বিদেশ
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে জানান যে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে।
ফখরুল জানান, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসা দেশের জনপ্রিয় এই নেতা মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তার জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার। এটি তাকে বিদেশে পাঠানো ছাড়া সম্ভব নয়।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া হাটখোলা মাঠে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের যুব রোড মার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
দলটির মহাসচিব বলেন, সরকারকে বারবার জানানো হয়েছে। তার পরিবার বলেছে কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) শুনতে রাজি নন।
বিএনপি এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দাবি করেন। এতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট যে, এক দফা দাবি, (আপনি) পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন।
আজ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আসুন আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে এই বার্তা দিতে চাই, আসুন জেগে উঠি, তাদের পরাজিত করি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা চুরি করেন তারপর দাবি করেন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চাল, ডাল, তেল, লবণ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঘোষিত যুব রোডমার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শুরু হয়। রোডমার্চটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর শান্তাহারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই রোডমার্চে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল যৌথভাবে সমাবেশ পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৪ হাজার কর্মী বিদেশ গেছে: মন্ত্রী
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) জুন পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৭৪ হাজার শ্রমিক কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে গেছেন। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
সোমাবার প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ সংসদে ভোলা থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে আ.লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের একই সময়ে (২০২১-২২) মোট ৯ লাখ ৭ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন।
বগুড়া থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, জনশক্তি রপ্তানির জন্য নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিবিয়া, মাল্টা, আলবেনিয়া, রোমানিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে।
ভোলা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অভিবাসনের কাজে ঋণ হিসেবে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার প্রবাসী শ্রমিকের মাঝে ২ হাজার ৮১ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আগে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল এবং সে কারণেই বেশি চা রপ্তানি হতো।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে চায়ের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে উৎপাদিত সব চা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয় এবং রপ্তানির জন্য সামান্য উদ্বৃত্ত থাকে।
তিনি আরও বলেন, চা রপ্তানি বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি চা বোর্ড মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
ফেনীর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ২১টি দেশের ২৩টি শহরে বাংলাদেশের বাণিজ্য মিশন রয়েছে।
সেগুলো হলো-
ক্যানবেরা, ব্রাসেলস, বেইজিং, কুনমিং, প্যারিস, বার্লিন, নয়াদিল্লি, কলকাতা, তেহরান, টোকিও, ইয়াঙ্গুন, কুয়ালালামপুর, মস্কো, সিউল, সিঙ্গাপুর, মাদ্রিদ, জেনেভা, দুবাই, লন্ডন, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেস।
তিনি আরও বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ব্রাসিলিয়া, তুরস্ক, আঙ্কারা, মেক্সিকো, মেক্সিকো সিটি ও আফ্রিকায় বাণিজ্যিক শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডেও মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ড. মোমেনের কৃতজ্ঞতা
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতে সম্ভব ছিল না বা ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীতে রোডমার্চ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পক্ষে নেই এবং বাংলাদেশেও তার সমর্থন নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে যে তাকে এখনই যেতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বেপরোয়া মন্তব্য করে দেশকে বিপদে ফেলেছেন।
আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করি না।
চলমান লোডশেডিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ফখরুল শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন।
বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেলের দিকে মিছিল করেন শ্রমিক দলের শত শত নেতাকর্মী।
ফখরুল তার সরকারের অধীনে প্রশ্নাতীত স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) বলছে তাদের শাসনামলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
কারণ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সবধরনের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, সরকার জনগণের চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
তাফসির আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাফসির মোহাম্মদ আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি করে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন।
বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে তাফসির আউয়ালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
আরও পড়ুন: ৪২ ঘন্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত; পুলিশ সুপার যোগাযোগ করায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
গত ১ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাফসিরকে যুক্তরাজ্যে যেতে ইমিগ্রেশন পুলিশ বাধা দেয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক তাফসির মোহাম্মদ আউয়ালের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন পুলিশের বাধার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তাফসীর আউয়াল। নির্বিঘ্নে বিদেশ যেতে ও দেশে ফিরে আসতে নির্দেশনা চেয়ে তাফসির ২ মার্চ ওই রিট করেন।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে তাফসির আউয়ালকে গত ১ মার্চ বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ (বুধবার) রায় দেন।
আইনজীবী জানান, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর দুদক এক স্মারকের সূত্রে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তাফসিরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই স্মারক ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর আগে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ রায় দিয়েছেন। রায়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের তিনদিনের মধ্যে দুদককে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা রয়েছে। এ অবস্থায় ২০২০ সালের ৪ অক্টোবরের ওই স্মারক দেখিয়ে ১ মার্চ তাফসিরকে যুক্তরাজ্যে যেতে বাধা দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় পুকুর দখলে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখতে দেখতে বিএনপির আন্দোলন ১৪ বছর শেষ হয়েছে, ১৫ বছরে পা দিয়েছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপের কাছে নালিশ করেও কোনো কাজ হয়নি।
রবিবার দুপুরে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিথ্যা ছড়ানোই তাদের একমাত্র অস্ত্র উল্লেখ করে কাদের বলেন, মিথ্যাচার তাদের একমাত্র সম্পদ। মিথ্যাকে পুঁজি করে তারা আজকে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তাকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চায়।
আরও পড়ুন: বাজেট ‘জনবান্ধব’: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য বিশ্ব পরিস্থিতি দায়ী বলে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘সারাবিশ্বে আজকে স্যাংকশন, যুদ্ধ, নতুন নতুন সংঘাত পৃথিবীকে স্থিতিহীন করে তুলেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, এটা শুধু আমাদের নয়, সারাবিশ্বের সমস্যা। বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধ করে। একে অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে সেটার জন্য কষ্ট করতে হয় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাধারণ মানুষকে। আমাদের আজকে এই কষ্টের জন্য আমরা দায়ী নয়। এই কষ্টের জন্য দায়ী আজকে বিশ্বের সংকটজনক পরিস্থিতি।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দিনে মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি ২১ ঘন্টা তিনি দেশের অগ্রগতিতে উৎসর্গ করেন। দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণই তার একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে আনন্দ করার জন্য যান না। প্রমোদ ভ্রমণের জন্য নয়। তিনি নালিশ করতে যান নাই। অথচ তার সফর নিয়ে ফখরুলের মুখে বাধে না,যা ইচ্ছে তাই বলেন।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে আসা প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার জন্য শুল্ক কর দ্বিগুণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শুল্ক কর বর্তমান ২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব ঘোষণা করেন।
প্যাসেঞ্জার (ননট্যুরিস্ট) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৩-এর উপ-বিধি (১০) অনুসারে, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আগমনের সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের সোনার বার বা সোনার টুকরা আমদানি করতে পারেন সমস্ত শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে।
দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে অর্থমন্ত্রী এই সুবিধা কমিয়ে সোনার পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও, আমি ঘোষণার অতিরিক্ত বা যাত্রী দ্বারা লুকিয়ে আনা যে কোনও পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান ব্যাগেজ নিয়ম সংশোধন করার প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, লাগেজ নিয়মের অধীনে একজন যাত্রীকে বিদেশ থেকে আসার সময় প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার বার বা সোনার টুকরোগুলোর জন্য মোট দুই হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। আমি প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম সোনার বার বা সোনার টুকরার জন্য মোট শুল্ক-কর বাড়িয়ে টাকা ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
বাজেট ২০২৩-২৪: ভ্রমণ কর বাড়বে
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন সম্রাট
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। এজন্য এদিন সম্রাট সকালে আদালতে হাজিরা দেন।
তবে তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জুলাই অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সম্রাটের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী জানান, আজকে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
তবে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট আমরা এখনো সংগ্রহ করতে পারেনি। এজন্য সময়ে আবেদন করি।
তিনি আরও বলেন, আদালত সময়ের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এছাড়া, আমরা আজকে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে শুনানি করেছি। আদালত স্বল্প সময় অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। যে কোনো দেশে ভিসা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
বিদেশে থেকে তারেক ও জোবায়দা আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই করতে পারবেন কি না সেই বিষয়ে জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ মার্চ পলাতক এ দুই আসামির পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন রবিবার (৯ এপ্রিল) ধার্য করেন।
এদিন দুপুর ১২টার কিছু আগে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
এদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে। উনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে। আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বলবেন, তাদের সুযোগ দিন। কিন্তু তারা লন্ডনে থাকবেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন তিনি। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (আসামি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেন। আমরা মনে করি, এটা আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান। এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছে। আবেদনটি খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীরা যেন জালিয়াতি ও মধ্যস্বত্বভোগীর শিকার না হন তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের সবসময় বিবেচনা করতে হবে যে এই প্রার্থীরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারে এবং উপযুক্ত চাকরি পেতে পারে। এই লোকেরা যেন প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিভিন্ন ট্রেডে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি জনশক্তি প্রেরণের জন্য নতুন গন্তব্য খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে আমাদের জনশক্তি আছে। কিন্তু আমাদের আরও গন্তব্য খুঁজতে হবে। সরকার নতুন কিছু দেশে জনবল পাঠানো শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে। আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
কোন দেশে কী ধরনের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বিদেশে চাকরির জন্য অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের টাকা দেওয়ার জন্য মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে।
তিনি মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে চাকরির জন্য বিদেশে যাওয়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর সৃষ্ট চাপের সময় প্রবাসীদের আয় দেশের রিজার্ভ এবং সামগ্রিক উন্নয়নে প্রচুর অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে প্রবাসীদের ঋণ প্রদানের জন্য।
শেখ হাসিনা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্রিল্যান্সাররাও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় এনে আমরা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছি।’
তিনি প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে তাদের টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।’
বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং মানুষ বেশি উপার্জন করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে দিনমজুররা আগে দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করত, এখন কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০-১০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলে উপার্জন এই পরিমাণের চেয়ে বেশি। ধান কাটার মৌসুমে তিনবেলা খাবারসহ ৭০০-৮০০ টাকা উপার্জন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কেউ যদি গ্রামাঞ্চলে যান তাহলে দেখবেন সেখানে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। মাঝে মাঝে শ্রমের অভাবও দেখা যায়, কারণ মানুষ স্বচ্ছল হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কবি, লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষক এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংস্কৃতিকে অনুমতি দেয়া উচিত নয়। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।’
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে পৃথিবী এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজকে টাকা বানানোর যন্ত্রে পরিণত করা উচিত নয়: রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা এবং মানসিকতাও একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে।
'নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব' উল্লেখ করে হামিদ বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সৃজনশীল ও মেধাবী জনশক্তি অপরিহার্য। আলোকিতরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা এবং গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে না দিই, তাহলে তারা আত্মসম্মানে সচেতন নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠবে না।’
তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড় খুঁজে বের করার এবং গৌরবময় অতীতের কথাও বলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি