এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
ফ্রান্সের বিখ্যাত দ্য থেমাস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।
ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতের ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে এই সম্মানা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে থেমাস বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ একজন মেধাবী এবং দূরদর্শী ব্যবসায় উদ্যোক্তা। কৌশল ও উদ্ভাবনী চিন্তার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের ব্যাংকিং এবং ফ্যাইন্যান্স খাতকে প্রতিনিয়ত অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
ড. দেবনাথ টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। টেকনোমিডিয়া সারাদেশে এটিএম বুথ, নোট সর্টিং মেশিন, নোট বাইন্ডিং মেশিন, ব্যাংকিং সফওয়্যার, অনলাইন চেক ক্লিয়ারিং সফটওয়্যার এবং ব্যাংকগুলোতে নিজস্ব সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে নিরাপদে নগদ টাকা সরবরাহ করে থাকে। ফলে সময় এবং খরচ কম লাগে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ৭০ শতাংশ এটিএম সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড এবং প্লাস্টিক কার্ড আইডি লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. দেবনাথ।
এছাড়া, তিনি মানিপ্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রোটেকশন ওয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর পরিচালক নিযুক্ত আছেন।
শিল্পখাতে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি পুরস্কার দেওয়া হয় ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে।
এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার, জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারসহ বেশকিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডি. লিট উপাধি প্রদান উপলক্ষে ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে চিঠি পাছিয়েছে থেমাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মো. আলমগীরকে।
রবিবার (২০ আগস্ট) তিনি এফবিসিসিআইতে যোগ দেন।
এর আগে আলমগীর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
তিনি রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর সরকারি চাকরিতে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে এফবিসিসিআইয়ে এসেছেন।
১৯৯০ সালে পটুয়াখালী ডিসি অফিসে সহকারী কমিশনার হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং তিনি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কাজ করেন।
মো. আলমগীর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তরে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মো. আলমগীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এনইউএস) থেকে পাবলিক পলিসিতে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যার ফলে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে এনইউএস থেকে এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়াও, মো. আলমগীর ইউকে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে শেভনিং ফেলোশিপের অধীনে ম্যানেজিং মাইগ্রেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে হুবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপের অধীনে 'সাবস্ট্যান্স ইউজ, রিডাকশন, ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড পলিসি' বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার একাডেমি ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং জাপানের আইডিএএস অ্যাডভান্সড স্কুল থেকে ডেভেলপিং ইকোনমিকসে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বাধীন নতুন পরিচালনা পর্ষদের (২০২৩-২৫) কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ২০২১-২৩ এর পরিচালনা পর্ষদ।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। আজ থেকে আমরা সবাই এক। আমাদের কথা এবং দাবিও হবে এক। দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী। বেসরকারি খাতের সুরক্ষা এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে জেনারেল বডি মেম্বার ছাড়া চলতে পারে না এফবিসিসিআিই। তাই এফবিসিসিআইকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। পুরাণ ঢাকায় একটা লেয়াজু অফিস প্রস্তুত করাসহ রাজধানী ঢাকায় একটি ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার করতে চাই, যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করেছি আমরা।
গুলশানে এফবিসিসিআই এর শাখা অফিস খুব শিগগিরেই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই এর বিদায়ী সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আমি নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানাই। আপনারা আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ব্যবসায়ীকে নেতৃত্ব দেবেন।
২০২৩-২৫ এর পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ছয়জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। গত প্রায় চার দশকে কমোডিটি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন তিনি। বর্তমানে ৯টি খাতে ১৭টি ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে মাহবুবুল আলমের।
ব্যবসা-বাণিজ্যে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ মাহবুবুল আলমকে কমার্সিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পার্সন- সিআইপি (বাণিজ্য ও শিল্প) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন থেকে “সার্টিফিকেট অব মেরিট” পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানি খাতের জন্য আগামী দুই বছর ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে এবং এ কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে।’
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: বঙ্গবন্ধুর দর্শন’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।
আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশ গ্যাস সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোলা থেকে অব্যবহৃত গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসব এবং বিশাল ভূগর্ভস্থ গ্যাস পাইপলাইনগুলোকে প্রতিস্থাপন করব।’
তিনি আরও বলেন, পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন সরকারের লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
প্রতিমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি করে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শিল্পক্ষেত্রে আর গ্যাস সংকট থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছি এবং আরও তিনটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সইয়ের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, সেইসঙ্গে স্টোরেজ ও আনলোডিং ক্ষমতা বাড়াতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য আরও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। অথচ দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমান গ্যাস সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অনুসন্ধান কাজ যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, অবিলম্বে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি দেওয়ান সুলতান আহমেদ বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণে তৎপর হয়। কিন্তু কোনো অর্থ ছাড়াই কতদিন ধরে এই অবৈধ গ্রাহকরা এ ধরনের গ্যাস ব্যবহার করছেন তা তারা কখনই প্রকাশ করে না।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগের পরও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অগ্রগতি নেই। তাই কী কী শূন্যতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।
ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে অনেক ব্যবসায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ফাইল মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। কিন্তু ফাইলগুলো যথাযথ গতিতে চলে না। এমনকি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো কোনো ফাইল এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের র্শীষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি)। এ উপলক্ষে সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি সই করেছে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বাজারভিত্তিক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করবে আর্নস্ট এন্ড ইয়ং এবং কে এশিয়া।
এই গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়ন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস করিডোর: লিগ্যাসি এন্ড দি ফিউচার’- শীর্ষক আয়োজনে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক রপ্তানি নীতি ও দ্বিপক্ষীয় সুসর্ম্পকের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের ব্যবসার পরিসর ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির সঙ্গে স্থাপিত চুক্তির মাধ্যমে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণে এইচএসবিসি ও এফবিসিসিআইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। নিঃসন্দেহে এই সমীক্ষা দুদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগ উন্মোচন করবে।’
আরও পড়ুন: শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে এক চমৎকার আত্মিক সম্পর্ক। যদিও বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি গন্তব্য। বর্তমানে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর সীমাবদ্ধ। আমি মনে করি, উভয় দেশের নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান ব্যবসা, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই সমীক্ষা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূণ্য দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যে আমাদের রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে নিটওয়্যার, বোনা পোশাক, হিমায়িত মাছ, পোশাক ও টেক্সটাইলের মতো কয়েকটি আইটেম উল্লেখ্যযোগ্য। তবে আমাদের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই গবেষণাটি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক সৃষ্টি করবে এবং দু’দেশের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করবে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান তার বক্তব্যে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নে এইচএসবিসির সক্ষমতার নতুন মাত্রা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সার্ক চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। এই গবেষণা আমাদের নিজস্ব ব্যবসা ও বিনিয়োগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার সন্ধান পেতে সাহায্য করবে। এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেইসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারি এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসমন্বয় শুধুমাত্র আমাদের অর্থনীতিকেই উপকৃত করে না, বরং একইসঙ্গে একটি সুদীর্ঘ, টেকসই সম্পর্ক গড়তেও সাহায্য করে। আমি এই উদ্যোগে অংশীদারিত্বের জন্য এফবিসিসিআইকে এবং গবেষণায় সাহায্যের জন্য আর্নস্ট এন্ড ইয়ং এবং কে এশিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এইচএসবিসি এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ অব স্টাফ ফিলিপ ফেলোয়েস; এবং অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম জুমের সাহায্যে অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
অনুষ্ঠানে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ক্লায়েন্টস্ অ্যান্ড মার্কেট লিড মামুন রশিদ-এর সঞ্চালনায় ‘আনলকিং নিউ অপরচুনিটিজ ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড ইউকে’- শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মন্তব্য ও মতবিনিময় করেন কে এশিয়া’র ডিরেক্টর ফিলিপ চৌধুরী, নেক্সট সোর্সিং লিমিটেড’র সহযোগী পরিচালক শাহুল স্যালি এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল’র চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতিগণ, পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, চেম্বার এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে লিবিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
সার্ক চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর এপেক্স ট্রেড বডি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
২০২৩-২০২৪ মেয়াদে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সোমবার এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অগ্রিম আয়কর ও আগাম কর রহিত করার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
খুব শিগগিরই রাজধানী ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মো. জসিম উদ্দিনের কাছে সার্ক চেম্বারের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতা ইফতিখার আলি মালিক।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্যবসায় হাতেখড়ি নিয়ে খ্যাতনামা শিল্পদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।
প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পাঙ্গনে যাত্রা শুরু করে ব্যবসা ছড়িয়েছেন গণমাধ্যম, ব্যাংক, বীমা, হোটেল, আবাসন, সিমেন্ট, ইলেকট্র্রনিকস পণ্য, কেমিক্যাল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ট্রেডিং, তৈরি পোশাক ও পশু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন খাতে। দেশের এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বর্তমানে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একই সঙ্গে তিনি বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাট্রিজ এবং বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক পলিসি অ্যাডভোকেসিতে তার অবদান অনেক। দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে শুরু থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ সফলভাবে সম্পন্ন করে দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ী মহলে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিকবার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ব্যক্তিত্ব-সিআইপি সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। জাতীয় রপ্তানি ট্রফিও জিতেছেন একাধিকবার।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এর আগে ২০১০-২০১২ মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হন।
তার আগে ২০০৮-২০১০ মেয়াদে এটির পরিচালক ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে লিবিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে লিবিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অপ্রচলিত বাজারগুলোকে ধরতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার সময়োচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করে বাণিজ্য জোরদারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বুধবার লিবিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইউরোপ, আমেরিকার প্রচলিত বাজারের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের অপ্রচলিত এসব বাজারকে ধরতে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা একক বাজার নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসায় তা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাজারজাতকরণ কৌশলেও বাংলাদেশকে দক্ষতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর তথ্য তুলে ধরে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ঔষধ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক এবং প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাও অপরিসীম।’ লিবিয়ায় এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত খায়রুল বাশার বলেন, ‘লিবিয়াতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। উল্লেখিত খাতসমূহ সহ দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবো আমরা। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই এর মূল্যবান পরামর্শ এবং মতামত পেলে দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও তরাণ্বিত করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।’
সরকার ও বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার অগ্রযাত্রা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, অ্যাম্বাসেডর মাসুদ মান্নান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে এফবিসিসিআই প্রধানের শোক
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজার মার্কেটে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুনর: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে বঙ্গবাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।
এছাড়া তিনি বঙ্গবাজার মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের ব্যবসায়িক খাতের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই এর পরিচালক সহ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনর: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই