এর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান এবং পরিচালক নীলা হোসনে আরা।
আরও পড়ুন: শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
বিজিএমইএ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে পোশাক শিল্পের নারী উদ্যোক্তাদের ‘ওমেন'স নাইট’ অনুষ্ঠিত
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে আগ্রহ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে ব্রিটিশ হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ম্যাট ক্যানেল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রসংশা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এছাড়া করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো করেছে বলে জানান তিনি।
ম্যাট ক্যানেল বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সাত লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে মেডিকেলে পড়ালেখা করতেও যাচ্ছে।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট ক্যানেলের উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতেও ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে এখন দরকার চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিটিশ হাই কমিশনারের কাছে চিকিৎসক ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের অনুরোধ জানান। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে তার সরকার বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
উভয় দেশের চিকিৎসক ও নার্সদের বেশি করে অঅিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে আরও প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের বিষয়েও তাদের আলোচনা হয়।
বাংলাদেশে যেখানে সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
এ সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ বাংলাদেশ হাতে নিয়েছে বলে ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আগামী ১০ বছরে বিশ্বে কোভিডের মতো আবারও কোনো মহামারি চলে আসতে পারে উল্লেখ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গবেষণা আরও বাড়ানো যায় কি না সে ব্যাপারে ভাবার পরামর্শ দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
উভয় দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা বলেন তারা।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী