শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কমপক্ষে একটি ডোজ কোভিড -১৯ টিকার টিকা দেয়া হবে যাতে তারা স্কুল ও কলেজে যেতে পারে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যাদের টিকা নেয়া হয়নি তারা ১২ জানুয়ারির পর অনলাইনে ক্লাস করবে। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার পর স্বশরীরে ক্লাস করবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘সীমিত পরিসরেই আপাতত পাঠদান চলবে। এক সপ্তাহ আমরা এভাবে মনিটর করবো, যদি বেড়ে যায় তবে বন্ধ করে দেয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছি তখন এমন পরিস্থিতি ছিল। তখন শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনও দেয়া ছিল না। এখন যে পরিস্থিতি বিদ্যমান তাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশের ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজ চলমান রয়েছে। নিয়মিত সেটা মনিটর করা হচ্ছে। এখন আরও জোরদার করা হয়েছে। আগে শুধু স্কুলগগুলোতে মনিটর করা হতো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিটর বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
কওমি মাদরাসা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কওমি মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মনিটর করায় ঘাটতি রয়েছে। যেহেতু কওমি মাদরাসা আমাদের আওতায় নেই সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নানা বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করবো না। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করবো। আগের মতো সীমিত পরিসরেই কার্যক্র চলবে। আমরা সাতদিন দেখবো এভাবে তারপর আবার বৈঠকে বসবো।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
অনন্যার শীর্ষদশ সম্মাননা পেলেন ১০ নারী
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও ঐহিত্যবাহী পাক্ষিক নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২০ পেয়েছেন ১০ জন নারী।
এ বছর রাজনীতিবিদ, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, কৃষি, নাট্যনির্মাণ, কর্পোরেট পেশা, বিজ্ঞান, অধিকার কর্মী, ক্রীড়া ও লোক-ঐতিহ্য এ দশটি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটেরিয়ামে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমাজে আলোচিত ও আলোকিত নারীদের মধ্য থেকে ১০ জন নারীকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন দেশের সংগ্রামী নারীদের খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসছেন। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সরকারের নানা নিয়ম-নীতির জন্যই মেয়েরা নিজ নিজ অঙ্গনে সফলতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মেয়েরা অসাধারণ সব সাফল্য অর্জন করেছেন। ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সকল খেলাধুলায়ও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অনন্যার সম্মাননা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাই অনন্যা আমার কাছে অনন্য।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, করোনার সময়ের পরে আমাদের জীবনযাপন পাল্টে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল জগতের বাইরে এসে এভাবে সশরীরে অনুষ্ঠান করতে পারব, সেটা ভাবতে পারিনি। তবে অনন্যার সঙ্গে যুক্ত যুবকদের প্রচেষ্টায় আমরা সশরীরে অনুষ্ঠানটি করতে পারছি। দেশে নারী ব্যক্তিত্ব যাঁদের এখন সমাজে নানা ভূমিকা রাখতে দেখা যায়, তাঁদের প্রায় বেশিরভাগ নারীকে স্বীকৃতি দিয়েছে অনন্যা। গত ২৮ বছরে ২৮০ জন নারী এ সম্মাননায় ভূষিত হলেন।
তিনি আরও বলেন, আগে অনন্যা সম্মাননা প্রদানের জন্য দেশের ১০ জন সংগ্রামী নারীকে খুঁজে পেতে কষ্ট হতো। তবে এখন অনন্যা সম্মাননার জন্য ৫০ জনেরও বেশি সংগ্রামী নারীকে আমরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করি। এটা অনন্যার জন্য খুব গর্বের জায়গা। এতে বোঝা যায়, দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা আর অবহেলিত থাকতে চান না।
অনন্যা শীর্ষদশ জয়ীরা বলেন, এই পুরস্কার আমাদের জন্য সম্মানের। এটা আমাদের চলার পথকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২০ প্রাপ্তরা হলেন: কামরুন্নাহার জাফর (রাজনীতি ক্যাটাগরিতে), শাহীদা বেগম (উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে), লাফিফা জামাল (প্রযুক্তিতে), অল্পনা রানী (কৃষিতে), চয়নিকা চৌধুরী (নাট্যনির্মাণে), স্বপ্না ভৌমিক (কর্পোরেট পেশায়), সেঁজুতি সাহা (বিজ্ঞানে), তাসনুভা আনান (অধিকারকর্মী বিভাগে), জাহানারা আলম (ক্রীড়ায়), রূপন্তী চৌধুরী (লোক-ঐতিহ্যে )।
আরও পড়ুন: ৭১-এ নারীর ভূমিকা নিয়ে ইউএনবিতে পডকাস্ট
অনুষ্ঠানে সম্মাননাজয়ীদের ওপর নির্মাতা লেখক তাপস কুমার দত্তের নির্মাণে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সংগীত পরিবেশন করে ভৈরব।
উল্লেখ্য, অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ১৯৯৩ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিবছর নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১০ জন বিশিষ্ট নারীকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। বাকি বই আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে এবং সময় মতো শিক্ষার্থীরা বই হাতে পেয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর মাতুয়াইলে ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৭ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সবটাই হয়ে যাবে। তারপরও স্বল্প সংখ্যক বাদ থাকতে পারে। সেটাও আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিশুদের হাতে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘অতিমারির কারণে এ বছরও বই উৎসব করার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। সব স্কুলেই ক্লাস ধরে ধরে বিতরণ করা হবে। যখন যে শিক্ষার্থীর বই পাওয়ার কথা সে সময় শিক্ষার্থীরা বই পাবে। এতে কোনও রকম সমস্যা হবে না।’
দীপু বলেন, ‘বই ছাপার কাজ সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে। এনসিটিবির পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রেস পরিদর্শনে আসে। ২০০টি প্রেসে কাজ চলছে ১৫৮টি মাধ্যমিকে আর ৪২টি প্রাথমিকে। আর যে কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া আছে, তারা নিয়মিত পরিদর্শনে আসে।
২০২৩ সাল থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হচ্ছে। ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নিম্নমানের বই দিলে সরবরাহকারী মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি ক্লাস শুরু করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। আমরা ইউরোপ, আমেরিকায় দেখছি ব্যাপকভাবে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। আমাদের আরও একটু দেখার দরকার। আমরা ভালো আছি, কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ে মার্চ মাসে। কাজেই মার্চ না আসা পর্যন্ত আমরা বলতে পারব না আমরা নিরাপদ অবস্থায় আছি কিনা। অন্য প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে না। আমরা স্কুলকে বলতে পারি না, শিক্ষার্থী অর্ধেক বাড়িয়ে দাও। মার্চে যদি না বাড়ে তাহলে আমরা বলতে পারি পুরো সময় ধরে বিদ্যালয় চলবে।
আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘এ বছর যেমন নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই দুই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে, আমরা যেভাবে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছি, তাতে আগামী বছরের পরীক্ষা এত দেরি হবে না। তার আগেই নিতে পারবো। তবে বছরের প্রথম ভাগে হয়তো পরীক্ষা হবে না, মাঝামাঝিতে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই।’
‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘুরে দাঁড়াবে’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যে বড় ধরনের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, তাতে হাজীগঞ্জে হামলা ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘুরে দাঁড়াতে সহায়ক হবে।
রবিবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লায় গত ১৩ অক্টোবর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১১ লাখ টাকা নগদ অর্থের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ‘এক টাকায় আহার’
এ সময় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সদস্যদের সাহস ও শান্ত্বনা দেন এবং এই টাকা কিভাবে খরচ করবে তার দিকনির্দেশনাও দেন। একই সাথে তিনি বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর আর্থিক ক্ষতি হয়তো আমরা পুষিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু তাদের হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ, সেই ক্ষতি আমরা কোনোদিন হয়তো পুষিয়ে দিতে পারবো না।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি : ফের চালু হল ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা ও বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা।
৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও আগামী ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু: মন্ত্রী
এ ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না। অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদেরকে বাসা থেকেই মাস্ক দিয়ে দেবেন, যাতে করে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরিধান করেই আসে। শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, যত ধরণের গাইডলাইন আছে, সেগুলো শিক্ষকরা নিশ্চিত করবেন। সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন আছে। এই রোগটি প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে!
১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
সরকার সনদ সর্বস্ব, পরীক্ষা নির্ভর ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়া, মেধা যাচাইয়ের একমাত্র পদ্ধতি হতে পারে না। তাই মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরী।
সোমবার বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি ও দৈনিক সমকাল আয়োজিত জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসব ২০২১ এর জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতের শিল্পবিপ্লবগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিতে পারিনি তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা সফল অংশীদার হতে চাই। পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর যথাযথ সুফল আমরা নিতে পারিনি। তাই আগামী ১০ বছরে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুফল নিতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তিনি আরও বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই'। তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর সভাপতি ড. মোহম্মদ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমূখ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি থাকায় সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৩ মে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদ উল ফিতরের পর ২৩ মে শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এর আগে করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও হচ্ছে না: মন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, ‘আজ করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে বৈঠকের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে।
সকল স্কুল-কলেজ ৩০ মার্চ থেকে পুনরায় খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।